Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ছবিটি যখন সেন্সর হলো তখন বোর্ড কি ভূমিকা নিল? -শাকিব খান

যখনই চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইতে শুরু করে তখনই শুরু হয় নানান ঝামেলা আর প্রতিবদ্ধকতা। দেড় যুগ ধরে নানান প্রতিবদ্ধকতায় আমাদের চলচ্চিত্র আটকে আছে। গত ১০ বছরের মধ্যে এবারের ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত চারটি ছবি আশাতীত ব্যবসা করেছে। এই ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে দু’টি ছিল যৌথ প্রযোজনার। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ঈদের পরের পুরো একটি সপ্তাহ বড় বড় সিনেমা হল গুলোতে হাউজ ফুল বোর্ড ঝুলেছে। এই অবস্থা দেখে চলচ্চিত্রকর্মীরা আশায় বুক বেধেছে। সবার মুখেই ছিল একটি কথা, চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। কিন্তু আনন্দের এই মুহূর্তে হঠাৎ করেই শুরু হয় প্রতিবন্ধকতা ও চলচ্চিত্র স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নানান জটিলতা। এরমধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত দু’টি ছবি নিয়ে পাহাড় সমান অভিযোগ উঠেছে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী কলা-কুশলীদের মাঝে। তার মধ্যে আছে যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতি ভাঙ্গার মতো গুরুতর অভিযোগ। ভারত-বালাদেশের যৌথ প্রযোজনার ছবি দু’টিতে বেশির ভাগশিল্পী ভারতীয় যদিও উভয় দেশের সমান সংখ্যক শিল্পী থাকার কথা ছিল। ছবিতে বাংলাদেশের টেকনিশিয়ান রাখা হয়নি। ছবির শুটিং-এর সবটাই করা হয়েছে ভারতে। চলচ্চিত্র কর্মীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো যৌথ প্রযোজনার ছবি হলেও ভারতে এই ছবি গুলো মুক্তি দেয়া হয় নাই। চলচ্চিত্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই বিষয়গুলো নিয়ে নানা মুখী আলোচনা সমলোচনার পর ২১ জুলাই এফডিসির সামনে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি ও প্রযোজক সমিতির সদস্যরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানব বন্ধনের নেতৃত্বে ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি নায়ক শাকিব খান ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। তবে মিডিয়ার কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরেন নায়ক শাকিব খান।

শাকিব খানের কাছে জানতে চাওয়া হয় হঠাৎ এই মানব বন্ধনের কারন কী? শাকিব বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইছে। সিনেমা হলে দর্শকরা ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি ছবি দর্শকরা বিপুল আগ্রহ নিয়ে দেখেছে। কিন্তু এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল উঠেপড়ে লেগেছে সেই সুবাতাসে আগুন ঝরাতে। তারা যৌথ প্রযোজনার নামে বাংলাদেশের স্বার্থকে ছোট করে দেখছে। আমাদের শিল্পী কুলা-কুশলীদেরকে ছবিতে নেয়া হচ্ছে না। ভারতীয় ছবি আমদানী করে আমাদের চলচ্চিত্র ব্যবসা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আমরা কখনোই এসব করতে দিতে পারিনা।

আপনিতো নিয়ম ভাঙ্গা যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাকিব বলেন, আমি তো ছবির অভিনেতা মাত্র। নিয়ম নীতি সঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা সেটা দেখবে প্রশাসন ও তথ্য মন্ত্রনালয়। ছবি যখন সেন্সর হলো তখন সেন্সর বোর্ড সদস্যরা কি করেছে? তারা ছবি দেখে নিয়মনীতি পর্যালোচনা করে তার পর তো সেন্সর সার্টিফিকেট প্রদান করবে তাই না?

আপনাদের বর্তমান দাবী কি? এ প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, আমাদের দাবী হলো যৌথ প্রযোজনার ছবি হোক এতে আপত্তি নেই কিন্তু সেটা সবদিক দিয়ে সমান সমান হতে হবে। অসমান বা নিয়মনীতি বহির্ভূত যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মান চলবে না। এদেশে ভারতীয় একটি ছবি আমদানী হলে আমাদেরও একটি ছবি ভারতে রপ্তানী হতে হবে এবং সেখানেও সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি দিতে হবে। কথা প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, আমাদের দেশে এখন ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিস পর্যনৱ খোলা হয়েছে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে।

সরকার বা প্রশাসন আপনাদের দাবী দাওয়া না মানলে আগামীতে কি কর্মসূচি দিবেন। এ প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, মানব বন্ধনের পর প্রশাসন যদি কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো কারন চলচ্চিত্র আমাদের রুটি রুজির জায়গা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যনৱ জানা যায় এই আন্দোলনের ব্যপারে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।