Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আলতা বানু হবার চেষ্টা করছি-মম

ঈদে জাকিয়া বারী মমর বেশকিছু ভিন্নধর্মী নাটক প্রচার হয়। যেখানে মমকে দর্শক ভিন্নভাবে আবিষ্কার করেন। এখন ব্যস্ত রয়েছেন নতুন নাটকের শুটিং নিয়ে। চলচ্চিত্রেরও শুটিং নিয়ে তা ব্যস্ততা রয়েছে। কথা হলো মম’র সঙ্গে-

আনন্দ আলো: ঈদে এত নাটকের ভিড়ে নিজের কাজ দেখেছেন?

মম: অবশ্যই। আমি সবসময় নিজের কাজ দেখি। শুধু নিজের কাজই না- অন্যের কাজও দেখি।

আনন্দ আলো: ঈদে আপনার কোন কাজের জন্য বেশি প্রশংসা পেলেন?

মম: প্রায় অনেকগুলো কাজই মানুষ দেখে আমাকে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন। তারমধ্যে যে কাজগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি রেসপন্স পেয়েছি সেগুলো হলো- ম্যানিকুইন মুমু, শেষটা অন্যরকম, প্রিয় অভিমান, হাতে রেখে হাতসহ আরো কিছু নাটক। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ইউটিউবে এখনো ঈদের নাটক দেখে অনেকেই আমাকে তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানাচ্ছেন।

আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?

মম: কোরবানি ঈদের কিছু নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। বেশকিছু খÐ ও ধারাবাহিক নাটকে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।

আনন্দ আলো: ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নতুন ছবি ‘আলতাবানু’র কী খবর?

মম: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও অরুণ চৌধুরীর পরিচালিত ছবি ‘আলতাবানু’র শুটিং খুব শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এই ছবিতে আমার সঙ্গে আরো অভিনয় করবেন আনিসুর রহমান মিলন ও ফারজানা রিক্তা। অন্যরকম একটা গল্পের ছবি এটা। নদীর পাড়ে পাড়ে ছবিটির বেশি শুটিং হবে। দর্শক সত্যি আনন্দ পাবেন ছবিটা দেখে।

আনন্দ আলো: এখন তো যৌথ প্রযোজনার ছবি বেশি নির্মিত হচ্ছে। তেমন ছবির প্রস্তাব পেলে?

মম: বিদেশের ছবি পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ব না। প্রথমত গল্পটি ভালো হতে হবে, দ্বিতীয়ত হতে হবে ভালো পরিচালক। ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দুর্বলতা আমার সবসময়ই আছে। ভালো পরিচালক আমার ভেতর থেকে কাজটি বের করে নিতে পারবেন। এটা দেশে হোক বা যৌথ প্রযোজনার ছবি যেটাই হোক না কেন।

ঈদের সেরা বিনোদন ঈদ ইত্যাদি

এবারও ঈদে বিটিভিতে প্রচার হওয়া ‘ইত্যাদি’ দর্শকদের নজর কেড়েছে। এই অনুষ্ঠানে সমাজ সচেতনতামূলক প্রতিবেদন, নাট্যাংশ বা গান যাই হোক না কেন সবকিছু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়Ñ এই একটি মাত্র অনুষ্ঠানেই রয়েছে দেশাত্মবোধ এবং জনস্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের সংযোজন। প্রতিবারের মতো এবারও দর্শকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো হানিফ সংকেতের বিষয় নৈপুণ্য, চিত্রায়ণ বৈচিত্র্য আর সমাজ সংস্কারের নানা উপাদান দিয়ে ভরপুর ইত্যাদি উপভোগ করেছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল একটি নান্দনিক চমক। আমাদের দৃশ্যকাব্য হিসেবে পরিচিত নাটকের ভিত্তিভূমি হলো যাত্রা, আর সেই যাত্রা শিল্পীদের মাধ্যমেই শুরুতে উপস্থাপন করা হয় ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি। শহীদুজ্জামান সেলিম, চঞ্চল চৌধুরী, মীর সাব্বির, অপূর্ব ও জাহিদ হাসানকে দিয়ে আমাদের দেশের বিশেষ করে শহরাঞ্চলের নানা সমস্যা যেভাবে তুলে ধরেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। আকর্ষণীয় ছিল আজিজুল হাকিম, কুসুম শিকদার, ঈমন, নিরব এবং সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর মিউজিক্যাল ড্রামা। বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করার বার্তা নিয়ে সাজানো দর্শক পর্বে ফেরদৌসের সঙ্গে দর্শকদের অভিনয়ের মাধ্যমে ভিনদেশি সিরিয়ালের যে বিদ্রƒপাত্মক নাট্যাংশ উপস্থাপনা করা হয়, তাতে শুধু নিছক বিনোদনই ছিল না, ছিল দেশের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর জন্য সুতীব্র আহŸান। প্রতিবারই বিদেশিদের পর্বটি হয় অসাধারণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ‘ঈদে ঘরমুখী মানুষদের আনন্দ এবং সড়ক দুর্ঘটনা’ এই বিষয় নিয়ে এবারের বক্তব্যধর্মী, সচেতনতামূলক নাচটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হানিফ সংকেত উপহার দিলেন সড়ক দুর্ঘটনার ওপর একটি চমৎকার স্লোগান- ‘চলাচলে আস্থা চাই, বিপদমুক্ত রাস্তা চাই’। এ্যান্ড্রু কিশোরের গানে ঈদের সাজে সজ্জিত দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর কোরিওগ্রাফি ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী।

