Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একারনেই দর্শক কমে যাচ্ছে!

অভিনয়, মডেলিং ও মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করা নিয়ে ব্যস্ত আছেন সুজানা জাফর। এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকেন তিনি। কথা হলো সুজানার সঙ্গে-

আনন্দ আলো: বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?

সুজানা: এ মুহূর্তে তিনটি ধারাবাহিকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এগুলো হচ্ছে- ‘ননস্টপ’, ‘রোড ৭, বাসা ১৩’, ‘এই শহরে’। সামনে আরো কাজের কথা চলছে।

আনন্দ আলো: ‘ননস্টপ’ ধারাবাহিকটি নিয়ে বলুন-

সুজানা: এই ধারাবাহিকটি শহরের মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের গল্পকে হাস্যরসের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানকার প্রতিটি মানুষের জীবন নানা সমস্যায় জর্জরিত। এভাবেই ধারাবাহিকটির কাহিনি এগিয়ে যাচ্ছে।

আনন্দ আলো: এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে বলবেন-

সুজানা: এখন অনেক শিল্পী নাটকে অভিনয় করছেন। তারা কিন্তু গুরুত্বসহকারে কাজ করছেন না। এর কারণ, পরিচালক ও প্রযোজকদের শিল্পী নির্বাচনে অপারগতা। তাছাড়া আড্ডাবাজ ও চাটুকারী শিল্পীরাই পরিচালক ও প্রযোজকদের কাছ থেকে সিংহভাগ কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যোগ্যতারও কোনো প্রয়োজন হচ্ছে না। এই কারণেই টিভি নাটকের দর্শক ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে…

সুজানা: আমি কখনো বাণিজ্যিক ছবি করব না। তাই এক কথায় বলতে গেলে, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন চিত্রনাট্যে অভিনয় করতে সদা প্রসৱুত রয়েছি। আমি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিটা দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি। এ ধরনের ছবির প্রসৱাব পেলে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে।

আনন্দ আলো: আপনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করেন, তাই না?

সুজানা: হ্যাঁ। এটা আমার একান্ত ভালো লাগা থেকেই করি। আমি বিশেষ দিবসে বেশকিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে সময় কাটাই। ঈদ কিংবা বিভিন্ন উৎসব পার্বণে তাদেরকে সঙ্গ দেই। শুধু তাই নয়- আমি সারাবছর ব্যাপী বেশকিছু শিশু-কিশোরদেরকে পড়াশুনাও করাই। আসলে এটা আমার নিজস্ব একটা জগৎ বলতে পারেন।

আনন্দ আলো: বিয়ে কিংবা সংসার নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?

সুজানা: না। আমি এখন সম্পূর্ণ একা। আপাতত নতুন করে জীবনসঙ্গী নিয়ে ভাবছি না। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ অভিনয়ই এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান।

 নতুন বিজ্ঞাপনে রিয়াজ

Riazচিত্রনায়ক রিয়াজ এখন টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করছেন। এর মধ্যে দীর্ঘদিন পর নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হলেন তিনি। এবার তাকে দেখা যাবে ক্রোজা ইলেক্ট্রনিক্সের বিজ্ঞাপনে। সম্প্রতি ঢাকার সাতারকুলের একটি বাংলো বাড়িতে এর চিত্রায়ণ হয়। এতে রিয়াজের সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি, শিশুশিল্পী আবহা, ফখরুল বাশার ও লিলি বাশার। রিয়াজ বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এবারই প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করলাম। সুন্দর একটি গল্প নিয়ে সাজানো এর নির্মাণশৈলী থেকে শুরু করে সবই ভালোলাগার মতো।’ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডহোমের ব্যানারে বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছেন রিমন মেহেদী। খুব শিগগিরই বিজ্ঞাপনটি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়।

আবার দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান

মোগল সাম্রজ্যের সূর্য ডোবার সময় হিন্দুসৱান ভাগ হয়ে যায় ছোট ছোট রাজ্যে। তখন সাত সমুদ্রের ওপার থেকে ইংরেজ বণিকদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুযোগ বুঝে হিন্দুসৱানের ওপর মেলে দেয় তাদের লোভের থাবা। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইংরেজরা খুব গভীর চাল চালতে শুরু করে। এই রাজনৈতিক চালের জালে জড়িয়ে একের পর এক রাজত্ব শেষ হতে শুরু করে।

যখন ইংরেজ ফৌজ আর সিপাহীদের অত্যাচার আর অবিচারের আগুন বাংলাদেশ, মাদ্রাজ, আবোধ আর নিজামের সীমানা ছাড়িয়ে মহীশূরের সীমানায় লেগে গেল, তখন পরিস্থিতি রুখতে ঝলসে উঠলো একটি তলোয়ার। সেই তলোয়ার শের-ই-মহীশূর টিপু সুলতানের তলোয়ার।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান’ আবার দর্শক দেখতে পাচ্ছেন ছোট পর্দায়। মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি শুক্র, শনি ও রোববার রাত ৯টায় প্রচার হচ্ছে। নাম ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় খান। ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এর শুটিংয়ে আগুন লেগে ৬২ জন কলাকুশলী মারা যান। সঞ্জয় খান নিজেও গুরুতর আহত হয়ে ১৩ মাস হাসপাতালে ছিলেন। সুস্থ হওয়ার জন্য তাকে ৭২টি অস্ত্রোপচারের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল।