সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
বিচারকের আসনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও আইয়ুব বাচ্চু
প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে লোকসঙ্গীতের প্রতিযোগিতা মূলক রিয়েলিটি শো ‘আড়ং ডেইরী-চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫’। এই রিয়ালিটি শোতে প্রধান বিচারক হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। এর বাইরেও প্রতিটি পর্বে একজন করে লোকগানের শিল্পী অতিথি বিচারক হিসেবে অনুষ্ঠানে থাকবেন। আধুনিক উপস্হাপনার মাধ্যমে এই প্রজন্মের দর্শক শ্রোতার কাছে লোকসঙ্গীত তথা আঞ্চলিক গানকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং নবীন কণ্ঠশিল্পীদেরকে লোক গানে উৎসাহিত করা এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে সর্বোচ্চ ১২০ জনকে অডিশনের মাধ্যমে ‘নবীন কণ্ঠ’ বাছাই করা হবে। এরপর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪৮ জনকে নির্বাচন করা হবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার জন্য ১২ জন প্রতিযোগীকে। নির্বাচিত ১২ থেকে ধাপে ধাপে ফাইনালে ‘বিজয়ী কণ্ঠ’ বেরিয়ে আসবে। বাংলা গানের লোকসঙ্গীতের শাখায় আছে বাউল, ভাারী, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, ধামাইল, গজল, গম্ভীরা, জারী, সারী, কীর্তন, লালন, কবিগান, যাত্রাপালা, শ্যামা সঙ্গীত, হাসনরাজা ও লালনসাহের গান।
আড়ং ডেইরী-চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫ প্রতিযোগিতাটি ২৭টি পর্বে ধারণ করা হবে। ধারণকৃত অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হবে ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে। প্রতি সোমবার সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটে চ্যানেল আই এর পর্দায় দর্শকরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন। পরিচালনায় রয়েছেন রেহানা সামদানী।
জনসচেতনমূলক গানে এন্ড্রু কিশোর
শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘এবার মানসম্মত শিক্ষা চাই’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব এন্ড্রু কিশোর। কায়সার চৌধুরীর লেখা এ গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অমিত মল্লিক। এর পাশাপাশি আলী আকবর রুপুর সুরে ‘স্বাধীনতার চেতনায়’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে দেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে এ গানটিতে। এন্ড্রু কিশোর বলেন, শুধু জনসচেতনতাই নয়, গান বা সঙ্গীত বিশ্বব্রক্ষান্ডের যে কোনো বিষয় নিয়ে মানুষের মন আন্দোলিত করতে পারে, কাঁদাতে পারে। আনন্দ জোয়ারে ভাসাতে কিংবা কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে। এটা ভেবেই জনসচেতনমূলক গানে উৎসাহিত হয়েছি। ‘এবার মানসম্মত শিক্ষা চাই’ গানটি সে চিন্তাধারাই ফসল।
কুমার বিশ্বজিৎ এর সুর ও সঙ্গীতে বারী সিদ্দিকী
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বর্তমানে দুটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলচ্চিত্র দুটি হচ্ছে সোহানুর রহমান সোহানের ‘জেদী’ ও প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ট্রিলোজি’, এরই মধ্যে জেদী চলচ্চিত্রের জন্য একটি গানের রেকড়িংয়ের কাজ শেষ করেছেন তিনি। প্রথমবারেরমতো কুমার বিশ্বজিৎ এর সুর ও সঙ্গীতে গান গাইলেন বারী সিদ্দিকী। গানটি লিখেছেন প্রসূন রহমান নিজেই। গল্পের উপযোগী করেই করা হয়েছে গানটি। ‘আমারও ছিলোরে ঘর, আমার ছিলো ঘর’ এমন কথার গানটি কুমার বিশ্বজিৎ বারী সিদ্দিকীকে দিয়ে মনের মতো করে গাওয়ালেন। এ প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, বারী ভাই প্রথম আমার সুর-সঙ্গীতে গাইলেন। খুব ভালো গেয়েছেন তিনি। আশা করি গানটি শ্রোতাদের মনকে নাড়া দিবে।
