Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

জনগনের বন্ধু হয়েই এগিয়ে যেতে চাই

বিদ্যুত কুমার বসু, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দেশবন্ধু গ্রæপ

আনন্দ আলো: বিজয়ের মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়ে চলার বর্তমান গতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

বিদ্যুত কুমার বসু: ব্যবসা বাণিজ্য কাদের জন্যে করা হয়? আমরা যদি গ্রাহক বা সাধারণ মানুষ বলি বা ব্যবসায়িক অংশীদার যাই বলি- আসলে আমাদের সবারই প্রাথমিক পরিচয় হলো আমরা মানুষ। আর মানুষের যা প্রয়োজন তাকে ঘিরে যখন আমাদের কার্যক্রম চলে তখনই সফল ব্যবসার মডেলগুলো তৈরি হয়। আমাদের শিল্প- শিল্পীরা যেই রকম ছবি আঁকেন, গান করেন- অনেক গান অনেক ছবি মাথার মধ্যে আসে, আসলে সবই কি আসে কাগজে? সবই তো আর আসে না। ওই রকমভাবে যারা উদ্যোক্তা তারা অনেক রকম স্বপ্ন দেখেন, হয়তো প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখেন। কোন স্বপ্নটা কাগজে পড়ে সবার মাঝখানে সবাই মিলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তখনই তা বড় শিল্প হয়ে ওঠে। রবিতে এবং গ্রামীণফোনে যখন আমি ছিলাম তখন সবাই মিলে আমরা কাজ করেছি। আসলে একলা তো আর কোনো কিছু করা যায় না? তখন চ্যানেল আই থেকেও আমাকে অনেক সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি- মানুষকে চিন্তা করে নিয়ে যখন আমাদের চারপাশের সবকিছু আবর্তিত হয় তাহলে সেখান থেকে আসে। এখন যদি দেখেন দেশবন্ধু গ্রæপ-এর কথা বলছি। দেশ ও জনগণের বন্ধু দেশবন্ধু।

আনন্দ আলো: দেশ বন্ধু গ্রæপ-এর সুগার মিল কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। অনেক সিস্টার কনসার্ন আছে আপনাদের। এই সব সম্পর্কে কিছু বলুন?

বিদ্যুত কুমার বসু: দেশবন্ধু সুগার মিল ১৯৩২ সালে যাত্রা শুরু করেছিল।  এটি প্রথমে পাবলিক এ ছিল। পরে এটি বেসরকারি মালিকানায় দেয়া হয়। আমাদের উদ্যোক্তা গোলাম মোস্তফা সাহেব একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। কন্টিনিউয়াসলি তিনি নতুন নতুন স্বপ্ন দেখেন। আমি এই গ্রæপে নতুন জয়েন করেছি। আমি একটা ট্রাকে কাজ করে অভ্যস্ত যেমন টেলিকম বা ব্যাংক। কিন্তু গ্রæপগুলোর মধ্যে আসলে স্পেশালি লোকাল গ্রæপের ভেতরে এখানে এতদিক থেকে চিন্তা করে যে, এটি একটি সমুদ্রের মতো জায়গা  তাই সুন্দর সুন্দর সুযোগ পাওয়া যায় কাজ করবার।  আমরা যারা মাল্টি ন্যাশনালে কাজ করে এসেছি তারা যদি এখানে হাত লাগাতে পারি একসাথে-

আনন্দ আলো: কর্পোরেট ফিল্ড পারিবারিক সম্পর্ক বা বন্ধনের মতো?

বিদ্যুত কুমার বসু: দেশবন্ধু যে চিনি তা প্রতিদিন আমরা উৎপাদন করছি ৫০০ টন করে এবং সেখান থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১৫০০ টনে এক্সপান্ড করছি। এরপরে আছে সিমেন্ট, সিমেন্টের পরে রাইস, তারপরে আছে পলিমার। ৩৬০ ডিগ্রি এক্সপানশনের দিকে আমরা যাচ্ছি।

আনন্দ আলো: যা মানুষের প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করা হচ্ছে?

