Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পারফিউম আমার খুব প্রিয়!-সোহেল রানা

আনন্দ আলো: ২১ ফেব্রুয়ারি আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই ভাষা দিবসে আপনার জন্মদিন। জন্মদিনটা কীভাবে পালন করেন?

সোহেল রানা: জন্মদিন পালন করা এখন সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে।  বাবা-মার সঙ্গে একরকমভাবে পালন করা হতো জন্মদিন। ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন বন্ধুদের সাথে অন্যরকমভাবে পালন করা হতো। আবার যখন ছবির জগতে ছিলাম তখন জন্মদিন পালন হতো ভিন্নভাবে। গত ৪০/৪২ বছর ধরে আমি জন্মদিনে সবাইকে নিয়ে গেট টুগেদার করে আসছি। এখন আমি জীবনের শেষ প্রানেত্ম দাঁড়িয়ে আছি। খুব ঘটা করে জন্মদিন পালন করার মন-মানসিকতা খুঁজে পাই না। সবাইকে বলেছি এবারই শেষবারের মতো আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করব। আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আগামী বছর একটু অন্যরকম ভাবে জন্মদিন পালন করব যারা আমায় জন্মদিনে আসবে তাদের সাথে বসে গল্প করব, আড্ডা দেব। সেখানে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন এবং এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

সোহেল রানা: পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল খুবই আনন্দের ও মজার। বাসায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা আসত। প্রচুর গিফট পেতাম। বাসায় ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া হতো। সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দ উদযাপন করতাম। জন্মদিনে কে কী গিফট নিয়ে আসত সেটার জন্য অপেক্ষা থাকতাম। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর গিফটগুলো খুলে দেখতাম। তখন উপহার পেয়ে ভালোই লাগত।

আনন্দ আলো: সবার আগে কে আপনাকে জন্মদিনের উইশ করে?

সোহেল রানা: ছেলে ও স্ত্রী সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা এবং ফ্যানরা যারা আমাকে ভালোবাসে তাঁরা উইশ করে। আবার চলচ্চিত্রের পুরোনো দিনের নায়ক-নায়িকারা আগের দিন রাত ১২ টার সময় ফোন করে জন্মদিনে উইশ করে। একদিন আগে চ্যানেল আই আমাকে নিয়ে জন্মদিন পালন করে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমার জন্মদিনে নবম শ্রেণির একটি ছেলে সকাল ১১ টায় কেক নিয়ে বাসায় হাজির হতো। সেই ছেলেটি এখন বড় ‘ল’য়ার। সে ৪০/৪২ বছর ধরে সে আমার কাছে জন্মদিনের কেক নিয়ে আসছে। এটার মূল্য আমার কাছে অনেক বড়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে আপনার ভালো লাগে?

সোহেল রানা: ছোটবেলায় লজেন্স, বন্দুক উপহার পেতে ভালো লাগত। ফুল পেতে ভালো লাগে। সবাই জানে আমার প্রিয় জিনিস হচ্ছে পারফিউম। সেই থেকে জন্মদিনে আমার পুরোনো বন্ধুরা পারফিউম নিয়ে আসে। কেউ কেউ ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানায়।