Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জোটবদ্ধ হচ্ছেন তারকারা

মোহাম্মদ তারেক: কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত হল টেলিভিশন মাধ্যমে অভিনয়কারী শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন’। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনের মধ্যদিয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার সংগঠনটির একটি শ্লোগান বেশ সাড়া ফেলেছে। ‘জিতবে ২১ হারবে না কেউ’ এই শ্লোগানটি শুধু শিল্পীদের মধ্যে নয় শিল্প-সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে জড়িত পরিচালক, প্রযোজক সহ সবার মাঝেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জিতবে ২১ হারবে না কেউ এই শ্লোগানের আওতায় শিল্পী সংঘের এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যে কোনো নির্বাচন হলেই সাধারনত নির্বাচনের দিন একাধিক প্যান্ডেল সাজানো হয়। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নির্বাচনী আচরনে যুক্ত হয়। ভোটার নিয়ে টানাটানি করে। অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে এবার সেই পরিবেশ ছিল না। নির্বাচনের দিন শিল্পকলা একাডেমির মাঠে একটি প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা একই প্যান্ডেলের নীচে বসেছেন, একই প্যান্ডেলের নীচে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। আনন্দ মুখর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ভোট শেষে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রশংশনীয় ব্যাপার হলো নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে যখন ভোটের ফলাফল গননা করা হচ্ছিল তখন প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভোট গননার ছবি ভোটারদেরকে বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হয়। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই নতুন কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনের আধুনিক মিলনায়তনে অভিষেক অনুষ্ঠানের দিন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিনয় শিল্পী সংঘ। বিভিন্ন সংগঠনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাধারনত বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়েই প্রশংসামূলক কথাবার্তা বলা হয়। পরাজিতরা থাকে উপেক্ষিত। কিন্তু অভিনয় শিল্পী সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠানে পরাজিত প্রার্থীদেরকেও মঞ্চে ডেকে নিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হয়। বিষয়টি পারস্পারিক সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের ক্ষেত্রে একটি অনন্য নজীর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ব্যক্তিগত ভাবে অভিনয় শিল্পী সংঘের বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছিলেন। ঢাকা ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে অভিনয় শিল্পী সংঘের বিজয়ী ও পরাজিত শিল্পীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনের আগে প্রডিউসারস এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনেও ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। টেলিভিশন মাধ্যমে জড়িত শিল্পী কলাকুশলীদের কার্যকর একাধিক সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে প্রডিউসারস এসোসিয়েশন, অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিকেটরস গিল্ড এবং নাট্যকার সংঘটই বেশ অ্যাকটিভ। ৪ সংগঠনের অফিসও ঢাকার নিকেতনে একটি বাড়িতে করা হয়েছে। অর্থাৎ একই ছাদের নীচে টিভি নাটকের অভিনয় শিল্পী, নাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজকরা যৌথভাবে বসার ঠিকানা পেয়েছেন। তার মানে আশা করাই যায় এবার আমাদের টিভি মিডিয়ায় অগ্রগতির ¯্রােতটা আরও বেগবান হবে।
কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি কী সে কথাই বলে? আসুন সে কথা জানার আগে আমাদের চলচ্চিত্রপাড়া থেকে একবার ঘুরে আসি। কারণ শুধু টিভি নাটক দিয়েই তো আর সংস্কৃতিকে বেগবান করা যাবে না। চলচ্চিত্র, বিনোদন সাংবাদিকতার পাশাপাশি মঞ্চ নাটকের দিকেও তাকাতে হবে।
চলচ্চিত্রের কথা উঠলেই চলচ্চিত্র পরিচালকদের কথা ওঠে। কয়েকমাস আগেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুনী চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বদিউল আলম খোকন সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে আবার দায়িত্ব পেয়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়েছে অনেক আগে। নির্বাচনের পর কমিটি থেকে বেশ কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। আবার কেউ কেউ নিস্ক্রীয় রয়েছেন।
আশার কথা, অনেক বছর পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রযোজক-পরিবেশকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। অন্যদিকে চলচ্চিত্র বিশেষ করে বিনোদন সাংবাদিকদের একমাত্র গ্রহণযোগ্য সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির নির্বাচনের ঘোষনাও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি বাচসাস এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ জুলাই, পরের দিনই অর্থাৎ ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন। ফলে চলচ্চিত্র পাড়ায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
মঞ্চ পাড়ায় বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনকে ঘিরেও নাট্য চর্চার একটি সাংগঠনিক গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট, পথ নাটক পরিষদ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নানামুখি কার্য্যক্রম। সার্বিক দিক পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আমাদের সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এক একটি শক্তিশালী সংগঠন কার্যকর ভ‚মিকা পালন করছে। কিন্তু সার্বিক অর্থে আমাদের সংস্কৃতির কতটা উন্নয়ন ঘটছে?
