Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

গণমাধ্যমের ভিত্তি এখন নড়ে গেছে

রাজু আলীম
মাহ্ফুজ আনাম, সভাপতি, সম্পাদক পরিষদ, সম্পাদক ও প্রকাশক, ডেইলি স্টার
ইংরেজী সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টারের প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম ১৮ জুন ১৯৫০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। মাহফুজ আনামের পিতা স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক প্রয়াত আবুল মনসুর আহমেদ। মাহফুজ আনাম বাংলা ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। মাহফুজ আনাম বিনোদন পত্রিকা পাক্ষিক আনন্দধারা এবং সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকারও প্রকাশক। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন নামক একটি বেসরকারী সংস্থার তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৭-১৯৯০ এই সময়কালে তিনি জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ১৯৬৭-১৯৭০ সময়কালে পরপর তিন বছর সর্ব পাকিস্তান বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৭৬ সালে জেফারসন ফেলো নির্বাচিত হন। তার সাংবাদিক জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তিনি বহু কৃতিত্বের অধিকারী। মাহ্ফুজ আনাম সম্প্রতি সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে জাহিদ নেওয়াজ খানের পরিকল্পনা এবং রাজু আলীম এর প্রযোজনায় চ্যানেল আই এর টু দ্য পয়েন্ট অনুষ্ঠানে একান্ত সাক্ষাতকারে মিলিত হয়েছিলেন সোমা ইসলামের সাথে। তারই চুম্বক অংশ আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য
আনন্দ আলো: আপনি সম্প্রতি সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শুরুতেই জানতে চাই মুদ্রণ মাধ্যমের ভবিষ্যৎ কী?
মাহ্ফুজ আনাম: সম্পাদক পরিষদের মূল দায়িত্ব হলো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং এটাকে আরও প্রসারিত করা। এটা একটি দায়িত্ব। আর দ্বিতীয়ত হলো- পেশাগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও বেশি প্রটেক্ট করা। তাদের কাজের ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ধরণের যে চাপ তাদের উপরে আসে তা থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখা। তাদের উপরে মামলা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে জেলে নেওয়া হয়। এই জায়গায় কিভাবে সম্পাদক পরিষদ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াতে পারে এই বিষয়ে কাজ করা। আর তৃতীয় কাজ হচ্ছে সম্পাদকদের যে কাজ এডিটোরিয়াল ইন্সটিটিউশন বলতে যা বোঝায় তা হলো পত্রিকার কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ, বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষা করা এবং আস্তে আস্তে পত্রিকার মান উন্নত করা- এটাই একজন সম্পাদকের কাজ। তাই সম্পাদক পরিষদ এই ৩ জায়গায় কাজ করবে। আমরা একটা পরিকল্পনা করছি- আসলে সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে প্রিন্ট যেটা এর ভবিষ্যত কি? এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা দেখেছি ওয়াশিংটন পোস্টের মত বিখ্যাত কাগজ, নিউইয়র্ক টাইমস এর মত বিখ্যাত কাগজ এবং গার্ডিয়ানের মত কাগজ- এরা এখন প্রিন্ট অনলাইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে নজর দিচ্ছে। আসলে মূল কথা হচ্ছে- ভবিষ্যতে একটা মার্জার করছে বিটুইন ডিজিটাল এন্ড দ্য প্রিন্ট। এই দুইটার অস্তিত্বের মাধ্যমেই কিন্তু ভবিষ্যত সংবাদপত্র মাধ্যমের টিকে থাকা নির্ভর করবে। যেমন, আমাদের ডেইলি স্টার এখন একটি সংবাদপত্র। কিন্তু ভবিষ্যতে হয়ে যেতে হবে কনটেন্ট প্রডিউসার। তাই ডেইলি স্টার কনটেন্ট তৈরী করবে। খবর, অভিমত, ফিচার, ফটো জার্নালিজম- সব মিলিয়ে আমরা কনটেন্ট তৈরী করবো। এই কনটেন্ট আমি প্রিন্টে দেবো, মোবাইলে দেবো, অনলাইনে দেবো, মাল্টি মিডিয়ায় দেবো- এইভাবে আমার বহুমুখি প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমার পাঠকদের কাছে পৌছাবো- এটিই হবে ভবিষ্যতের সব গণমাধ্যমের ভবিষ্যত। যেমন, টেলিভিশন শুধু টেলিভিশনের মধ্যে থাকলে হবে না? তাকে যেতে হবে টেক্সচুয়াল জার্নালিজমে। বিবিসি এর সব প্রোগ্রাম দেখেন- তারা লিখছে, প্লিজ সি দ্যা প্রোগ্রাম। অনলাইনে যান। তারা টেক্সট দিচ্ছে এবং সেই সাথে তার ফুটেজও দিচ্ছে। ভবিষ্যতের গণমাধ্যম একই কেন্দ্র অভিমুখে সবাই মিলিত হবে। কনভারজেন্স ঘটবে ভবিষ্যতে।
আনন্দ আলো: সংবাদপত্রের ভবিষ্যত তাহলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?
