Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একটি ভালোবাসার গল্প-কনা রেজা

মনিকার এরকম লাগে কেন? চারপাশে খা খা শূন্যতা। সবই আছে আবার যেন কিছুই নেই। আজ ভার্সিটিতে আসার সময় মা বারবার জানতে চাইছিলÑ কি হয়েছে রে তোর? দ্যাখ, কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে বল। ভার্সিটিতে কোনো সমস্যা?

মনিকা মায়ের কথা এড়িয়ে গেছে। মা যতবারই সমস্যার কথা জানতে চেয়েছেন মনিকা ততবারই এড়িয়ে গেছেন কিছু না মা। তুমি অযথা চিন্তা করছো।

সম্পর্কিত

মা শেষ পর্যন্ত আর কিছু বলেননি। তবে সন্দেহভরা চোখে বারবার মনিকার দিকে তাকাচ্ছিলেন। মনিকা যখন বাসা থেকে বের হয় মা এগিয়ে এসে বলেছিলেন, একটা কথা মনে রাখিস মনিকা, পরিকল্পনাহীন মানুষ কখনো জীবন যুদ্ধে জয়ী হয় না। আমার ধারণা তুই তোর জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মারাত্মক দুশ্চিন্তায় আছিস।

মা ঠিকই বলেছেন। মনিকা তার ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা সাজাতে গিয়ে একটু যেন হোঁচট খাচ্ছে। শাহেদকে নিয়েই জীবনের পরিকল্পনা সাজাতে চায় মনিকা। বান্ধবীদের অনেকে বিয়ে সংসার নিয়ে নাক সিটকায়। আমি ভাই বিয়েশাদীর মধ্যে নাই। বিয়ে সংসার একগাদা বাচ্চা কাচ্চা, ওহ! মাই গড! আমাকে দিয়ে এসব হবে না। সেদিন এক আড্ডায় হৃদিতা এই কথাগুলোই বলছিল। ওদের সঙ্গে আড্ডায় বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি মনিকা। কারণ আড্ডাটা তার মোটেই ভালো লাগছিল না। ওদের অনেকে বিয়ে না করার দলের মানুষ। কিন্তু মনিকা তো সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে বিয়ে করবে। একটা সুন্দর সংসার হবে। ওইসব মডার্ন চিন্তাভাবনার মধ্যে নাই মনিকা। পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করবো… কেন রে ভাই আগে করলে ক্ষতি কি!

কিন্তু যাকে ঘিরে মনিকা স্বপ্ন সাজাচ্ছে সে কোথায়? এক সপ্তাহ হলো তার দেখা নেই। ভার্সিটিতে আসছে না। হলে থাকে। মনিকা একবার হলে গিয়ে খোঁজ নেয়ার কথা ভাবছিল। পরক্ষণেই মনে হয়েছে এটা ঠিক হবে না। ছেলেদের হলে ঢুকতে হলে নানান ফর্মালিটিস রক্ষা করতে হবে। কার কাছে যাবেন? তিনি আপনার কে হন? একটু অপেক্ষা করুন… দেখি আছেন কি না। তারপর হয়তো হলের গেস্টরুমে বসতে হবে। হলের ছেলেরা যাওয়া-আসার অছিলায় বারবার গেস্টরুমে উঁকি দিবে। নানান মন্তব্য করবে। কাজ নেই হলে গিয়ে।

হ্যাপির কথায় চমক ভাঙলো মনিকার।

কিরে তুই এইখানে গাছের নিচে বসে কি করছিস? ক্লাসে যাবি না।

বান্ধবীকে দেখে একটু যেন বুকে বল পেল মনিকা। হ্যাপি নিশ্চয়ই শাহেদের খোঁজ দিতে পারবে। ওরা দুজন একসঙ্গে টিএসসিতে আবৃত্তির প্রশিক্ষণ নেয়। হ্যাপিকে প্রশ্ন করলো মনিকাÑ শাহেদের সঙ্গে তোর দেখা হয়?

