Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

খন্ড নাটকের প্রতি সবার আগ্রহ বেশি

ধারাবাহিকের চেয়ে খন্ড নাটকের দর্শক বেশী অভিনেতা ইনেৱখাব দিনার বর্তমানে ধারাবাহিক, খন্ড নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় নিয়ে ব্যসৱ সময় পার করছেন। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-

আনন্দ আলো: বর্তমান ব্যসৱতা কী নিয়ে?

ইনেৱখাব দিনার: ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়েই বেশি ব্যসৱ রয়েছি। এছাড়া খন্ড নাটক ও টেলিছবির কাজ করছি। বর্তমানে আমি অর্ধডজন ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। এগুলো নিয়মিত বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘কাছাকাছি’, ‘এই কূলে আমি ঐ কূলে তুমি’, ‘রোড নম্বর সাত বাড়ি নম্বর তেরো’, ‘সাতটি তারার তিমির’, ‘স্বর্ণলতা’ ও ‘মায়ার বাঁধন’।

আনন্দ আলো: বিজরী বরকতউল্ল্যাহ ও আপনি তো একটি ধারাবাহিকে একসাথে অভিনয় করছেন?

ইনেৱখাব দিনার: হ্যাঁ। আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ‘কাছাকাছি’ ধারাবাহিকে একসাথে অভিনয় করছি। এ ধারাবাহিকে আমার চরিত্রটি একজন প্রকৌশলীর। আর বিজরী একজন ঘটকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এতে আরো অভিনয় করছেন- জেনি, শতাব্দী ওয়াদুদ, সাজু খাদেম, স্বাগতা, এজাজুল ইসলাম প্রমুখ।

আনন্দ আলো: ধারাবাহিক নাকি খন্ড নাটক- কোন ক্ষেত্রে অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে?

ইনেৱখাব দিনার: ধারাবাহিক নাটকের চেয়ে খন্ড নাটকে অভিনয়ে আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ ধারাবাহিক নাটকে দীর্ঘ সময় নিয়ে অভিনয় করতে হয়। এজন্য নাটকের শেষ লটে অনেক শিল্পীকেই অভিনয়ের জন্য পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে নাটকের মান খারাপ হয়ে যায়। এছাড়া আমার মনে হয়, ধারাবাহিকের চেয়ে খন্ড নাটকের প্রতি দর্শকের বেশি আগ্রহ বেশী।

আনন্দ আলো: বর্তমানে টিভি নাটকের মান কেমন বলে আপনি মনে করেন?

ইনেৱখাব দিনার: সব নাটক যে খুব ভালো হচ্ছে আবার সব নাটক খুব খারাপ হচ্ছে সেটা বলা যাবে না। তবে অ্যাভারেজে বলবো বর্তমানে আমাদের নাটকের মান খুব একটা ভালো নয়। কারণ দর্শক এখন টিভি নাটক খুব একটা দেখে না। তাছাড়া স্বল্প বাজেট সমস্যা তো রয়েছেই। তবে আশা করছি, নাটকের মান আবার ভালো হবে। কারন এখন একাধিক গুণী নির্মাতা ভালো গল্পের নাটক নির্মাণে সচেষ্ট হচ্ছেন।

আনন্দ আলো: সাংসারিক জীবন কেমন চলছে?

ইনেৱখাব দিনার: আমাদের সংসার জীবন খুব ভালোই কাটছে। বলা যায়, সংসার জীবনে আমরা দু’জনেই খুব সুখী। সারাজীবন যেন সুখে থাকতে পারি সবার কাছে এই দোয়া চাই।

এবার ‘অমিয়া’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নামঞ্জুর’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অমিয়া শিক্ষিতা মেয়ে। তৎকালীন সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেকে আর দশজন সাধারণ মেয়ের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল নিজেকে। তার পাশে ছিলো অনিল। অমিয়া ও অনিল মিলে একটি সংস্থা গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে দু’জনে মিলে সমাজের অন্যায়, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। একসঙ্গে চলতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সামাজিক কারণে এই প্রেম পরিণতি পায় না। ‘নামঞ্জুর’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত নাটকে অমিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন লাক্স-চ্যানেল আই তারকা নাদিয়া আফরিন মিম। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকবির গল্পের নায়িকা হলেন তিনি। ২০১৪ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মুকুট জয়ের পরের বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে নির্মিত ‘লাবণ্য’ টেলিছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন নাদিয়া। তিনি বলেন, ‘তখন নতুন ছিলাম, তবে এবার ভালোভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রকে আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা করেছি। নাটকে অমিয়া রাজনীতি করে। এজন্য সে অনেক সাধারণভাবে থাকে। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে এখানে আমাকে অত্যনৱ সাধারণ সাজগোজে উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরো নাটকে শাড়ি পরেছি। মনে হচ্ছিলো আমিই যেন অমিয়া! নাটকে অনিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা জিতু আহসান। নাট্যরূপ ও পরিচালনা করেছেন নাহিদ আহমেদ পিয়াল।  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে চ্যানেল আইতে নাটকটি প্রচার হবে।

ধারবাহিক ‘আয়নাঘর’

এটিএন বাংলায় প্রতি সোমবার রাত ১০.৫৫ মিনিটে প্রচার হয় ধারাবাহিক নাটক ‘আয়নাঘর’। মাসুম রেজার রচনা ও এস এ হক অলিকের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আল মনসুর, সাবেরি আলম, নাদিয়া, সোনিয়া, অহনা, আমব্রিন, অপূর্ব, শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাব্বির তপনসহ অনেকে।

মুলত একটি পারিবারিক গল্পকে কেন্দ্র করেই ধারাবাহিকটি নির্মিত। একই পরিবারে তিন ভাই তাদের স্ত্রী ও সনৱানকে নিয়ে একসঙ্গে থাকেন। পরিবারের কর্তা বড় ভাই। সকল সিদ্ধানৱই তার মতামতের উপর ভিত্তি করে নেয়া হয়। এমনই একটি একান্নবর্তী পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরী হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘আয়নাঘর’। নাটকের নামকরনের মাধ্যমে মূলত বোঝানো হয়েছে নিজেদের বিবেককে। বর্তমান সময়ে মানুষ একক পরিবারে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকার মাঝে যে আনন্দ আছে তা এই নাটকে বোঝানো হয়েছে।