Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পুতুপুতু প্রেমের নাটক এখন দর্শক পছন্দ করে না—আফরান নিশো

বছর দুই আগের কথা মাবরুর রশীদ বান্না’হর ধারাবাহিক ‘তিনি আমাদের বকরভাই’র শুটিংয়ে বাইক অ্যাকসিডেন্টে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। এখনো জোড়া লাগেনি। ব্যথাটা বারবার ফিরে আসে। গত ঈদের ১০ দিন আগে ব্যথাটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। ঈদের নাটক ‘ট্যাটু’, ‘লালাই’, ‘জীবন এখানে এমন’-এর শুটিং করেছেন ব্যথা নিয়েই। ইউনিটের লোকজন তাঁকে ধরে এখান থেকে ওখানে নিয়ে যেত। কোমরে ব্যথার কারণেই ‘এবার তোরা মানুষ হ’ নাটকের চরিত্রটা হুইল চেয়ারে বসানো হয়েছে। পাঠক, বলছি এই সময়ের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর কথা। শুটিং করতে গিয়ে পাওয়া সেই ব্যাথা এবং শারীরিক অসুস্থতা যেনো নিশোর পিছু ছাড়ছিলই না। তাই তো গত ঈদের পর থেকে টানা কিছুদিন বিছানায় শোয়া ছিলেন। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে ছিলেন দূরে। ডাক্তারি পরামর্শে টানা প্রায় এক মাস বিশ্রাম নেয়ার পর সম্প্রতি আবার শুটিং শুরু করেছেন তিনি। কথা হলো নিশোর সঙ্গে। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল

আনন্দ আলো: টানা কিছুদিন তো বিছানায় ছিলেন…
নিশো: হ্যাঁ। প্রায় এক মাস হবে। ঈদের ছুটি থেকে পরবর্তী অনেকগুলো দিন। তবে আরো বিশ্রাম নেয়া দরকার। আমার সঙ্গে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে। ইচ্ছা করলেই কাজ বন্ধ রাখতে পারি না, বিশ্রামও নিতে পারি না। যতোদিন বিশ্রামে ছিলাম ততদিন ফোন পর্যন্ত রিসিভ করিনি। বাসায় শুয়ে-বসে কাটিয়েছি। এর মাঝে কিছু নাটকের প্যাচওয়ার্কের শুটিং করেছি। ডাবিংও দিতে হয়েছিল। তবে কয়েকদিন হয় আবার কাজ শুরু করেছি। কয়েকটি সিঙ্গেল নাটকের শুটিং করেছি। শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াও একজন অভিনয়শিল্পীর এমনিতেও বিশ্রামের বেশ প্রয়োজন। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করতে গেলে মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় বেশি। এ কারণেই বিশ্রামটা দরকার।
আনন্দ আলো: কিন্তু আমাদের এখানে সেই সুযোগটা কোথায়? যারা কাজ করছেন তো করছেন, আবার যারা করছেন না তো একদমই ফ্রি…।
নিশো: এটা আসলেই খারাপ একটা দিক। তাই আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রিকে মাঝে মাঝে আমার কেমন জানি মনে হয়। একটা কিছু কারো হিট হলেই সবাই তার পেছনে ছুটে। গল্প কিংবা চরিত্রে সেই অভিনয়শিল্পীকে না মানালেও তার পেছনেই সবাইকে ছুটতে হবে। কিন্তু ভাই অভিনয়টা তো সেটা না। কর্পোরেট কালচার আর কর্পোরেট পূঁজি ঢুকে গেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। ফলে অনেক কিছুই এখন আর চ্যানেলের হাতে নেই। চাইলেও চ্যানেলের মানুষজন যারা কিনা যুগের পর যুগ এই জায়গাটা লালন করে এসেছেন তারা কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এটা দু:খজনক।
আনন্দ আলো: তাহলে তো পরিস্থিতি আসলেই অনেক খারাপ…
