Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ঘর ভাঙা সংসার ও একটি প্রত্যাশার গল্প!

আমার এক বন্ধু, অনেকদিন তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ নাই। ফোনেও ‘হাই-হ্যালো’ হয় না। যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। হঠাৎ তারই ফোন এলো। প্রথমে গলা চিনতে পারছিলাম না। হ্যালো… কে বলছেন? প্রশ্ন করতেই ওপাশ থেকে ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠ ভেসে এলোÑ কিরে ভুলে গেছিস আমাকে? আমার ফোন নম্বরটা পর্যন্ত তোর মোবাইলে সেভ করিসনি? এমনই হয় রে বন্ধু…

তাকে চিনে ফেললাম। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু। ঢাকার বাইরে থাকে। সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেছে। তবে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেয়নি। একটি ব্যাংকে চাকরি করে। কবিতা লেখে। দুটি বইও বেরিয়েছে।

এভাবেই হঠাৎ হঠাৎ সে ফোন করে। এইতো কয়েক মাস আগে একবার ফোন করেছিল। কণ্ঠে রীতিমতো ‘চোটপাট’ নেয়ার ভঙ্গি। কিরে তোরা কিসের সাংবাদিকতা করিস? বাংলাদেশের সিনেমা জগতের বাঘা দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী বিয়ে করলো, তাদের সন্তান হয়েছে। অথচ তোরা কিছুই জানিস না। সাংবাদিকতা ছেড়ে দে। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে সে প্রায় পাঁচ মিনিট জ্ঞান দিল। সাংবাদিকতা শেখাল।

এবার কেন ফোন করেছে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠলাম। দেখলাম এবার কোনো অভিযোগ করছে না। কণ্ঠে বিষন্নতার সুর।

হ্যারে বন্ধু যা শুনলাম তা সত্যি নাকি?

উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চাইলাম কি শুনেছো?

বন্ধু আগের মতোই উদাস কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো তাহসান আর মিথিলার সংসার নাকি ভেঙে গেছে?

তখনও আমি খবরটা জানি না। তাই অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলাম তাহসান, মিথিলা কে? তুমি কাদের কথা বলছ?

বন্ধু একটু ক্ষেপে গিয়ে বলল, তুমি কি আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করতেছ বন্ধু? তুমি তাহসান আর মিথিলাকে চেনো না? ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মন খারাপ। আমার স্ত্রীতো বিশ্বাসই করতে চাইতেছে না ঘটনা সত্য? সে তোমাকে ফোন দিতে বলল। তার বিশ্বাস তোমার কাছে আসল তথ্য রয়েছে। তুমি আমাকে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করোতো…। ঘটনা কি সত্যি।

তাহসান আর মিথিলার কি সত্যি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তাহলে তাদের ফুটফুটে বাচ্চাটার কি হবে। আহারে…

বন্ধু ফোনের ওপাশে আহারে, উহুরে, করেই যাচ্ছে। তার কথা বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমাদের একজন রিপোর্টার একটা কাগজ আমার টেবিলের সামনে রেখে গেল। একটা অনলাইন মিডিয়ার নিউজ ‘তাহসান মিথিলার সংসার ভাঙলো’। হেডলাইনটি কয়েকবার পড়লাম। বিশ্বাস হচ্ছে না মোটেও। এটা কি করে হয়? বন্ধুকে ফোনে বললাম, তোমার সঙ্গে পরে কথা বলব বন্ধু। আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দাও। বন্ধু ফোন কেটে দিল।

মিথিলার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নাই। তবে তাহসানের সঙ্গে পরিচয় আছে। ওদের বিয়ের পর আনন্দ আলোয় একাধিকবার কাভার স্টোরিসহ রিপোর্ট হয়েছে। আনন্দ আলোর স্টুডিওতে ছবি তোলার জন্য একাধিকবার এসেছিল দুজন। আমার মেয়ে তখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করে। একদিন ফোনে কথা প্রসঙ্গে ওকে তাহসান আর মিথিলার কথা বলতেই যেন আনন্দে লাফিয়ে উঠলো বাবা, ওরা তোমাদের অফিসে এসেছিল। ইস আমি যদি দেশে থাকতাম তাহলে ওদের সঙ্গে একটা ছবি তুলতাম।

