Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমাদের ক্যাপ্টেন

ক্রিকেট একমাত্র ক্রিকেটই বাংলাদেশে একমাত্র খেলা যার জয় পরাজয়ে দেশের মানুষ এক সাথে আনন্দ করে, এক সাথে কষ্টও পায়। দেশ বিদেশে যেখানেই বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের খেলা থাকুক না কেন দেশের মানুষ উম্মুখ হয়ে থাকে খেলার ফলাফল জানার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটদল তিন ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে ম্যাচে হারিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাফল্যের এই আলোচনায় দেশ-বিদেশে গুরুত্ব পাচ্ছে একটি নাম-মাশরাফি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন তিনি। তাঁকে নিয়েই আনন্দ আলোর এবারের শীর্ষ কাহিনী।
স্কুলের প্রতিটি ক্লাশে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা হবে। পাঁচটি ক্লাশের একটি বাদে চারটিতে একাধিক প্রার্থী দাঁড়াল। ৭ম শ্রেনীতে প্রার্থী হল শুধুমাত্র একজন। তাও তাকে ধরে বেধে জোড় করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো। সে কারনে অন্য ক্লাশে নির্বাচনের হৈ চৈ থাকলেও ৭ম শ্রেনীটা যেন নিশ্চুপ। ক্লাশের দুই একজন ছাত্র মনমরা হয়ে বলল- নির্বাচনটা যেন জমছে না। নির্বাচন হলো। পাঁচটি শ্রেনীতেই নতুন ক্যাপ্টেন। দিন যায়, মাস যায় ৭ম শ্রেনীর নির্বাচিত ক্যাপ্টেন ক্লাশের সবার মধ্যমনি হয়ে ওঠে। এর অবশ্য কারন আছে। ক্যাপ্টেন মানে সে ক্যাপ্টেনই…। অতটুকু ছেলে, ক্লাশের সবার নাম ঠিকানা মুখস্থ। কেউ হঠাৎ ক্লাশে অনুপস্থিত থাকলে দৌঁড়ে তার বাড়ি চলে যায়। কেউ পড়াশুনায় খারাপ করলে তাকে আলাদা ডেকে নিয়ে বোঝায়। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হবে। ৭ম শ্রেনী থেকেই প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতে অনেকে। ডিবেট প্রতিযোগিতাতেও ৭ম শ্রেনীরই জয় জয়কার। এক সময় অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে সবাই ৭ম শ্রেনীর মতো হতে চায়। ৭ম শ্রেনীর ছাত্রদেরকে অন্যরা এসে বলেÐ আহারে! তোদের মতো একজন ক্যাপ্টেন যদি আমদের থাকতো। সব শুনে ৭ম শ্রেনীর ছেলেরা বলে- আরে ভাই ও তো আমদের শুধু ক্যাপ্টেন নয়, আমাদের ভাই, বন্ধু… আমাদের অনেক কিছু… ক্যাপ্টেন শব্দের সোজাসাপ্টা মানে দাঁড়ায় নেতা। কোনো দলে বা গ্র“পে যদি একজন যোগ্য নেতা থাকে তাহলে সেই গ্র“পের শক্তি ও সাহস বাড়ে। দৈর্বাৎ কোথাও একটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। কী করা যায়, কী করা যায়? এই ভেবে সাধারন মানুষ যখন অসহায়, বিভ্রান্ত। হঠাৎ দেবদূতের মতো হয়তো একজন মানুষ এসে দাঁড়াল। ব্যস, তাকে দেখে উপস্থিত জনতা নিমিষেই সাহসী হয়ে উঠলো। বিপুল আনন্দে হাততালি দিল। এই যে তাদের মধ্যে সাহসটা এসেছে এর পেছনে একজন মানুষের ওপর ভরসা কাজ করেছে। মানুষটিই হলো তাদের নেতা, তাদের ক্যাপ্টেন! এই ক্যাপ্টেন শব্দটা ইদানিং বেশ আদুরে হয়ে উঠেছে। দেশের সাধারন মানুষের মুখে মুখেও এখন শব্দটা ঘুরছে। আমাদের ক্যাপ্টেন… কে? মাশরাফি বিন মুর্তজা। জাতীয় ক্রিকেট দলের (টি টুয়েন্টি ও ওয়ানডে) কাপ্তান। দেশের সব মানুষের মুখেই তার প্রশংসা। পারিবারিক বৈঠকে, অফিস আদালতের