Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

টিভি সাংবাদিকতা নারীও এগিয়ে যাচ্ছে

গত কয়েক বছর ধরেই টিভি মিডিয়ায় পুরুষের পাশাপাশি ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন এনেছেন নারীরা। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও কাজ করছেন দাপটের সঙ্গে। মেধা, মনন এবং যোগ্যতায় কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই আজকের নারী। তাই তো অর্থনীতি, রাজনীতি, রাজপথ কিংবা সভা-সেমিনার- সবখানেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য টেলিভিশনের বুম হাতে দৌঁড়াতে দেখা যায় নারীদের। ক্রাইম বিট থেকে শুরু করে দুর্ঘটনার সংবাদ কাভার করতেও দেখা যায় তাদের। ঝুঁকিপূর্ণ নিউজ কাভারের জন্যও ছেলেদের মতো সমান অংশগ্রহণ দেখা যায় মেয়েদেরও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরাই আছে এগিয়ে। কয়েকটি টিভি চ্যানেলের নারী রিপোর্টারদের নিয়ে আনন্দ আলো একটি আড্ডার আয়োজন করে সম্প্রতি। এই পেশায় কাজ শুরু, অভিজ্ঞতা, পেশাগত জীবনে স্মরণীয় কোনো ঘটনাসহ আড্ডায় তারা বলেছেন আরো নানান বিষয় নিয়ে। আড্ডায় অংশ নেন চ্যানেল আই-এর সিনিয়র রিপোর্টার ও সংবাদ উপস্থাপক রোকশানা আমিন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর স্টাফ রিপোর্টার সূচনা কবির খান, একাত্তর টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার অনত্মরা বিশ্বাস, মাছরাঙা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফারহানা তাহের তিথি এবং দেশটিভির স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসমিন সুমি। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল

ব্যতিক্রমর্ধী এই আড্ডার স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ। এর অবশ্য একটা কারণও ছিলো। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অনেকের অ্যাসাইনমেন্ট ছিলো বইমেলার উপর। তাই তো এমন একটি আড্ডা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার উপযুক্ত জায়গাই ছিলো প্রাণের মেলা বইমেলা। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে এই পাঁচ রিপোর্টারকে নিয়ে আড্ডাটি জমেছিল বেশ। প্রত্যেকেই কাজের ফাঁকে ছবি তুলছিলেন এবং কথাও বলছিলেন। আড্ডার ডালপালা মেলেছিল প্রত্যেকের এই প্রফেশনে আসার গল্পের মধ্যদিয়ে। সাংবাদিকতা পেশায় কিভাবে এলেন? এই প্রশ্নটি ছুড়ে দেয়া হয়েছিল পাঁচজনের কাছেই। শুরুতেই বললেন চ্যানেল আই-এর সিনিয়র রিপোর্টার ও সংবাদ উপস্থাপক রোকশানা আমিন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে বিভিন্ন পত্রিকায় কনট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতাম। দৈনিক জনকণ্ঠের ‘যাপিত জীবন’ পাতায় কনট্রিবিউট করার মধ্যদিয়ে এই প্রফেশনে পা বাড়াই। এরপর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় শুরুর সময়টায় কাজ করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সম্পাদনা বিভাগে চাকরির পাশাপাশি আমেরিকান সেন্টারের জার্নালিজম-এর ওপর ফেলোশিপে সুযোগ পাই। সেখান থেকে রেডিও টুডের স্টাফ করেসপনডেন্ট এবং একইসাথে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেই। ২০০৮ সালে যোগ দেই চ্যানেল আইয়ে।’

চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর সূচনা কবির খানের পড়াশুনা সাংবাদিকতা বিষয়ে। নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখি করি। একটা সময় একাত্তর টিভিতেও কাজ করেছি। আর বর্তমানে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে কাজ করছি।’