শুধু আমার মেয়ের বেলায়ই নয়, দেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণীর আইডল হয়ে উঠেছেন তাহসান মিথিলা। সেটা বোধকরি তাদের প্রেম ও বিয়ের গল্পের কারণে। তাহসান, মিথিলার প্রেম ও ভালোবাসার গল্প জানে না এমন তরুণ-তরুণীর সংখ্যা নেই বললেই চলে।

তাদের প্রেমময় জীবন নিয়ে অনেক নাটকও নির্মিত হয়েছে। গানের পাশাপাশি তাহসান অভিনয়ে যুক্ত হলেন। মিথিলাও টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করলেন। তাদের ভক্তের সংখ্যা দ্রæত বাড়তে থাকলো। তরুণদের স্বপ্ন আমি তাহসান হবো। তরুণীদের স্বপ্ন আমি মিথিলা হবো। আর তাই তাহসান মিথিলার বিবাহ বিচ্ছেদের সংবাদ শুনে অনেকে মর্মাহত। বিস্মিত অনেকে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে।

পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী তাহসান ও মিথিলার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয় প্রায় দুই বছর আগে। আমাদেরও ধারণা তাই। আনন্দ আলোয় ‘তারকাদের সত্যি জীবন’ নামে একটি বিভাগ চালু আছে। এক বছরের ব্যবধানে এই বিভাগে কথা বলার জন্য তাহসানকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রতিবারই তাহসান বিনয়ের সঙ্গে বলেছেন, আমি মিথিলার সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি। প্রতিবারই শেষ পর্যন্ত তাহসান ব্যর্থ হয়েছেন। বলেছেন কাজের ব্যস্ততায় এবার সম্ভব হচ্ছে না। আগামীতে চেষ্টা করবো। সর্বশেষ তাহসান মিথিলাকে নিয়ে কাভার স্টোরির পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছিল। তাহসান কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। ব্যাপারটা আমার কাছে তখন খুব একটা ভালো ঠেকেনি।

তবে এখন বুঝতে পারছি তাহসান কেন বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সত্যি জীবন পর্বে তো জীবনের সত্যি কথাই বলতে হবে। কিন্তু তখন তো বোধকরি তাদের জীবনে প্রচÐ ঝড় চলছিল। এই ঝড়ের মাঝে থেকেও কি ভালো ভালো কথা বলা সম্ভব? কেমন আছেন? অনেক ভালো? সংসার জীবন কেমন যাচ্ছে? অসাধারণ। খুবই সুন্দর। এ ধরনের অবাস্তব কথাগুলো হয়তো বলতে চাননি তাহসান মিথিলা। তাই ‘সত্যি জীবনে’ হাজির হতে চাননি। তবে আমাদের ধারণা জীবনের করুণ একটি সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে তাহসান এবং মিথিলা দুজনে নিজের কাছে প্রচÐ জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয়েছেন। শেষে হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর একত্রে থাকা নয়। এখন বিচ্ছেদই সত্য বাস্তব, বিচ্ছেদেই ঘটনা। তাহসান ও মিথিলা সংসার ভেঙে যাওয়ায় তাদের ভক্ত সমর্থকদের মাঝে এখনো হাহাকার চলছে। অনেকে মনে করছেন ওরা দুজন আবার যৌথবদ্ধ হবেন। আবার সংসার শুরু করবেন। সেটা কি আদৌ সম্ভব? তবুও আমরাও তেমনটাই প্রত্যাশা করি।

 

