Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এই গরমে ত্বকের যত্ন!


রোদে পোড়া আর দূষণ থেকে সুরক্ষা
রোদে যেও না। তাহলে কালো হয়ে যাবে। বড়দের এই পরামর্শ শুনতে হয় সবাইকে। হ্যাঁ, এটা ঘটে ত্বকের মেলানিনের কারনে। রোদে গেলে সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে ত্বকে মেলানিন উৎপন্ন হয়। এই মেলানিনের উপস্থিতি ত্বককে করে তোলে কালো কারন মেলানিনের রঙ কালো তাই এমনটা ঘটে। আপনি যদি সত্যি সত্যি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে চান কিংবা হারানো সৌন্দর্য্য ফিরে পেতে চান, তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। এমনকি আপনাকে ঘন ঘন বিউটি পার্লারেও যেতে হবে না। শুধুমাত্র ঘরে বসে কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি পেতে পারেন সুন্দর লাবন্যময় ত্বক।

প্রাকৃতিক উপায়
এটাই আসলে প্রকৃত উপায়। আমরা রুপচর্চায় সাধারনত প্রাকৃতিক কিছু উপাদান যেমন শাক-সবজী, ফল এবং এগুলোর পাল্প বা মন্ড ব্যবহার করি। এটা একদিকে যেমন নিরাপদ তেমনি সাশ্রয়ীও বটে – বলা হয়ে থাকে জিরো কস্ট।

সম্পর্কিত

শীত ফ্যাশনের হালচাল

লাল সবুজের মেলা!

কসমেটিকস
এতে ব্যবহৃত হয় কেমিক্যাল আর কৃত্রিম উপাদান। এর মধ্যে আছে ‘মাড প্যাক এবং অন্যান্য ফেয়ারনেস ক্রীম অথবা বিভিন্ন কেমিক্যাল এজেন্টের মিক্সার।বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা ত্বকের সৌন্দর্য্য চর্চায় কসমেটিকসের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কসমেটিকস ব্যবহারে আপনি ফল পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন। তবে ত্বকের পরিচর্যায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বনে সবচেয়ে ভাল ফল পাবেন-এটা নিশ্চিত।

আসুন জেনে নেই কিছু হোম মেইড বিউটি টিপস
ত্বক সোনালী করবে মধু
ত্বকের যত্নে এবং উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক পেতে বহুল প্রচলিত এবং উত্তম পদ্ধতি হল মধুর ব্যবহার। এক চামচ মধু নিন। মুখের ত্বকে লাগান। আস্তে আস্তে বৃত্তাকারে মেসেজ করুন। এইভাবে দিনে দুইবার সকালে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন। সপ্তাহ দুই পরে আপনি দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল আর সোনালী রঙ ধারন করছে। তবে মনে রাখবেন এখানে শুধুই মধুর কথা বলা হয়েছে, মধুর সাথে দুধ মিশানোর কথা বলা হয় নি।

লাবন্যময় তুলসি
তুলসি খেলে অনেক রোগের উপসম হয়। তবে ত্বকের জন্যও এটা এক বিস্ময়। যারা তুলসির রস ত্বকে ব্যবহার করেন তারা বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন, সাথে সাথে স্বাভাবিক ত্বকও হয় আরো সুন্দর আর লাবন্যময়। কাজেই রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যাওয়া ত্বকের প্রতিকারে অব্যর্থ ঔষধ তুলসির রস, সাথে উপহার পাবেন সুন্দর ফর্সা ত্বক। তুলসির কিছু পাতা নিন। শীল-পাটা দিয়ে বেটে কিংবা পিষে পেস্ট করুন। আস্তে আস্তে ত্বকে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে হালকা কুসুম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ লাগান।পরিবর্তন দেখতে পাবেন নিজের চোখেই।

গোলাপ জলে মুখ ধুয়ে নিন
খুব অল্প সময়ে সুন্দর ত্বক পেতে গোলাপ জল অনন্য। গোলাপ ফুল কিনে পাঁপড়িগুলো আলাদা করে একদিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর প্রতিদিন মুখে ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে যতবার মুখ ধোবেন, ততবারই গোলাপ জল ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন গোলাপ জলে মুখ ধোয়ার সময় কোন ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে গোলাপ জল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং শুধু সুন্দর ফর্সা হয়েছে তা-ই নয়, একটু গোলাপি বর্নও ধারন করেছে।

সৌন্দর্য্য বাড়াতে হলুদ
ত্বকের সৌন্দর্য্যে হলুদের ব্যবহার ব্যাপকমাত্রায় প্রচলিত। গবেষণায় প্রমানিত যে হলুদে ত্বকের রঙ ফর্সা করার গুন আছে। মুখে, হাতে, পায়ে নিয়মিত সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কাঁচা হলুদ লাগান। কিছুদিন পরই পার্থক্যটা বুঝবেন। ফর্সা ত্বক! কোন ব্যাপারই না।

ত্বক পরিস্কার ও ঠান্ডা রাখতে শশা
শশা ভোজ্য সবজী হিসাবে খাওয়া হয়, যেমন কাঁচা অবস্থায় তেমনি রান্না করে। শশার রয়েছে ত্বক ফর্সা করার গুন। শশাতে আছে এমন সব উপাদান যা মেলানিনের উপস্থিতি কমায়, ত্বকের পুড়ে যাওয়া বা তামাটে হওয়া রোধ করে। আর এসব কারনেই বিশেষজ্ঞরা শশা ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং কিছু অংশ খেতেও বলেন। এটা পেস্টের মত করে লাগাতে পারেন অথবা এর রস লাগাতে পারেন।

ত্বক ফর্সা করতে আলু
মুখের ত্বকের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আলু বেশ উপকারী। রোদে মুখের ত্বক পুড়ে গেলে কালো দাগ পড়ে। আর সেই কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে আলু হতে পারে একমাত্র কার্যকরী উপাদান।

কচি ডাবের পানি
বাইরে থেকে ঘরে এসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কচি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে রোদের ক্রিয়া বা রোদে পোড়া ভাব দূর হবে। আপনাকে দেবে প্রশান্তি আর সতেজ অনুভূতি। চাইলে আপনি কচি ডাবের শাঁসও মুখে মাখতে পারেন। এতে ত্বকের রঙ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ব্রণও দূর হবে।

ডিমের কুসুমের ফেইস্প্যাক
ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষায় হোম রেমেডিগুলোর মধ্যে ডিমের কুসুম অন্যতম। ১টি বাটিতে কুসুম নিয়ে ফেটিয়ে পেস্টের মত তৈরী করুন। ১ চামচ মধু আর ১ চামচ দই নিয়ে ভালভাবে কুসুমের সাথে মেশান। ‘ফেইস প্যাকে’র মত করে সারা মুখে লাগান। শুকাতে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২ থেকে ৩ মাস এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করুন আর রেজাল্ট লক্ষ্য করুন।

রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করবে তরমুজ
গ্রীষ্মকালে দৈনিক কমপক্ষে তিনবার তরমুজের টুকরা নিয়ে মুখে ঘষুন। রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হবে। তবে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন। কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ততক্ষনাৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিন।

শেষ ভরসা চন্দন
১ চিমটি চন্দন কাঠের পেস্টই আপনার এতদিনের ফর্সা হওয়ার স্বপ্ন স্বার্থক করতে পারে। চন্দন পেস্ট ‘ফেইস প্যাকে’র মত করে একটানা ৩০ দিন ব্যবহার করুন। ভালো ফল পাবেন।