মাঝরাঙা টেলিভিশনের ফারহানা তাহের তিথিও পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা বিষয়ে। ছাত্রাবস্থায় শেষ বর্ষে তিনি কাজ করেন দৈনিক যুগানত্মর পত্রিকার ফিচার পাতায়। তার লেখা প্রথম নিউজ ছাপা হয়েছিল পত্রিকাটির আইটি পাতায়। তিনি বলেন, ‘আইটি পাতার সেই ১২০ শব্দের ছোট্ট লেখা যেদিন ছাপা হয় সে যে কী আনন্দ! এরপর ধীরে ধীরে যুগানত্মরের লাইফস্টাইল পাতা, নারী পাতাসহ প্রায় সব পাতাতেই লেখা শুরু করি। একসময় মাছরাঙা টিভিতে কাজ করার সুযোগ হয়।’ দেশটিভির ইয়াসমিন সুমি এই প্রফেশনে আসার পেছনে নিজের ভালো লাগার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সাংবাদিকতা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং দায়িত্বপূর্ণ একটি পেশা। এই পেশার মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়া যায়। তাই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমি শুরুতে কিছু দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখি করেছি। এরপরই দেশটিভিতে কাজের সুযোগ পাই।’ একাত্তর টেলিভিশনের অনত্মরা বিশ্বাস দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখি দিয়ে শুরু করলেও টেলিভিশন সাংবাদিকতা একাত্তর টিভির মধ্যদিয়েই। অনত্মরা বলেন, ‘অনন্যা ম্যাগাজিন এবং দৈনিক প্রথম আলোতে বেশ কিছুদিন কাজ করি কন্ট্রিবিউটর হিসেবে। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সাল থেকে একাত্তর টেলিভিশনে কাজ শুরু করি।’

