Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আলোচিত ঘটনা ২০১৫

গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও খেলাধুলার অঙ্গন অনেক ঘটনাবহুল ছিল। কোনো কোনো ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক আলোচিত। যেমন গত বছর ফিলিপাইনভিত্তিক গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। এই খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের ২০১৫ সালে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অনেক ঘটনাই আলোচিত হয়েছে। এক নজর চোখ বুলিয়ে দেখা যাক ২০১৫ সালের আলোচিত ঘটনাবলী।

রাজকাহিনীতে জয়া প্রসঙ্গ

২০১৫ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের তালিকায় জয়া আহসান প্রথম তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন নিঃসন্দেহে। ভালো কোনো নাটক হোক আর সিনেমাই হোক জয়া আহসানের নাম ঘুরেফিরে এসেছে বার বার। তবে সিনেমার নায়িকা হিসেবেই তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন গত বছর। শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয় পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রেও জয়া আহসান এখন প্রচণ্ড আলোচিত। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে প্রতিযোগিতা নায়িকাদের মধ্যে। সেই দৌড়ে জয়া অনেকটাই এগিয়ে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে সেখানকার চলচ্চিত্রে সৃজিত মুখার্জী বিশাল জায়গা দখল করে আছেন। তার ছবিতে জয়া অভিনয় করছেন নিয়মিত।
সৃজিত মুখার্জীর রাজকাহিনী ছবিতে জয়া নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করে গত বছর দুই দেশেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন। ছবিতে তিনি কিছু সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন যা এর আগে তার অভিনীত নাটক সিনেমায় দেখা যায়নি। সেই সাহসী দৃশ্যের একটি স্টিল ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ঝড় বয়ে যায় দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে।

 মৃত্তিকা মায়ার রেকর্ড

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন হয় ১৯৭৫ সালে। এরপর গত বছরই প্রথম ১৭টি শাখায় পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে গাজী রাকায়েত পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি মৃত্তিকা মায়া। সেই সঙ্গে ২৫টি শাখার মধ্যে ২১টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে ইতিহাস গড়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত ১৫১টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ইমপ্রেস যা এদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে প্রথম। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো থেকে ২০১৫ সালে প্রদান করা হয় এই পুরস্কার। ১৭টি পুরস্কার হলো শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্র গ্রাহক, শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ গ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ মেকআপ ম্যান, শ্রেষ্ঠ অঙ্গ সজ্জা ও পোষাক পরিকল্পনা।

সঙ্গীতে রুনা লায়লার ৫০ বছর

RUNA LAYLAবাংলা গানের কিংবদন্তিতুল্য সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা তার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর অর্থাৎ সাফল্যের পাঁচ দশক পূর্ণ করেছেন গত বছর। ১৯৬০ সালে মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে গান চর্চা শুরু করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে জগনু ছবির গুড়িয়াসি মুন্নি মেরি গান দিয়ে শুরু রুনা লায়লার সঙ্গীত জীবন। এর পরের গল্প শুধুই এগিয়ে যাওয়া, সঙ্গীত ভুবনে কিংবদন্তি হয়ে উঠার গল্প। গত বছর ৬ জুন রুনা লায়লার সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। এই কনসার্টে গান পরিবেশন করেন ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কেকে ও পাকিস্তানের হাল সময়ের তারকা কণ্ঠশিল্পী ফাওয়াদ।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অন্য এক বাংলাদেশ