নাতো।

তোদের আবৃত্তির ক্লাসে যায় না।

না, এক সপ্তাহ ধরে যায় না। কেন কি হয়েছে? তোর সঙ্গে যোগাযোগ নাই।

না।

মোবাইলে যোগাযোগ কর।

মোবাইল বন্ধ।

তাহলে তো চিন্তার কথা। বলতে বলতে হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হ্যাপি ব্যস্ত হয়ে বলল, ক্লাসে যাবি না। আর মাত্র পাঁচ মিনিট সময় আছে। তুই আয়… আমি গেলাম…

হ্যাপি চলে গেল। মনিকার কিছুই ভালো লাগছে না। চোখ বন্ধ করে শাহেদের কথা ভাবতে থাকলো। শাহেদ তুমি কোথায়? একবার আসো প্লিজ… তোমার সঙ্গে আমার অনেক কথা আছে। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। প্লিজ, শাহেদ তুমি চলে আসো… বলতে বলতে মনিকা ভাবলো ইস, চোখ খুলে যদি দেখতে পেতাম শাহেদ পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

মেঘ না চাইতেই যেন বৃষ্টি আসে। মনিকার জীবনে কি এমন কিছু ঘটবে না?

কারও হাতের স্পর্শে হঠাৎ চমকে উঠলো মনিকাÑ কে? কে তাকে স্পর্শ করলো? চোখ খুলে আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠলো মনিকা। শাহেদ তুমি… কি মিরাকল। মনে মনে ভাবছিলাম চোখ খুলে যেন তোমাকেই দেখি। বলেই শাহেদকে জড়িয়ে ধরলো।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে একটি মেয়ে একটি ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছে একটা দেখতে হয়তো অনেকের ভালো লাগবে। নানাজনে নানান গল্প ছড়াবে। এই ভেবে মনিকাকে আলিঙ্গন থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে শাহেদ বললÑ একটু শান্ত হও, প্লিজ…

মনিকা অভিমান মিশ্রিত কণ্ঠে বলল, আমি শান্ত হবো। কীভাবে? অ্যাই, তুমি কোথায় ডুব দিয়েছিলে?

শাহেদ মৃদু হেসে বলল, গ্রামে গিয়েছিলাম। সে কথাতো আমাকে বলে যেতে পারতে…

হ্যাঁ সেটা পারতাম, একটা ভুল হয়ে গেছে…

মনিকা শান্ত ভঙ্গিতে বলল, ঠিক আছে ধরে নিলাম যাবার সময় বলে যেতে পারনি। কিন্তু বাড়ি দিয়েও তো আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারতে।

শাহেদ মনিকার এই প্রশ্নের কোনো জবাব দিল না।

মনিকা এবার কৌত‚হলী হয়ে উঠলো। শাহেদকে জিজ্ঞেস করলো, কি হয়েছে তোমার? এনিথিং রং? তুমি হঠাৎ গ্রামে গিয়েছিলে কেন? বলো…

মনিকার কথা শেষ হতে না হতেই মনিকার দুই হাত ধরে শাহেদ বলল, আই লাভ ইয়্যু মনিকা।

মনিকা আবেগ ধরে রাখতে না পেরে হঠাৎ কেঁদে ফেলল, আমিতো সেটা জানি। আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কি হয়েছে তোমার? হঠাৎ কেন গ্রামে গিয়েছিলে?

মামা-মামীর সঙ্গে দেখা করতে।

হঠাৎ মামা-মামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে।

আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি মনিকা।

সিদ্ধান্ত! কী!

আমি তোমাকে বিয়ে করবো।

মনিকা খুশি হয়ে বলল, আমিও তো একই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সত্যি বলছো?

হ্যাঁ।

মামা-মামীর কথা বলো। তারা কি বললেন?

তারা চাইছিলেন পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি জোগাড় করি… তারপর বিয়ে…

তুমি কি বললে?

আমি বললাম, পড়াশোনা, পড়াশোনার জায়গায়, আর বিয়ে থাকুক বিয়ের জায়গায়… সব শুনে মামা-মামী শেষ পর্যন্ত আমার কথায় রাজি হয়েছেন।

শাহেদ কথা বলেই যাচ্ছে। মনিকা মনোযোগী শ্রোতার মতো শুনছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কথা বলতেই থাকলো।

 

পরের দিন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও মনিকাকে পেল না শাহেদ। ক্যান্টিন, লাইব্রেরি কোথাও নেই মনিকা। লাইব্রেরি থেকে বেড়িয়ে শিরিষতলায় কবির মিয়ার চায়ের দোকানের দিকে যাবার কথা ভাবলো শাহেদ। মনিকা হয়তো চায়ের দোকানের সামনে বেঞ্চির ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছে।

লাইব্রেরির প্রধান ফটক পেরুতেই হ্যাপির সঙ্গে দেখা। হ্যাপির কাছে মনিকার খবর জানতে চাইলো শাহেদ। মনিকাকে দেখেছো?

হ্যাপি হাসতে হাসতে বলল, আপনাদের ব্যাপার কি বলেন তো। কাল দেখলাম মনিকা আপনাকে খুঁজছে। আজ আপনি তাকে খুঁজছেন। লুকোচুরি খেলছেন নাকি?

শাহেদ মৃদু হেসে বলল, না, সেরকম কিছু না। মনিকাকে দেখেছো কোথাও?

হ্যাপি বলল, না আজ সে ক্লাসেও আসেনি।

হ্যাপি চলে গেল। কবির মিয়ার চায়ের দোকানে এসেও মনিকাকে পাওয়া গেল না। শাহেদ মনিকার জন্য অস্থির হয়ে উঠলো। হঠাৎ সে মনিকার বাসায় যাবার সিদ্ধান্ত নিল।

শাহেদ যা ভেবেছিল তার কিছুই ঘটলো না। শাহেদ ভেবেছিল মনিকার মা হয়তো তাকে দেখে রিয়্যাক্ট করবেন। ভালো ব্যবহার করবেন না। অপমান করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিবেন।

কিন্তু মনিকার মা এসবের কিছুই করলেন না। শাহেদকে দেখে এমন ব্যবহার করলেন যেন অনেক দিন ধরে শাহেদকে চিনেন। দরজা খুলে দিয়েছিল কাজের মেয়ে। ড্রয়িংরুমে সবে মাত্র সোফায় বসতে যাচ্ছিল শাহেদ। মনিকার মায়ের কণ্ঠ শুনে চমকে উঠলো। তুমি শাহেদ?

জি।

দাঁড়িয়ে আছো কেন বসো…

শাহেদ সোফার ওপর বসলো। মনিকার মা শাহেদকে এবার প্রশ্ন করলেন, বাড়িতে কে কে আছে তোমার?

শাহেদ বলল, আমার মা, বাবা নাই। মারা গেছেন। আমি নানা বাড়িতে মামা-মামীর কাছে বড় হয়েছি।

ও! তোমার মামা-মামী বেঁচে আছেন?

জি। তারা বেঁচে আছেন।

কথাবার্তা এতটুকুই। কাজের মেয়ে এসে শাহেদকে পাশের ঘরে নিয়ে গেল। মনিকার মা হেসে বললেন, যাও, মনিকা ঘরেই আছে। ও একটু অসুস্থ।

বিছানায় নিশ্চুপ শুয়ে আছে মনিকা। দৌড়ে গিয়ে মনিকার পাশে বসলো শাহেদ। মনিকা তোমার কি হয়েছে?

মনিকা বিছানা থেকে ওঠার চেষ্টা করলো। শাহেদ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ওঠো না। শুয়ে থাকো। আমি তোমার পাশে আছি। কি হয়েছে বলো তো। কাল তো বেশ সুস্থ ছিলে। হঠাৎ কি হলো?

শাহেদের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলল মনিকা। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি শাহেদ। তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না।

শাহেদ মনিকার মুখের দিকে তাকিয়ে আদরের সুরে বলল, আমিতো সেটা জানি। আমরা তো বিয়ে করবো… সবকিছু ফাইনাল। আমি তোমার মায়ের সঙ্গে কথা বলবো…

মনিকা শাহেদের ডান হাত টেনে নিয়ে আদর করতে করতে বলল, মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মা প্রথমে রাজি ছিলেন না। পরে রাজি হয়েছেন। মায়ের আশঙ্কা আমরা বিয়ে করলে সুখি হবো না। আমি মাকে চ্যালেঞ্জ করেছি শাহেদ। আমরা চ্যালেঞ্জে জয়ী হবো তো। বলো…

জয়ী হবো তো… আমাদের একটা সুন্দর সংসার হবে… অনেক সুন্দর… হবে তো… বলেই আবার কেঁদে ফেলল মনিকা।

 

একবছর পরের ঘটনা। মনিকা আর শাহেদের বিয়ে হয়েছে। মনিকার মায়ের দেয়া গুলশানের একটা ফ্ল্যাটে উঠেছে তারা। শাহেদ ভালো বেতনের একটা চাকরি পেয়েছে। মনিকার পড়াশোনা শেষ। এর মধ্যে তারও একটা চাকরি প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। ব্যাংককের পাতোয়ায় বেড়াতে এসেছে ওরা। সেখানেই ঘটনাটা ধরা পড়লো। মনিকা অসুস্থ হয়ে পড়লো। দেশে ফিরে মনিকাকে নেয়া হলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কঠিন সংবাদ জানালেন। মনিকার জরায়ুতে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। লাস্ট এস্টেজ। এখন আর কিছুই করার নাই। সবকিছু শুনে শাহেদের দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য অবস্থা। মনিকাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা ভাবলো সে। কিন্তু এর জন্য তো অনেক টাকা দরকার। সবকিছু শুনে মামা-মামা শাহেদের চাচারা সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এলেন। শাশুড়িও সাহস যোগালেন।