Reporting-Addaআড্ডার এক পর্যায়ে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উঠে আসে। চ্যানেল আই-এর সিনিয়র রিপোর্টার রোকশানা আমিন বললেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে নারীপুরুষের বিভাজন দেখিনা। নারী জাগরণের কথা বলতে হলে বলতে হয় অনেক আগে থেকেই বেগম রোকেয়া এদেশে নারীর জাগরণ ঘটিয়েছেন। ৫০ এর দশকে সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সেই সময়েই শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই নারীরা বরাবরই অগ্রসরমান। তবে দুঃখের বিষয় অনেক অর্জন থাকলেও আমরা নারীরাই নিজেদের মূল্যায়ন করতে জানি না। যুগে যুগে পুরুষকেই শক্তিমান ভেবে আসছি। নিজেদের শক্তির জায়গাটি আমরা নারীরা ধরতে অপারগ। বর্তমান টিভি মিডিয়ার ক্ষেত্রে যদি এ বিষয়ে বলা হয় তাহলে আমি এটাকে জাগরণ বলতে নারাজ। কারণ এখনো নারী রিপোর্টারকে শিশু অথবা সাংস্কৃতিক অথবা বিনোদন ইস্যুগুলোতেও প্রাধান্য দেয়া হয়। নারী এখনো একটা প্রডাক্ট হিসেবেই আছে। আর ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা টিভি মিডিয়ায় নারীদের উপস্থিতি যতখানি ঘটবার কথা ততখানি ঘটেনি। ধারা যাক নতুন কোনো চ্যানেল আসছে। সেখানে ১০ জন রিপোর্টার দরকার। সেখানে ৭ জনই থাকে পুরুষ। অনেকে নারীর প্রতি আস্থা রাখতে চান না। অথচ নারীরা এখন পুরুষের চেয়েও বেশি কাজ করে। রোকশানা বলেন, গণমাধ্যমে শুধু নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করলে হবে না, কাজের গুরুত্বের ক্ষেত্রেও নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। যদি সাংবাদিকতার মতো পেশায় নারীকে আসতে হয়, তবে তাকে নারী সাংবাদিক নয়, সাংবাদিক হিসেবেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে হবে।’ তার কথাগুলো অন্য সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেনও। এবার এ বিষয়ে কথা বললেন একাত্তর টিভির অনত্মরা বিশ্বাস। তিনিও রোকশানা আমিনের সুরে সুর মিলিয়ে বললেন, ‘আমি আসলে নারীর সংখ্যা এই সেক্টরে বৃদ্ধি পাচ্ছে কী পাচ্ছে না এটাকে বড় করে দেখি না। বরং নারীরা তাদের কাজের মধ্যে কতটুকু সুযোগ কিংবা গুরুত্ব পাচ্ছে এটাই মূখ্য বিষয়। আরেকটা কথা, অনেক সময় বলা হয়ে থাকে এই অ্যাসাইনমেন্ট ঐ মেয়েকে দিয়ে হবে না, সেখানে একজন পুরুষ রিপোর্টারকে পাঠানো হোক- এমন নানান মনত্মব্য থাকে। আমার মতে, এটাও ঠিক না। নারী বলে আলাদাভাবে না দেখে কাজটা করার কার যোগ্যতা আছে সেটা হচ্ছে মূল বিষয়।’ মাছরাঙা টিভির ফারহানা তাহের তিথি অবশ্য একটু ভিন্ন সুরে কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘নারীরা এই প্রফেশনে অনেক বেশি আসছে এটা সত্যি কথা। একসময় সাংবাদিকতাকে শুধুমাত্র পুরুষদের পেশা মনে করা হতো। তবে সময়ের সঙ্গে এখন নারী ও তার পরিবার যেমন সচেতন হয়েছেন তেমনি এব্যাপারে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গীও পাল্টেছে। তাই এখন মেয়েরা এই প্রফেশনে কাজ করছে এবং এই বিষয়ে পড়াশোনা করেও নতুন নতুন মেয়েরা সাংবাদিকতায় আসছেন।’ চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর সূচনা কবির খান এই বিষয়ে সমাজের ইতিবাচক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘একটা সময় নারীদের যেকোন কাজের ব্যাপারে যেমন প্রতিবন্ধকতাগুলো ছিলো এখন সেটা থেকে আমাদের সমাজ অনেক অগ্রসর হয়েছে। তবে নারীদের কাজের ব্যাপারে একজন পুরুষের চাইতে নারীই নারীর প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে। একটু ক্লিয়ার করে বলি- এই প্রফেশনে কাজ করার সুবাদে প্রায়শই বেশি রাত করে বাসায় ফিরতে হয়। এটা আমার স্বামী থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই জানে। এই বিষয়ে আমার পরিবারের কারো কোনো সমস্যা নেই। তবে আশেপাশের মানুষ, পরিচিতজনরাই নানান কথা বলাবলি করেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে এক্ষেত্রে নারীরাই বেশি কথা বলেন। তাই আমি মনেকরি নারীর এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অনেক সময় নারীরাই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে থাকে।’ দেশটিভির ইয়াসমিন সুমি এই বিষয়ে একেবারেই ছোট্ট উত্তর দিলেন। যোগ্যতা থাকলে যে কেউই যেকোন কাজে অগ্রসর হতে পারেন। সেটা হতে পারে পুরুষ কিংবা নারী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা, চিনত্মার স্বাধীনতা, আত্মনির্ভশীলতা এবং সচেতনতাই আজকের টিভি মিডিয়ায় নারী সাংবাদিকতায় জাগরণ এনেছে।’

কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পান? এই প্রশ্নের উত্তরে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর সূচনা কবির খান। বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে পুরুষ কলিগদের কাছ থেকে ভীষণ সহযোগিতা পাই। আসলে অনেক সময় অনেক কলিগ থাকে যারা কিনা কে নারী কে পুরুষ সেটা বিষয় নয়। কাজটাই হলো আসল। যার কোয়ালিটি আছে সেই এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।’ চ্যানেল আই-এর রোকশানা আমিন অবশ্য একটু ভিন্ন কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাই। তবে সমান মর্যাদায় সহকর্মী হিসেবে ভাবনার জায়গাটি কখনো কখনো উপেক্ষিত হয়।’