মাহ্ফুজ আনাম: গণমাধ্যম এখন বিরাট রূপান্তরের ভেতরে দাঁড়িয়ে আছে।কারও অবস্থান এখন আর আগের মত বলিষ্ঠ নয়। গণমাধ্যমের ভিত্তি এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। আমি সম্পাদক হিসেবে যদি আগের মানসিকতা নিয়ে চলি তাহলে আমার পত্রিকা আর টিকবে না। পাঠক এখন আগের নিউজ পেপারের মত কনটেন্টে সন্তুষ্ট নন।
আনন্দ আলো: তার মানে… পরের দিন কি থাকছে তার জন্যে পাঠক আর অপেক্ষায় নেই?
মাহ্ফুজ আনাম: অনেকটা তাই… ধরেন, সকালে আপনি ডেইলি স্টার পড়েছেন। সারাদিন আপনি কি করলেন? পরের দিন সকালে কি আবার ডেইলি স্টার পড়ার জন্যে আপনি বসে থাকবেন? আপনি সারাদিন মোবাইলের মাধ্যমে, অনলাইনের মাধ্যমে এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর আপনি শুধু শুনছেনই না। খবর আপনি টেলিভিশনে দেখছেন যে, কি ঘটেছে? তো ডেইলি স্টার যদি পরের দিন ওই একই খবর নিয়ে আপনার দরজায় হাজির হয়- আপনি বলবেন যে, এই খবর তো আমি অলরেডি জেনে গেছি? জেনে যাইনি শুধু, আমি তা অলরেডি দেখে ফেলেছি। তাই ডেইলি স্টার পরের দিন আপনার দরজায় কি নিয়ে আসবে? নিয়ে আসবে এক্সপ্লেনেশন, সে নিয়ে আসবে কনটেক্সচুয়ালাইজিং, সে নিয়ে আসবে এনালাইসিস, সে নিয়ে আসবে এর থেকে কি প্রেডিক্ট করা যায়? তাই ভবিষ্যতের নিউজ পেপার হবে মোর এনালিটিক্যাল, মোর কনটেক্সচুয়ালাইজিং এবং মোর ব্যাকগ্রাউন্ডিং প্লাস অনেক বেশি ফিচার রিলেটেড। খুব সহজে বলতে গেলে নিউজ প্লাস হতে হবে।
আনন্দ আলো: গণমাধ্যমের এই ডিজিটাল যাত্রায় বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?