আমাদের বোঝাপড়ায় অনেক দিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল

Ñমিথিলা

আমাদের বিবাহিত জীবন ১১ বছরের। ১৪ বছর ধরে একজন অন্যজনকে চিনি। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আসলে হঠাৎ করে নেইনি। আমাদের বোঝাপড়ায় অনেক দিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। ব্যক্তিত্বের দ্ব›দ্বও প্রকটছিল। জীবন নিয়ে শুরুতে একধরনের পরিকল্পনা ছিল, সময়ের সঙ্গে তা বদলে গেছে। তারপরও এত বছরের সম্পর্কতো আর এত সহজে কেউ ভেঙে ফেলতে চায় না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কারণ, আমাদের একটি সন্তান আছে। দুই বছর ধরে আলাদা থাকলেও সন্তান আর সংসারের কথা ভেবে এক সঙ্গে কাজ করে ভালো থাকার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছি, সম্পর্ক আর টিকবে না। তাই বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত। এখন সন্তান আর অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকব। আপাতত এক সঙ্গে কোনো কাজ করব না। তবে ভবিষ্যতের কথা বলা যায় না…

 

সমাজ কি বলবে এই ভয়ে তো সারাজীবন  কাটানো যায় না

Ñতাহসান

এদেশের মানুষ পর্দা আর পর্দার বাইরে আমাকে ও মিথিলাকে জুটি হিসেবে ভালোবেসেছেন, সেজন্য আমরা ধন্য। কিন্তু সমাজ কি বলবেÑ এই ভয়ে অভিনয় করে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে হবে, আমরা দু’জন এই ব্যাপারটার সঙ্গে একমত নই। তাই বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত। হ্যাঁ, যতদিন মনে হবে আমার ভক্ত, দর্শকেরা…. দেশের মানুষ আমার কাজ উপভোগ করছে ততদিন আমি কাজ করে যাব!

কেন ভাঙছে তারকার সংসার!

সৈয়দ ইকবাল

আমাদের শোবিজে তারকাদের সংসার ভাঙন যেন মিছিলে রূপ নিয়েছে। আজ একজন তারকার ডিভোর্স হচ্ছে তো পরের দিন অন্য তারকার সংসার ভাঙনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছর বেশ কিছু তারকার সংসার ভাঙার খবর সরগরম করে তুলেছে শোবিজ অঙ্গন। পাশাপাশি এ অঙ্গনটির ইমেজ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ চলতি বছরের প্রথম থেকে যেন সংসার ভাঙার বিষয়টি নিয়মিত সংবাদে পরিণত হয়েছে। একটির রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি সংসার ভাঙনের খবর কানে আসছে। বিষয়টি বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলেছে ভক্ত-দর্শকের উপর। কারণ, সাধারণ মানুষ তারকাদের আইডল মেনে থাকেন। তাদের অনুসরণ করেন। কিন্তু এসব ভাঙনের খবর ভক্ত-দর্শকদের মনে তারকা তথা শোবিজের প্রতি নেতিবাচক একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে। সর্বশেষ জনপ্রিয় সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান-মিথিলার ডিভোর্সের খবর ভক্তদের কাছে এক অনাকাক্সিক্ষত বিষয়ই ছিল বটে!

Tahsan-Mithila-1তাহসান-মিথিলার ডিভোর্স হওয়ার খবরের কয়েকদিন আগে আরেক তারকা দম্পতি শখ-নিলয়ের সংসার ভাঙনের খবরও বেশ সরব হয়ে ওঠে মিডিয়ায়। মিডিয়ার আলোচিত জুটি শখ-নিলয়। ২০১৬ এর ৭ জানুয়ারি তারা বিয়ে করেন। তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা এমন কেউ নেই যে জানতো না। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর এই জুটির বিয়ে হয়। কিন্তু সে সংসারের চার দেয়ালে এখন আর দু’জনের দাম্পত্য জীবন সাজানো নেই। শখ নিলয়ের সংসার ছেড়ে গেছেন বেশ কয়েক মাস হলো। ফিরে গেছেন পুরানো ঢাকার বাবার বাড়িতে। এই জুটিরও ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে মাত্র। ২০১৬ সালে বিয়ের পর পর শখ তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ম্যারিড টু নিলয় আলমগীর করেছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে সেটা আর নেই। এখন বদলে শখের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস হয়ে গেছে সিঙ্গেল। অন্যদিকে নিলয়ের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসেও নেই শখের নাম।