মাছরাঙা টেলিভিশনের ফারহানা তাহের তিথি বলেন, পুরুষদের সহযোগিতা রয়েছে বলেই এই পেশায় এতোটুকু আসতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরুষ কলিগদের কাছ থেকে বেশ সহযোগিতা পাচ্ছি। আর সহযোগিতা ছিলো বিধায় ক্যারিয়ারে এই পর্যনত্ম আসতে পেরেছি। আসলে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে বেশ। আর কিছু জায়গায় মানসিকতায় সমস্যা থাকার মানুষ থাকলেও সেখানে সচেতন মানুষগুলোর সহযোগিতায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে ফেলা যায়।’ দেশটিভির ইয়াসমিন সুমিও একই সুরে কথা বললেন। তার মতে, কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ কলিগদের বেশ সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপশি বন্ধুসুলভ ব্যবহারও পেয়ে থাকি। আর একাত্তর টেলিভিশনের অনত্মরা বিশ্বাস সুমির সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে আসলে কলিগদের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা হতে পারে নারী কিংবা পুরুষ যে কেউই। তবে কাজের ক্ষেত্রে নারী হিসেবে আলাদা কোনো এডভান্স পাই না এবং আমি সেটা চাইও না। কেননা আমি মনেকরি কাজের ক্ষেত্রে নারী কিংবা পুরুষকে আলাদাভাবে দেখার কিছু নেই। কাজ করার যোগ্যতাটাই হলো আসল। প্রত্যেককে তার কাজ দিয়েই যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হয়। এই বিষয়টা ঠিক মতো চর্চা হলে এমন প্রশ্ন আসবে না যে, কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের কাছ থেকে কেমন সহযোগিতা পান?’

আগামীতে যে নারীরা এই প্রফেশনে আসতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে কি বলা যায়- এমন বিষয় নিয়ে আড্ডায় আলোচনা হয়। এই বিষয়ে চ্যানেল আই-এর রোকসানা আমিন বলেন, ‘নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। কাজ করার সময় চোখ কান খোলা রেখে নিজের কাজ করে যেতে হবে। অনেক সময় সাময়িক বাধা আসতে পারে কিন্তু সেসব বাধা মোকাবেলা করা এবং নিজের ভিত মজবুত করে এগিয়ে যেতে হবে।’ মাছরাঙা টেলিভিশনের ফারহানা তাহের তিথি বলেন, ‘সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয় এটি সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ারও একটি জায়গা। তাই সে দায়বদ্ধতা নিয়েই এই পেশায় আসা উচিত। আর যেকোন জায়গায় সাফল্যের মূল হল আত্মবিশ্বাস। তাই এটিকে বাড়াতে নিজেকে সেভাবে তৈরি করে আসতে হবে এই পেশায়।’ দেশটিভির ইয়াসমিন সুমি অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘শুধু নারী নয়, এই পেশায় আসতে ইচ্ছুকদের লেখাপড়ার পাশাপাশি অবশ্যই চৌকস হতে হবে। সাংবাদিকতার জন্য উপযুক্ত ডেডিকেশন নিয়ে এই পেশায় আসা উচিত। চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর সূচনা কবির খান বলেন, ‘এই প্রফেশনে আসার আগে কাজের ধরন এবং পত্রিকায় লেখালেখির হাতেখড়ি প্রয়োজন। কেননা পত্রিকায় কাজ করলে অনেক কিছু জানা এবং শেখা যায়।’ আর একাত্তর টেলিভিশনের অনত্মরা বিশ্বাস বলেন, ‘একটা সময় এই প্রফেশনে কাজ করার ব্যাপারে নারীদের পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো। তবে এখন আর তা নেই। তাই কোনো নারী যদি চায় এই প্রফেশনে ক্যারিয়ার গড়তে পারে। তবে অবশ্যই কাজের প্রতি ডেডিকেশন এবং পরিশ্রম করার প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে।