Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

গানবাজনা

এখন গান দেখারও বিষয়-বিউটি

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা নাসরিন আক্তার বিউটি। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ শোর পাশাপাশি নতুন অ্যালবামের  কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। নতুন অ্যালবাম ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে।

আনন্দ আলো: বর্তমানে আপনার ব্যস্ততা কী?

বিউটি: শুধু গান নিয়েই আমার ব্যস্ততা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে লাইভ শো করছি। সাঁইজির গান নিয়ে নতুন এককের কাজ করছি। এছাড়া দেশ-বিদেশে স্টেজ প্রোগ্রাম করে যাচ্ছি নিয়মিত।

আনন্দ আলো: আপনার নতুন একক অ্যালবামের কী খবর?

বিউটি: আমার নতুন অ্যালবামটিতে লালনের প্রচলিত গানের পাশাপাশি কিছু অপ্রচলিত গানও থাকবে। এটি পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম আকারেই প্রকাশ করব। তবে এটি লালন সঙ্গীতের অ্যালবাম হলেও এতে একটি মৌলিক গান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ অ্যালবামের জন্য বেশ কিছু গান নির্বাচন করেছি। নতুন বছরের শুরুতে অ্যালবামটি প্রকাশের ইচ্ছা আছে।

আনন্দ আলো: এখন আর কেউ ১০/১২টি গান দিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করছে না। একটি দুটি সিঙ্গেল করে প্রকাশ করছে। এ বিষয়টিতে আপনার অভিমত কী?

বিউটি: আগে গানের গ্রহণযোগ্যতা বা বাণিজ্যিক ব্যাপারটা অনেক বেশি ছিল। মানুষ গানের অ্যালবাম কেনার জন্য মুখিয়ে থাকত। এখন শোনার পাশাপাশি গান দেখারও একটা বিষয়। অটো টিউনার বা যন্ত্রের প্রভাব এত বেশি যে কে গাইছে সেটাও নির্দেশ করছে মিউজিক ভিডিও। ১০-১২টি গানের অ্যালবাম করলে যে খরচ, সেটা তোলাও কঠিন। তাই শিল্পীরা দু-একটা গান করে সে গুলো মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করছেন। নিজেদের স্ক্রিনে ধরে রাখছেন। এটা অবশ্য শোর ক্ষেত্রে কাজে লাগছে। শ্রোতারা বঞ্চিত হলেও এখানে শিল্পীরা নিরুপায়।

কুমার বিশ্বজিৎ-এর নতুন অ্যালবাম

Kumar-Bijjow-jit-1-2চলতি বছরই নিজের প্রথম মিউজিক্যলি ফিল্ম ‘সারাংশে তুমি’ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। এটি বেশ সাড়া ফেলে শ্রোতা-দর্শক মহলে। এখানে তার সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেন সামিনা চৌধুরী, ন্যানসি ও শুভমিতা। এদিকে এ অ্যালবামের  পরই স্টেজ শো ও নতুন গান রেকডিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছু দিন ব্যস্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে সফর নিয়ে। সেখানে কয়েকটি শোতে অংশ নিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার শোতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিশ্বজিৎ। এর আগেই তিনি কাজ শুরু করেছিলেন নিজের নতুন একক অ্যালবামের। একটু সময় নিয়ে এ অ্যালবামের কাজটা করছেন তিনি। এরই মধ্যে কয়েকটি ট্র্যাকের কাজও শেষ হয়েছে। কয়েকজন গীতিকারের গান থাকছে তার এ অ্যালবামে। গানগুলোর সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করছেন কুমার বিশ্বজিৎ নিজেই। এ বিষয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, একক অ্যালবামের কাজ আরও আগেই শুরু করেছি। তবে স্টেজ শো ও অন্যান্য কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম এতদিন। এখন আবার কাজ শুরু করেছি। বেশ কিছু ভিন্নধর্মী কথা ও সুরের গান তৈরি করছি। কিছু চমকও থাকবে। আমার বিশ্বাস গানগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

দশ বছর পর তপু-আনিলা

Tapu-Anila‘এক পায়ে নূপুর’ গানটি দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনায় এসেছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী তপু ও আনিলা। ২০০৬ সালের এই গানটির পর অবশ্য তাদের একসঙ্গে আর কোনো গানে পাওয়া যায়নি। দশ বছল পর আবারও তপু-আনিলা একসঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘যাবে কী চলে’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন তপু। সুর করেছেন যাত্রী ব্যান্ড দলের সদস্য শামস। গানটির সঙ্গীতায়োজনের কাজ চলছে। তাদের এগানটি যাত্রী ব্যান্ড দলের দ্বিতীয় অ্যালবামে স্থান পাবে। অ্যালবামটির সব গান লিখেছেন তপু। এতে গান থাকছে মোট নয়টি। তপু বলেন, আমার সব সময়ই আনিলার সঙ্গে গান গাইতে ভালো লাগে। তবে আনিলা যেহেতু আমেরিকায় থাকে তাই তার সঙ্গে এতদিন সময় মেলাতে পারিনি। এ গানটি আনিলার খুব পছন্দ হয়েছে। আশা করছি শ্রোতাদের কাছে গানটি উপভোগ্য হবে। আগামী বছরের শুরুতে জি-সিরিজের ব্যানারে যাত্রী ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবামটি প্রকাশ হবে।