গত বছরের শেষের দিকে এসে অভিনেত্রী সারিকার সঙ্গে তার স্বামী মাহিম করিমের সংসার ভাঙনের খবরও ভক্তদের ব্যথিত করেছে। বেশ ঘটাও করে ২০১৪ সালে সারিকা ব্যবসায়ী মাহিম করিমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সংসার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। এরই মধ্যে মা হয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে শোবিজে গুঞ্জন উঠেছে গত বছরের নভেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকছেন না সারিকা। মাহিম ও সারিকার দুজনের ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটস সিঙ্গেল দেয়া। শুধু তাই নয়- কারো কারো মতে, শুধু সারিকার উপর জেদ করে মাহিম একটি প্রোডাকশন হাউজ খুলেছেন। যেখান থেকে নিজে নায়ক হয়ে বেশকিছু নাটক-টেলিফিল্ম এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এরইমধ্যে কলকাতা থেকে নায়িকা এনে কিছু প্রোডাকশনের কাজও করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও রেহানের ডিভোর্সের খবরও ভক্তদের কাছে হয়তো কাম্য ছিল না। কিন্তু নিয়তি বলে একটা কথা তো থাকেই। কয়েক মাস আগে হাবিবের ডিভোর্সের খবর মিডিয়ায় বেশ আলোচনাও ওঠে আসে। হাবিব ও রেহানের সংসারের টানাপোড়নের খবর বেশ আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার আসলো পুরোপুরি বিচ্ছেদের সংবাদ। দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানের সঙ্গে হাবিবের আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়ে গেছে কয়েক মাস আগে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে লুবিয়ানাকে প্রথম বিয়ে করেন হাবিব, তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই সংসার ভেঙে যায়। এরপর ২০১১ সালের শেষদিকে পারিবারিক সিদ্ধান্তে হাবিব বিয়ে করেন রেহানকে। এদিকে রেহান আর হাবিবের ডিভোর্সের রেশ কাটতে না কাটতেই মডেল তানজিন তিশার সঙ্গে হাবিবের সম্পর্কের কথা বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ওঠে আসে। হাবিবের সাবেক স্ত্রী রেহানের দাবি এই তানজিন তিশার জন্যই নাকি তাদের সংসার ভেঙেছে। যদিও এ নিয়ে তানজিন তিশা ও হাবিব ওয়াহিদ দুজনে তাদের ফেসবুক পেইজে লিখেছেন- ‘তাদের সম্পর্ক তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে কথা বলতে তারা নারাজ’।

২০১১ সালে দিনাজপুরের সাংসদ শিবলী সাদিককে বিয়ে করেন সালমা। এরপর থেকে সালমা যেন অনেকটা ঘরোয়া মেয়ে হয়ে গেলেন। অথচ ২০০৬ সালে ক্লোজআপ রিয়্যালিটি শো-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সংগীতাঙ্গনে বেশ ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন সালমা। শুধু দেশই নয়, দেশের বাইরেও বিভিন্ন শো এ নিয়মিত অংশ নিচ্ছিলেন তিনি। বিয়ের পরও গান করছিলেন কিন্তু ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। ২০১৬ তে এসে আবারো গানে গানে সরব হোন সালমা। নতুন অ্যালবাম রিলিজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্টেজেও পারফরম করেন তিনি। কিন্তু বিধিবাম, সবকিছু ঠিক চললেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে বিচ্ছেদের মতো এক ঘটনার সামনে পড়তে হয় তাকেও। গত ৩০শে নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স ঘটে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমা ও তার স্বামী শিবলী সাদিকের মধ্যে। বর্তমানে মেয়ে স্নেহা ও বাবা-মাকে নিয়ে সালমা থাকছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায়।

