Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

নাট্যকেন্দ্র পঁচিশে পা

তৌকির আহমেদ, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম এই তিন তারকা কবে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেটা বোধকরি তাদের জানা নেই। সংগঠনের ব্যানারে মঞ্চে কাজ করতে এসেই পরিচয়। তারপর নাট্যকেন্দ্রের হাত ধরেই টিভি নাটকের বিশাল অঙ্গনে পা ফেলেন তারা এবং এক সময় শোবিজের উজ্জ্বল তারকা হয়ে ওঠেন। তারা তিনজন সাথে আরও অনেকে এক সাথে হাজির শিল্পকলায় স্টুডিও থিয়েটারে। উপলক্ষ নাট্যকেন্দ্রের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন । মুহ‚র্তেই বসে গেল তারকা শিল্পীদের মিলন মেলা। দলের নবীন সদস্যদের কেউ দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, কেউ প্রদীপ সাজাতে ব্যস্ত। ফুলের পাপড়ি দিয়ে লেখা হয় ‘২৫’ এবং দলের লোগো। একটু পরপর সফল সেলফি তোলার উল্লাস। দল প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তারিক আনাম খান, ঝুনা চৌধুরী তদারক করছেন এদিক-ওকি ঘুরে। এরই মাঝে নামল সন্ধ্যা। নাট্যকর্মীরা জড়ো হলেন খোলা আঙিনার এক কোণে। দলটিকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সারা যাকের, গোলাম কুদ্দুছ, আহমেদ গিয়াস প্রমুখ। দলের কর্মীদের সঙ্গে মিলে অতিথিরা জ্বালালেন প্রদীপ। স্দিলোগান দিচ্ছিলেন দলের সবাই, ‘নাট্যকেন্দ্রের ২৫ বছর আজ আনন্দ ধরে না…’। মূল আয়োজন ভেতরে, স্টুডিও থিয়েটারে। অন্ধকার মঞ্চের মাঝখানে আবার দেখা গেল দল প্রধান তারিক আনাম খান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ঝুনা চৌধুরী আর তৌকীর আহমেদকে। তিনজন জানালেন দল গঠনের ইতিহাস। ১৯৯০ সালের ১১ অক্টোবর ছিল অর্ধদিবস হরতাল, একদিন আগেই শহীদ হয়েছেন জিহাদ। সব প্রতিক‚লতা উপেক্ষা করে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সেদিন নতুন সদস্যরা জ্বলন্ত প্রদীপ নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন। ঠিক ওই দিনটির মতো ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটির সঙ্গে প্রথম ব্যাচ থেকে পর্যায়ক্রমে আসেন দলের ১১তম ব্যাচের সদস্যরা। প্রদীপ জ্বলল সবার হাতে। সঙ্গে থাকল দলের তিনটি প্রযোজনা হয়বদন, আরজ চরিতামৃত ও ডালিম কুমার নাটকের বেশ কিছু গান। শুরুর ইতিহাস তুলে ধরে তারিক আনাম খান বলেন, ‘নিজেদের ইচ্ছে, ভালো লাগা ও মত-বিশ্বাসের মেলবন্ধনে থিয়েটার করার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাদের। আমাদের প্রতিষ্ঠার সময়টা ছিল উত্তাল। আমাদের জীবনটাও ছিল সংগ্রামের। কিন্তু আমাদের বুকে ছিল প্রত্যয়।’ ঝুনা চৌধুরী বলেন, ‘এই যে আজ আমার এই পরিচিতি তা নাট্যকেন্দ্রর জন্যই।’ তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘৮৫ থেকে ৯০ অন্য দলে কাজ করেছিলাম। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯০ সালে গড়ে তুলি নাট্যকেন্দ্র। আমার জীবনের বেড়ে ওঠায় স্কুল হিসেবে কাজ করেছে এই দলটি।’ জাহিদ হাসান স্মরণ করলেন পুরোনো দিনের কথা, ‘আমি তো মনে করি নাট্যকেন্দ্র না হলে আজকে আমি এ জায়গায় আসতে পারতাম না। নাট্যকেন্দ্রর বিচ্ছু নাটকটা আমাকে পরিচিতি দিয়েছিল।’ মোশাররফ করিম বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে আমি তৈরি হয়েছি এই দলের মাধ্যমে।’ সব শেষে মঞ্চস্থ হয় নাট্যকেন্দ্রের নতুন দুই নাটক বন্দুকযুদ্ধ ও গাধারহাট।

