Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

লঘু পাপে গুরু দন্ড!

রেজানুর রহমান : এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। পরিবারের সব চেয়ে মেধাবী, সৎ ও নিষ্ঠাবান ছেলেটির ওপর এমন আঘাত আসতে পারে এ যেন কল্পনারও বাইরে। সে কারনে দেশ জুড়ে এখন শুধু একটাই আলোচনাÑ সাকিব আল হাসান। সাকিব কে? শুধু কী একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়? না, সাকিব আল হাসান শুধুমাত্র একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ই নন তিনি দেশের মানষের আশা-ভরসার প্রতীক। সাকিব দেশের কোটি কোটি তরুণের আইডল। হতে চাই তার মতো… কার মতো? সাকিব আল হাসানের মতো… অনেকে কবিতার ভাষায় বলেন, সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের জান! অর্থাৎ সাকিব বাংলাদেশের ভালো কাজের প্রেরণা। সাকিব কাছে থাকলেই প্রেরণা ও বিশ্বাসও পাশে থাকে। সাকিব পাশে থাকলেই বুকে বল আসেÑ হ্যা আমরা পারব।
সেই সাকিবই কিনা ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন। তার অপরাধ কী? তার অপরাধ হলো একজন ক্রিকেট জুয়ারীর সাথে তার কথা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী তার উচিৎ ছিল, এই তথ্য ক্রিকেটের বিশ্ব সংস্থা আইসিসিকে জানানো। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই সামান্য ভুলের জন্য সাকিবকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হল। যা দেশের মানুষ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। দেশ জুড়ে চলছে প্রচন্ড হাহাকার। দেশের প্রতিটি মানুষ সাকিবকে সমবেদনা জানাচ্ছেন, বলছেন, দুঃখ করো না। আমরা আছি তোমার সাথে। ভারতের মাটিতে এই প্রথম পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অথচ দলের প্রধান স্তম্ভ সাকিব আল হাসান নেই। এটা কি ভাবা যায়? একে তো দলে মাশরাফি নেই। তামিমও নেই। শেষ পর্যন্ত দলের মূল কান্ডারি সাকিবও থাকলো না। সহজেই বুঝে নেওয়া যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কতটা সংকটের মধ্যে আছে। কিন্তু এই সংকট কী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিয়তি ছিল?
বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা ক্রিকেট যেনা হঠাৎ করেই বিরাট ঝড়ের কবলে পড়ে গেছে। যে ঝড়ের কোনো আভাষ ছিল না। হঠাৎ একদিন ক্রিকেট মাঠেই ক্রিকেটাররা তাদের দাবী-দাওয়া নিয়ে সোচ্চার হলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন মূলত সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটাররা ঘোষনা দিলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আর ক্রিকেট খেলবেন না। এতেই দলের ক্রিকেটারদের প্রতি ক্ষেপে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেল সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করলেন। তার অভিযোগের মূল সুর ছিল একটাইÑ ক্রিকেটাররা আন্দোলনে যাওয়ার আগে বোর্ডকে কেন জানাল না? এটা কি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র?

পরের দিনই আন্দোলনরত ক্রিকেটারদের সাথে বসে তাদের প্রায় সকল দাবী-দাওয়াই মেনে নিলেন। তবুও যেন পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছিলোনা। সাকিব আল হাসান যেন ক্রিকেটের সাথে মনঃসংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না। ভারতের সাথে এই প্রথম পুর্নাঙ্গ ক্রিকেট সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সঙ্গত কারনেই দলের প্রস্তুতি অন্য সময়ের চেয়ে আরও ভালো হওয়া জরুরি। বিশেষ করে দলপ্রধান হিসেবে সাকিবকেই অনেক বেশী সিরিয়াস থাকার
কথা। অথচ সাকিব যেন উদাসীন। দলের প্রাকটিসে মাঠে আসছিলেন না। একটা যেন ধোয়াসা শুরু হয়েছিল দেশের ক্রিকেটকে ঘিরে। হঠাৎই বজ্রপাতের মতো ঘটনাটা ঘটলো। সাকিবকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। সাকিবের অপরাধ কী? অপরাধ হলো ক্রিকেটের এক জুয়ারীর সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন। দীপক আগারওয়াল নামে ওই জুয়ারী সাকিবকে ফোন করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী সাকিবের উচিৎ ছিল এই তথ্য আইসিসিকে জানান। কিন্তু সাকিব তা করেননি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আইসিসির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। ফলে সাকিবের শাস্তির মাত্রা কমেছে। দুই বছরের জায়গায় এক বছর সাকিব এই শাস্তি ভোগ করবেন। এই ঘটনায় দেশের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্ত মর্মাহত। লঘু পাপে এত বড় গুরু দন্ড কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না দেশের মানুষ। সাকিবকে নিষিদ্ধ করার ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের ক্রিকেট ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ক্রিকেট জুয়ারীর ব্যাপাওে। একজন আন্তর্জাতিক জুয়ারী সাকিবের সাথে কথা বলায় সাকিব এতবড় শাস্তি পেলেন। অথচ সেই জুয়ারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। আইসিসি অবশ্য ওই ক্রিকেট জুয়ারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রাখে না। তাহলে ঘটনা কী দাড়াল? একজন আমাকে টেলিফোন করলো। তার সাথে ফোনে কথা বলার অপরাধে আমার শাস্তি হলো। অথচ যে আমার সাথে কথা বলল তার কোনো শাস্তি হবে না?
সাকিব ক্রিকেট জুয়ারীর সাথে কথা বলেছেন দুই বছর আগে। অথচ এনিয়ে কোনো মাধ্যমেই কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি। সাকিব যখন ক্রিকেটারদের নিয়ে আন্দোলনে নামলেন ঠিক তখনই কেন বিষয়টা প্রকাশ্যে উঠে এলো? এটা কি কাকতালীয় কোনো ঘটনা? নাকি অন্য কিছু…?
সব চেয়ে গুরুত্বপুর্ণ যে প্রশ্নটি ঘুরে ফিরেই আসছে তা হলÑ ভারতের সাথে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার আগেই কেন এই অস্থিরতা শুরু হল? কেনই বা ক্রিকেটারদের আন্দোলন শুরু হলো? কেনই বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন? এটা কি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে কৌতুকপ্রদ একটি বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছেÑ ‘ভারতে খেলতে যাওয়ার আগেই ভারত বাংলাদেশের একটি বড় উইকেট তুলে নিয়েছে।’ চমৎকার…
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট হল একটা শক্তি। সে কারনে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকলেই দেশের মানুষ দলবল নির্বিশেষে এক কাতারে দাঁড়িয়ে যায়। রাস্তার মোড়ের ছোট্ট চায়ের দোকানের সাদাকালো টেলিভিশনটিও তখন অনেক প্রিয় হয়ে যায় সবার কাছে । টেলিভিশনে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখে আর আশায় বুক বাধে। দেশের মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। হে মাবুদ…. তুমি আমাদের দেশটাকে জিতিয়ে দিও। ক্রিকেটের জন্য কেন এই সমবেত প্রার্থনা? কারণ ক্রিকেট জিতলেই বাংলাদেশ জিতে যায়।
আমাদের বিশ্বাস, সাকিব আল হাসান আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। আবারও তারই নেতৃত্বে জেগে উঠবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। যেমন মাশরাফি বিন মোর্ত্তুজা বলেছেন, সাবিকই আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্বে দিবে।
জয় হোক বাংলাদেশের ক্রিকেটের।
৩৬টি ম্যাচে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ!
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এর মাঝে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এ ঘটনায় নিজের দায় ও শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের মূল ভরসা সাকিবকে পুরো এক বছর পাবে না দল। এ সময়ে ভারত সফর তো আছেই। আছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বটাও সাকিবকে ছাড়া কাটাতে হবে বাংলাদেশকে। সব মিলিয়ে ৩৬টি ম্যাচে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ। সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় ক্রিকেটেও খেলতে পারার কথা নয়। ফলে নিষেধাজ্ঞা শেষেই সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা কঠিন হবে তাঁর পক্ষে।
এ ক্ষেত্রে বিসিবির অনুরোধে হয়তো শাস্তি একটু কমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবু অন্তত ৩৬ ম্যাচ যে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না এটা নিশ্চিত। এতে আরেকটি কিন্তু আছে। সাকিবের প্রত্যাবর্তনের দিন ঠিক হয়েছে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তবে স্থগিত নিষেধাজ্ঞার কথা ভুললে চলবে না। আগামী এক বছর সাকিবের ওপর কড়া নজরদারি করা হবে। কিছু ব্যত্যয় হলেই নিষেধাজ্ঞা এক থেকে দুই বছর হয়ে যাবে।
এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা যেন বাস্তবে রূপ না নেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে সাকিবকে। উপায়টা আইসিসিই বলে দিয়েছে। সংস্থাটির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
স্থগিত ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা যেন কার্যকর না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হলে সাকিব আল হাসানকে নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
১. নিষেধাজ্ঞার সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন বা কোনো দেশেরই দুর্নীতি বিরোধী আইন ভাঙা যাবে না।
২. আইসিসি যেভাবে বলে দেবে ঠিক সেভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষাকার্যক্রম ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় ও পরিপূর্ণভাবে অংশ নিতে হবে।
এ দুটি শর্ত পূরণ হলেই এক বছরেই শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা।

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ!

আইসিসি এক বিবৃতি জানিয়েছেন, ২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব।
২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তাঁর সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার এসিইউর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
২.৪.৪ ধারা: ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
সাকিব আল হাসান সব কটির দায় স্বীকার করে নিয়েছেন এবং আইসিসির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে দেওয়া সব শাস্তি মেনে নিয়েছেন। যদি নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিবিধান মেনে চলেন, তবে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
এ ব্যাপারে আইসিসির নৈতিকতাবিষয়ক মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান অত্যন্ত অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সে এ ব্যাপারে অনেকগুলো ক্লাসেই অংশ নিয়েছে এবং এ কোডের অধীনে তার দায়িত্বের কথা জানে। তার উচিত ছিল এসব প্রস্তাবের কথা জানানো। সাকিব সব দায় স্বীকার করে নিয়েছে এবং এ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সে ভবিষ্যতে আইসিসির সততা বিভাগকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের তার ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলবেন। আমি তার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পেরে খুশি।’

সাকিব থাকবেন না যে ৩৬ ম্যাচে

সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ৩৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব খেলতে পারবেন না ১৩টি টেস্ট,৩টি ওয়ানডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব ম্যাচ-
নভেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশের ভারত সফর
৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ
ডিসেম্বর ২০১৯
কোনো সংস্করণেই বাংলাদেশের কোনো খেলা নেই
জানুয়ারি ২০২০ থেকে ফেব্রæয়ারি ২০২০
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্ট ও ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
মার্চ ২০২০
জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফর
একটি টেস্ট ও ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
এপ্রিল ২০২০
কোনো সংস্করণেই বাংলাদেশের কোনো খেলা নেই
মে ২০২০-জুন ২০২০
বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ড সফর
একটি টেস্ট,৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর
দুটি টেস্ট (জুন মাসে)
জুলাই ২০২০
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর
৩ টেস্টের সিরিজ
আগস্ট ২০২০
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ
সেপ্টেম্বর ২০২০
কোনো সংস্করণেই বাংলাদেশের কোনো খেলা নেই
অক্টোবর ২০২০
বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