সাবিনা ইয়াসমিনের ডবল চমক

sabina-yasminএকসঙ্গে জোড়া অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি হারানো দিনের গানের দুটি সংকলন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুটি সংকলনের মধ্যে একটি চলচ্চিত্রের গানের ও অন্যটিতে বিভিন্ন মাধ্যমে গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো থাকবে। ইতোমধ্যে তিনি চলচ্চিত্রের গানের সংকলনটির কাজ শুরু করেছেন। এতে প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানগুলো রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সংকলনের সবগুলো গানের সঙ্গীতায়োজন করবেন ওপার বাংলার সঙ্গীত পরিচালক রকেট মণ্ডল। অন্যদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে গাওয়া হারানো দিনের জনপ্রিয় গানের সংকলনের কাজটিও কিছুদিনের মধ্যে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন এই গুণী শিল্পী। এদিকে সম্প্রতি ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে সাবিনা ইয়াসমিনের লালন সঙ্গীতের অ্যালবাম ‘হৃদয়ে লাল সাঁই’। অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ অ্যালবামের গানগুলো শ্রোতাদের এত ভালো লাগবে, সেটি আগে বুঝিনি। এক কথায় বলা যায়, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি। আমার কণ্ঠে লালনের গানগুলো শ্রোতারা খুব পছন্দ করেছে। কিছুদিন আগে মেয়ে বাঁধনের একক অ্যালবামে তিনটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এখন এই গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর প্রস্তুতি চলছে।

স্বাগত বাংলাদেশে

জনপ্রিয় ব্যান্ড পার্থিব গেল ১২ বছরে প্রকাশ করেছে একটি ডাবলসহ মোট তিনটি অ্যালবাম। নতুন খবর হলো- প্রায় তিন বছর পর বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি সিএমভির ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে পার্থিবের নতুন অ্যালবাম। নাম ‘স্বাগত বাংলাদেশে’। পুরো অ্যালবামটি সাজানো হয়েছে ৯টি দেশাত্মবোধক গান দিয়ে। গত ২ ডিসেম্বর দেশ টিভির ফনোলাইভ কলের গান-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেখানে পার্থিব সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পার্থ বড় য়া, বাপ্পা মজুমদার, সুমন কল্যাণ এবং সিএমভির প্রধান এস কে সাহেদ আলী। ‘স্বাগত বাংলাদেশে’ অ্যালবামে ৮টি বাংলা গানের পাশাপাশি বিদেশি শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে তৈরি হয়েছে ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ শীর্ষক একটি ইংরেজি গান। অন্য গানগুলোর শিরোনাম স্বাগত বাংলাদেশে, আমরা বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় গাঁথা, বাংলাদেশ, বাংলার বাঘ, বৈশাখ এবং অপেক্ষার চাঁদ। সব গানের কথা ও সুর করেছেন পার্থিবের লিড গিটারিস্ট রুমন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন কিবোর্ড ও কণ্ঠে রনি, বেজ গিটার ও রেকর্ডিংয়ে কিবরিয়া কিবু, ড্রামস ও পারকাশনসে শুভ এবং অতিথি গিটারিস্ট হিসেবে সেলিম হায়দার।

একসঙ্গে তাহসান-কোনাল

জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান। এরই মধ্যে ধারাবাহিকভাবে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এই মিউজিক সেনসেশন। অন্যদিকে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে কোনাল বেছে বেছে অ্যালবাম ও সিনেমার গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন। এ দুই শিল্পী এবার একসঙ্গে গাইলেন একটি চলচ্চিত্রে। আরটিভি প্রযোজিত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘তুমি যে আমার’। ‘তুমিময়’ শিরোনামের এ গানটি লিখেছেন মাহমুদ মানজুর। গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী নাভেদ পারভেজ। এ প্রসঙ্গে রাজ বলেন, আমার চলচ্চিত্রগুলোতে গানের একটা প্রাধান্য থাকে। বিগত চলচ্চিত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের কাছে দারুণ সমাদৃত হয়েছে। তাহসান ভাই অনেক সময় দিয়ে গানটি করেছেন। কোনালও গেয়েছেন অসাধারণ। গানটির ফাইনাল মিক্স হবে মুম্বাইর তিতুমীর স্টুডিওতে। আর এ গানে আমেরিকার কিছু যন্ত্রশিল্পী বাজিয়েছেন। আশাকরি গানটি সবার ভালো লাগবে।