Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তারকার ফেসবুক

একটা চিঠি পাবো তা ভাবিনি

মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে, আমি সত্যি অবাক হই। আজ অনেক দূর থেকে একটি নিমন্ত্রণ পত্র পাই। যিনি পাঠিয়েছেন তার বড় ছেলের বিয়ে, কিন্ত সঙ্গে এত সুন্দর একটি চিঠি পাবো তা ভাবিনি। আমি সত্যি অনেক আনন্দিত এবং ভাগ্যবান। জনাব- আমির হোসেন আপনার নিমন্ত্রণ আর চিঠি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি। আপনার পরিবার এবং আপনার ছেলের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। নায়িকা পূর্ণিমা তার ফেসবুক টাইম লাইনে কথাগুলো লিখেছেন।

তুচ্ছ এ জীবন আজ ধন্য

অস্টেলিয়ায় এখন আনন্দ আর স্ফূর্তি। ব্রেক ফাস্ট, লাঞ্চ আর ডিনার পার্টি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মিউজিয়ামস, পার্কস, শহর আর কঠিন ভক্তদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে রাজসিক খানা উপভোগ করা। সিডনি হারবারে বিশ্ববিখ্যাত অপেরা হাউসের কাছে মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, তুচ্ছ এ জীবন আজ ধন্য। কথাগুলো নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাদুকর জুয়েল আইচ।

ইংল্যান্ড দলকে ধন্যবাদ!

ইংল্যান্ড টিম, ধন্যবাদ তোমাদের, তোমরা এসেছিলে। তোমাদের কাছ থেকে আমরা অনেককিছু পেয়েছি। তোমাদের নিরাপত্তা এবং শুভ কামনায় বাংলাদেশ পুলিশ। এবারের ইংল্যান্ড ট্যুরের প্রধান ইস্যু ছিল নিরাপত্তা। পুরো ইংল্যান্ড টিম নিরাপত্তা নিয়ে দারুণ সনেৱাষ প্রকাশ করেছেন। এতে বাংলাদেশ দারুণ খুশি। নিজের ফেসবুকে কথাগুলো লিখেছেন গুলশান জোনের পুলিশের ডিসি কল্পবিজ্ঞানের জনপ্রিয় লেখক মোস্তাক আহমেদ।

মাশরাফির প্রত্যাশা

আমি জেনে অবাক হয়েছি যে, ডায়বেটিস আক্রান্ত শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। কারণ প্রায় ৭১ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ জানেই না যে, তাদের ডায়বেটিস আছে এবং যারা জানে তাদের সকলেও ঠিকমতো ডায়বেটিসের চিকিৎসা নেন না। দুঃখজনক যে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিসের কারণে গত বছর বাংলাদেশে ১২৯, ৩১৩ জন মানুষ মারা গেছে। একমাত্র সচেতনতাই পারে ডায়বেটিসকে বদলে দিতে, আসুন আমরা ডায়বেটিস প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হই। এখন থেকে আমি ডায়বেটিসকে বদলে দিতে কাজ করবো নভো নরডিস্ক ও বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে। ডায়বেটিস প্রতিরোধ, নির্ণয়, ব্যবস্থাপনা ও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য আসুন আমরা সচেতন হই ও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখি। বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তার ফেসবুক টাইম লাইনে কথাগুলো লিখেছেন।

ছবি দেখা আর ধৈর্যে যার অভিধানে না নাই

আপনারা যারা রাইটিং ইন্টার্নশিপের জন্য লিখেছেন, আমরা এগুলো রিভিউ করবো কিছুদিন পর। ডুব ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের চাপ কমে আসলেই। আমরা এখন একজন ট্রেইনি নিবো সহকারী পরিচালকের দলে। ছবি দেখা চোখ, ধৈর্য, যার অভিধানে ‘না’ নাই, ইংরেজি এবং বাংলার উপর দখল, গোছালো স্বভাবের যে কেউ লিখতে পারেন । এডিটিং সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তির অন্যান্য দিকে ধারণা এবং আগ্রহ থাকলে ভালো। এবং হ্যাঁ প্লিজ দিন দুনিয়ার খবর রাখা আর অবশ্যই সাহিত্য পাঠের অভ্যাসসহ শিল্পসাহিত্যের অন্যান্য শাখার প্রতি গভীর আগ্রহ থাকা চাই। মাস্ট। এইটা না হইলে কেবল ক্রাফটম্যান হইয়া দিন কাটাইতে হবে, ভাই ও বোনেরা আমার। কথা গুলো নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেছেন বিশিষ্ট নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

