Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

নাম তার  বুবলী!

ছিলেন টেলিভিশনের সংবাদ পাঠক। তাই তো একসময় তিনি অন্যের সংবাদ পড়তেন। আর বর্তমানে তার সংবাদ পড়েন সকলে। জীবনে কখনো ভাবেননি চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। অথচ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে শুরু করে সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মাঝে তুলেছেন আলোচনার ঝড়। ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে যে পরিবার প্রথমদিকে রাজিই হচ্ছিল না, ছবি মুক্তির পর সেই পরিবারও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পাঠক, যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই মিষ্টি মুখের মেয়েটির নাম বুবলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে অধ্যয়নরত বুবলীর গত ঈদে একসঙ্গে ‘বসগিরি’ ও ‘শ্যুটার’ নামে দুটি ছবি মুক্তি পায়। এই প্রথম কোনো নবাগতা নায়িকার এক সঙ্গে দুটি ছবি ঈদে মুক্তি পেয়েছে। শুধু তাই নয় দুটি ছবিই সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে। তাই তো ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দুটি ছিল দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু। ছবি মুক্তির পর বোরকা পরে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে চম্পাকলি সিনেমা হলে ‘বসগিরি’ ছবিটি দেখেছেন। একদম কাছ থেকে দর্শকদের রিয়াকশন দেখে বুবলী প্রেক্ষাগৃহেই কেঁদে ফেলেছিলেন। তাই তো চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের মধ্যে এক প্রকার দায়বদ্ধতা অনুভব করছেন বলে জানান গ্লামার এই কন্যা। আনন্দ আলো স্টুডিওতে বসে চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের পরিকল্পনাসহ অনেক কথাই শেয়ার করেছেন। তারই চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল।

আনন্দ আলো: আপনি যখন সংবাদ পাঠক ছিলেন তখন অন্যের সংবাদ পড়তেন। আর এখন সবাই আপনার সংবাদ পড়ে। কেমন লাগে বিষয়টা?

বুবলী: হাঁ হাঁ হাঁ…। এভাবে তো বিষয়টা চিনৱা করিনি। আসলেই তো তাই। সবাই তো আমার খবর পড়ে। বিষয়টা অবশ্যই ভালো লাগে। এটা অবশ্যই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। হুট করেই কেমন জানি সবকিছু বদলে গেছে। সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। সংবাদ উপস্থাপনা করার সময় অনেক নাটক, বিজ্ঞাপনে কাজ করার প্রসৱাব পেয়েছি। কখনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করবো চিনৱাও করিনি। সেই আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফেললাম ভাবতেই অবাক লাগে। জীবনের প্রথম করা ছবি দুটো আবার একই ঈদে একসঙ্গে মুক্তি পেল। এটা আসলে মিডিয়ার সাপোর্ট, মানুষের ভালোবাসা ছাড়া সম্ভব ছিল না। সর্বোপরি এবারের ঈদ আমার জীবনের সেরা ঈদ। তাই এখন দায়বদ্ধতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছে।

