সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
আমীরুল ইসলাম
ইমদাদুল হক মিলন তিনি
বড় ভাইয়ের মত
লিখেন অবিরত।
জীবন ঘষে আগুন জালান
পাঠক প্রিয় তিনি
ত্রিশ বছর ধরে তাকে
আমরা সবাই চিনি।
ষাট বছরের তরুণ তিনি
যুবক চিরদিনই।
আমরা মানে রিটন-মাযহার
সানী এবং আমি
মিলন ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরি
কতো যে পাগলামি!
মিলন ভাই মানেই হলো
স্টাইলিশ ম্যান
সাহিত্য আর জীবন নিয়ে
অনেক গভীর জ্ঞান।
বুকের রক্তে জীবন লেখেন
বিশাল ক্যানভাসে।
বাংলাদেশ জীবন্ত হয়
সে সব উপন্যাসে।
চরিত্ররা কাঁদে এবং
চরিত্ররা হাসে।
লেখালেখির শুরুর দিকে
দশক তখন আমি
মিলন ভাইকে মুগ্ধ হয়ে
অনেক ভালোবাসি।
যেমন লেখা তেমনই তার
¯িœগ্ধ ব্যবহার।
আন্তরিক পূর্ণ মানুষ
লেখেন চমৎকার।
কথা বলেন জাদুর মত
লেখেন দুহাত খুলে।
‘পরাধীনতা’ পড়তে গিয়ে
দিন রাত যাই ভুলে।
মমতাময় দরদী মন
মানুষ অনেক দেখা।
তাইতো জ্বলে আগুন হয়ে
নিত্য নতুন লেখা।
নুরজাহানের পাতায় পাতায়
বাংলাদেশ ডাকে
মিলন ভাইয়ের মৃত্যু নাই
এসব উপন্যাসে।
আমরা খুবই ভাগ্যবান
বলতে নাই দ্বিধা।
মিলন ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ হতে
হয়নি অসুবিধা।
আমার প্রথম গল্পের বই
সেই পঁচাশি সালে
‘আমি সাতটা’ নামটা দিলেন
কথার তালে তালে।
চিরকালের অতি আধুনিক
বইয়ের নামের জোরে।
আমীরুলও লেখক হয়ে
বাংলাবাজারে ঘোরে।
অষ্ট আশি সাল
বইমেলাতে আড্ডা মারি
আর জোরে দেই ফাল।
সবাই বেশামাল।
মনে অনেক ফুর্তি তখন
লজ্জাতে হই লাল।
সেই সময়ে মিলন ভাইয়ের
‘রাত বারোটা’ বই
শিশু-কিশোর গল্পমালা
বই নিয়ে হইচই।
বইমেলাতে ঘুরি
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ি।
রাত বারোটা’র উৎসর্গে
আমীরুল ইসলাম
মিলন ভাইয়ের প্রশ্রয়ে তাই
ডানা ওড়ালাম।
কেউ বা বলে খুব বেয়াদব
কেউ বলে মাস্তান।
লিখতে থাকি হাত ছড়িয়ে
বুক থাকে টানটান
কেমন করে লিখবÑ মিলন
ভাইয়ের অবদান।
মিলন ভাইয়ের আরেক ভক্ত
শিল্পী ধ্রæব এষ।
আহা! বেশ। বেশ। বেশ।
তখন তিনি ছাত্র। থাকেন
শাহনেওয়াজ হলে।
ভাঙা চেয়ার। ভাঙা টেবিল।
আড্ডা তখন চলে।
মিলন ভাইয়ের নতুন বইয়ের
প্রচ্ছদ আঁকলেন।
সেই সুবাদে শিল্পী ধ্রæব
বিখ্যাত হইলেন।
এমন অনেক স্মৃতিÑ
স্মৃতিকথা লেখার কিন্তু
হয় না কোন ইতি।
মনে পড়ছে আলী ইমাম
বলেন কথায় কথায়
বাংলা ভাষার ঐ যুবরাজ
মিলন হেঁটে যায়।
মিলন ভাইয়ের বন্ধু অনেক
সবাই খ্যাতিমান
আফজাল তাই সফার ভাই
আবদুর রহমান।
আরেফিন ভাই, মিনু ভাই
কিংবা শাইখ সিরাজ
মিলন ভাইয়ের বিশাল বুকে
সবাই করেন বিরাজ।
ফরিদী ভাই বেঁচে তো নাই
সবাই খ্যাতিমান।
মনে পড়ছে হাসান হাবীব
পাভেল রহমান।
শেষ হবে না স্মৃতি
মিলন ভাইয়ের জন্যে সবার
অনেক অনেক প্রীতি।
সবার প্রিয় আবদুল্লাহ
আবু সায়ীদ স্যার
মিলন ভাই তার প্রিয় লেখক
বলেন বারংবার।
মাতৃসম বিশাল লেখক
রাবেয়া খাতুন।
মিলন ভাইকে ভালোবাসেন
নির্মলেন্দু গুণ।
রফিক আজাদ, আসাদ চৌ…
কবি আসলাম সানীÑ
মিলন ভাইকে ভালোবাসেন
আমরা সবাই জানি।
হুমায়ূন আহমেদের কথা
বলব আর কতো
ভালোবাসতেন মিলন ভাইকে
ছোই ভাইয়ের মতো।
সৈয়দ হক, শওকত আলী
সবার ভালোবাসায়
মিলন হবেন শতবর্ষী
স্বপ্ন এবং আশায়।
।। দুই।।
ইমদাদুল হক মিলন মানে
সবাই মিলে মিলন- মেলা।
ভাষার মাসের নায়ক তিনি
অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
মিলন মানে কালের কণ্ঠ
মিলন মানে বাংলাবাজার
মিলন ভাইকে ভালোবাসেন
ভক্ত আছেন হাজার হাজার।
মিলন মানে গভীর বিষয়।
জনপ্রিয় টিভি-নাটক।
মিলন মানে নিষ্ঠাবান
বাংলা বইয়ের শ্রেষ্ঠ-পাঠক।
মিলন মানে ‘নুরজাহান’
কঠিন লেখেন সহজ ভাষায়
মিলন মানে বিশাল লেখক
বেঁচে থাকেন ভালোবাসায়।
।। তিন।।
মিলন ভাই এখন নাকি
ষাটোর্ধ্ব তরুণ
মিলন ভাইকে জানতে হলে
বইগুলো তার পড়–ন।
চিরযুবক তিনি
দীর্ঘদিনের পরিচয়ে
সামনে থেকে চিনি তাকে
গভীর ভাবে চিনি।
মিলন ভাইয়ের তাজা হৃদয়
ঠিক। ঠিক। ঠিকই।
পালিত হবে মিলনাব্দ
শতবার্ষিকী।
সেদিন হয়তো থাকবো না কেউ
ফুরিয়ে যাবে খেলা।
মিলন ভাইকে কেন্দ্র করে
চলবে মিলন- মেলা।