অন্যদিকে সংগীত পরিচালক ইবরার টিপুর সঙ্গে হঠাৎ করেই তার স্ত্রী মডেল-অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদের সংবাদ বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকে। এ বছরের মাঝামাঝি দিকে সংগীত পরিচালক ইবরার টিপুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যায় স্ত্রী মিথিলার। টিপুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। পরে বিন্দু নামের এক গায়িকাকে টিপু বিয়ে করেছেন বলেও জানতে পারেন মিথিলা। এরপরই চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ছেলে ওহীকে নিয়ে সোজা মিথিলা চলে যান নিউইয়র্ক। সেখানেই এখন তিনি স্থায়ীভাবে থাকছেন।

আলোচিত ও সমালোচিত একজন তারকা ছিলেন শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি সাদকে বিয়ে করেন তিন্নি। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে অভিনেতা হিল্লোলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই সংসারটি তাদের বেশিদিন টিকেনি। সে যাই হোক। এখনকার কথা হচ্ছে তিন্নির এই সংসারটিও টিকেনি।

এদিকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবনূরের সঙ্গে তার স্বামী অনিক মাহমুদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছে চারদিকে। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, শাবনূর ও অনিকের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে অনেকদিন হয়েছে। তাই তো শাবনূর এখন ঢাকায় আর তার সাবেক স্বামী অনিক রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।

অভিনেত্রী সোহানা সাবা ও নির্মাতা মুরাদ পারভেজের বিচ্ছেদের কথাও সবার জানা রয়েছে। মতের অমিল হওয়ায় গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তারা আলাদাভাবে থাকছিলেন। অবশেষে চলতি বছরের মার্চে তাদের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছে। আর এই বিচ্ছেদে বাড়তি হাওয়া হিসেবে কাজ করেছিল মুরাদ পারভেজের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কেলেংকারির ঘটনা। মুরাদ পারভেজ পরিচালিত ‘বৃহন্নলা’ সিনেমার গল্প নকল করার অভিযোগে তার ২০১৪ জাতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়া হয়। সোহানা সাবা এবং মুরাদ পারভেজের বিয়ে হয় ২০১০ সালে। বিয়ের প্রায় ৪ বছর পর ২০১৪ সালে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

মিডিয়াতে এত অল্প দিনের জন্য ঘর বোধহয় আর কেউ বাধেনি। বলছি সংগীত শিল্পী হৃদয় খান ও মডেল অভিনয় শিল্পী সুজানার কথা। সাড়ে তিন বছর প্রেম করার পর সুজানা ও হৃদয় বিয়ে করেন। এটি ছিল দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু মাস তিনেক যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। একটা পর্যায়ে তা চরম আকার ধারণ করে। বিচ্ছেদের আগে বনিবনা না হওয়ায় মাস চারেক ধরে আলাদা ছিলেন হৃদয় খান ও সুজানা। অবশেষে অবসান ঘটে মিডিয়ার সবচেয়ে আলোচিত অসম এই বিয়ের।

গত কয়েক বছরে আরো অনেক তারকারই বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। অভিনেত্রী মম ও নির্মাতা এজাজ মুন্না বেশ ঘটাও করেই বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তানও। কিন্তু এই সংসারটিও টিকেনি। এই দম্পতির সংসারে নানান অশান্তির কথা মিডিয়ায় জোরালোভাবে শোনা যায়। যেই রেশ ধরে মমর আত্মহত্যা করার চেষ্টা এবং শেষমেশ মম আলাদা বাসায় উঠার খবর তো সবারই জানা। আর এর অন্তরালে অবশ্য নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে মমর প্রেমের খবরও ছিল। আর এখন তো দুজন উত্তরায় একটি বাসায় একসঙ্গেই থাকছেন। তাদের সম্পর্ক এখন ওপেন সিক্রেট একটা ব্যাপার। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন মম ও শিহাব শাহীন বিয়ে করেছেন।