bicchu-copyতারা সময় দিলে কিছুটা হলেও মঞ্চনাটক উপকৃত হবে

তারিক আনাম খান

তখন তিনি ছাত্র। মাথায় একটাই চিন্তা যে ভাবেই হোক মঞ্চে কাজ করতে হবে। তুর্কি তরুণ ওই বয়সে আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিদের্শনায় ওথেলো নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। নির্দেশক তার অভিনয় দেখে ঠিক খুশি হতে পারেননি। এ কথা জানার পর অভিনেতার জেদ চেপে যায়। এরপর শুরু হলো কণ্ঠশীলন, অভিনয় শেখা মোট কথা অভিনয়ে দক্ষতা অর্জন করতে যা যা দরকার তার সব কিছুই করতে লাগলেন এই অভিনেতা। অভিনয়ের সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন পুরোদমে। এনএসডি থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রিও নিয়েছেন তিনি। তার অন্যান্য ভাইবোনেরা তখন পেশাগত ভাবে খুবই ভালো অবস্থানে। তবে অভিনেতা ছেলের অভিনয় পাগলামো দেখে বাবা অন্য ছেলে মেয়েদের বলতেন তোরা ওর দিকে একটু খেয়াল রাখিস যাতে সে অনাহারে না থাকে। আদুরে ছেলের জন্য বাবার এমন হতাশা থাকারই কথা কারণ আজ থেকে চার দশক আগে অভিনয় করে জীবিকা নির্বাহ করার কথা কেউ কল্পনাও করেনি শুধুমাত্র চলচ্চিত্র ছাড়া। প্রিয় পাঠক, বাবার আদুরে এই ছেলে দেশের মঞ্চ নাটকের সৃজনশীল নির্দেশক, শক্তিমান টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা, বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও মেধাবী সংগঠক তারিক আনাম খান। বর্তমানে তিনি টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের সক্রিয় সদস্য ও জনপ্রিয় নাট্যগোষ্ঠী নাট্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন আনন্দ আলোর সঙ্গে। তারই অংশ বিশেষ পাঠকদের জন্য। লিখেছেন জাকীর হাসান।

আনন্দ আলো: ১১ অক্টোবর আপনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত নাট্যকেন্দ্রের ২৫ বছর পালিত হলো? নিজের হাতে গড়া নাট্যগোষ্ঠীর দুই যুগের বেশি সময় পার হওয়ার অনুভ‚তি কেমন?

তারিক আনাম খান: আমার অনুভ‚তি চমৎকার। তবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের সবার প্রচুর শ্রম, ঘাম, কষ্ট করতে হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। দেশে টিভি মিডিয়ার ব্যাপকতায় মঞ্চ নাটকের দর্শক কমে গেছে। শিল্পকলা একাডেমি ছাড়া নাটক প্রদর্শন করার জায়গা তেমন একটা নেই। থিয়েটার সব সময় সময়কে ধারণ করে এগিয়ে যায়। তো সময় ধরে নাটক করতে গেলে ব্যয় বেড়ে যায়। কারণ এখন তথ্য প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল যুগ। এই যুগের সুবিধা যেমন ব্যয়ও তেমন। আমাদের দল এ পর্যন্ত ১৪টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। এর মধ্যে দু’টি বাদে বাকী নাটক গুলোর নির্দেশনা দিয়েছি আমি। কখনো কোনো কিছুতে কম্প্রোমাইজ করিনা। সেট থেকে শুরু করে কষ্টিউম, লাইটিং মেকআপ গেটআপসহ সব কিছুতেই প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। হয়তো সে কারণে আমাদের প্রতিটি নাটক দর্শকরা পছন্দ করেছেন। ২৫ বছর উপলক্ষে আমরা দু’টি নতুন নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছি। তার একটি ‘বন্দুক যুদ্ধ’ অন্যটি, গাধার হাট। অনেকেই বন্দুকের যুদ্ধ নাটকের নাম শুনে মনে করতে পারেন এটা কোনো যুদ্ধ বিগ্রহ বা অ্যাকশনধর্মী কোনো কিছু। আসলে তা নয়। এটা একটা প্রতিকী নাম। সুন্দর সাবলিল অসাধারণ একটি গল্প আছে নাটকে। আমি নাট্যকেন্দ্রের এই নতুন দু’টি নাটক দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নাট্যামোদী সকল দর্শককে। কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের প্রতিটি নাট্য কর্মীকে। যারা প্রতিটি শোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। সেই সাথে আরও কৃতজ্ঞর্তা পৃষ্টপোষকদের প্রতি।

আনন্দ আলো: নাট্যকেন্দ্র শুরু থেকে তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। এর যুক্তিটা কী?

তারিক আনাম খান: এক্ষেত্রে আমার নিজস্ব মতামত খুবই স্পষ্ট। আক্ষরিক অর্থে আমি মনে করি তরুণরাই আগামী দিনগুলোতে নেতৃত্ব দেবে। তাদেরকে এখনই গড়ে তুলতে হবে। সেই বোধ থেকে আমরা তরুণদের সবসময় অগ্রাধিকার দেই। তাছাড়া মঞ্চ নাটকে কাজ করতে শিক্ষা দীক্ষা মেধা মননের পাশাপাশি শারীরিক মানসিক সক্ষমতাও প্রয়োজন। এই ক্ষমতা তরুণদের সবচেয়ে বেশি। একসময় এই দলে তরুণ হিসেবে নাটকে কাজ করেছেন তৌকীর আহমেদ, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিমসহ আজকের অনেক তারকা। টিভি নাটকে ব্যস্ততার কারণে হয়তো তারা সময় দিতে পারেন না কিন্তু নাট্যকেন্দ্র এই তারকাদের তৈরি করেছে এটা গৌরবের বিষয়।

আনন্দ আলো: এই পঁচিশ বছরে যারা নাট্যকেন্দ্রকে আলোকিত করেছেন তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন?

Tariq-Anam-Khan-1-2তারিক আনাম খান: আজ অনেকের কথা মনে পড়ছে। যারা তরুণ বয়সে এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দলকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের সঙ্গে বকাঝকা, রাগ করা ও ধমকও দিয়েছি। পরক্ষণেই হাসি মুখে পিঠ চাপড়ে ‘ওয়েল ডান’ বলেছি। আমি কাজ পাগল থিয়েটার অন্তপ্রাণ একজন মানুষ। আমার মধ্যে অভিনয় পাগলামো আছে। এ জন্য মাঝে মধ্যে সহকর্মীদের সঙ্গে রাগারাগি… মানে অভিমানও হয়। মঞ্চ নাটককে সহজ সোজা সাধারণ ভাবা উচিত নয়। একটি নাটক মঞ্চায়নের আগে গবেষণা, ডিসকাশন ও প্রশিক্ষণ এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হয়। আমি নতুনদের এই বিষয়ে বার বার বলে থাকি। নাট্যকেন্দ্রের ২৫ বছরে অসংখ্য অভিনেতা কাজ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই পেশার খাতিরে জীবন জীবিকার তাগিদে ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও কর্পোরেট দুনিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। কেউ কেউ আবার তারকা ইমেজ গড়ে মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। যেমন ঝুনা চৌধুরী, তৌকীর আহমেদ, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, তারিক স্বপন, ইকবাল বাবুসহ অনেকে। নির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মাসুদ সেজান, পিপলুসহ আরো বেশ ক’জন। গত ২৫ বছরে ৪০ থেকে ৫০ জন নাট্যকেন্দ্র কর্মী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মিডিয়ায়।

আনন্দ আলো: এই যে নাট্যকেন্দ্রের একঝাঁক তারকার কথা বললেন যারা টিভি মিডিয়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। তাদেরকে কী মঞ্চ নাটকে ফিরিয়ে আনা যায় না। তারা ফিরে এলে তো মঞ্চে দর্শকও বাড়বে?

তারিক আনাম খান: যারা ইতিমধ্যে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন যাদের হাতে প্রচুর নাটকের কাজ রয়েছে তারা ইচ্ছা করলেই মঞ্চে সময় দিতে পারবেন না। তাদেরকে জোর করে বলাও যায় না। তবে মাঝেমধ্যে যে তারা আসেন না তা নয়। এছাড়াও আরো একটি বিষয় আছে। তারকারা ফিরে এলেই যে কাজ করতে পারবেন এমন নয়। মঞ্চে কাজ করার জন্য ফিটনেস দরকার। যেটা টিভি নাটক করতে লাগে না। ফিটনেস, বয়স চরিত্র অনুযায়ী মানানসই থাকা একটি জরুরি বিষয়। তবুও যদি তারকারা মাঝেমধ্যে মঞ্চে কাজ করেন, সময় দেন তাহলে কিছুটা হলেও মঞ্চ নাটকের উপকার হবে। কেউ কেউ যে কাজ করেন না তা নয়।

আনন্দ আলো: একটা সময় মেধাবী তরুণরা মঞ্চ দখল করেছিল। এখন মঞ্চ নিয়ে তরুণদের মধ্যে সেই আগ্রহ নেই কেন?

তারিক আনাম খান: দেশে টিভি মিডিয়ার বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এখন তরুণরা মঞ্চে কাজ করার চাইতে টিভি নাটকে কাজ করতে বেশি আগ্রহী। এর অন্যতম কারণ হলো অর্থ। মঞ্চ নাটকে কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় না। এতে করে সৃজনশীল, প্রশিক্ষিত, নির্ভরযোগ্য শিল্পীর অভাব দেখা দিচ্ছে।

আনন্দ আলো: মঞ্চ, টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এখন কেন চলচ্চিত্রে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে না?

তারিক আনাম খান: আমি প্রথাগত ছবিতে অভিনয় করতে আগ্রহী নই। আমার নিজস্ব ব্যাখ্যা হলো ছবির গল্প আগে পছন্দ হতে হবে। দর্শক যেন ছবিটা দেখে ভালো বলে এবং অভিনয় করার সুযোগ থাকে আমি এমন ছবিতে ছবিতে কাজ করতে চাই। এবারের ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অমি ও একজন আইসক্রিমওয়ালা’য় অভিনয় করেছি। বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা সুমন ধর-এর পরিচালনা ছবিটির গল্প আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। ছবিতে আমি একজন আইসক্রিমওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছি। মজার বিষয় হচ্ছে এ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে ছোটবেলায় আইসক্রিম খাওয়ার কথা মনে পড়ে যায়। আমাদের সময় এখনকারমতো আইসক্রিমের এতো ফ্লেভার ছিল না। এখন প্রচুর দেশি বিদেশি আইসক্রিম পাওয়া যায় হরেক রকম ফ্লেবারে। স্কুলে পড়ার সময় দেখতাম পানি মালাই আইসক্রিম। এখন যেটা মালাই আইসক্রিম।

আনন্দ আলো: বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ঘেটুপুত্র কমলা ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আপনি। চরিত্রটি আপনার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল নিশ্চয়?

তারিক আনাম খান: অসাধারণ একটি চরিত্র আর চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। চরিত্রটি রূপায়নে একটু এদিক ওদিক হলেই নির্ঘাত অশ্লীল হওয়ার ঝুকি ছিল। কী অসাধারণ করে আমার চরিত্রটি তিনি লিখেছিলেন।