মাহ্ফুজ আনাম: বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে আমি বলবো। এখন মোবাইলে আমাদের হিসাব অনুযায়ী ডেইলি স্টারের ৬০ পারসেন্ট পাঠক অনলাইনে আসে ফেসবুক থেকে। তাই ফেসবুকের ওই প্ল্যাটফর্মে আমাকে উপস্থিত থাকতে হবে। তারপরে মোবাইল নিউজে আমাকে যেতে হবে। মোবাইল নিউজের কিন্তু ধরণ ভিন্ন। আমি যদি আমার প্রিন্টের মত নিউজ লেখি মোবাইলে তা পড়ার ধৈর্য্যই কারো নাই। তাই আমার পুরো নিউজরুমে মোবাইলের নিউজ লেখার জন্যে এক ধরণের নতুন দক্ষতার প্রয়োজন। যারা খুব সংক্ষিপ্ত লিখবে এবং কয়েকটা শব্দের মাধ্যমে পাঠককে সব কিছু জানিয়ে দেবে এবং তাদেরকে যথেষ্ট কৌতুহলী করবে পুরো নিউজটায় যেতে। কিন্তু পুরো নিউজটাতে ৭০-৮০ ভাগ মানুষ যাবেই না। মোবাইলের কথা বলছি। তাই মোবাইলের লেখার ধরণ কিন্তু অন্যরকম। ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রপিংয়ের সিদ্ধান্ত অন্যরকম। মোবাইলের স্ক্রিন কিন্তু খুব ছোট। তাই লেখার ধরণ ও প্রেজেন্টেশনের ধরণ পাল্টাতে হবে এবং কি পাঠক চায় তা নিয়ে সারাক্ষণ সচেতন থাকতে হবে। নতুন মিডিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো ইন্সট্যান্ট ইন্টার‌্যাকশন। একটি নিউজ অনলাইনে বা মোবাইলে ছাপালে দশ মিনিটের মধ্যে দশ বিশ টা কমেন্ট পেয়ে যাচ্ছেন। এক ঘন্টার মধ্যে কয়েক শত কমেন্ট আসবে। সাথে সাথেই জানা যাচ্ছে। কোন নিউজটা পাঠক পছন্দ করছেন আর কোনটা করছেন না। আগের সংবাদপত্রে তো পাঠকের ভাললাগা মন্দ লাগা জানাই যেতো না। এডিটরের কাছে চিঠি লেখার মাধ্যমেই ছিল তা জানানোর একমাত্র পথ। নতুন যুগে মিডিয়ার উৎসাহের বিষয় হলো- কন্সট্যান্ট ইন্টারঅ্যাকশন উইথ ইওর অডিয়েন্স।

আনন্দ আলো: মানুষ ঘরের টিভির স্ক্রিনে থাকবে, নাকি মোবাইলের স্ক্রিনে থাকবে নাকি ছাপার কাগজে থাকবে- এ তো বিরাট প্রতিযোগিতা?
মাহ্ফুজ আনাম: পাঠক সব জায়গায় থাকবে। পাঠককে ধরে রাখতে হলে সব জায়গায় থাকতে হবে। সকালে কাগজে, সারাদিন মোবাইলে, মাল্টিমিডিয়ায় এবং পরের দিন আবারো কাগজে থাকবে।
আনন্দ আলো: পত্রিকাকে ডিজিটাল পথে যেতে বড় বাঁধা হচ্ছে রেভিনিউ আয় করা। সবাই তো সাধ্য মত পারে না। রেভিনিউয়ের দিকে যেতে কি করতে হবে?
মাহ্ফুজ আনাম: গুগোল ফেসবুক বাংলাদেশ থেকে ৫০ ভাগ আয় কিন্তু নিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে এতো পাঠক দর্শক তাই সেখানে বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল বিজ্ঞাপন ওখানে যাচ্ছে। তাই একটা ইংরেজী কাগজের প্রতিযোগী আরেকটি কাগজ নয়। এর বিশ্বমানের প্রতিযোগী হলো ফেসবুক ও গুগোল। ইতিমধ্যে তারা বেশির ভাগ বিজ্ঞাপন রেভিনিউ তারা নিয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, এটি বিশ্ব জোড়া ফেনোমেনা। তাই তারা ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানী হয়ে গেছে আর আমরা আগের জায়গায়ই পড়ে আছি। তাই খুব সচেতনভাবে তাদের সাথে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। আর নিজেদের মধ্যে তো আছেই। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আয় হচ্ছে ভবিষ্যতের বিজনেস মডেল। ডিজিটাল থেকে যদি আমি আয় করতে পারি তাহলে কোন কোন খাতে আমার কস্ট কমে যাচ্ছে। প্রথমে নিউজপ্রিন্ট আমাকে কিনতে হচ্ছে নাই। এইখানে একটা বিরাট সেভিং। প্রিন্টিং এ কোন কস্ট নাই। ছাপার কোন খরচ নাই। ডিস্ট্রিবিউশন কস্ট না। হকারকে কাগজের মূল্যের মিনিমাম ৩৫ শতাংশ দিয়ে দিতে হচ্ছে। তারপরে তা তারা ডিস্ট্রিবিউশন করে। একটা পাঠক কেউ সকালে পায় কেউ পরে পায়। আমার ডিস্ট্রিবিউশন কস্ট নাই। এই কস্ট যদি সাংবাদিকদের পেছনে খরচ করি। যদি খুবই যোগ্য যোগ্য সাংবাদিককে আমার কাগজে নেই। তাহলে কনটেন্টের কোয়ালিটি বাড়বে। ভবিষ্যতে সত্যিকার সাংবাদিক হতে মাহ্ফুজ আনামের যে শিক্ষাগত যোগ্যতা তা দিয়ে সম্পাদক হওয়া যাবে না। আরও বেশি শিক্ষিত হতে হবে।
আনন্দ আলো: এরচেয়ে আরও বেশি? আর কি কি লাগবে?
মাহ্ফুজ আনাম: ভবিষ্যতের জার্নালিস্টদের আরও হাইলি কোয়ালিফাইড হতে হবে। যেমন, যে হেলথ রিপোর্ট করবে হেলথে তার বিরাট পারদর্শিতা থাকতে হবে। কিন্তু এখন তো সবাই জ্যাক অব অল ট্রেড। এখন তো রিপোর্টার সে আজকে হেলথ, কালকে এডুকেশন তো পরশুদিন সায়েন্স বিট করে। এই যুগ আর নেই। সামনে সাংবাদিকদের জন্যে বিশাল দরজা খুলে যাচ্ছে। ডিজিটাল মিডিয়ায় সকালের নিউজ দুপুরে আপডেট করা যাচ্ছে। স্টোরীর সাইজের কোন লিমিট নাই। এখন রিপোর্টারকে বলে দেই তুমি ২৫০/৩০০ শব্দের বেশি লিখতে পারবে না। সে যদি এক হাজার শব্দেরও স্টোরী দেয় তার জন্যে অনলাইনে আমার অজস্র জায়গা আছে। তারপরে মাল্টি মিডিয়াতে স্টোরীর সাথে সাথে ভিডিও দেয়া সম্ভব হচ্ছে। নদী দূষণে এখন আমরা শুধু লিখছি না। ক্যামেরা দিয়ে ফুটজ এবং ছবিসহ লিখছি।
আনন্দ আলো: টেলিভিশনের তো লাইসেন্স আছে কিন্তু অনলাইন পত্রিকার অনলাইন নিউজের সাথে ভিডিও যাচ্ছে। তার জন্যে তো কোন অনুমতি তাদের নাই?
মাহ্ফুজ আনাম: এটি যুগের দাবি।
আনন্দ আলো: এটি কি নীতিমালায় বৈধ?
মাহ্ফুজ আনাম: পরিস্থিতির সাথে নীতিমালার তো পরিবর্তন করতে হবে। প্রযুক্তি তো আপনাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে নীতি নিয়ে বসে থাকেন তাহলে তো প্রযুক্তি আপনাকে ছাড়িয়ে যাবে। টেলিভিশনও তো এখন তাদের কনটেন্ট টেক্সট আকারে দিচ্ছে। সিএনএন, বিবিসি সবাই একইভাবে এই ধারায় আছে। অনেকক্ষেত্রে টেলিভিশনের চেয়ে তাদের টেক্সট স্টোরী অনেক বেশি পপুলার হয়। চ্যানেই আই এর অনলাইনও তো আছে। সেখানেও আপনাদের পারদর্শিতা দেখাতে হচ্ছে। শুধু টেলিভিশনের ভেতরে থাকলে অন্য মিডিয়াতে আপনি অনুপস্থিত থাকবেন। তাই প্রযুক্তি সবাইকে সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। কোন ইনভেস্ট ছাড়াই ইউটিউবে চ্যানেল তৈরী করা যাচ্ছে। এখন তো সবাই জার্নালিস্ট। সিটিজেন জার্নালিজম বলে একটা টার্ম আছে। গ্রুপ করে অনলাইনে নানা সামাজিক সচেতনতামুলক কনটেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এর ব্যাপক চাহিদা আছে। কিন্তু নীতিমালার কথা বলে তা যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে তো এই সব ভাল জিনিস পাওয়া যাবে না। তাই প্রযুক্তির এই সুযোগকে সবারই কাজে লাগাতে হবে।