সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
মঞ্চের পরিচিত অভিনেতাদের একজন জুয়েল জহুর। ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’ নামের দলটিতে কাজ করছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে। ভবিষ্যতে নিজেকে একজন দক্ষ অভিনেতা হিসেবেই দেখতে চান তিনি। আর অভিনয়ের যতগুলো মাধ্যম আছে, সবগুলোতেই করতে চান কাজ। জহুর বলেন, ‘ছোটবেলায় শিশুরা ভূতের গল্প শুনে ভাত খায়। আর আমার চাচা আমাকে যাত্রাপালার গল্প শোনাতে শোনাতে ভাত খাওয়াত। মনের মধ্যে তখনই প্রশ্ন হতো, যাত্রাটা আসলে কী। তারপর যখন বড় হয়েছি, তখন গ্রামে যাত্রা হলে যাত্রা দেখতে যেতাম। বাবা বারণ করলেও চাচা আমাদের নিয়ে যেতেন। তখন থেকেই চাচার হাত ধরে দেখা শুরু। সেখান থেকেই এ মাধ্যমটার প্রতি ভালো লাগা তৈরি।’ জুয়েল জহুরের শৈশব-কৈশোরের বড় একটা সময় কেটেছে মাগুরায়। পত্রিকার বিনোদন পেজগুলোতেই বেশি নজর থাকত তার। কারণ তার প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কে সব ধরনের খবরাখবর তিনি সেখান থেকেই জানতে পারতেন। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকায় আসেন জুয়েল জহুর। ঘটনাক্রমে শিল্পকলাকেন্দ্রিক যাতায়াতও বাড়তে থাকে। শিল্পকলায় যখন মঞ্চ নাটক দর্শক সারিতে বসে দেখতেন, তখন তার ভেতরে উপলব্ধি হতো, ‘ইশ! আমিও যদি এই মঞ্চে মন খুলে অভিনয়টা করতে পারতাম।’ ‘পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর মনে হলো চাকরি করে দিন পার করলে ভালো লাগবে না। যদি মঞ্চে কাজ করতে পারি, মনের মধ্যে এক ধরনের শান্তি কাজ করবে। অনেক দিনের চিন্তা-ভাবনা এক জায়গায় জমাট বাঁধার পর মনে হয়েছে, এ মাধ্যমেই কাজ করা উচিত’, বলেন জুয়েল।
জুয়েল জহুরের ক্যারিয়ারের শুরুটা চলচ্চিত্র দিয়ে। এর মধ্যে রেডিও নাটক, বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন নাটক-সব মাধ্যমেই জড়িত হয়েছেন। ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান’ ছবিতে তিনি কবি নির্মলেন্দু গুণের যৌবনকালের চরিত্রে অভিনয় করে শোবিজে বেশ পরিচিত পান। অভিনয় করেন ‘একাত্তরের মা জননী’, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’সহ আরো কিছু ছবিও। আরেকটা বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করছেন তিনি। জহুর বলেন, ‘আমি গড়পড়তা কাজ করতে চাই না। সে কারণে আমার মন থেকে না চাইলে অভিনয় করি না। যে কাজগুলো অভিনেতার দায়িত্ব আর দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে, আমি ওটাই করতে চাই। আর যতদিন সুস্থ থাকব, ততদিন থিয়েটারের জন্যই থাকব।’