একথা সত্য, সংগঠনের সদস্যদেরকে জোটবদ্ধ রাখা এবং তাদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই মূলত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জোটের জন্ম হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকা বিশেষ ভাবে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশন, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সহ বিভিন্ন জোট ভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সংস্কৃতির উন্নয়ন ধারায় বিভিন্ন সংগঠন ও জোটের ভ‚মিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের কথাই যদি ধরি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, হল মালিক সমিতি, ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন সহ ১০টি সংগঠন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। কার্যত আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হয়েছে কতটুকু? এতগুলো সংগঠন থাকা সত্বেও আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ব্যবসায় ভাটা পড়ায় অতীতের তুলনায় বর্তমানে কম সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অনেক সদস্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে ব্যবসা-বানিজ্যের দিকে মনযোগ দিয়েছেন। শিল্পী সমিতির অনেক সদস্য আছেন যারা বছরের পর বছর ধরে কোনো ছবিতেই অীভনয়ের সুযোগ পাননি। তবে সমিতির নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই তাদের কদর বাড়ে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়। অন্য সময় কেউই তাদের খোঁজ খবর রাখে না।
নাম প্রকাশে একজন চলচ্চিত্র শিল্পী বললেন, আমাদের চলচ্চিত্র পাড়ায় ১০ এরও অধিক সংগঠন আছে। সংগঠনগুলো চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ধারায় কাজ করবে বলেই জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু কোনো সংগঠনই তো কাজের কাজ কিছুই করছে না। আমরা কথায় কথায় বলি বাংলাদেশের দর্শক সিনেমা বিমুখ হয়েছে। কিন্তু কেন তারা সিনেমা বিমুখ হয়েছে সেটা নিয়ে কি কোনো গবেষনা আছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দোর্দন্ড প্রতাপে আমাদের সিনেমা, টিভি নাটক হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কোনো মহলেরই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখি না। কথায় কথায় বলি আমাদের সিনেমা দর্শক দেখে না। কিন্তু কেন দেখে না তা নিয়ে কি ভাবি আমরা? সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা কি নিজেদেরকে যোগ্য করে তুলতে পেরেছি?
টিভি ম্যাধমের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ তুললেন একজন বিশিষ্ট অভিনেতা। তিনি বললেন, আমাদের দেশে বর্তমানে ৩০/৩৫টি টেলিভিশন চ্যানেল কার্যকর। ২৫টিরও বেশি টিভি চ্যানেলে নিয়মিত নাটক প্রচার হয়। তবুও এক শ্রেণীর দর্শক পাশের একাধিক টিভি চ্যানেলের প্রতিই আগ্রহী? কেন এই অবস্থা? আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি। গত ঈদে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে আড়াইশ’র মতো টিভি নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে। তবুও পাশের দেশের টিভি চ্যানেলের দিকেই আগ্রহ ছিল অনেকের। এনিয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নানান মন্তব্য প্রকাশও প্রচার হয়েছে প্রচার মাধ্যম সমূহে। তারপরও কি আমাদের টনক নড়েছে?
অভিনয় শিল্পী সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠানে নব নির্বাচিত কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলেছেন তারা পেশাগত মান-মর্যাদার জায়গাটা আরও অর্থবহ করে তুলতে চান! কথাগুরো শুনে বার-বার একই প্রশ্ন মনে জেগেছে অভিনয় শিল্পীরা এককভাবে তাদের পেশাগত মান মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেই কি তা সম্ভব? টিভি নাটকের প্রযোজক, পরিচালক ও নাট্যকার সহ অন্যান্যদের বাদ দিয়ে কি তা করা যাবে। অর্থাৎ একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজনের লাভবান হবার সুযোগ নাই। ধরা যাক একটি নাটক বানান হবে। প্রথমে দরকার একজন নাট্যকারকে। তার কাছে একটি ভালো নাটক চাই। ভালো নাটক পাওয়া গেল। এবার দরকার ভালো প্রযোজক। তিনি একজন ভালো ডিরেকটর খুঁজে বের করলেন। তারপর ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাটকে যুক্ত করা হলো। এবার দরকার একজন ভালো ক্যামেরাম্যান। সবকিছুই ভালো পাওয়া গেল। এই নাটকটি ভালো হতে বাধ্য। নাটক প্রচারের আগেই শিল্পীরা তাদের সম্মানী পেয়ে গেলেন। ক্যামেরা সহ কারিগরী ক্ষেত্রেও অর্থ জোগান দেওয়া হলো। পরিচালক যদি ডাক সাইটে হন তিনিও তার পারিশ্রমিক আদায় করে নিলেন। নাট্যকার কি চাইবার আগেই তার প্রাপ্য সম্মানী পেয়ে যান? বোধকরি না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাট্যকার এবং পরিচালককেও তার সম্মানীর জন্য তাগাদা দিতে হয়। নাটকের কেন্দ্রীয় অভিনেতা অভিনেত্রীর বাইরে সহ অভিনেতাদের পারিশ্রমিকের বেলায় এখনও সমন্বিত কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। ফলে শোবিজে একাধিক সংগঠন থাকা সত্বেও কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারছে না বলে অনেকে মনে করছে।
চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিদ্যামান। একটা সময় চলচ্চিত্রে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন যারা দেখেছিল তারা এখন খুবই হতাশ। মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে সর্বত্র।
তবুও আশায় আছি আমরা। আজ হয়নি কাল নিশ্চয়ই হবে। টেলিভিশন নাটকের কার্যকর ৪ সংগঠনের ৪জন কর্মকর্তার একটি যৌথবদ্ধ ছবি ছাপা হয়েছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। সালাহউদ্দিন লাভলু, ইরেশ যাকের, শহীদুজ্জামান সেলিম ও মাসুম রেজার যৌথবদ্ধ এই ছবিটির নীচে লেখা দেখলাম “আমরা এখন তথ্য মন্ত্রনালয়ে…” তারমানে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে? ভালো কিছুর আশায় আছি…
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারন সম্পাদক জাহেদ খান, বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী, সেক্রেটারী জেনারেল কামাল বায়েজীদ, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, সাধারন সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর, সাধারন সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, প্রডিউসারর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইরেশ যাকের, সাধারন সম্পাদক সাজু মুনতাসির, নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, সাধারন সম্পাদক এজাজ মুন্না, ডিরেক্টরর্স গিল্ড এর সভাপতি সালাহ উদ্দিন লাভলু, সাধারন সম্পাদক এস এ হক অলীক, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শাহীদুজ্জামান সেলিম, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সাধারন সম্পাদক হাসান আরিফ আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আশাকরি সামনের দিকে ভালো কিছু একটা হবে। আগস্ট