Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কিছু নাটক কিছু কথা

ধারাবাহিক নাটক ‘মাফ কইরা দেন’-এর কথাই ধরা যাক। মোশাররফ করিম অভিনীত এই নাটকের দৃশ্যে হাসির খোরাক ছিল। ‘যমজ’ নাটকটি দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে প্রতি ঈদেই। এবার প্রচার হয়েছে নাটকটির ১১তম নির্মাণ। কিন্তু পুরো নাটকে হাসির জায়গাটি খুঁজে পেতে একটু কষ্টই হয়েছে বৈকি। সিরিয়াস গল্পের নাটক-টেলিছবির কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘২২ শে এপ্রিল’ টেলিছবির কথা। অগ্নিকাÐের হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে নির্মিত এই টেলিছবির প্রমোশনালটি ছিল করুণ এবং কৌতূহল জাগানিয়া। নাটকটি নিয়ে দর্শকদের ভালো লাগা ফেসবুকে দেখা গেছে। নাটকটি ছিল বেশ আলোচনায়।
এরকম আরেকটি নাটক হচ্ছে আশফাক নিপুণের ‘মিস শিউলি’। এই নাটকটি নিয়েও অনেকে প্রশংসা করেছেন। শিহাব শাহীনের যাদুকরী পরিচালনায় ‘এক হৃদয়হীনা’ ও ‘বাউন্ডুলে’ টেলিফিল্ম দুটি দর্শকদের মুগ্ধ করে। তরুণ নির্মাতা মহিদুল মহিমের ‘মন বদল’, ‘আনোয়ার দ্যা প্রোডাকশন বয়’ ও ‘এই শহরে ভালবাসা নেই’ নাটকগুলো সুধীমহলে প্রশংসা পেয়েছে। এমনিভাবে বলা যায়- মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘দেখা হবে কী’, ‘প্রতি বৃহ:স্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা’ ও ‘শেষটা সুন্দর’, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘আমাদের দিনরাত্রি’, ‘আঙ্গুলে আঙ্গুল’, আমরাউল রাফাতের ‘আমার বউ’, ‘টু বি ওয়াইফ’, রাফাত মজুমদার

রিংকুর ‘বেবী রাসেল’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘শিশির বিন্দু’, মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘ফালতু’, মাহমুদুর রহমান হিমির ‘অ্যাকসিডেন্টাল ব্রেকআপ’ ও ‘টেস্ট রিপোর্ট’, ইউসুফ চৌধুরীর ‘কটন বাড’, তপু খানের ‘কবুল’, ‘কি করে তোকে বলবো’ ও ‘প্রেমে পড়া বারণ’ সহ আরো কিছু নাটক। তবে এসব নাটকের পাশাপাশি ইউটিউবে অনেক ভিউ হয়েও সেসব নাটক নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। যেমন কাজল আরেফিন অমির ‘দ্যা ইন্ড’ নাটকে তানজিন তিশা নিশোর কলার চেপে ধরে গালাগালি করার দৃশ্যটি নিয়ে ফেসবুকে বেশ সমালোচনা করেন অনেকে। এমনিভাবে এই পরিচালকের ‘ব্যাচেলর ট্রিপ’ নাটকটি নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। এই নাটকটিরও ভিউ ভালো। কিন্তু নাটকে কিছু আশালীন দৃশ্য এবং শুধু মাত্র দর্শকদের বিনোদন দেয়ার জন্য কিংবা ইউটিউব ভিউয়ের জন্য যাচ্ছে তাই ভাবে সংলাপ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম আরও একটি নাটক বাংলা ভিশনে প্রচারিত সুমন আনোয়ারের ‘অন্ধকার ঢাকা’। যেখানে মমকে বেশ খোলামেলা পোশাকে দেখা যায়। যা নাটকের জন্য দৃষ্টিকটুই বটে।