২০১০ সালে ব্যবসায়ী মাশরুরের সঙ্গে পরিচয় হয় বাঁধনের। পরিচয়ের তিন মাস পরেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী মাশরুরের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বিয়ের এক বছর পর বাঁধনের কোল জুড়ে আসে কন্যা সন্তান সায়রা। সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। কন্যা সায়রার একবছর পূর্ণ না হতেই স্বামীকে নিয়ে বাঁধন বাবার মিরপুরের ফ্লাটে ওঠেন। সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য সংসার। হঠাৎ করেই সুখের সংসারে মনমালিন্য দেখা দেয়। বিয়ের চার বছরের মাথায় স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নারী নির্যাতন মামলা করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রায় দুইবছর ধরে তারা আলাদা বসবাস করতেন। শেষমেশ তাদের ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। কন্যা সায়রাকে নিয়ে বাঁধন এখন মিরপুরে তার বাবার বাড়িতেই আছেন এবং নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন।

 

এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস!

Ñপ্রিন্স মাহমুদ

কাজ ছাড়া ছেলেটা কিচ্ছু বোঝে না। কথা বলে সোজা-সাপটা। চাতুরি করে না।

যখন গাইতে বা বাজাতে বসে প্রচÐ মমতা নিয়েই বসে।

এই মমতা সবার ভেতর থাকে না।

যে অবস্থানে সে আছে সেখানে সবাই পৌঁছুতে পারে না।

ইন্ডাস্ট্রিকে এখন পর্যন্ত কম ব্যবসা দেয়নি ছেলেটা। তার জায়গায় অন্য কেউ হলে

সে যে সম্মানী নেয় তার থেকে তিন গুণ নিতো।

সবচেয়ে বড় কথা ছেলেটা তাঁর বাচ্চার মাকে ছোট করেনি।

এটা কিন্তু শিক্ষা। এই শিক্ষাও সবার থাকে না।

মেয়েটার জন্য একই কথা।

লক্ষ্যভেদী পথিক পথ চলতে গিয়ে হোঁচট খায়। গায়ে ধুলো লাগে। ধুলো ঝেরে

আবার উঠে দাঁড়ায়, ঠিকই উঠে দাঁড়ায়।

ইঃি তাহসান,মিথিলা কীভাবে ভালো থাকবে সেই সিদ্ধান্ত একান্তই ওদের।

আবেগ আতিশয্যে ইচ্ছেমত খÐ খÐ মতপ্রকাশ আমরা নাই করি।

সম্পর্কটা সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে অতীতেও বজায় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে

এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

 

আশাকরি ওরা একটা ভালো সংবাদ দিবে!

জাফরুল্লাহ শরাফত

তাহসান-মিথিলা ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন গত বৃহস্পতিবার। এ নিয়ে অনেকেই ফেসবুকে লিখেছেন। জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার জাফরুল্লাহ শরাফত চৌধুরীও এ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন। শনিবার দুপুরে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন-

‘আমি খেলার জগতের মানুষ, গানের জগতের নই। তাহসান-মিথিলাকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আমাদের। শিক্ষক ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আমি তাহসানকে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে নিয়ে আসি। ওকে আমি অনেক পছন্দ করি। কারণ ও অনেক ভালো ছেলে, ভালো মানুষ। ওর সব ক্ষেত্রেই চাহিদা কম। ও আমাদের দেশের সম্পদ। ভালো শিক্ষক, ভালো গায়ক, ও নাটক করেও অনেক জনপ্রিয়।

