Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ব্রণের যন্ত্রণা আর না

ব্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সতর্কতা হল ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সেইসাথে উন্নতমানের চিকিৎসা গ্রহন। ব্রণ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। কারণগুলো জানলে প্রতিকার করা সহজ হয়। তাইতো ব্রণের জন্য দায়ী কারণগুলো জেনে চট জলদি প্রতিকারের ব্যবস্থা নিন। মৌসুম পরিবর্তন: আবহাওয়া যখন আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে না তখন ব্রণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময়টায় এটা হয়ে থাকে। দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে গেলে আবহাওয়ার পরিবর্তনে ব্রণ দেখা দিতে পারে। জেনেটিক সমস্যা: এটা এমন একটা ব্যাপার যাতে আপনার কোনোই হাত নেই। আপনার পিতামাতার যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার এবং আপনার ভাইবোনেরও ব্রণের ঝক্কি পোহাতে হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা: নারীদের মেন্সট্রুয়েশন বা পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে ব্রণের উৎপাত হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো এ সময়ে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি থেকে বেশি তেল বের হতে থাকে। এর ফলে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। ওষুধের প্রভাব: অনেক সময়ে পিল খাওয়া শুরু করার পর মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখে নিন ওই ওষুধের প্যাকেটে ব্রণ বা অ্যাকনি হবার কথা আছে কিনা। দরকার হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ পরিবর্তন করে নিন। দুঃচিন্তা: অনেক সময়ে খুব দুঃশ্চিন্তা থেকেও ব্রণ হতে পারে। কোন বিষয় নিয়ে খুব দুঃচিন্তা করলে সেই প্রভাবটা সাধারনত: মুখে এসে পড়ে। কসমেটিকস এর ব্যবহার: মেকআপ করার জন্য আমরা যেসব কসমেটিকস ব্যবহার করি সেখানে থাকতে পারে এমন উপাদান যা ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে তেল এবং ময়লা জমে তৈরি হয় ব্রণ। যারা নিয়মিত ব্রণের শিকার তাদের উচিৎ এমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা যাতে রোমকূপ বন্ধ না হয়। খাদ্যভ্যাস: কিছু কিছু খাবার ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম। এসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন বা কমিয়ে ফেলুন। খাদ্য তালিকায় বাড়িয়ে দিন শাকসবজি এবং গ্রিন টি, যাতে আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে। ঠিকভাবে মেকআপ না তোলা: লম্বা একটা দিনের শেষে অনেকেই ক্লান্তির দোহাই দিয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতেও ত্বকে তেল ও ময়লা জমে ব্রণ দেখা দেয়। মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না রাখা: মেকআপ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্রাশ ব্যবহার করি আর ভুলে যাই যে এগুলোকেও পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ব্রাশে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে যা ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে। ঘুমের অনিয়ম: ঘুম কম হওয়া বা ঘুমের অনিয়ম হওয়া থেকে শরীরের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে স্ট্রেস বাড়ে ফলে ব্রণ দেখা দেয়। চুলের প্রসাধন: হেয়ারলাইনের আশেপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা গেলে আপনার চুলে ব্যবহার করা সামগ্রীর দিকে নজর দিন। অনেক সময়ে দেখা যায় হেয়ারজেল, সিরাম এমনকি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের কারণে ব্রণ হয়। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর একটা ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নোংরা বিছানা: বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারে ধুলোবালি ও ব্যাকটেরিয়া জমে যা ব্রণের কারণ হতে পারে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।