Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে বড় উপহার -তারিন

২৬ জুলাই অভিনেত্রী তারিনের জন্মদিন। কথা হলো গুণী এ অভিনেত্রীর সাথে।

আনন্দ আলো: ২৬ জুলাই আপনার জন্মদিন। দিনটি কী ভাবে পালন করেন?

তারিন: কোনো উৎসব করে আমার জন্মদিন পালন করা হয় না। আমার জন্মদিনটা এখন ফ্যামিলির মেম্বাররা একদম ঘরোয়া পরিবেশে পালন করে থাকে। আমি এই দিনটায় ফ্রি থাকার চেষ্টা করি। কোনো শুটিং রাখি না। ফ্যামিলির মেম্বারদের সাথে সময় কাটাতে খুব পছন্দ করি। প্রতি বছরই চ্যানেল আই তাদের তারকা কথন অনুষ্ঠানে আমাকে নিয়ে জন্মদিনটা পালন করে। গল্প করা হয়, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়, কেক কাটা হয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধ-বান্ধব, এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানায়। এত ব্যসৱতার মাঝেও মানুষজন আমাকে ভালোবেসে উইশ করে সেটা অনেক ভালো লাগার একটা বিষয়।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

তারিন: পার্থক্যতো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল অনেক মজার, আনন্দের ছিল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা বাসায় চলে আসত। কেক কাটা হতো। সবাই মিলে অনেক আনন্দে কাটত দিনটি। আর এখনকার জন্মদিনটা আমার ফ্যামিলির মেম্বাবরা পালন করে থাকে। আমি যেহেতু পরিবারের ছোট সনৱান। আমি জন্মদিন পালন না করলেও আমার ফ্যামিলি ছোট খাটো করতে করতে দেখা যায় বেশ বড় পরিসরে জন্মদিনের আয়োজন করে ফেলে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়।

আনন্দ আলো: সবার আগে কে আপনাকে জন্মদিনে উইশ করে?

তারিন: সব সময় ফ্যামিলির মেম্বাররা সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে থাকে। ওরা আগের দিন রাত ১২-০১ মিনিটে আমর জন্মদিনে উইশ করার জন্য বসে থাকে আমাকে কোনো না একটা সার প্রাইজ দিবে বলে। ওরা না বললেও আমি বুঝি যে ওরা কিছু একটা করবে। এটা প্রতিবছরই হয়ে আসছে। এবারও হবে। তারপর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কাছের মানুষ এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। এমনকি অপরিচিত মানুষ যাদের আমি চিনি না তারাও ফোন করে, মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালোলাগে?

তারিন: আমাকে ভালোবেসে সবাই যখন জন্মদিনে উইশ করে তখন খুবই ভালো লাগে। এর চেয়ে ভালো উপহার কী হতে পারে? মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে বড় উপহার।