আড্ডায়, পাড়া, মহল­ায়, বাস, ট্রেন, লঞ্চে, রেস্তোরায় হাঁটে বাজারে ক্যাপ্টেনকে নিয়েই আলোচনা। সত্যি এতদিনে আমরা একজন ক্যাপ্টেন পেয়েছি। যাকে দেখলেই আনন্দে মন ভরে যায়। যার কথা শুনলে সাহস জাগে। পঞ্চাশ জন তরুনের সাথে আমরা কথা বলেছি। কার মতে হতে চাও? প্রশ্ন করতেই তেত্রিশ জনের উত্তরÐ মাশরাফি ভাইয়ের মতো হতে চাই। কেন তার মতো হতে চাও? সবার অভিন্ন উত্তর- তিনি অনেক ভালো মানুষ। তাকে দেখলে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে করে… মাশরাফি ভালো মানুষ। তাই তার প্রতি সবার এত ভক্তি আর শ্রদ্ধা। আসলে ভালো মানুষের সংজ্ঞা কি! ভালো মানুষ হবার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে? উত্তর একটাইÐ সেই ভালো মানুষ, যার মন উদার। যে নিজের চেয়ে অন্যকে বেশী ভালোবাসে। নিজের চেয়ে অন্যের মঙ্গল কামনা করে। মাশরাফি কি এমনই? নিজের চেয়ে অন্যের মঙ্গল কামনা করে বেশী? প্রশ্নটা তুলতেই একজন ক্রীড়া সাংবাদিক বললেন- নিজের চেয়ে অন্যের মঙ্গল কামনা করে কিনা জানিনা। তবে এতটুকু বুঝি দেশকে ভালোবেসে মাশরাফি সবাইকে নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে চায়। আর সেজন্য জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যের সাথে তার গভীর বন্ধুত্ব। লড়াইয়ের মায়দানে কৌশলগত কিছু বিষয় কাজ করে। প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক তার Mash-9সাথে লড়াই করার আগে তাকে ভয় পাবার কোনো কারন নাই। বরং তাকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকারÐ আমি তোমাকে ভয় পাই না। লড়াইয়ের ময়দানে আসো। তারপর দেখা যাবে… জাতীয় ক্রিকেট দলে এই সাহসটাই ছড়িয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। দলের সদস্যদের বলেছেন, প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক কখনও মাথা নীচু করে থাকবে না। চোখে-চোখ রেখে তাকাবে। তুমি যদি কারও চোখে চোখ রেখে তাকাও, কথা বল দেখবে সে তোমাকে সমীহ করবে। মাশরাফির এই কথাই বোধকরি জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যের মাঝে প্রেরনার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। খেরার মাঠে এর প্রভাবও পরেছে। খেলার মাঠে শক্তিধর প্রতিপক্ষের সামনেও বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা এখন নির্ভার। তুমিও খেলোয়াড়, আমি খেলোয়াড়। এসো বন্ধু মাঠেই প্রতিযোগিতা হবে। শুধু দেশে নয় ক্রিকেট বিশ্বে এখন ব্যাপক আলোচিত আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফি। আমাদের নড়াইল এক্সপ্রেস মানুষটা আসলে কেমন? সারাক্ষণ গম্ভীর থাকেন? নাকি সারাক্ষণ হাসি খুশী… প্রাণবন্ত থাকতে ভালোবাসেন? নড়াইল এক্সপ্রেসের বেলায় দ্বিতীয় কথাটাই প্রযোজ্য। মাশরাফি সদা হাস্যোজ্জ্বল সৎ ও বিনয়ী একজন মানুষ। নিজের মধ্যে অহেতুক অহংকারের বালাই নেই। এখনও ছুটি ছাটায় নড়াইলে বেড়াতে গেলে বন্ধুদের নিয়ে পথের ধারেই ঘাসের চাদরে বসে নির্মল আড্ডায় মেতে ওঠেন। তখন মনেই হয় না এই MASH-7মানুষটিই খেলায় একটা দেশকে নেতৃত্ব দেন। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে খেলার মাঠে কতটা ভয়ংকর। বাবা গোলাম মুর্তজা ছেলেকে ছোটবেলায় গান শেখাতে চেয়েছিলেন। গানের শিক্ষকও রাখা হয়েছিল। শিক্ষক প্রতিদিন দরদ মাখা কণ্ঠে সুর তোলেন সারেগামা…. মাশরাফির সেদিকে কোনো নজর নাই। অগত্যা গানের খাতা সেখানেই বন্ধ হলো। ছোটবেলায় কেমন ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন? মা হামিদা মুর্তজার মন্তব্যÐ খুবই সাদা সিধে টাইপের একটা ছেলে ছিল। তেমন কোনো চাহিদাও ছিল না। শীতকালে যদি সোয়েটার না থাকত, তাহলে একবারে পাঁচ ছয়টা শার্ট পরে নিত। লুঙ্গি ছিঁড়ে গেলেও কাউকে কিছু বলতো না। বরং এনিয়ে মজা করতো সবার সাথে। পাঁচ ছয়টা শার্ট একেবারে পরে নিয়ে যাকেই সামনে পেত তাকেই কৌতুকের সুরে জিজ্ঞেস করতোÐ বলতো কয়টা শার্ট পরেছি? বলতে পারলে পুরস্কার আছে। হা; হা; হা; তবে হ্যা, মাশরাফি একবারই মায়ের কাছে একটা জিনিস চেয়েছিলেন। তাহলো ক্রিকেটের ব্যাট। মাশরাফির ভাষায়- ‘আমার তো ক্রিকেট ব্যাট, প্যাড কিছুই নিজের ছিল না। জাতীয় দলে খেলি। নিজের ব্যাট নাই। আম্মুকে বললাম, আমারে একটা ক্রিকেট সেট কিনে দিবা? বুঝতে পারছিলাম এটা আমার আব্বার জন্য খুব কঠিন হবে। এজন্য খুব খারাপ লাগছিল। একদিন ধার দেনা করে আব্বা আমার হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন। জীবনে ওই একবারই আমি পরিবারের কাছে কিছু চেয়েছিলাম। আমাদের ক্যাপ্টেন মাশরাফি এমনই একজন সাদাসিধে মানুষ। দেশের প্রতি তার অনেক মায়া। ছেলে সম্পর্কে বাবা গোলোম মুর্তজার মন্তব্য- সে একজন কঠিন দেশপ্রেমিক! এবার বিশ্বকাপে নিউজিলান্ডের নেলসনের মাঠে কিছুটা টের পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেটেও ব্যাপারটা অনুভব করেছি। প্রসঙ্গ তুলতেই কয়েকজন ক্রিকেট ভক্ত বললেনÐ বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতার পর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য মাশরাফি ভাই যখন টিভির সামনে আসেন তখন তার মাথায় বাধা ছিল আমাদের লাল সবুজের প্রিয় জাতীয় পতাকা। টিভি পর্দায় দৃশ্যটা দেখে আমরা আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। ক্যাপ্টেনের প্রতি সেদিনই আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরও বাড়তে থাকে। বাবা গোলাম মুর্তজা বললেনÐ মাশরাফি খুবই ধর্মপরায়ন, দেশ প্রেমিক, সৎএকটা ছেলে। অন্যের উপকার করতে পারলে খুশী হয়। বাংলাদেশের চেয়ে আর কোন প্রিয় জায়গা ওর নেই। মাশরাফির মতে, আমি পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি। কিন্তু কখনই মনে হয়নি আমাদের দেশটা অন্য কোনো দেশের চেয়ে ছোট। আমাকে যদি কেউ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অন্য দেশে থাকতে বলে, তাহলেও আমি সেই সুযোগ নিব না। দেশে ফিরে আসব। আমি আমার দেশকে খুবই ভালোবাসি… এই হলো আমাদের ক্যাপ্টেন! আমাদের ক্যাপ্টেনের পছন্দের খাবারের তালিকাও সাদা মাটা। আলু ভর্তা আর ভাত। সাথে কইমাছ আর গরুর মাংস থাকলে তো কথা নেই! দেশাত্ববোত্বক গান তাঁর খুবই প্রিয়। এনিয়ে তাঁর গর্বেরও শেষ নাইÐ “শোনেন, একুশে ফেব্র“য়ারি আর মহান মুক্তিযুদ্ধের যে গান গুলো আমাদের আছে, তাহলো বিশ্বসেরা। দেশকে ভালোবাসার জন্য অনুপ্রেরনা দিতে পারে এমন গান কি আর কোথাও আছে? জেমস, আইয়ুব বাচ্চুর গান খুব প্রিয় আমাদের ক্যাপ্টেনের। বাবার পরামর্শে ইদানিং রবীন্দ্রসঙ্গীতের দারুন ভক্ত হয়ে উঠেছেন। সময় পেলেই সিডিতে দেশের টিভি নাটক আর