প্রশংসা কুড়িয়েছে কৃষকের ঈদ আনন্দ

Krisoker-Eid2017প্রতি ঈদেই চ্যানেল আইতে প্রচার হয়ে থাকে শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের পরদিন চ্যানেল আই-এর পর্দায় প্রচার হয় অনুষ্ঠানটি। এবারের পর্বটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলদিয়ায় পদ্মার পাড়ে ধারণ করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের কাছে। অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয় পাহাড়ধসে নিহতদের প্রতি শোক জানানোর মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া সমবেদনা জানানো হয় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতি। পদ্মাপাড়ের স্থান নির্ধারণের একটি বিশেষ কারণ হলো এর অদূরেই নির্মাণ চলছে পদ্মা সেতুর, যা বাংলাদেশের সক্ষমতার এক প্রতীক। এ সেতুর নির্মাণ পাল্টে দিচ্ছে পদ্মাপাড়ের কৃষি, অর্থনীতি, সমাজ, প্রতিবেশ। আর তার মধ্যেই এবার দক্ষিণ হলদিয়া ও আশপাশের গ্রাম থেকে দলবেঁধে কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’তে। গ্রামীণ সব খেলাধুলা যা রঙিন করেছে আমাদের শৈশব লালিত স্মৃতি, এবারের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে তারই বর্ণিল ছটা তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে দারুণভাবে। বিশেষ করে ক্লাস থ্রি থেকে ফাইভে পড়ুয়া ৩০ শিক্ষার্থীর বস্তা দৌড় খেলা অন্যরকম আবেদন তৈরি করেছে দর্শক হৃদয়ে। এ ছাড়া কৃষকদের অংশগ্রহণে পানির ওপর ঐতিহ্যবাহী বালিশ লড়াই ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। একইভাবে শাইখ সিরাজ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন কৃষকদের অংশগ্রহণে মোরগ লড়াই ও কলাগাছ বেয়ে উঠার খেলা। তবে এবারের অনুষ্ঠানে অন্যতম আয়োজন ছিল কৃষক ও তাদের স্ত্রীদের অংশগ্রহণে খেলা। চার জোড়া দম্পতি অংশ নেয় এ খেলায়। খোলা মাঠে চোখ বাঁধা অবস্থায় স্ত্রীদের খুঁজে তাদের সাজান চার স্বামী। এ ছাড়া তরুণ রাশেদের মোটরসাইকেল ও কার নিয়ে ভয়ানক সার্কাস খেলাও উপভোগ করেছেন দর্শক। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও এবারের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ ধারণ করা হয়। দেখানো হয় প্রাচীন চীনা সার্কাস পার্টির অভিনব সার্কাস। এ ছাড়া চীনের ওয়াটার ভিলেজের বিভিন্ন স্বাদের খাবার ও পণ্যসামগ্রী নিয়ে সাজানো পর্বটি ছিল দারুণ উপভোগ্য। আর আমেরিকায় থাকা এক বাংলাদেশি কিশোরের গ্রামের শিশুদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান পর্বটিও ছিল বেশ মানবিক আবেদনসম্পন্ন এবং শিক্ষণীয়। পাশাপাশি গ্রামে নির্মিত চমৎকার টিনের বাড়ির পর্বটি ভিন্নরকমের ভালোলাগা তৈরি করেছে দর্শক হৃদয়ে।