ভারতের কলকাতায় একটি হাসপাতালে নেয়া হলো মনিকাকে। প্রথমে পরীক্ষা নীরিক্ষা চলল। শাহেদ একটি হোটেলে উঠেছে। কিন্তু দিনের পুরো অংশটাই সে হাসপাতালের করিডোরে, গেস্টরুমে বসে সময় কাটায়। বলাতো যায় না কখন কি লাগে?

রাতে হোটেল কক্ষে ফিরে এসে একা একা কাঁদে শাহেদ। মনিকার যদি কিছু হয় তাহলে কাকে নিয়ে বাঁচবে সে। মনিকা একটা সংসার চেয়েছিল। সেই সংসারটা কেবল সাজাতে শুরু করেছে শাহেদ। অথচ মনিকা থাকবে না…

মনিকাই যদি পৃথিবীতে না থাকে তাহলে শাহেদের বেঁচে থেকে লাভ কী?

মনিকাই তার সুখ, মনিকাই তার দুঃখ। মনিকা হাসলেই শাহেদের কেন যেনো মনে পৃথিবী জয় করতে পারবে সে। ঢাকায় নিজেদের বাসায় একটা ঘরে একটা সুখি ফ্যামিলির স্কেচ করিয়ে রেখেছে মনিকা। একজন পুরুষ, একজন মহিলার মাঝখানে দুটি শিশু। তাদের নাম হাসি আর খুশি। একদিন কানের কাছে চুপি চুপি একটা কথা বলেছিল মনিকা। বেশী না আমাদের দুটি সন্তান চাই। একটা ছেলে, অন্যটা মেয়ে। ওদেরকে অনেক আদর দিয়ে মানুষ করবো আমরা। ওরা যেনো ভবিষ্যতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে। একজন হবে ডাক্তার অন্যজন প্রকৌশলী।

শাহেদ বলেছিলো একজন হবে শিক্ষক অন্যজন রাজনীতিবিদ…

মনিকা তর্ক শুরু করে দেয়Ñ একজন ডাক্তার অন্যজন প্রকৌশলী…।

শেষে তর্ক থামেÑ ওরা যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়। এনিয়ে দু’জনই ঐক্যমতে পৌছায়। কিন্তু সেই মনিকা যদি না থাকে, তাহলে দু’জনের স্বপ্নের কিভাবে? শাহেদ কি একা হয়ে যাবে।

প্রতিদিন হাসপাতালে যায় শাহেদ। মনিকার স্বাস্থ্যের খবর নেয় আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেÑ ইয়া মাবুদ মনিকাকে সুস্থ করে দাও! ও না থাকলে আমার যে কেউ থাকবে না…

অবশেষে একটা সুখবরই দিলেন কলকাতার ডাক্তার। ভয়ের কিছু নাই। মনিকার জরায়ুতে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। মনিকা পুরোপুরি সুস্থ।

সবকিছু শুনে শাহেদের তো পাগল পাগল অবস্থা। কলকাতা থেকে প্রথমে ফোন করলো শাশুড়িকে। মা মনিকার কিছু হয়নি। ডাক্তার বলেছে সে পুরোপুরি সুস্থ। মনিকার মা খবর পেয়ে খুশির চোটে কেঁদেই ফেললেন।

হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়ে ফোন করতে থাকলো শাহেদ। শুনেছেন আমি শাহেদ বলছি, হ্যাঁ মনিকার কিছুই হয়নি। মনিকা সুস্থ আছে। মনিকা ভালো আছে… আশেপাশের লোকজন একটু যেন বিরক্ত হচ্ছে। কেউ একজন মন্তব্য করলো, ব্যাটা পাগল নাকি.? এভাবে ফোনে কেউ কথা বলে।

কিন্তু ফোনে কথা বলেই চলেছে শাহেদ। শুনেছেন… আমি শাহেদ… মনিকা ভালো আছে… ও সুস্থ আছে…