Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ব্র্যাক আড়ং নারী শিশু ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে

আসিফ সালেহ

ঊর্ধ্বতন পরিচালক, স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল

আসিফ সালেহ ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক উদ্ভাবন, মানবাধিকার এবং আইন সহায়তা সেবা, নগর উন্নয়ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলো তিনি প্রত্যক্ষভাবে তত্তাবধান করে থাকেন। ২০১১ সালে ব্র্যাকে যোগদানের আগে তিনি বিনিয়োগ বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর অন্যতম নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। এর আগে তিনি কাজ করেছেন গø্যাক্সোওয়েলকাম, নরটেল এবং আইবিএম-এ। আসিফ সালেহ ‘দৃষ্টিপাত’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন যা মূলত বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য। ২০০১ সালে ওয়েব পোর্টাল ‘দৃষ্টিপাত’ প্রতিষ্ঠা করেন যা প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ ও চিন্তার প্রকাশ ও বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়টি চ্যাপ্টার বা বিভাগ রয়েছে। দেশের উন্নয়ন কর্মকাÐে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখার ভাবনা নিয়ে আসিফ সালেহ ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ফিরে আসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত জাতিসংঘ কর্মসূচির অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন শীর্ষক প্রকল্পে নীতি-নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দেন। ইতিমধ্যে তরুণ নেতৃত্ব বিষয়ক বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কারও পেয়েছেন আসিফ সালেহ। ২০০৮ সালে এশিয়া সোসাইটির ফেলো এবং ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ইয়াং গেøাবাল লিডার নির্বাচিত হন। সালেহ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লিওনার্ড এন. স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস থেকে ব্যবসা প্রশাসনের বাজারজাতকরণ ও ব্যবস্থাপনায় ¯œাতকোত্তর করেছেন। এর আগে নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ¯œাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ব্র্যাকনেট এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি’র গভর্নিং বোর্ডের সদস্য। এছাড়া ব্র্যাক আইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যানও তিনি। এছাড়াও একাধিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যেমন, ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ, স্পৃহা এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি)-এর বোর্ড সদস্য। সম্প্রতি তরুণ এই উদ্যোক্তা একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর নানা উন্নয়ন ভাবনা তুলে ধরেছেন।

আনন্দ আলো: আপনার কাছে প্রথমেই জানতে চাই মানবিক জায়গা থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্যে ব্র্যাক কী কী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে?

আসিফ সালেহ: ধন্যবাদ। আমরা সবসময় সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করি। এক্ষেত্রেও আমরা সেই ভূমিকাতেই কাজ করছি। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য, এমডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য- এসডিজি অর্জনের জন্য পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে আমাদের কাজ, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমাদের কাজ। মানবিক সংকটে পড়া রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দুয়ার খুলে দিলেন তখন তাঁর ডাকেই আমরা এই কাজে ছুটে যাই।

আনন্দ আলো: তৃণমূল পর্যায়ে সেখানে তো আগে থেকেই আপনাদের কাজ ও যোগাযোগ ছিল?

আসিফ সালেহ: হ্যাঁ। আমাদের একটা সুবিধা হলোÑ প্রায় ৩৫ বছর আগে থেকেই ওই জনপদে আমরা কাজ করছি। ওই এলাকায় আগে থেকেই আমাদের সাতটা অফিস এবং স্থানীয় জনগণের জন্যে অনেক কর্মসূচি চলমান আছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশ থেকে জনবল আরও বাড়িয়ে সেই এলাকায় আমাদের কাজ দ্রæত বাড়ানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়নি। সেখানে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল স্বাস্থ্য বিপর্যয় রোধ করা। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এখানে নেতৃত্ব দিয়েছে যে, প্রথমে মানুষকে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে টয়লেটে কীভাবে নিয়ে আসা যায় তার ব্যবস্থা করা। খোলা জায়গায় পায়খানা করলে প্রথমেই কলেরার ঝুঁকি তৈরি হয়ে যায়। এর পাশাপাশি শরণার্থীদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানো ছিল আরেকটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল চার সপ্তাহের ভেতরে অনেক টয়লেট তৈরি করা। কাজের শুরু থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ পর্যন্ত আমরা ১১ হাজার টয়লেট তৈরি করেছি। পাশাপাশি আমরা সেখানে শ্যালো টিউবওয়েল নিয়ে গেছি।

আনন্দ আলো: স্বাস্থ্যসেবায় আপনারা হাত বাড়িয়েছেন?