দয়া করে তাহসান- মিথিলাকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে বাজে মন্তব্য করবেন না। যারা করবেন আমার ফেসবুক বন্ধু যদি কেউ হয়ে থাকেন তাকে বাদ দেয়ার অধিকার আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। মিথিলার ছবি ব্যবহার করে কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। কারণ মিথিলাকে অসম্মান করে তাহসান কোনো কথা বলেনি।

তাহসান আমার জানা মতে গানের জগতে অনেক ব্যবসা এনে দিয়েছে। নাটকেও। পথিক পথ চলতে গিয়ে হোঁচট খায়। ধূলা-বালি লাগে। ধূলাবালি আবার পড়ে যায়। দয়া করে ওদেরকে শান্তিতে থাকতে দ্যান।

তাহসান আমাদের কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক। ও অনেকের প্রিয় শিক্ষক। ওর থেকে অনেক শিক্ষা নেয়ার আছে। আশা করি, ওরা ওদের ভক্ত-অনুসারীদের একটা ভালো সংবাদ দেবে। অন্তত বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে।

শুভকামনা রইল তাহসানের জন্য। মিথিলার জন্যও শুভকামনা। ভালো থাকো, ভালো করো, এগিয়ে যাও।’

 

আরও ফেসবুক কমেন্টস

সাদিয়া চৌধুরী লিখেছেন, ‘তাহসান-মিথিলার ডিভোর্স ইজ ইট ট্রু নিউজ? ও মাই গড কান্ট বিলিভ। এদের মতো কাপলের ডিভোর্স হলে আর কিসের কি ডেম ইট…।’

তাইফ রহমান ধ্রæব লিখেছেন, ‘তাহসান মিথিলার ডিভোর্স হয়েছে। তাদের চেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। তাদের মন চাইছে আলাদা হয়েছে।’

ইশিকা আলবিনা লিখেছেন, ‘আমি মানতে পারছি না…তাহসান মিথিলার ডিভোর্স, সত্যি কি ওদের বিচ্ছেদ ঘটলো।’

প্রিয়া লিখেছেন, ‘আমার আইকন কাপল ছিলেন আপনারা…তাহসান মিথিলার ডিভোর্স এটা মাথায় আনতেই আমার খারাপ লাগছে…সত্যি আমি আপনাদের কাউকেই অন্য কারো সঙ্গে ভাবতেই পারি না। আমি সত্যিই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি মন থেকে চাই এই নিউজটা ভুয়া হোক। আমি চাই আমাদের ফেভ কাপল থেকে আমরা আরো অনেক কিছু শিখতে।’

লামিশা হায়াত আরশি লিখেছেন, ‘তাহসান- মিথিলার নাকি ডিভোর্স হয়ে গেছে? মানতে পারছি না…এমন কেন হলো?’

মেহরাজ হাসিব লিখেছেন, ‘তাহসান আর মিথিলার ডিভোর্স হইতাছে! আচ্ছা ঠিক আছে!’

তুহিন খান লেখেন, ‘এ কেমন বিচার। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হতে যাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান-মিথিলার।’

হাসান ওয়াহিদ লিখেছেন, ‘আমি একমাত্র তাহসান-মিথিলা আর সাকিব-শিশিরকেই সুখী ভাবতাম। তাহসান-মিথিলা আমার সে ধারণা উল্টে দিলো। এ কেমন বিচার।’

মনো বিশ্লেষণ

কেন এত বিবাহ বিচ্ছেদ?

