Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

নুসরাতের বিয়ে অল্প স্বল্প গল্প!

বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার আংটি বদলের অনুষ্ঠান গেল ২০২০ সালের ২১ মার্চ হয়েছিল তাঁর দীর্ঘ দিনের বয়ফ্রেন্ড রনি রিয়াদ রশিদের সাথে। বিয়দের সাথে নুসরাতের পূর্ব পরিচয়ের কথা নিজের ইন্সটাগ্রাম পেইজ নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি, আংটি বদলের অনুষ্ঠানের পরে। ২০২০ এর অঘোষিত লক ডাউনের মাঝেই পারিবারিক সমঝোতার মাঝেই তাঁদের আংটি বদলের ঘরোয়া অনুষ্ঠান হয়। বিয়ের প্রসঙ্গে তাঁরা উভয়ই তারিখও ঠিক করেছিলেন গত বছরের নভেম্বরে। কিন্তু এবছরও বিয়েটা হচ্ছে না তাঁদের।
বঙ্গবন্ধু বায়োপিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের সময়টিতে শেখ হাসিনা হয়ে গেল একমাস যাবৎ কাজ করে ১৯শে মার্চ ফিরেছেন ঢাকায়। কেমন অভিজ্ঞতার প্রশ্নে নুসরাত জানালেন- এমন একটি ছবিতে আিভনয় করতে পারায় আমি যে কত খুশি কত আনন্দিত বলে বোঝাতে পারবো না। কিছু কিছু অনুভূতি ভাষার প্রকাশ করা যায় না।
শ্যাম বেনেগালের সাথে কাজ করতে পারাটা একটা আশীর্বাদ। পুরো শুটিং সেট টায় একটা অসাধারণ যত্নের ছাপ। দৃশ্য ধারনের শুরুতে একটা দৃশ্যের দশবার অনুশীলন হতো। চূড়ান্ত দৃশ্যে যাবার সময় আর কোন ভুল থাকতো না। সব অনুশীলন হতো ক্যামেরার সামনেই। শুটিং সেটে আমাকে হাসিনা বলে ডাকা হতো। প্রথম প্রথম এই নামে ডাকলেন চমকে উঠতাম। এক পর্যায়ে আমার ফারিয়া নামটিই ভুলে গেছি আমি। শুটিংয়ের সেই পুরোটা সময় হাসিনা হয়ে গেলাম। এই নামের অনুভূতিতে ভয়ও গর্ব বোধ করেছি। শ্যাম বেনেগালের সাথে কাজ করাটাকে জীবনে বিশেষ প্রাপ্তি বলে করেন ফারিয়া। ভারতের অসংখ্য ব্যবসা সফল পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন ফারিয়া কিন্তু শ্যাম বেনেগাল তাদের সবার থেকে অন্য রকম। মুম্বাইতে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ইউনিট যে হোটেলে থাকতো সেই হোটেলে থাকার সুযোগ হয়েছিল অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার। রাত্রের ডিনারের ২ ঘণ্টা সম য়টিকে এখন পর্যন্ত জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মরনীয় সময় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাতে আমরা এক সাথে ডিনার করতাম। রাত ৮টা থেকে ১০টা ছিল ডিনার টাইম। সেখানেই তার সাথে আড্ডা হতো। শেখার আড্ডা। জানার আড্ডা। অসংখ্য প্রশ্ন করতাম কিন্তু কখনোই তাকে বিরক্ত হতে দেখিনি। প্রশ্ন করলে এমন ভাবে বোঝাতেন, যে বোঝানোর ধরনটার জন্য আবার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হতো। অসম্ভব জ্ঞানী একজন মানুষ শ্যাম বেনেগাল।
মুম্বাই থেকে ফিরেই সিনেমার প্লেব্যাপক কণ্ঠ দিয়েছেন আর কিনেছেন নতুন একটি মার্সিডিজ। সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং সেই সিনেমায় নিজে করছেন অভিনয়। যদি কিন্তু তবুও ছবিতে শোনা যাবে তার কণ্ঠে গাওয়া গানটি। মার্সিডিজ কেনার প্রসঙ্গে হবু বরের উপহার কিনা জানতে চাইলে ফারিয়া বলেন, এটা আমার টাকায় কেনা। আরও আগে কিনতাম। কিন্তু প্যান্ডেমিকের কারনে কিনতে দেরি হলো। হবু বরের সাথে এখনও টাকার কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি আমার। রয়েছে ভালোবাসার লেনদেন। এখনও আমাদের কাবিন হয়নি। কিন্তু বিয়েটা হচ্ছে না কেন? জানতে চাইতে পারিয়া জানাতে রশিদ নতুন কোম্পানী নিয়ে বেশ ব্যস্ত। আমি ব্যস্ত সিনেমার শুটিং নিয়ে। দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি দুজনই। বঙ্গবন্ধূ বায়োপিক সহ পাঁচটি চলচ্চিত্রের কাজ আমার হাতে। এগুলোর শুটিং শেষে প্রচার প্রসার মহরত সব গুলোতে অংশ নিতে হবে। তাই আমরা দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছর আর বিয়ে না। ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হলে আগামী বছর সুন্দর সময় বের করে আয়োজনটি সম্পন্ন করবো।
মার্চের শেষ দিন আবারও মুম্বাই যাবেন ফারিয়া বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ধাপের কাজে। এদিকে হাতে রয়েছৈ অপারেশ সুন্দর, পতাল ঘর, ঢাকা ২০৪০ কলকাতার বিবাহ অভিযান ২ ও ভয়। শুভমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অপালেশন সুন্দর ও পাতাল ঘর। আপাতত তেমন কোন ছবির কাজ হাতে নেনি। শুভ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবি গুলোর প্রমোশনালে বেশ কাজ বাকি আছে আর অন্য গুলোর শুটিং এখনো শেষ হয়নি। বিবাহ অভিযান ২ এর শুটিং আসছে জুনে যুক্তরাজ্যে আর ভয়’র কাজ কিছুটা বাকি আছে। এসব শেষ না করে নতুন কোন কাজের কথা ভাবছেন না ফারিয়া।