গত বছর বাংলাদেশে আনন্দ বিনোদনের পাশাপাশি অহংকার করার মতো বড় ঘটনা ছিল ক্রিকেটকে ঘিরে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে। সেই পথ ধরে টাইগার ক্রিকেটাররা উঠে যায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে। গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে ইংল্যাণ্ডকে হারিয়ে যেদিন দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পায় বাংলাদেশ সেদিন পুরো বাংলাদেশের মানুষ এক ছাদের নিচে এসে দাঁড়িয়েছিল। কারো মধ্যে ছিলনা কোনো ভেদাভেদ। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে টিভির সামনে বসে শুধু ক্রিকেটারদের সমর্থন জুগিয়েছে। বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে। পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই, ভারত ও সাউথ আফ্রিকাকে পরাজিত করে সিরিজ জয় করে টাইগার ক্রিকেটাররা। এর পরই জিম্বাবুইকে ধবল ধোলাই করে ষোল কলা পূর্ণ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ২০১৫ সাল এ কারণে নিশ্চয় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
শুধু জাতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যেই নয়। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের গর্বিত অধিনায়ক মাশরাফির মতো একজন অসাধারণ ক্রিকেটার পেয়েছে। তার হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দল যেমন একের পর এক সাফল্য পেয়েছে তেমনি বিপিএল-এর যে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সেই দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গত দুই আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-এর অধিনায়কত্ব করেছে মাশরাফি। তার যোগ্য নেতৃত্বে দুই বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। তৃতীয় আসরে দুর্বল কুমিল্লা দলের অধিনায়কত্ব করেছেন মাশরাফি। যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সেই কুমিল্লা এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

 হুমায়ূন আহমেদের কৃষ্ণপক্ষ এবং শাওন

krisnopokkho-picবাংলা সাহিত্যের সম্রাট হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ একটি উপন্যাস কৃষ্ণপক্ষ। সেই কৃষ্ণপক্ষ বড় পর্দায় প্রদর্শনের জন্য এখন শুধু অপেক্ষার পালা। গত বছরের কোরবানীর ঈদের আগে জাঁকজমক মহরতের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের কৃষ্ণপক্ষ ছবি নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। এটা সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ছিল এক আনন্দ সংবাদ। কিন্তু ছবিটি কে নির্মাণ করছেন সেটা নিয়েও ছিল সবার বাড়তি আগ্রহ। মহরতে উপস্থিত হয়ে সেই আগ্রহের অবসান ঘটান হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিনী বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন কৃষ্ণপক্ষের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কথা ছিল ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে কিন্তু হঠাৎ করেই এ ছবির প্রধান অভিনেতা নায়ক রিয়াজ অসুস্থ হয়ে পড়লে ছবির কাজ পিছিয়ে যায়। তাই ১৩ নভেম্বর আর ছবিটি মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি।
রিয়াজ সুস্থ হওয়ার পর কৃষ্ণপক্ষের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ছবিটি যে কোনো সময় মুক্তি দেয়ার জন্য তৈরি আছে। ছবির তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও মাহিয়া মাহি। এই তিনজন অভিজ্ঞ তারকা একবাক্যে বলেছেন ছবিটি অসাধারণ হয়েছে। শাওন ছবিটি নিখুঁতভাবে নির্মাণ করেছেন। তারা শাওনের কাজে অত্যন্ত খুশি। ইতিমধ্যে এ ছবির একটি গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। গানটি নিয়ে তরুণরা যারপরনাই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে গানটি আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছে। অনেকেই বলছেন যার পরিচালিত ছবির গান আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে সেই পরিচালক নিশ্চয় আরো বেশি আলোচিত হবেন ছবি মুক্তির পর।

নায়ক যখন প্রযোজক ও পরিচালক

MAFUJ-(186)দু’জনই জনপ্রিয় নায়ক। একজন মাহফুজ আহমেদ অন্যজন শাহরিয়ার নাজিম জয়। দুই নায়কই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ২০১৫ সালে। মাহফুজ আহমেদ ২০১৫ সালে প্রথম বারের মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন। তার ছবির নাম জিরো ডিগ্রি। এটা মাহফুজ আহমেদের প্রথম প্রযোজিত ছবি হলে অভিনীত ছবি হিসেবে প্রথম নয়। এর আগে বাণিজ্যিক ধারার অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে ছবির পরিচালক অনুরূপ আইচের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি জিরো ডিগ্রি।
অন্যদিকে শাহরিয়ার নাজিম জয় বাণিজ্যিক ধারার অনেক ছবিতে অভিনয় করলেও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন প্রার্থনা ছবির মাধ্যমে। এ ছবিতে তিনি প্রধান নায়ক চরিত্রেও অভিনয় করেন। একজন প্রযোজক আরেকজন পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ২০১৫ সালে কী ভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আলোচিত নুসরাত ফারিয়া