আনন্দ আলো: সংবাদ পাঠক থেকে হুট করে চলচ্চিত্রে আসার গল্পটা জানতে চাই-

বুবলী: আগেই বলেছি সংবাদ উপস্থাপনা করার সময় প্রচুর নাটক, বিজ্ঞাপনে কাজ করার প্রসৱাব পেয়েছি। কখনোই করবো না বলে বলেছি। হঠাৎ করে একদিন আমার মোবাইলে একটা ফোন আসে। ফোনটা করেছিলেন শাকিব খান নিজেই। আমাকে ফোন করে তিনি বলেছিলেন তার প্রযোজনা হাউজ থেকে একটি সিনেমা হবে সেটাতে আমাকে নায়িকা হিসেবে চাচ্ছেন। এর আগে কখনোই উনার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এমনকি পরিচয়ও ছিল না। যে মুহূর্তে উনি আমাকে ফোন করেছিলেন তখন আবার আমার খবর দেখছিলেন। আমাকে ফোনে বলেছিলেন- আমার মতোই ফেস তাদের দরকার। আগে গল্প এবং অ্যারেজমেন্ট সব শুনে যদি আমার ভালো লাগে তাহলে যেন রাজি হই, না হয় বাদ। আমি তো প্রথমেই না করেছি। পরবর্তীতে আমার সঙ্গে ছবিটির পরিচালক শামীম আহমেদ  রনি যোগাযোগ করেন। উনি আমাকে ছবির গল্পসহ নানান বিষয় শেয়ার করতে থাকেন। সেটা ছিল অন্য একটি ছবি। ‘বসগিরি’ না। পরিচালক আমাকে জানান- প্রথম যে ছবি ‘পেয়ারি’ নিয়ে কথা হয়েছিল সেটা কয়েকদিন পরে করা হবে। আগে ‘বসগিরি’ সিনেমাটি করবে। তারপর আমাকে ‘বসগিরি’র কাহিনি অ্যারেজমেন্ট শোনাতে থাকে। আমার পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে হ্যাঁ অথবা না জানাতে বলে। আমি তো জানি আমার পরিবার থেকে এই বিষয়ে একদমই সাপোর্ট নেই। তারপরও আমি আব্বা-আম্মার সঙ্গে কথা বলি। তারা রাজি হলেন না। কিন্তু আমি ভেতরে-ভেতরে ইন্টারেস্ট ফিল করতে থাকলাম গল্পটা শুনে। আর ছবির প্রযোজক টফি ভাই থেকে শুরু করে উনার স্ত্রী রুমি ভাবী পর্যনৱ আমাকে ফোন করলেন। উনারা আমাকে বললেন- ভালো ফ্যামিলির মেয়ে যদি ইন্ডাস্ট্রিতে না আসে তাহলে জায়গাটা পরিবর্তন হবে কীভাবে। সবার কথায় আমি মোটামুটি কনভিনসড হলাম। কিন্তু আমার ফ্যামিলি তো না, না-ই।

একদিন ছবির প্রযোজক, উনার স্ত্রী রুমী ভাবী, পরিচালক রনি ভাই বাসায় এলেন, আম্মা-আব্বুকে স্টোরি এবং কাজের পরিবেশের কথা বললেন। কারণ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এমনিতেই তো অনেক কথা প্রচলন আছে। যাই হোক তারা যখন এটা পর্যনৱ বলেছেন যে, ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার পর যদি আমার কোনো কিছু ভালো না  লাগে তাহলে যেন মাঝপথে চলে আসি। তারপর আমার পরিবার খেয়াল করলো যে, টিমটা ভালো এবং ভালো কিছুই হবে। আর আমিও চাইছিলাম ভিন্ন কিছু একটা করতে। সবমিলিয়ে শুরু হলো ‘বসগিরি’। তবে আমার পরিবার থেকে একটা কথাই বলা হলো যে, কাজের পরিবেশটা যেন স্বচ্ছ থাকে। সর্বোপরি ভালোভাবেই কাজটা আমরা শেষ করলাম।

আনন্দ আলো: একটা মাধ্যম থেকে হঠাৎ করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করা, আপনার প্রস্তুতির জায়গাটা কেমন ছিল?

বুবলী: সংবাদ নিয়ে যখন কাজ করেছি তখন তা নিয়েই প্রতিনিয়ত ব্যসৱ ছিলাম। নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করা যায়, আরো কীভাবে সুন্দরভাবে সংবাদ পড়তে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