বিদ্যুত কুমার বসু: হ্যাঁ, সবদিক থেকেই চেষ্টা চলছে। এখন যেটা দেখছি আমরা- আমাদের দেশের অগ্রগতি একটি স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে দিয়ে আসছে। বিদেশের বিভিন্ন দেশও কিন্তু সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে এসেছেন। কোরিয়া বলেন, ইন্ডিয়া বলেন- প্রতিটি দেশ থেকে এগিয়ে আসছে যে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায়।

আনন্দ আলো: ইনভেস্টমেন্টের পরিবেশ তো তৈরি হয়েছে?

বিদ্যুত কুমার বসু: হ্যাঁ, চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

আনন্দ আলো: দেশবন্ধু গ্রæপ-এ কন্ট্রিবিউট করার আপনার পরিকল্পনা কি?

বিদ্যুত কুমার বসু: প্রথমে তো মানুষ স্বপ্ন দেখে। কোনটা কোনটা প্রথমে কাগজে নামে তারপরে সুরকাররা সুর দেয় সবশেষে শিল্পী গায়। উদ্যোগটাও ঠিক ওই একই রকমের। আমাদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সাহেব এর স্বপ্নের শেষ নাই। প্রতিদিন সকালে কিছু না কিছু নতুন চিন্তা ভাবনার কথা বলেন। বর্তমানে আমরা লঞ্চ করলাম বেভারেজ। আমরা পানি থেকে শুরু করে কোলা  লেমন সব প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। এরপরে থ্রি টাইম এক্সপানশনের কথা চিন্তা করছি। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে সোয়েটার ডেনিম এইগুলো নিয়ে কাজ করছি।

আনন্দ আলো: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেনিমের চাহিদা বাড়ছে?

বিদ্যুত কুমার বসু: হ্যাঁ, ডেনিমের একটা প্রজেক্ট আমরা করছি। তবে প্রতিটি দিনই আমাদের নতুন কিছু শুরু করার দিন এবং সেই কাজে আমি ব্যস্ত।

আনন্দ আলো: দেশবন্ধু গ্রæপ তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি কতটা পালন করে?

বিদ্যুত কুমার বসু: দুই দিক দিয়ে দেখা যায়- মাল্টি ন্যাশনাল গ্রæপগুলো একটা স্ট্রাকচারড ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে। বিভিন্ন দেশের স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস করে আসে। নতুন দেশে ঢোকে তখন তারা ওই ফ্রেমপ্লেট-এর ভেতরে ফেলে একটা কাজ করে এবং পরে লোকাল এডাপশন হয়। তাই ওই সব প্রতিষ্ঠানে একটা আঙ্গিকে কাজ হয়। আর আমার নিজের দেশের স্বকীয়তায় যেটি বেড়ে ওঠে তার স্ট্র্যাকচারটা অনেক সময় মনে স্ক্যাকার্ড। সেই গাছটাকে যদি আমরা গুছিয়ে গাছটাকে বড় করি। তাহলে সেই গাছটা বট বৃক্ষই বলেন আর ফলজ বৃক্ষই বলেন তা কিন্তু ফল দেবে। দেশবন্ধু গ্রæপ আমাদের দেশের অন্যসব গ্রæপের মতোই হবে, তা আলাদা কিছু নয়। সারভাইভ করাই আসল কথা। এখানে ব্যাংক, সরকারি  আইন কানুন আর তার সাথে উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন এইসবকিছু মিশিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে ক্লিক করবে। ক্লিক করে সাকসেসফুল হলে আরেকটা, আরেকটা হলে আরেকটা- এইভাবে এগিয়ে যাবে। এটি অনেক সময় হয় না। কনফিডেন্সের যে অভাব- রিস্ক নিতে গেলে সবাই চিন্তা করে। সবাই মিলে যখন আসবে তখন কিন্তু ভালো কিছু হতে বাধ্য।