Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বসেছিল তারার মেলা!

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বলে কথা। তাও আবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করার সুযোগ। কে এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায়? সে কারণে গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান ছুটে এসেছেন কলকাতা থেকে। একটি ছবির কাজে যুক্তরাষ্ট্র যাবার কথা ছিল নুসরাত ইমরোজ তিশার। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে তিনিও যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রার তারিখ পিছিয়েছিলেন। একই উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে উড়ে এসেছিলেন সঙ্গীত পরিচালক ইমন সাহা। ‘বীর’ নামে একটি নতুন ছবির শুটিং এর কাজে দারুণ ব্যস্ত ছিলেন ঢাকাই ছবির ব্যস্ততম নায়ক শাকিব খান। তিনিও শুটিং বন্ধ রেখে চলে আসেন আগারগাওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে। ততক্ষণে মিলনায়তনে বসে গিয়েছিল তারার মেলা। একই সাথে দুই বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে বলে পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণী চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংখ্যাও ছিল বেশী। চলচ্চিত্রাঙ্গণ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যস্ত তারকা ও গুণীজনেরাও এসেছিলেন চলচ্চিত্রের এই মিলনমেলায়। অনেকদিন পর হয়তো প্রিয় সহকর্মীর সাথে দেখা হয়েছিল। তাই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই অনেকে শুরু করেন জম্পেশ আড্ডা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই মিলনায়তন জুড়ে খুশির বন্যা বয়ে যায়।
অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আরও বেশি জমজমাট ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি। পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বও উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল আলোর বন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, আগামীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটির ফরমেট বদলানো উচিৎ। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণী শিল্পীদের ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করার পর পুরস্কার প্রদান করা যেতে পারে। এটা করা গেলে অনুষ্ঠানটি আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে গুণী অভিনেতা ও পরিচালক এটিএম শামসুজ্জামান, প্রবীর মিত্র, সুজাতা ও আলমগীরকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস ও নায়িকা পুর্ণিমা। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার অনুষ্ঠানটি সরাসির সম্প্রচার করে।

একটি সেরা মুহূর্ত!
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বলে কথা। পরিবারের একজন পেলেই তো আনন্দ উৎসবের খই ফুটতে শুরু করে। সেখানে একই পরিবারের ৩ জনের হাতে যদি ওঠে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তাও আবার একই মঞ্চে! তখন তো আনন্দের সীমা-পরিসীমা থাকার কথা নয়। এমনটাই ঘটেছে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন গুণী অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক আলমগীর। তাঁর স্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লা পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার। পরিবারের আরেক সদস্যা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আখি আলমগীরও এবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পুরস্কারের ক্রেস্ট হাতে তিনজনই যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন, আহ! কী যে সুন্দর দেখাচ্ছিল!
স্বীকৃতি পেল
রাজাধিরাজ রাজ্জাক!
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম নির্মিত ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ শ্রেষ্ঠ প্রামান্য চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। মঞ্চে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। ক্যামেরার ফ্রেমে অনিন্দ্য সুন্দর এই ছবিটা ইতিহাসের উজ্জ্বল অংশ হয়ে থাকবে।
অনেক ভাল লাগছে!
জয়া আহসান
গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক ভাবেও ব্যাপক আলোচিত হয়ে উঠেছেন। কলকাতার ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁর প্রযোজনায় নির্মিত প্রথম ছবি ‘দেবী’তে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। শুধুমাত্র পুরস্কার গ্রহণ করতেই শুটিং ছেড়ে কলকাতা থেকে ঢাকায় উড়ে আসেন জয়া। পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অনেক আনন্দের। আমিও অনেক আনন্দিত। কলকাতায় শুটিং ফেলে রেখে পুরস্কার গ্রহণ করতে এসেছি। অনেক ভাল লাগছে!
ক্যামেরাবন্দী ছবির ইতিহাস!
নাচে গানে ভরপুর ছিল এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুণী শিল্পীদের হাতে পুরস্কার প্রদানের পর দর্শক সারীতে বসে পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র শিল্পীদের অংশ গ্রহণ ছিল বিশেষ ভাবে উল্লেখ করার মতো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর আগে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হন কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পী।
হিট ছবির সুজাতা!
এক সময় সিনেমার পর্দা কাঁপিয়েছেন সালমা বেগম সুজাতা। সালমা বেগম নামটা অনেকেই জানতো না। কিন্তু সুজাতা নামেই ছিল সবাই পাগল। আজিম সুজাতা, রাজ্জাক-সুজাতা, জুটি ছিল তখনকার দিনে অনেক হিট। সেই পর্দা কাপানো নায়িকা সুজাতা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। মঞ্চে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন সুজাতা। ছবিতে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাসুদকে দেখা যাচ্ছে।