সত্যি কথা বলতে কী- আমার খুব একটা ছবি দেখা হতো না। তবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথাবার্তা ফাইনাল হওয়ার পর এই আমি অনেকখানি বদলে যেতে থাকলাম। প্রচুর ছবি দেখা শুরু করলাম, ইনফ্যাক্ট শাকিব খানের এর আগে ছবি দেখা না হলেও পরবর্তীতে দেখেছি। জিমে ভর্তি হলাম, খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন আনলাম। ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা সবকিছু রুটিন মাফিক চলতে থাকলো। বিভিন্ন ছবি দেখে অভিনয়টা রপ্ত করা শুরু করলাম। আমি যখন যে জিনিসটা করি সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করি। এমনকি শতভাগ এফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করি। ছবির শুটিংয়ে গিয়ে যখন অভিনয় শুরু করলাম তখন সত্যি নিজের কাছে অন্যরকম এক ভালো লাগা শুরু হলো। আমার অভিনয়ের প্রশংসা করতে লাগলো সবাই। আগে ছবির সিক্যুয়েন্সের শ্যুট হলো। তারপর হলো গানের। যখন গানের শুটিং আসলো তখনতো সবাই বেশ চিনিৱত হয়ে গেল। কারণ সবার ধারণা ছিল অভিনয়টা উৎরানো গেছে কিন্তু নাচের ক্ষেত্রে আমি কি না কি করি। সত্যি কথা বলতে কী আমার নিজেরও চিনৱা হচ্ছিল। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছিল বোম্বাইয়ের বজরাঙ্গি ভাইজান ছবির কোরিওগ্রাফার। তারা নিজেরাও চিনিৱত ছিল। কারণ নিউজ প্রেজেন্টার, নিউকামার নাচ কী পারবে? এমন চিনৱা তাদের মধ্যে ছিল। আমি তখন রুমে বিভিন্ন গানের নাচের সঙ্গে প্র্যাকটিস শুরু করলাম। এখানে বলে রাখা ভালো আমি স্কুলে পড়ার সময় নাচ শিখতাম। পরবর্তীতে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার নিয়ে থাকায় নাচটা আর কন্টিনিউ হয়নি। তাই বেসিক জিনিসটা জানাই ছিল। যাইহোক কয়েকদিন নাচের প্র্যাকটিসের পর মূল ইউনিটের সঙ্গে নাচ তোলা শুরু হয়। আমার এক্সপ্রেশন এবং নাচ দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছে। সাধারণত ওনারা ৮/১০ দিন নাচের প্র্যাকটিস করে একটি গানের শ্যুট করা হয়। আর আমাদের ক্ষেত্রে ২/১ দিন প্র্যাকটিস করেই শুটিং-এ যাওয়া হয়েছিল। সেই তুলনায় আমার কাজে ওনারা বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

আনন্দ আলো: এই মুহূর্তে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সুপারস্টার শাকিব খান। তাঁর সঙ্গে আপনার একই ঈদে দুটি ছবি মুক্তি পেল। শাকিব খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাটা বলবেন-

bubli-1বুবলী: তিনি একদমই অন্যরকম একজন মানুষ। শুটিং স্পটে পুরো টিমকে আপন করে নিয়ে কীভাবে কাজটা করতে হবে উনি সেটা দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রপস থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ডে কি থাকবে সেটাও উনি দেখিয়ে দেন। উনি ডায়লগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সিক্যুয়েন্স নিয়ে ভাবেন। কোন্‌টা উনার পছন্দ না হলে সরাসরি বলে দেন। বসগিরি ছবির শুটিংয়ে একটি দৃশ্যে সেটটা উনার পছন্দ হয়নি। তখন উনি সেখানে এক হাজার সাদা কবুতর আনতে বলেন। সারাদিন অপেক্ষার পর কবুতর আনা হলো, তারপরই করা হলো দৃশ্যটির শ্যুটিং। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একটি দৃশ্য কিংবা গানে কি করলে ভালো হবে, দর্শকদের ভালো লাগবে তা নিয়ে উনি শুটিংয়ে সবসময় চিনৱায় থাকেন। আর উনি খুব কো-অপারেটিভ, কো-আর্টিস্টকে অনেক সহযোগিতা করেন। তাই উনার সঙ্গে কাজ করে সত্যিই ভালো লেগেছে। এটা আমি শুটিং করতে গিয়ে যা দেখলাম সেটাই বললাম। আমি পরিচালক প্রযোজকেরও বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। এইদিক থেকে আমি খুব ভাগ্যবতী বরা যায়।

আনন্দ আলো: শাকিব খান পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে আপনার প্রশংসা করেছেন এবং উনি চান আপনি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হোন। এমনকি উনার প্রযোজনা হাউজ থেকে পরবর্তী বেশকিছু সিনেমায় আপনাকে নেবেন বলেও শোনা যাচ্ছে…

