Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

শীতে ত্বকের যত্নআত্তি

শীত মানেই হিমেল হাওয়া। শীত মানেই গরম চায়ের কাপ এ আদরের চুমুক। কিন্তু আপনার ত্বক কি ঠিক ততটাই শীত উপভোগ করে যতটা আপনি চান? উত্তরটি হচ্ছে- একদমই না। ঠান্ডা রুক্ষ আবহাওয়া এবং শুষ্ক বাতাস আমাদের ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলকে নষ্ট করে ফেলে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে, প্রতি এক ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার ফলে আমাদের স্কিন এর সেবাসিয়াস গøান্ড বা তেল গ্রন্থি থেকে ১০% কম তেল তৈরি হয়। ফলে ত্বক খুব সহজেই শুকিয়ে যায় এবং ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। এসময় স্কিন এর বিভিন্ন অসুখ যেমন একজিমা, সোরিয়াসিস, এটপিক ডারমাটাইটিস এর প্রকোপ বেড়ে যায়। আবার যাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রেও ব্রণের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। কাজেই এসময় ত্বকের জন্য চাই এক্সট্রা কেয়ার। সঠিক এবং পরিমিত যতেœর অভাবে এসময় যে শুধু আপনার ত্বক তার জৌলুস হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে তা নয়, বরং আপনার এই আলসেমির মাশুল আপনাকে সারাজীবন দিতে হতে পারে অবাঞ্ছিত বলিরেখার মাধ্যমে। 
শীতে প্রায়শই আমরা উলের শাল বা মাফলার ব্যাবহার করি। এগুলো ত্বকের সংস্পর্শে এসে ত্বকের রুক্ষতা বাড়িয়ে দিতে পারে। কাজেই উলেন বা কোন সিন্থেটিক কাপড় পরার আগে অবশ্যই কোন লাইট ফেব্রিক যেমন সুতির কাপড় পড়ে নেবেন। ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলের অল্টারনেটিভ হিসেবে প্রতিদিন একটি ভালো মানের (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ) ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে কোলাজেনকে রক্ষা করে ত্বককে দীর্ঘ দিন তারুণ্যদীপ্ত রাখে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কোকোনাট মিল্ক খুবই ভালো একটা অপশন। অবশ্যই শুধু মুখ কিংবা গলা নয়, ফুল বডির ময়েশ্চারাইজেশনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অনেকেই ভাবেন যে শীতকালে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই, কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি-এ রশ্মি ঋতুভেদে সারা বছর একই থাকে এবং ত্বকের ডারমাল লেয়ার এ পৌঁছে ত্বককে কালো করে ফেলে। কাজেই এসময় গ্রীষ্মকালের মতোই সানবøক ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।
শীতের শুষ্ক বাতাস ত্বকের মরা কোষ দিয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে ফেলে ফলে ব্রণ, ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্ক্রাবিং এই মরা কোষগুলোকে দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
এই সময়ে ত্বকের যতেœ অবশ্যই করণীয় 
শীতে আপনার পরম বন্ধু হলো লোশন। আজকাল বাজারে নানান ধরনের লোশন পাওয়া যায়। তবে ভালো ব্র্যান্ডের লোশন কিনতে কোনভাবেই ভুলবেন না। 
শীতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন গোসলের পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। তবে বডি ময়েশ্চারাইজার শুধুমাত্র শরীরেই ব্যবহার করুন। মুখের জন্য ব্যবহার করুন আলাদা ফেস ময়েশ্চারাইজার। কারণ আমাদের ফেস এবং বডির ত্বক এক নয়। শীতকালে অয়েল বেইজ ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজে দেয়।

Revaib
শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নিন


(৩) শীতকালে মুখ ও শরীরে মরা চামড়া অনেক বেশী উঠতে দেখা যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে স্ক্রাবিং করে নিতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের স্ক্রাবার পাওয়া যায়। সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ক্রাবিং করে নিন। বাসায় ও বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাবার। এজন্য, চালের গুড়া, এক চিমটি হলুদ, কাঁচা দুধ, মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিন স্ক্রাবার।
(৩) গোসলের সময় পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। এতে আপনার ত্বকে একটি ময়েশ্চারাইজারের স্তর তৈরি হয়।
(৫) রাতে মোজা পরে ঘুমাতে যাবেন। এতে কিছুটা হলেও পা ফাটা থেকে মুক্তি মিলবে। শীতে পা ফেটে গেলে ভেসলিন, অলিভ অয়েল মিক্স করে পায়ে লাগান।
প্রকৃতিক উপায়ে শীতে ত্বকের যতœ
ছোট একটা বাটিতে ১ চা-চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ৩ চা-চামচ পানির সঙ্গে হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে হাত, পা ও মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘুমোতে যান। শীতকালজুড়েই এটি ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
গোসলের আগে এক চা-চামচ মধু একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর ১০ মিনিট সময় নিয়ে আঙুল দিয়ে ঘষে ঘষে এই প্যাক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক দ্রæত সতেজ করতে এই প্যাক বেশ কাজে দেয়। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
কোকোয়া বাটার এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণও আপনার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আদা বাটা পেস্ট আপনার ত্বক থেকে ময়লা ও ধূলোবালি পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। এক টেবিল চামচ কোকোয়া বাটার এবং সমপরিমাণ অলিভ অয়েলের সাথে হাফ টেবিল চামচ আদা বাটা মিশিয়ে নিন।আপনার ত্বকে মেখে নিন মিশ্রণটিকে। বিশেষ করে চেহারায় এবং গলার কাছের অংশে। ১৫ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিকিৎসকেরা দুধ ও কলা একসাথে খেতে বারণ করেছেন। তবে আপনি চাইলে এ দিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে মাখতে পারেন। এজন্য কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কলায় প্রচুর হাইড্রো-কার্বন থাকায় তা আপনার ত্বককে ভেজা ভেজা রাখবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কলা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে নিচের জীবিত কোষকে উপরে তুলে আনে। এতে আপনার ত্বক আরও সজীব লাগে। একটি কলার সম্পূর্ণটা একটি বাটিতে নিয়ে চটকে নিন। এরসাথে এক টেবিল চামচ দুধ মেশান। আপনার ত্বকে মিশ্রণটিকে মাখুন। ২০মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এর ব্যবহারে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের থেকে আরও সজীব।
যদি আপনার মনে হয় যে, আপনার ত্বক রুক্ষ তাহলে নিয়ে আসুন এলোভেরা এবং বাদাম বা তিলের তেল। ৮-১০ ফোটা বাদাম বা তিলের তেলের সাথে এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। তারপর সেটিকে হাতের তালুতে ঘষে নিন। এরপর পুরো মিশ্রণটিকে আপনার চেহারা ও ত্বকে একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে মেখে নিন এবং ঘষতে থাকুন। এমনটা করবেন অন্তত ১৫মিনিট। এরপর সারারাত মিশ্রণটিকে আপনার ত্বকে রেখেই ঘুমিয়ে পড়–ন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অনেক কোমল এবং সজীব ত্বক পাবেন আপনি।
পেপে খাদ্য পুষ্টিগুণ এবং খনিজে সমৃদ্ধ একটি খাবার। অন্যদিকে দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই আছে। ভিটামিন-ই শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। মাঝারি আকারের একটি পেপের অর্ধেকটা নিন। এরসাথে কাচা দুধ মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। প্যাকটিকে আপনার ত্বকে ভাল করে মেখে নিন। এরপর এটির শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কলের পানিতে ধুয়ে ফেলুন।আশা করা যায়, ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
গাজর ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে সজীব কোষগুলোকে জাগিয়ে তোলে। এছাড়া কুচকানো ত্বকের যতেœও কার্যকর এ মিশ্রণ। গাজরে তাকা প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন এ কাজে সাহায্য করে। একটি আস্ত গাজর নিয়ে তার সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর এটিকে ভাল করে চটকে মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে ১৫মিনিট মিশ্রণটি রেখে ধুয়ে ফেলুন।
গরম জল: শীতে গরম পানিতে সর্তকতা গোশল করেন সকলেই। তবে গরম জল ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। তাই গরম জলে মুখ ধোবেন না।
ময়শ্চারাইজার: সবচেয়ে ভাল হয় যদি অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন।
এক্সফোলিয়েট: শীতকালে মরা চামড়ার কারণে ত্বক দেখতে নির্জীব লাগে। শুষ্ক ত্বকে এই
সমস্যা বেশি হয়। তাই সপ্তাহে এক দিন এক্সফোলিয়েশন করা প্রয়োজন।
সানস্ক্রিন: বাইরে বেরোলে অবশ্যই অন্তত এসপিএফ ১৫ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগান।
পেট্রোলিয়াম জেলি: এই সময় শুধু সূর্যের আলো থেকেই ত্বকে বার্ন হয় না, ঠান্ডা হাওয়া থেকেও ত্বক জ্বালা হয়। একে বলা হয় উইন্ড বার্ন। শুষ্ক ত্বকে উইন্ড বার্ন অনেক বেশি ক্ষতি করে। এর থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে পেট্রোলিয়াম জেলি।
অ্যালোভেরা: যদি খুব বেশি উইন্ড বার্ন হয় তাহলে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
অ্যালকোহল: যে সব বিউটি প্রডাক্টে অ্যালকোহল থাকে সেগুলো ত্বক আরও শুষ্ক করে দেয়।
তাই ত্বক শুষ্ক হলে এই ধরনের প্রডাক্ট এড়িয়ে চলুন। বরং ক্লিনজিং মিল্ক জাতীয় প্রডাক্ট ব্যবহার করুন।
হিউমিডিফায়ার: শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে আসায় ঘরের ভিতরের আবহাওয়াও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঘুম থেকে উঠে হাত, পায়ে ত্বকে টান ধরে। তাই ঘরের জন্য কিনেই ফেলুন হিউমিডিফায়ার। এতে ঘরের ভিতর গরম থাকবে। যদি শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কষ্ট পান তাহলে একটু খরচ করে হিউমিডিফায়ার কিনেই ফেলুন।
ডার্মাটোলজিস্ট: ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয় তাহলে অনের রকম সমস্যা শুরু হয়। যতœ নেওয়ার পরও যদি ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগে তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।
ঠোঁটের যতœ
ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভেসলিন বা গিøসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন এবং দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন। 
যাঁদের পুরোনো চর্মরোগ যেমন সোরিয়াসিস, একজিমা, ইকথায়সিস ইত্যাদি আছে, তাঁদের ত্বকের সমস্যা এই সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই তাঁদের হতে হবে আরও সচেতন। প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
সবজি ও ফল খান
প্রতিটি ঋতুতে শরীরে কী কী উপাদানের ঘাটতি পড়ে আর কী দরকার, সেই হিসেবেই আসে মৌসুমি ফল ও সবজি। শীতে সবজির সমাহার। সবজি ভাল লাগে না বলে নাক কুঁচকোবেন না। বরং এই সবজির ভিটামিনই আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বককে সতেজ রাখবে। ফলও একান্ত প্রয়োজনীয়। জরুরি ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহে এদের বিকল্প নেই।
শীতের সময় প্রাকৃতিক কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। যে কারণে ত্বকের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতেœর। অলসতা বা ব্যস্ততা, যা-ই থাকুক না কেন, সময় বের করুন। শীতে নিয়মিত যতœ না নিলে পরবর্তী সময়ে বারোটা বেজে যাবে আপনার ত্বকের! ঘরে থাকা জিনিস দিয়ে রূপচর্চা করেই ত্বকে আনতে পারেন লাবণ্য। এ জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় রাখতে হবে ত্বকের জন্যই।
যতœ নিন শিশুরও 
বড়দের তুলনায় শিশুদের ত্বক খুব নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যার কারণে শীতের আর্দ্র আবহাওয়াতে শিশুর ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। শুষ্ক চামড়া বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দেয়। তাই শীতের এই সময়টাতে শিশুর ত্বকের যতেœর ব্যাপারে হতে হবে সতর্ক ও মনোযোগী-
শিশুর শরীরের তেল ও ময়লা ধুয়ে ফেলতে গোসল করানো জরুরী। গোসল করানোর সময় শিশুদের উপযোগী সুগন্ধিবিহীন সাবান ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন শীতে যেন বাচ্চাদের শরীরে বড়দের সাবান লাগানো না হয়। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শিশুর গোসলের জন্য ১০ মিনিটের বেশি সময় নিবেন না। গোসল শেষে দ্রæত শরীর ও মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে।
শীতে আপনার বাচ্চার ত্বকের যতেœ সব থেকে যেটি বেশি জরুরী সেটা হল ময়েশ্চারাইজার। শিশুকে গোসল করানোর পর কোমল কোন টাওয়েল দিয়ে শরীর মুছিয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগান। তবে এটি লাগানোর আগে নিশ্চিত হোন সেটি যাতে সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যাল বিহীন হয়। শীতে শিশুর ত্বকের যতেœ অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের আর্দ্রতা থেকে আপনার শিশুর ত্বক বাঁচাতে ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন করুন। ভেজা ডায়পার যতবেশি আপনার শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে থাকবে ত্বকে ততবেশি বুটি ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই শিশুর ডায়পার ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ পড়িয়ে রাখবে না। শিশুর ত্বকের অভ্যন্তরে বাতাস চলাচল করতে সুতি কাপড় ব্যবহার করুন। এমনকি আপনার শিশুর ত্বক নরম রাখতেও সুতি কাপড় খুব কাজের। আপনার ছোট্ট সোনামণির ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। গোসলের পর সামান্য পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে নিয়ে হালকা করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিন।