Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

পাঠকের আগ্রহ বাংলা একাডেমির বই

বাংলা একাডেমির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো মানসম্মত বই প্রকাশ করা। এসব বই প্রকাশের পেছনে কাজ করে তাদের একটি সম্পাদনা পরিষদ, যারা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই বই সম্পাদনা করেন। বিভিন্ন প্রকাশনীর তুলনায় একাডেমির বইয়ের মূল্যও বেশ কম। এসব দিক মাথায় রেখেই পাঠক সাদরে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বইগুলো গ্রহণ করছেন। আর তাই তো মেলা প্রাঙ্গণে বাংলা একাডেমির প্রতিটি প্যাভিলিয়নে বইপ্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। বিষয়ভিত্তিক বইয়ের জন্যও বাংলা একাডমির প্রকাশনার বেশ সুনাম রয়েছে। মেলার শুরুর দিন থেকেই পাঠকের আগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও বেশ ভালো প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বইয়ের। অগ্রজদের সঙ্গে তরুণ পাঠকরাও বেশ সানন্দে কিনছেন বইগুলো। নবীন পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন অভিধান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করেছে ছয় হাজারের মতো বই। এর মধ্যে এখন পাওয়া যায় হাজার দেড়েক বই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত হয়ে আসা শতাধিক বই। আর গতবছর অমর একুশে গ্রন্থমেলার পর থেকে চলতি গ্রন্থমেলা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে ৩৯টি নতুন বই। মলয় বালার ‘বাংলার প্রাতিষ্ঠানিক প্রাচ্য চিত্রকলার ধারা’, সিরাজুল ইসলামের ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা রণাঙ্গনে-ইঙ্গ-চীন ও মার্কিন সহযোগিতা’, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের ১৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’, অজয় দাশগুপ্ত সম্পাদিত ‘সাত দশকের হরতাল ও বাংলাদেশের রাজনীতি’, সুরাইয়া বেগম সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রাণদানকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী’, ইউসুফ হাসান অর্কের ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্য পালাগান আঙ্গিক বিচার ও বর্ণনাকারীর অবস্থান অনুসন্ধান’, শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত ‘নতুন সময়ের কবিতা’, শাহিদা খাতুনের ‘কবিয়াল, বিজয় সরকারের সংগীত জীবনের বিচিত্র ভুবন’, অমলেশ চন্দ্র মÐল ও মো. কামরুল ইসলামের ‘কঠিন পদার্থের বলবিদ্যা’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আরো আছে অসীম সাহা, মাহবুব সাদিক, সানাউল হক খান ও দিলওয়ারের ‘নির্বাচিত কবিতা’। এবারে সব মিলিয়ে গ্রন্থমেলার দুই প্রাঙ্গণে সাতটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে বাংলা একাডেমির। এর মধ্যে দুই প্রাঙ্গণে দুটি প্যাভিলিয়ন, চার ইউনিটের দুটি ও শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য রয়েছে একটি স্টল। এছাড়া একাডেমির সাহিত্য পত্রিকা মাসিক ‘উত্তরাধিকার’-এর জন্যও রয়েছে আলাদা স্টল। পাশাপাশি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের নিচতলায় বাংলা একাডেমির নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রেও বই কিনতে পারছেন পাঠকরা। এবারের বেচাকিনা সম্পর্কে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে থাকা মনি হায়দার জানান, এবছর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং মিসরীয় লেখক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশির ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ অজয় দাশগুপ্তের ‘সাত দশকের হরতাল ও বাংলাদেশের রাজনীতি’, অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, হুমায়ুন কবিরের ‘নদী ও নারী’ বইগুলোর কাটতি বেশ ভালো।