বুবলী: দেখুন, আমি বসগিরি এবং শ্যুটার ছবি দুটি থেকে দর্শকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি যে, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে আমার অনেক দায়বদ্ধতা কাজ করছে। সেইদিক থেকে বলতে গেলে প্রচুর ছবির প্রসৱাব পাচ্ছি। শাকিব খানের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতাটাও ভালো। তবে আমি ছবি পছন্দের ব্যাপারে বেশ চুজি বলতে পারেন। গতানুগতিক কিছু আমার কাছে ভালো লাগে না। বরং একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা, ছবির গল্প, অ্যারেজমেন্টসহ সবকিছু যখন অন্যরকম লাগবে তখনই কাজ করবো। সেটা শাকিব খানের প্রযোজনার হোক কিংবা অন্য কারোর হাউজের সিনেমাই হোক। আরেকটি কথা না বললেই নয়, সেটি হলো- শাকিব খানের মতো সুপারস্টার আমাকে নিয়ে ইতিবাচক মনৱব্য  করেছেন এটা আমার জন্য সত্যিই অনেক বড় পাওয়া। আর সর্বোপরি দর্শকদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ যে, তারা আমার প্রতি ভালোবাসা রেখে ছবি দুটি দেখেছেন।

আনন্দ আলো: ছবি মুক্তি পাওয়ার আগের বুবলী আর এখনকার বুবলীর মধ্যে পার্থক্য কী বলে আপনি মনে করেন?

বুবলী: আমার নিজের কাছে কোনো পার্থক্য মনে হয় না। আগে যেমনি মিডিয়ায় কাজ করেছি এখনো তাই। তবে মাধ্যমটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমাকে মানুষ খবর পড়তে দেখতেন আর এখন ছবি দেখে নানান কমেন্টস করেন। আর পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও কলিগরা আমার ছবি দেখে ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে নানান মনৱব্য করছেন। ভালোই লাগে। এই পার্থক্যগুলো পাই। তবে ব্যক্তিগত বুবলী আগে যেমন ছিল এখনো তেমনটি আছে এবং সারাজীবনই তা থাকতে চাই। ব্যসৱতার কারণে অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় না কিংবা কথা হয় না। এজন্য প্লিজ আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। বরং এখন আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ফোন রিসিভ করি, ম্যাসেঞ্জারে রিপ্লাই বেশি দেই। কারণ কেউ যেন বলতে না পারে ছবি মুক্তি পাওয়ায় আমি বদলে গেছি। আমি ঠিক আগের বুবলীই সবার কাছে থাকতে চাই।

আনন্দ আলো: ঘর সংসার নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

বুবলী: (হাসি দিয়ে) না, এটা নিয়ে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। একটা জিনিস কী আমি পড়াশোনায় থাকা অবস্থায় প্রেমের প্রসৱাবের চেয়ে বিয়ের প্রসৱাবই পেয়েছি বেশি। সেটা কর্মজীবনে আসার পরও ছিল। আমাকে অনেকেই পছন্দ করে সরাসরি বিয়ের কথা বলেছেন। আমি অবশ্য এই বিষয়টা পরিবারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আম্মা আব্বাই বিষয়টা দেখবেন। তবে যিনিই আসবেন তিনি শুধু আমাকে ভালো বাসলেই হবে না। আমার কাজ, জগৎ এবং আমার ভাবনাকেও ভালোবাসতে হবে।

আনন্দ আলো: আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?

বুবলী: জীবনে খুব পরিকল্পনা করে আমি কাজ করি না। ভালো লাগা এবং মনের সায় থেকেই কাজ করি। তবে এখন পর্যনৱ যা করেছি ভালোই হয়েছে। তবে চলচ্চিত্র নিয়ে আমার এই মুহূর্তে পরিকল্পনা হচ্ছে- দর্শকদের জন্য আরো কাজ করতে চাই। সংখ্যাতত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই। কোয়ালিটিতে আমি বিশ্বাসী। বুবলী একটি ছবিতে থাকা মানে সফট ফেস, পবিত্র ফেস এবং তাকে দেখার জন্য পরিবারের প্রতিটি মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যাবেন- এটাই আমার চাওয়া এবং আমি সেভাবেই কাজ করতে চাই। আর আমাকে নিয়ে যারাই ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা করবেন তারা যেন এই বিষয়গুলোর দিকে একটু নজর রাখেন। আমি গতানুগতিক কাজে বিশ্বাসী নই।