সিনেমা দেখেন। পছন্দের তালিকায় উত্তম-সূচিত্রার সিনেমাকেই শীর্ষে রেখেছেন। নড়াইলে মাশরাফিদের বাড়িটা নিতান্তই সাদামাটা ধরনের। বাড়ির প্রতিটি দরোজা সারাক্ষণই খোলা থাকে। যার যখন ইচ্ছে ঢুকছে, বের হচ্ছে। পরিবারের দুই ছেলেই থাকেন ঢাকায়। তাই বলে শুধুই কী বাবা-মা থাকেন এই বাড়িতে? মোটেই তা নয়। ১০ জন এতিম বাচ্চাও এই বাড়িতে থাকে। আমাদের ক্যাপ্টেনের মায়ের ইচ্ছে একটি এতিমখানা করবেন। যেখানে দিশাহীন শিশুরা আশ্রয় পাবে। বাবা বললেনÐ ‘আমাদের বাড়িতে কোনো আলমারিতে তালা নেই। কারন তালা দেয়ার দরকার পরে না। কেন পরে না জানেন? বিশ্বাসের কারনে। মানুষের প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস। ঢাকায় আমাদের ক্যাপ্টেন যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেখানেও সবার অবাধ যাতায়ত। কারন একটাই ক্যাপ্টেন যৌথ পারিবারে বসবাস করেন। তার স্ত্রী অমায়িক এক ভদ্র মহিলা। সারাক্ষণ সংসার আর সংসারের মানুষ গুলোর ভালো মন্দ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। আর ক্যাপ্টেনের ব্যস্থতা গোটা বাংলাদেশকে নিয়ে। ক্যাপ্টেনের জন্য আমাদের অফুরন্ত Cricket_10-18ভালোবাসা… শুভ কামনা। বিজ্ঞাপন সিনেমায় মাশরাফি Ðমাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা টি টুয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবারের বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তিনটি খেলায় জয়ী হয়ে প্রথম বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে এবং দেশের মাটিতে এবছর পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিন আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে। অসাধারন এক ক্রিকেটার মাশরাফি ব্যক্তি জীবনে খুব সাদাসিধে এবং অত্যন্ত সচেতন মানুষ। খেলার বাইরে অনেক সামাজিক সচেতনতামূলক কাজে অংশ নেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন চিত্রেও মডেলিং করেছেন। এর মধ্যে আছে স্কয়ার কনজুমার প্রোডাক্টের কুল ব্র্যান্ডের আফটার সেভ লোশন অন্যতম। এই ব্র্যান্ডের বেশ কয়েকটি সিক্যুয়েল বিজ্ঞাপন চিত্রে মাশরাফি খুবই সাবলিল পারফর্ম করেছেন। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে মাশরাফি আরো একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেলিং করেছেন। এটি ভারতীয় বিখ্যাত কনজুমার প্রোডাক্ট গোদরেজ কোম্পানীর গুডনাইট অ্যাডভান্সড ফাস্টকার্ড এর বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন চিত্রে তিনি একজন ফাস্ট বোলার হিশেবে পারফর্ম করেছেন। গ্লোব প্রোডাক্টের বুস্ট এনার্জি বিস্কুটের বিজ্ঞাপন চিত্রেও পারফর্ম করেছেন কিছুদিন আগে। মাশরাফি বলেন, এ পর্যন্ত যে সব বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেছি সে গুলোর গল্প ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই বলে রাজি হয়েছি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট নিয়ে আরো ভালো গল্পের বিজ্ঞাপনের অফার পেলে কাজ করব। সর্বশেষ মাশরাফি টাইগার সিমেন্ট কোম্পানীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাছাড়া টাইগার সিমেন্টের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনেও মডেলিং করবেন তিনি।