সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
আনন্দ আলো: জন্মদিন বিষয়ে একটি তথ্য জানতে চাই..
মুনিরা ইউসুফ মেমী: আনন্দের ঘটনা হল এপর্যšত্ম জন্মদিনে আমাকে কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি, কোন দুঃসংবাদ পেতে হয়নি। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। সত্যি বলতে আমি কখনো নিজের জন্মদিন ঘটা করে পালন করি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে বাইরে গিয়ে খেয়ে আসি।
আনন্দ আলো: জন্মদিনের কোন স্মরণীয় মুহূর্ত আমাদের সাথে যদি শেয়ার করতেন..
মুনিরা ইউসুফ মেমী: শাশুড়ি আছে আমার বাসায়। তার বয়স এখন পঁচাত্তরের ওপর। মজার ব্যাপার হলো আমার জন্মদিন, আমাদের বিয়ে বার্ষিকী সব তার মনে থাকে। তিনি নীরবে সেইদিনগুলোতে আমাদের জন্য ভালো ভালো রান্না করেন। তার দেখাদেখি আমার বাসার দুই গৃহকর্মীও বিষয়টা শিখে গিয়েছিল। আমাদের বিশেষ বিশেষ তারিখগুলো তারা মনে রাখা শুরু করলো। যদিও এটা বিয়ে বার্ষিকীর স্মৃতি তারপরেও বলতে ইচ্ছে করছে। আমার বিয়ে বার্ষিকী ৩০ অক্টোবর। আমার একটা বুটিক হাউজ ছিল। বুটিকের কাজে আমি অনেক রাতে বাসায় ফিরেছি। খেতে বসে দেখি পোলাও, কোর্মা, রুই মাছের কালিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করায় ওরা জানালো, আজ আপনার বিয়ে বার্ষিকী। ঘরে ঢুকে দেখি ওরা ক্যান্ডেলও জ্বালিয়েছে। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ!
আনন্দ আলো: সারপ্রাইজ গিফট বিষয়টা কেমন লাগে?
মুনিরা ইউসুফ মেমী: খুবই ভালো লাগে। আমার এক জন্মদিনে বন্ধু সুরাইয়া ফোন করে জানতে চাইলো আমি কোথায়। জানালাম মেয়েকে আনতে ইউনিভার্সিটি যাচ্ছি। মেয়েকে নিয়ে ফিরলাম। কিছুক্ষণ পরে সে একটা সুন্দর কেক নিয়ে হাজির। সেটা টেবিলে নিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে কেকটা কাটলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। সেই একই জন্মদিনে আমার স্বামী ইউসুফ দেশের বাইরে ছিল। ফোন করে উইশ করে জানালো জন্মদিন উপলক্ষে আমার জন্যে সে অর্নামেন্টস কিনেছে। অর্নামেন্টস বিষয়টা হয়ত তেমন কিছুই না ভালোবাসাটাই আসল। কী যে ভালো লাগলো।
আনন্দ আলো: জন্মদিনে কে প্রথম উইশ করে?
মুনিরা ইউসুফ মেমী: আমার মেয়েই করে। যদিও আমি ঘটা করে জন্মদিন পালন করিনা তারপরেও তারিখটা পরিবারের সবাই মনে রাখে। আমার ননদের সšত্মানেরাও তারিখটা মনে করে আমাকে উইশ করে। এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোবাসা জীবনের শ্রেষ্ট প্রাপ্তি।