আসিফ সালেহ: বর্তমানে ব্র্যাকের ৮০০ কর্মী শরণার্থী শিবিরে কাজ করছে। আমাদের মূল লক্ষ্য সেখানে নানাবিধ সেবার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি। আমাদের ৫০টি ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক সেখানে কাজ করছে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এবং নিজেদের উদ্যোগে ১০১টি স্থায়ী ক্লিনিক তৈরি করেছি যেখানে প্রতিদিন মিয়ানমারের নাগরিকরা সেবা নিচ্ছেন। আমাদের আরেকটি উদ্যোগের আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘরে ঘরে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। জটিল ও জরুরি রোগীদের সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আপনারা জানেন, মিয়ানমার থেকে আসা এই জনগোষ্ঠীর বড় অংশটিই শিশু এবং প্রায় দুই লাখের বেশি শিশু সেখানে আছে।

আনন্দ আলো: প্রতিদিনই তো অনেক শিশু জন্ম নিচ্ছে?

আসিফ সালেহ: হ্যাঁ। এক্ষেত্রে মায়ের প্রসবকালীন সেবা দিচ্ছি আমরা। প্রায় ৫০ হাজার অন্তঃসত্তা মাও আছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। তাঁদের জন্য আমাদের স্থায়ী ক্লিনিকগুলোতে নিরাপদ প্রসবকেন্দ্র তৈরি করেছি। সেখানে প্রশিক্ষিত ধাত্রীরা তাঁদের প্রসবকালীন সেবা দিচ্ছেন। এ কাজে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা স্থানীয় অভিজ্ঞ ধাত্রীদের সাহায্য নিচ্ছেন।

আনন্দ আলো: তৃণমূল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যন্ত এলাকায় বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে বিকাশ।

আসিফ সালেহ: ব্র্যাক তো একটি সামাজিক সংগঠন। আমাদের যেসব সামাজিক সমস্যা আছে তার সমাধান উদ্ভাবনে আমরা চেষ্টা করি। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সমস্যার পরিবর্তন হয়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের উদ্যোগগুলো এসেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা খাত বা এসএমইকে কেন্দ্র করে। নব্বই দশকের শেষদিকে যখন ব্র্যাক ব্যাংক অনুমোদন পায় সেই সময় এই খাতকে বিশেষায়িত সেবা দেয়ার জন্য কোনো ব্যাংক ছিল না।

আনন্দ আলো: নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিও তো বিশেষ মনোযোগ দেয় ব্র্যাক ব্যাংক?

আসিফ সালেহ: ঠিক তাই। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সেবা বিস্তৃত করা ছিল এ ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে এসএমই খাতে আর্থিক সেবার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক। একইসঙ্গে অন্য বিভিন্ন খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যক্রম আছে। এসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিকাশ-এর জন্ম। বিকাশের উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে খুব দ্রæত আরও মানুষের কাছে অর্থনৈতিক সেবা পৌঁছে দেয়া যায়, ইংরেজিতে যাকে বলে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আরও মানুষকে আপনি অর্থনৈতিক সেবার অন্তর্ভুক্ত করছেন। ব্র্যাক আড়ং বাংলাদেশের নারী শিশু ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে।

আনন্দ আলো: বিকাশের সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনী বিল গেটস জড়িত আছেন?

আসিফ সালেহ: হ্যাঁ। বিকাশের বিনিয়োগকারী হিসেবে যেমন ব্র্র্যাক আছে, পাশাপাশি আইএফসি এবং বিল গেটস ফাউন্ডেশনও আছে। আমেরিকাভিত্তিক ‘মানি ইমোশন’ নামের আরেকটি কোম্পানি বিকাশের সঙ্গে জড়িত আছে। এরকম চারটি কোম্পানি আছে। বিকাশের যে বিশেষ সাফল্য তা হচ্ছে, খুব দ্রæত একদিক থেকে আরেক দিকের মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। এতে দূরে ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থিত মানুষের মধ্যে অর্থ লেনদেনের দারুণ সুবিধা হয়েছে। এছাড়া বিকাশের আরও অনেক সম্ভাবনা আছে। এটি একটি ডিস্ট্র্রিবিউশন চ্যানেলের মতো। বিকাশকে কেন্দ্র করে আরও বিভিন্ন ধরনের সেবা ও পণ্য যদি তৈরি করা যায় তাহলে এই সেবা মানুষের আরো কাজে আসবে, অর্থনৈতিক সেবার আওতায় আসবেন আরও অনেক মানুষ। যেমন, ব্র্যাক এবং বিকাশ একসঙ্গে এখন এই সেবাকে আরও বেশি নারীবান্ধব করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা দেখেছি বিকাশের নারী গ্রাহকের সংখ্যা বেশ কম। এটি কেন হচ্ছে, কীভাবে নারী গ্রাহকের সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আমরা গবেষণা করছি।

আনন্দ আলো: ব্র্যাক এবং ব্র্যাক বাংলাদেশ তৃণমূল থেকে শুরু করে কর্পোরেট পর্যায়সহ সব স্তরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। ব্র্যাক পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন জানতে চাই?

আসিফ সালেহ: আমি অনেক বছর দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে ফিরে এসেছি একটা তাগিদ থেকে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটুআই প্রজেক্টে দুই বছর কাজ করেছি। এখানে সরকারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। ব্র্যাকে কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেশি।

আনন্দ আলো: আর সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও বোধহয় এখানে অনেক বিস্তৃত?

আসিফ সালেহ: হ্যাঁ, সরাসরি মানুষের সঙ্গে। এই জায়গায় তৃপ্তির একটা বড় সুযোগ আছে। আমরা নিজেরা ব্র্যাককে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পুরোপুরি স্বাবলম্বী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি এবং সেই তাগিদ থেকেই ব্র্যাকের এই উদ্যোগগুলো চালু হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে কর্মক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করে দেয়ার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের স্বúœ ছিল তরুণ সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করার। তাই স্কিল-বেজড একটি সেন্টার করেছে ব্র্যাক। আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে চেষ্টা করছি।

আনন্দ আলো: একেবারে হস্তশিল্প থেকে শুরু করে কারখানায় কাজ করার দক্ষতা বিষয়েও আপনারা ট্রেনিং দিচ্ছেন?

আসিফ সালেহ: এই জায়গায় আমাদের সবারই কাজ করা উচিত। কারণ, তরুণ প্রজন্ম যারা আমাদের সম্পদ তাদের কিন্তু বর্তমানে খুবই দুঃসময় যাচ্ছে। কিছুদিন আগে একটা জব ফেয়ার হয়েছিল যশোর আইসিটি পার্কে। সেখানে ৫০০ লোকের নিয়োগের জন্যে প্রায় ৩৫ হাজার সিভি পড়েছে।

আনন্দ আলো: এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কিন্তু খুবই আগ্রহী।

আসিফ সালেহ: হ্যাঁ, কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। জানার অভাব এক্ষেত্রে একটা কারণ। অনেকে জানে না যে কোথায় গেলে চাকরি হবে। আমরা তাই দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তৈরি করেছি যেখানে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংও দেয়া হবে। কারণ, ইনফরমেশনটাও কিন্তু মানুষের কাছে নাই।

আনন্দ আলো: নিজে আসলে কোন ক্ষেত্রে যোগ্য এটাই জানে না অনেকেÑ ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রে এমনও দাঁড়ায়।

আসিফ সালেহ: এখনও অনেকে চিন্তা করে ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করলেই একটা চাকরি হয়ে যাবে। অনেক টাকা পিতা-মাতা বিনিয়োগ করছে সন্তানদের পেছনে। কিন্তু সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে সন্তান যখন বেকার হয়ে যাচ্ছে তখন কিন্তু বড় ধরনের হতাশা নেমে আসছে পুরো পরিবারটিতে।

আনন্দ আলো: সঠিক শিক্ষা নেয়াও এক্ষেত্রে একটা বিষয় নিশ্চয়ই?

আসিফ সালেহ: এজন্য সবাইকে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে না। ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে যে আলাদা ট্র্যাক তৈরি করা যায় এবং তার মাধ্যমে সুন্দর জীবন লাভ করা সম্ভব এটা সবাইকে জানানোও জরুরি। সবাই উচ্চতর ডিগ্রির পেছনে না ছুটে অনেকে কারিগরি ও দক্ষতামূলক শিক্ষাও যে নিতে পারে সে ব্যাপারে বাবা মায়ের সচেতনতা তৈরিও গুরুত্বপূর্ণ।