নিশো: অনেকাংশে অবশ্যই খারাপ। নির্দিস্ট বাজেট না পাওয়ায় ভালো নাটক তৈরি হচ্ছে না। যে গল্প তৈরি করতে মিনিমাম চারদিন দরকার সেটা করা হচ্ছে দুই দিনে কখনো কখনো একদিনেও। কাদায় মাখা কৃষকের চরিত্র থেকে শুরু করে পাগলের চরিত্র- অনেক ধরনের চরিত্র আমাকে করতে হয়! দুই দিনের মধ্যে পাঁচটা লুক নিতে হবে, ডাক পড়বে আমার। আমি মাঝে মধ্যে রাগ করে বলি, তোমরা তো আমাকে মেরে ফেলবা। সময়ও দিবা না! পাঁচ দিন নাও পাঁচটা লুকের জন্য, পরে করবা এই দুই দিনেই। তখন বাজেটের বিষয়টা চলে আসে। পারলে দুই দিনেরটা এক দিনে করে ফেলে। আমি আসলেই পরিশ্রম করি খুব। চাইলে কিন্তু এসির বাতাস খেয়ে কয়েকটা রোমান্টিক সংলাপ বলে পার পেয়েও যেতে পারি। কিন্তু আমার মন মানে না। এসব কাজে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। তাই তো আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করতে বেশি ভালোবাসি।
আনন্দ আলো: তারপরও ভালো কাজ তো হচ্ছে-
নিশো: অবশ্যই হচ্ছে। এখনকার নাটকের গল্পই হিরো। আগে পুতুপুতু প্রেমের নাটকই বেশি আলোচনায় আসত। এখন আর সে ধরনের নাটক দর্শক পছন্দ করে না। এখন দর্শকের রুচি অনেক বদলেছে। খেয়াল করলে দেখবেন, সিনেমার মতো নাটকেও আর্টিস্ট তৈরি হচ্ছে। যেটা আমরা বিশ্ব সিনেমায় দেখি। নির্মাতারাও নানা শিল্পী নিয়ে কাজ করার সাহস পাচ্ছেন। এখানে উদাহরণ টানতে পারি, মেহজাবীন সুন্দরী হোক বা না হোক, সে কিন্তু পারফরমার। শুধু সুন্দরী বলে সে পার পাবে না। সৌন্দর্য হয়তো প্লাস পয়েন্ট, কিন্তু অভিনয় না জানলে টিকবে না। লেখক, ডিরেক্টর, দর্শকরা এখন অভিনয় শিল্পীদের মাঝে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। আমরা সেটা গ্রহণ করেছি। এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই পজিটিভ। একটা সময় ছিল ক্লিন শেভড একটা ছেলে আর সুন্দরী একটা মেয়ে মডেল হবে। এখন কিন্তু সেটা নেই। আমি দেখতে হিরোর মতো বলে প্রতিটা গল্পেই হিরোইজম দেখাতে হবে, এর কোনো মানে হয় না। আমিও হারতে পারি। সেটা দেখাতে সমস্যা কী? একজন রিকশাওয়ালাও ঘটনাক্রমে হিরো হতে পারে। সেটা আমরা এখন নাটকে দেখছি, এটা ভালো দিক। সেই দিক থেকে এখন কিন্তু নানান ধরনের এক্সপেরিমেন্ট কাজ হচ্ছে।
আনন্দ আলো: গত ঈদে আপনার অভিনীত প্রায় ৩৫ টি নাটক বিভিন্ন চ্যানেল এবং ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। এতো নাটকে অভিনয় করে মান ধরে রাখা সম্ভব?
নিশো: অনেক আগের করা নাটকও ঈদে প্রচারিত হয়। এই যেমন ‘আঙুর বালা’ নাটকটি। প্রায় তিন বছর আগে শুটিং করেছিলাম। ‘আমার একটি গল্প বলার ছিল’ রোজার ঈদে করা। ‘লায়লা, তুমি কি আমাকে মিস করো’ করেছিলাম ভালোবাসা দিবসের জন্য। এত নাটকও যদি হয়, সমস্যা দেখি না। নিজেকে আলাদা করতে পেরেছি কি না সেটাই বিবেচ্য। একটা চরিত্রের সঙ্গে আরেকটা চরিত্রের মিল খুব কম নাটকেই পাবেন। সমসাময়িকদের মধ্যে একমাত্র আমিই এ ব্যাপারটি মেনে চলার চেষ্টা করি। আমাকে যেমন প্রেমিক হতে হবে, পাগল-মুচি-চাষি-রিকশাচালকও হতে হবে। এখানেই তো অভিনয়ের মজা।
আনন্দ আলো: অনেকেই বলে থাকেন- অভিনয়ে আপনি হুমায়ূন ফরীদিকে অনুসরণ করেন। এটা কী সত্যি?
Nisho-Mehjabinনিশো: শুধু অনুসরণ নয়। আমি আমার অভিনয়ের প্রেরণা মানি এই মানুষটাকে। আমার মনে হয়- এই বাংলায় যদি হুমায়ূন ফরীদি না থাকতো, তাহলে আমার মতো নিশোর জন্মই হতো না। কারন আমি যখন থেকে তার অভিনয় দেখা শুরু করি- তখন থেকেই মনেপ্রাণে নিজেকে তার সাথে মিলিয়ে ফেলেছি। এই ব্যাখ্যা আমি আসলে দিতে পারবো না। অভিনয়ের এক অনবদ্য শিল্পী বলবো আমি তাঁকে। ফরীদি ভাইকে অনেক হ্যান্ডসাম বলব না। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, লুকটা অভিনেতার জন্য অত্যন্ত জরুরি না। তিনি আমার অভিনয়ের পিতা। আমি কখনোই তাঁকে ছাড়াতে পারব না। তবু স্বপ্ন, তাঁর মতো করে মানুষ আমাকেও মনে রাখবে, অভিনয়ের জন্য ভালোবাসবে। ক্যামেরাটা নিজের আয়ত্বে রাখতে হয় কিভাবে সেটা আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। তিনি সবসময় বলতেন- ক্যামেরার লেন্স বুঝে একজন অভিনেতার অভিনয় করা উচিত। কতো মাপের লেন্স হলে কতোদূর থেকে এক্সপ্রেশনটা কেমন হবে এটা সেই অভিনেতার জানা থাকতে হবে। এই কথাগুলো হুমায়ূন ফরিদী ভাই বলতেন। আরেকটা জিনিস হচ্ছে- একজন অভিনয়শিল্পীর মধ্যে বোঝার গভীরতাটা থাকতে হবে। চরিত্রটি অনুধাবন করার চেষ্টা আমি সবসময় করি। এটাও আমাকে উনি শিখিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষ্যে আমাদের দেশে তাঁকেই আমার কাছে পারফর্মার মনে হয়। এটা আমি অন্যদের ছোট করে বলছি না। তাঁর মধ্যে কি যেনো একটা ছিল। চোখের ভাষা নিমিষে পরিবর্তন করা, ঠোঁটের কোনায় কিছু একটা বলা, মাথা ঘুরিয়ে ক্যামেরার দিকে লুক দেয়া কিংবা কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করা। চরিত্রের ধরণ অনুযায়ী কণ্ঠের উঠা নামা করানো, নিজের ভাবের বিষয় আনা- সবই উনার মধ্যে কেমন জানি একটা ম্যাজিক এর মতো ছিল।
আনন্দ আলো: বরাবরই ব্যতিক্রমী সব চরিত্রে অভিনয় করছেন, আগামী কাজগুলো থেকে কী প্রত্যাশা করছেন?
নিশো: এটা আমার একটা চেষ্টা থাকে সব সময়। স্বার্থপরের মতো চিন্তা বলা যায়। আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাও বলা যায়। আমাকে বিভিন্ন চরিত্রে করতে হবে। একটা সময় বয়স হবে সে সময় তো চাইলেই ইউনিভার্সিটির ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারব না। সেই চেষ্টাটা সেই বিষয়টা আগে থেকে গোছানো নিজের কথা চিন্তা করে। আর আমি সব সময় চেয়েছি অভিনেতা হতে হিরো হতে চাইনি। একজন পারফর্মার যত অভিনয় করবেন তত মানুষ মনে রাখবে। যে কমেডি করছে সে কমেডিই করছে। যে হিরো চরিত্র করছে সে হিরোই করছে। সব জোনে কাজ করার একটা প্রেসার মানসিক বা শারীরিক। আজকে আমি রোমান্টিক হিরো কালকে আমি পাগল তারপরের দিন মুচি, ডাক্তার। চরিত্র পরিবর্তন করে একটা এফোর্ড দিতে হয়। হুমায়ুন ফরীদিকে আমার আইডল মানি। তার মধ্যে থেকে এ জিনিসগুলো পেয়েছি।
আনন্দ আলো: এখন তো নাটকে ভিউয়ারস এর হিসাব করে নাটকটির ভালো কিংবা খারাপ বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
নিশো: নতুনদের সবাইকেই বলি, অসংখ্য কাজ করাটাকে মূল লক্ষ্য করো না। এখন হচ্ছে ভিউয়ের যুগ। রোজার ঈদে ‘বুকের বাঁ পাশে’ অনেক ভিউ পেয়েছিল। তখন বলেছিলাম, ভিউ সংখ্যা গুনে কোন নাটকের মান নির্ধারণ করবে না, প্লিজ। কখনো প্রত্যাশা করো না ঢালাওভাবে প্রশংসা পাবে। একটি কাজে ফিডব্যাক যে সবসময় তড়িঘড়ি করে পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। আর ভিউ দিয়েও সবসময় সব কাজের মূল্যায়ন করা ঠিক না। অনেক সময় অনেক ভালো কাজ দর্শকের কাছে পৌঁছাতে সময় লেগে যায়, আবার অনেক ভালো কাজ তারা দেখতেও পান না। আমার এমন অনেক ভালো ভালো মানের কাজ আছে যেটা দর্শক অনেক সময় দেখেননি। ভিউ দিয়ে সবকিছু মূল্যায়ন করা যায় না।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে কী আপনাকে দেখা যাবে?
Nishoনিশো: কারো হয়তো পাঁচ বছর আগে শুরু হবে আবার কারো সেটা শুরু হবে পাঁচ বছর পর। আমি এটা নিয়ে একদমই চিন্তিত নই। সারাবিশ্বেই অনেকে বলে থাকেন মিডিয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। তবে আমার অবজারভেশনে আমাদের এখানকার জন্য বিষয়টা ভিন্ন। কারন, বড় মাধ্যম চলচ্চিত্র হলে তো আমাদের এখানে বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পীরা চলচ্চিত্রেই অভিনয় করতেন। তারা কেনো- দু’একটি কিংবা তারও অধিক ছবিতে অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বেরিয়ে এসে টিভি মিডিয়ায় পুণরায় কাজ শুরু করছেন। সিনিয়ররা যখন চলচ্চিত্র অঙ্গণ থেকে টিভি মিডিয়ায় ফিরে আসেন- তখন আমার মনে হয়- আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম টিভি মিডিয়া। রাইসুল ইসলাম আসাদ, আবুল হায়াত, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফাসহ এমন অনেক দর্শকনন্দিত অভিনয়শিল্পীর কথাই বলা যাবে। তবে আস্তে আস্তে সিনেমার ফরম্যাট পাল্টে যাচ্ছে। এখনকার সময়ে এসে ভিন্ন স্বাদের ছবির দর্শক তৈরি হচ্ছে এবং আমাদের এখানেও সেসব ছবির জয়জয়কার অবস্থা। তাই সময়টা বদলে যাচ্ছে। আমার রুচির সাথে যায় এবং আমাকে সেই ছবির জন্য প্রয়োজন মনে করলে সেরকম ছবিতে আমাকে অবশ্যই দেখা যাবে।
আনন্দ আলো: আমাদের জানামতে আপনি বর্তমানে এমন একটি সিনেমার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটার কতদূর?
নিশো: এটা এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমাকে যখন সিনেমায় দেখা যাবে তখন অন্য এক নিশোকেই দেখা যাবে। সেটা যে আমি নিশো- এটা কেউ বলতে পারবেন না। বলতে হবে সেই চরিত্রের নাম ধরে কথা। আপাতত সিনেমা নিয়ে এইটুকু কথাই থাক। সময় হলে সব দেখা যাবে।
আনন্দ আলো: নির্মাতা হওয়ার ইচ্ছে আছে?
নিশো: পরিচালনার জায়গাটা খুব সৃষ্টিশীলতার। আমি এটাকে সম্মান করি। এটা আমার কাছে খুবই লোভনীয় কাজও মনে হয়। আমি জানি, নির্মাতা হওয়ার অনেক সুযোগ আছে আমার জন্য। কিন্তু আমি এটা এখনই কাজে লাগাতে চাইনা। এনিয়ে আগামীতে আরো ভাবার সময় আছে।
আনন্দ আলো: পারিবারিক জীবনের গল্প জানতে চাই…
নিশো: আমার একটা ছেলে, একটা বউ এবং একটাই আমি। এই নিয়ে আমার পরিবার। আমার স্ত্রীর সঙ্গে কলেজ জীবন থেকে প্রেম ছিল। ১৪ বছর প্রেম করেছি। ২০১১ সালে বিয়ে করেছি। এই হলো আমার সংসার জীবন। ৭ বছরের সংসার। একুশ বছরের সম্পর্ক।
আনন্দ আলো: অবসর পান? পেলে সেই সময়টা কী করেন?
আফরান নিশো: শুটিংয়ে প্রায় সময় গভীর রাতেই ফেরা হয়। তবে আমি মাঝে মধ্যে ব্রেক নেই। উৎসব পার্বণে আমি টানা অনেক দিন ছুটি নেই। সেই ছুটির সময়ে একেবারেই মোবাইল ফোন বন্ধ রাখি। তখন পরিবার নিয়ে থাকি। সিনেমা দেখি, গান শুনি এবং বই পড়ি। এই সময়টা আমার কাছে অন্যরকম একটা সময়। বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দেই।