coverঢাকার চলচ্চিত্রে ২০১৫ সালের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকার নাম নুসরাত ফারিয়া। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ঘরের নায়িকা মাহিকে বাদ দিয়ে তাদের যৌথ প্রযোজনার ছবি আশিকীতে চুক্তিবদ্ধ করেন ফারিয়াকে। আলোচিত এ ঘটনার পর ছবির একটি গান ইউটিউবে ৭ লাখ ভিউয়ার দেখার পর সেই আলোচনার মাত্রা অনেক গুণ বেড়ে যায়। এ ছবি শেষ করার আগে বোম্বের হট নায়ক ইমরান হাশমির সঙ্গে গাওয়া দ্য উইটনেস ছবিতে কাস্ট হয়ে ঢাকা, কলকাতা ও বলিউডে নিজেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যান নুসরাত ফারিয়া। তার আশিকী ছবিটি গুণেমানে দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় মূলত তার ও অঙ্কুশের পরিমিত অভিনয় অসাধারণ নাচ ও গ্ল্যামারাস উপস্থিতির জন্য। কলকাতার অভিজ্ঞ নায়ক অঙ্কুশের সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে ঢাকা ও কলকাতার নির্মাতাদের নজর কেড়েছেন নুসরাত।
নুসরাত ফারিয়া যে সত্যিকারের স্মার্ট শিক্ষিত ও সাহসী তার প্রমাণ দিয়েছেন এবং আলোচিত হয়েছেন বলিউডেও। বলিউডের গাওয়া দি উইটনেস ছবিতে নুশরাতের সঙ্গে প্যারালাল চরিত্রে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়িকা রিয়া সেন। শুটিং করার সময় নুসরাত বুঝতে পারেন রিয়া সেনের চরিত্র বড় করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেন নুসরাত। সাফ বলে দেন চুক্তি অনুযায়ী তার চরিত্র সমান না করা হলে ছবি ছেড়ে দিবেন। শেষ পর্যন্ত গাওয়া দ্য উইটনেস ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দুই নায়িকার চরিত্র চুক্তি অনুযায়ী সমবন্টন করার পর নুসরাত অভিনয় শুরু করেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এ ছবির কাজ শেষ করে নুসরাত ফারিয়া দেশে ফিরবেন।

মাহির বিয়ে এবং বন্ধু প্রসঙ্গ

6মাঝেমধ্যেই ফেসবুকে সাহসী কিছু স্ট্যাটাস দিয়ে ২০১৫ সালে আলোচিত ছিলেন জনপ্রিয় নায়িকা মাহি। সেই স্ট্যাটাস নিয়ে সারাদেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এর তিনটি ঘটনা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। প্রথমটি হলো জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে রাগ করে তাদের ছবি করবেন না বলে ভারতে গিয়ে এক প্রযোজকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে। এ নিয়ে দেশের পুরো মিডিয়ায় নানান কাহিনী রটে যায়। এরপর তিনি তার ফেসবুকে বিয়ে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন এরকম- আমার বয়সী অনেক মেয়ে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। আমার বিয়ে হলে এরই মধ্যে দু’তিনটি সন্তানের মা হতাম। সংসার করতাম স্বামী সন্তান নিয়ে। দুপুর রাতে রান্না করে স্বামীর অপেক্ষায় বসে থাকতাম। সর্বশেষ মাহি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ময়মনসিংহের এক বন্ধুর সঙ্গে ফেসবুকে অন্তরঙ্গভাবে ছবি পোস্ট করে আলোচিত হন। সেখানে লেখেন আমার পছন্দ শ্যামলা রঙের ছেলে। শ্যামলা ছেলেদের আমার খুব পছন্দ। এই স্ট্যাটাস নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয় মাহি বিয়ে করেছেন। এরপর আসল ঘটনা জানার জন্য মাহিকে ফোনেও পাচ্ছিল না সাংবাদিকরা। পরে মাহি ফেসবুকে জানান যার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছি সে আমার বন্ধু। তার নাম শাওন। ও আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। দীর্ঘদিন পর ওর সঙ্গে দেখা। তাই বন্ধু শাওনের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করেছি। শাওনকে বিয়ে করার প্রশ্নই ওঠে না। আর বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়ে করব।