Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জয়বাংলা কনসার্টে আলোকিত বাংলাদেশ!

৭ মার্চ বিকেল। জয়বাংলা কনসার্টে তারুণ্যের উল্লাসে আরও একবার মাতলো পুরো আর্মি স্টেডিয়াম। গানের ফাঁকে ফাঁকে আতশবাজির ঝলকানি স্টেডিয়ামকে করেছিল আরও বেশি উজ্জীবিত। অন্যদিকে মঞ্চে বহমান সুরের ধারায় গ্যালারি জুড়ে চলতে থাকে তারুণ্যের উল্লাস।

ঐদিন বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ কনসার্ট। আর শেষ হয় মধ্যরাত ১টার পর। কনসার্টে এবারও শোনানো হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সেই ভাষণ। এরপর এক এক করে প্রত্যেকটি ব্যান্ড মহান মুক্তিযুদ্ধকালের আগুনঝরা গানগুলো ছাড়াও নিজেদের গান গেয়ে শোনায়। স্টেডিয়ামে জয়বাংলা কনসার্টটি উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। জয়বাংলা কনসার্টে অংশ নেয় দেশের শীর্ষ ৯টি ব্যান্ড। এর মধ্যে ছিল ওয়ারফেইজ, চিরকুট, নেমেসিস, শিরোনামহীন, স্পন্দন ৭২, আর্বোভাইরাস, লালন, ক্রিপটিক ফেইট এবং শূন্য ব্যান্ড। প্রত্যেকটি দলের গান শেষ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের খÐ খÐ চিত্র দেখানো হয়। আর তাতেই তরুণ প্রজন্ম ফিরে পায় তাদের নতুন প্রেরণা শক্তি। আর তারুণ্যের মুখে মুখে তখন উচ্চারিত হতে থাকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ। কনসার্টের শুরুতেই মঞ্চে গান পরিবেশন করে ব্যান্ড স্পন্দন ৭২। ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান নিয়ে শুরু হয় তাদের পরিবেশনা। এরপর হিসাবি মহাজন, স্কুল খুইলাছেরে মওলা স্কুল খুইলাছে, ওই পাগলা তোর পাগলি কই গানগুলো পরিবেশন করে দলটি। এরপরই মঞ্চে উঠে ক্রিপটিক ফেইট ব্যান্ড। প্রথমেই তারণ্যকে জাগিয়ে তুলতে তারা গেয়ে শোনায়- ওঠো বীর বাঙালি, তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিবোরে, চোখের জল, রাঙিয়ে দাও আমার স্বপ্নকে আর আক্রমণ দিয়ে শেষ করে তাদের পরিবেশনা। জন্মভূমির অপমান আর সইবো না গানটি দিয়ে মঞ্চে আগমন ঘটে আর্বোভাইরাস ব্যান্ডের। তারপর একে একে তারা শোনায় ওরে শোন রে তোরা শোন, আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয় ও এখনই নামবে আলো গানগুলো।

সম্পর্কিত

হঠাৎ মঞ্চে শূন্য ব্যান্ডের সঙ্গে আগমন ঘটে এলিটা করিমের। ব্যান্ডটি গেয়ে শোনায়- সোনাদিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর ও শত আশা গানগুলো। আর নেমেসিসের সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করেন জেফার। সব মিলিয়ে পুরো আর্মি স্টেডিয়াম যখন আনন্দে মাতোয়ারা তখন মঞ্চে আসে শিরোনামহীন। তারা গেয়ে শোনায়, জন্ম আমার ধন্য হলোসহ কয়েকটি গান। এরপর বিরতি দিয়ে গান পরিবেশন করে লালন। এবার ঘোষণা দিয়ে মঞ্চে আসেন চিরকুট। তখন আর্মি স্টেডিয়াম যেন পুরো একটি আলোর মিছিল। দলটি প্রথমেই গেয়ে শোনালেন নোঙর তোলো তোলো, সময় যে হলো হলো গানটি। এরপর গাইলেন এ শহর প্রাণের শহর ঢাকা রে, মরে যাব রে কি অসহায় আমিসহ কয়েকটি গান।