Ñড. মোহিত কামাল, মনোরোগ বিষেজ্ঞ

একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা। পেশাগত নানান ব্যস্ততায় সামাজিক ও সাংসারিক বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। পরস্পরের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ও কম্যুনিকেশনের ক্ষেত্রে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দীর্ঘ বছর ভালোবাসার পরও সংসার ভাঙছে। প্রেমে পড়লে পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে জায়গাটা তৈরি হয় বিয়ের পর তা নানা কারণে বাস্তবায়ন হয় না। এর ফলে স্বপ্নগুলো ভেঙে যেতে থাকে। অতীতকালে অধিকাংশ প্রেমিক-প্রেমিকা এক্ষেত্রে একটা সমঝোতা মেনে চলতো। সমঝোতা মানেই পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেয়া। মেয়েদের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা ঘটতো বেশি। প্রেম করে বিয়ে করেছি। সংসারে বনিবনা হচ্ছে না। তবুও নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। কারণ কোথাও তো আর যাবার সুযোগ নাই। বাধ্য হয়ে স্বামীর ঘরে মুখ বুঝে পড়ে থাকা। বর্তমান সময়ে নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রায় সমান সমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরা আর মুখ বুঝে চলার সেই রীতিনীতি মানছে না। স্বাবলম্বী নারী অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর অন্যায় আচরণ মেনে নিতে না পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে। স্বামী হয়তো চাকরি অথবা কাজের জন্য ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। স্ত্রী ঘরে একা সামাজিক যোগ যোগ মাধ্যমে ঢুকে সে সময় কাটানো শিখলো। নতুন বন্ধু তৈরি হলো। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে অর্থাৎ স্বামীর সঙ্গে আর থাকা সম্ভব নয় ভেবে নতুন ভালোবাসা ও নির্ভরতার লোভে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে এগিয়ে গেল। শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই নয়। পুরুষের বেলায়ও এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। নিজের বউ সুন্দর নয়। তার কথাবার্তা ভালো নয়। অন্যের বউ সুন্দর, কি মিষ্টি করে কথা বলে। একটা মোহ তৈরি হলো। সংসারে দেখা দিল মনস্তাত্তি¡ক সমস্যা। ঠিক চলো এবার থেকে আলাদা থাকি। কারও কারও কাছে ব্যাপারটার ফ্যাশনের পর্যায়েও দাঁড়িয়েছে। অনেকে ছোট ছোট সন্তানকে ফেলে ডিভোর্স-এর মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর ফলে পারিবারিক সম্পর্ক অর্থাৎ বন্ধন দিনে দিনে শিথিল হচ্ছেন। এর জন্য বিভিন্ন টিভি মাধ্যমের নাটক ও অনুষ্ঠানও কম দায়ী নয়। পারিবারিক ভাঙন এ ষড়যন্ত্রের ওপরই আজকাল অনেক টিভি চ্যানেলে নাটক প্রদর্শিত হয়। অধিকাংশ নাটকে গুরুত্বপূর্ণ করে পরকীয়াকে দেখানো। খল চরিত্র হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাব পড়ছে দর্শকদের বাস্তব জীবনেও।

গবেষণায় দেখা গেছে বিয়ের পর একটা দম্পত্তির মধ্যে প্রেম ও ভালোবাসার তীব্রতা থাকে ৪/৫ বছর। এরপর দু’জনের মধ্যে মায়ার বাঁধন তৈরি হয়। মায়ার বাঁধনই সংসারটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়ার বাঁধন নাই। কেউ কাউকে মায়ায় জড়াতে চায় না। একজনের অন্যজনকে ভালো লাগছে না ব্যস হঠাৎ করেই নেয়া হলো বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই আবার অনুশোচনায় ভোগে।

সংসার তো আসলে একটি ঘরের মধ্যে দু’জন বিপরীত মুখী মানসিকতার মানুষের আবাসস্থল নয়। সংসার মানে হলোÑ স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের মধুরতম জায়গা। এখানে মায়া ও মমতা দরকার। দু’জনের মধ্যে কম্যুনিকেশন গ্যাপ থাকলে সংসার কখনই সুখের হয় না। এক্ষেত্রে বিচ্ছেদই ভালো। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকারÑ বিচ্ছেদ কখনই কাম্য নয়। বিচ্ছেদ মানুষকে সংকীর্ন করে। সংকীর্ন মনের মানুষ কখনই সমাজে আলো ছড়ায় না।