হিন্দি গানে ন্যান্সি
প্রাণ-আপের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে হিন্দি ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা ন্যান্সি। বাংলার বাইরে অন্য ভাষায় এটাই ছিল তার প্রথম গাওয়া। জিঙ্গেলে তার কণ্ঠ প্রশংসিত হওয়ার পর একটি হিন্দি গানেও কণ্ঠ দেন এই গায়িকা। ইদানীং সেই গানটি এসেছে আলোচনায়। উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খান ও শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘রিমঝিম সাওয়ান’ গানটি নতুন করে গেয়েছেন ন্যান্সি। এ প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ভারতের টি সিরিজের ব্যানারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে হিন্দি অ্যালবামে কণ্ঠ দেওয়ার কথা ছিল। তবে নানা জটিলতায় কাজটি করা হয়নি। এদিকে আমার ভক্তরা অনুরোধ করে আসছিলেন হিন্দি গান করার তাই রাহাত ফতেহ আলী খানের অ্যালবাম ‘ব্যাক টু লাভ’ থেকে এ গানটি বেছে নিয়েছি। এটি আমার অনেক পছন্দের একটি গান।
‘রিমঝিম সাওয়ান’ এর নতুন সংগীতায়োজন করেছেন তুহিন আহমেদ। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, ভালোলাগা থেকেই গানটি করেছেন বলে জানান ন্যান্সি। এদিকে কিছু দিনের মধ্যে বাজারে আসার কথা রয়েছে ন্যান্সির নতুন একক অ্যালবাম। অ্যালবামটি প্রকাশ করবে সাউন্ডটেক।
আমার ভালোবাসার জায়গা জুড়ে রয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত
সেরা কণ্ঠখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী নদী। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম নিয়ে। পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে লাইভ শো করছেন নিয়মিত। এ ছাড়া দেশ-বিদেশে স্টেজ প্রোগ্রামে ব্যস্ত রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যস্ততার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
আনন্দ আলো: নিজ নামের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। অ্যালবামটির সাড়া কেমন?
নদী: প্রথম অ্যালবামের সাড়া পেয়েছি অনেক। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমার অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সংগীতের অনেক গুণী মানুষ এসে আমাকে আর্শীবাদ করেছেন। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তাদের প্রায় সবাই আমার গানগুলোর প্রশংসা করেছেন। আমার এ অ্যালবামে বেশ কয়েকজন গুণি সংগীত পরিচালক কাজ করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যেদুটো গান ভিডিও করেছি, সেগুলোর অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
আনন্দ আলো: নতুন কোনো অ্যালবামের কাজ করছেন কী?
নদী: প্রথম অ্যালবামকে আমি আরও সময় দিতে চাই। তাই আপাতত আধুনিক গানের অ্যালবাম করছিনা। তবে অন্য একটি অ্যালবামের কাজ করছি।
আনন্দ আলো: কিসের অ্যালবাম?
নদী: রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম। আমি ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গাই। এখনও সময় সুযোগ পেলেই রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার চেষ্টা করি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আমার ভালোবাসার জায়গা জুড়ে রয়েছে রবীন্দ্রসংগীত। তাই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে একটি অ্যালবাম করছি। এরই মধ্যে পাঁচটি গানের রেকর্ডিং করেছি। এর সংগীতায়োজন করেছেন পাভেল। এ পাঁচ গান নিয়েই একটি অ্যালবাম বের করবো।
আনন্দ আলো: প্লেব্যাকের কী খবর?
নদী: আমি বেছে বেছে প্লেব্যাক করার চেষ্টা করছি। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু প্লেব্যাক করেছি। সর্বশেষ টিটু ভাইয়ের সুর ও সংগীত পরিচালনায় মুহিন ভাইয়ের সঙ্গে একটি প্লেব্যাক করলাম। ছবির নামটা মনে করতে পারছিনা।