Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এ কেমন মুখের ভাষা

বিশেষ প্রতিনিধি
বদলে যাচ্ছে এক শ্রেণীর তরুণ-তরুণীর মুখের ভাষা। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষা বাংলা যেন তাদের কাছে উপেক্ষিত। ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে অভিজাত শ্রেণীর পরিবারের তরুণ সদস্যদের চর্চায় ভিন্নরকমের এক ভাষা গুরুত্ব পাচ্ছে। অনেকেই এই ভাষার নাম দিয়েছেন বাংরিজ ভাষা। এব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকেই সচেতন বার্তা দেয়া হচ্ছে না। ফলে বাংরিজ ভাষার দাপট বেড়ে যাচ্ছে তরুণ সমাজে। ‘ভাই’ হয়ে গেছে ‘ব্রো’। তরুণদের আড্ডায় ‘হাই ব্রো’ এই ইংরেজি বাক্যটি প্রায়শই শোনা যায়। তরুণদের মাঝে ঢাকাইয়া মধুর ভাষাকে বিকৃত করার প্রবণতাও কম নয়। সরকারী ভাবে নির্দেশনা থাকা সত্বেও অধিকাংশ রেডিও স্টেশনে বাংলা-ইংরেজির মিশেল ভাষা উৎসাহ পাচ্ছে। অধিকাংশ বেসরকারী রেডিও মাতৃভাষা বাংলা চর্চার ক্ষেত্রে মোটেই আগ্রহী নয়। বরং তারা বাংলার সাথে ইংরেজিকে মেশাতেই যেন আনন্দ ও উৎসাহ পান। একটি রেডিও স্টেশনের উপস্থাপকের মুখের ভাষা পড়ুনÑ ‘হাই ফ্রেন্ড আমরা এখন আপনাদের উদ্দেশ্যেমা হিসেবে আমাদের জীবনে একটি সং ডেডিকেট করছি’। আবার বোন হয়ে যাচ্ছে ংরং. যেমন হাই ব্রো’র মতো হাই ‘সিস’ এখন এক শ্রেনীর তরুণদের ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় শব্দ। কাউকে পছন্দ হয়েছে বলার ক্ষেত্রে বলা হয় ‘ক্রাশ’ খাইছে। বেশী গরম বোঝাতে ‘হট’ লাগছে বলা হয়। এরকম অসংখ্য বাংরিজ শব্দ ঢুকে গেছে এক শ্রেণীর তরুণ-তরুণীর মুখের ভাষায়। ফলে তরুণদের মাঝে প্রমিত বাংলা ভাষা ক্রমান্বয়ে গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বললেন, ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে তর্যুণদের উচিৎ মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেয়া। এক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।