প্রিয় দর্শিনীকে আমি পেয়েছি

omar-sani-mousumi-1আরিফা পারভীন জামান মৌসুমী। আমার বন্ধু, জীবনসঙ্গী, আমার সন্তানদের মমতাময়ী মা, কখনও কখনও আমার অভিভাবক। আজ তোমার জন্মদিন। গত ২৫ বছর ধরে সৃষ্টিকর্তা এইদিনটি নানা রূপে, নানা রঙে, নানা ঢং এ পালন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ সর্বময় ক্ষমতার অধিপতির কাছে। চাইতো শত-সহস্র বছর ধরে ফিরে ফিরে আসুক এই দিনটি আমার জীবনে! কিন্তু বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে এমন স্পর্ধিত প্রত্যাশা করবো না। কারণ এমনিতেই আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে। লাখ কোটি মানুষের প্রিয়দর্শিনীকে আমি পেয়েছি কামনামতই। এটা আমার অহংকার নয়, বরং বিনয়।

আচ্ছা কেউ কি জানে-কোটি ভক্তের মতো আমিও মৌসুমীর অতি সাধারণ একজন ভক্ত? পার্থক্য কেবল একটি – ভক্তদের ভালোবাসার মানুষটাকে, এ দেশের বড় একটি সম্পদকে আমি আগলে রাখার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমি ঋণি সৃষ্টিকর্তার কাছে, ঋণি মৌসুমী তোমার কাছেও- এমন সুযোগ দেয়ার জন্য। এই ঋণ আমি শোধ করতেও চাই না! কেননা কিছু কিছু ঋণের বোঝা বইতে পারার মাঝেও তৃপ্তি আছে। মহান আল্লাহ তার করুণাধারা সবসময় তোমার উপর বর্ষিত করুন- এই কামনা রইলো। নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে কথাগুলো লিখেছেন অভিনেতা ওমর সানি।

আমি সবকিছু ভালোবাসি

বন্ধুরা শোন, ভালোবাসার অনেক মানে আছে। এক সাগর কালি দিয়ে লিখলেও এর গভীরতা পাওয়া যাবে না। ভালোবাসা নিয়ে বলা সব কথাই আসলে ভালোবাসা থেকে এসেছে। ভালোবাসার উল্টোপিঠে থাকে অধিকার বোধের বাড়াবাড়ি। এটা ভালোবাসার খারাপ দিক। ভালোবাসায় অন্ধতা থাকে, এটা খুব ভয়ঙ্কর। ভালোবাসায় মিথ্যেও থাকে, তা খুবই খারাপ একটা ধারাবাহিকতা। ভালোবাসায় প্রশ্রয় থাকে তা খুবই আত্মঘাতী। কিন্তু ভালোবাসা আমাদের আসলে ভালোবাসতে শেখায়। ভালোবাসা ক্ষমাশীল হতে শেখায়। ভালোবাসা কঠোর হতে শেখায়। ভালোবাসা সত্যি বলতে সাহস যোগায়। আল্লাহর যত গুণাবলি সবই ভালোবাসার শক্তিতে দাঁড়িয়ে। কারণ তাঁর এত রূপ, সব আসলে ভালোবাসায় জড়িত। আমাদের ভালোবেসেই তিনি পরম করুণাময় এবং একই সঙ্গে চরম কঠিন। সেই ভালোবাসা থেকে আমরা শিখতে পারি ভালোবাসা শুধু আপন মানুষের জন্যই নয়। একজন আপন আত্মীয় যতটুকু ভালোবাসার দাবিদার তারচেয়ে বেশি দাবিদার কঠিন স্বভাবের শত্রু। শত্রুকে বুঝে শুনে ভালোভাবে বুঝে নিয়ে তাকে বেশি ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিতে পারার মতো প্রেমময় অনুভব আর কি হতে পারে? একজন শত্রুকে ভালোবেসে পরাজিত করার চেয়ে বড় যুদ্ধজয় আর আছে? আমি সবকিছু ভালোবাসি। শানিৱময় পরিবেশ যেমন ভালোবাসি পুঁতিগন্ধময় পরিবেশ ভালো না বাসলেও বুঝি আমাকে শানিৱময় পরিবেশ উপহার দিতে গিয়েই পরিবেশের উচ্ছিষ্ট দিয়ে তৈরি হয়েছে এই পুঁতিগন্ধ! অতএব এও আমার ভালোবাসার অংশ। আমি যেমন ফুল ভালোবাসি তেমন ফুল গাছের নীচে গোবরও ভালোবাসি। কারণ গোবরই ফুলের ভিত্তিপ্রস্তর! সঙ্গীত শিল্পী কঁনকচাপা তার ফেসবুকে কথাগুলো লিখেছেন।

তার চোখ ছিল অশ্রু ঝলমল

ক্রিকেট এবং খেলার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা খুবই খাঁটি জিনিস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের মুহূর্তে তাঁর চোখ ছিল অশ্রু ঝলমল। মিরাজের জন্য তো তিনি করবেনই। আমি দেখতে পাই তাঁর আন্তরিকতা। স্যালুট। কথাগুলো নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।