Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

অবকাঠামোগত উন্নয়নই প্রথম অগ্রাধিকার!

-এসএম ফরমানুল ইসলাম, সিইও, বিআইএফএফএল

দীর্ঘমেয়াদি বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় গুরুত্বারোপ এবং নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে, দেশে সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন-২০১৫ (চচচ অপঃ)-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি ‘পিপিপি কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং দেশের অবকাঠামো প্রকল্পসমূহে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাক্চার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) গঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের ভৌত অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমূহে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ বেসরকারি এবং বৈদেশিক উৎস হতে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করছে।

বিআইএফএফএল ২১ মার্চ, ২০১১ তারিখে কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর অধীনে নিবন্ধিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন এবং পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ১০ হাজার কোটি টাকা এবং ২, ০৫৯ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর অধীনে বিআইএফএফএল একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়।

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বিআইএফএফএল (দুইদিন ব্যাপী) গ্রীন কনভেনশন এন্ড এক্সপোর আয়োজন করেছিল। দেশ-বিদেশ থেকে এই কনভেনশন এন্ড এক্সপোতে অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। ইতোমধ্যে বিআইএফএফএল এ যুক্ত হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের সুবিধা। বিআইএফএফএল-এর বর্তমান অবস্থা এর ভবিষ্যৎ নানান পরিকল্পনার কথা জানানÑ এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এন্ড সিইও এসএম ফরমানুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সৈয়দ ইকবাল।

আনন্দ আলো: সম্প্রতি শেষ হওয়া বিআইএফএফএল-এর উদ্যোগে গ্রীন কনডেনশন ও এক্সপো নিয়ে কিছু বলুন

এসএম ফরমানুল ইসলাম: গত বছর আমরা গ্রীন ব্রিক-এর উপর এই কনভেনশনটা করেছিলাম। এবছর আবারও বিআইএফএফএল গ্রীন কনভেনশন এন্ড এক্সপো-এর আয়োজন করি। এবার আমরা এত সাড়া পাবো তা ভাবেনি। একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম অনেকে এই এক্সপো এন্ড কনভেনশনে নিজে থেকে যোগাযোগের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা আসলে যে ধরনের প্রজেক্টে এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করে থাকি তারা কীভাবে পরিবেশকে রক্ষা করে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে সেটাই ছিল এই কনভেনশন এবং এক্সপো-এর উদ্দেশ্য। উন্নয়ন তো করতেই হবে। সারাবিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় কেটে রাস্তা হবে এবং বনাঞ্চল-এর পাশে নানান প্রজেক্ট হবে। এখন কথা হচ্ছে কতটুকু ক্ষতির পরিমাপ কমিয়ে প্রজেক্টগুলো করা যায় সেই বিষয়ে সকলকে বুঝানোর ব্যাপারটাই এই কনভেনশন-এ তুলে ধরা হয়। আমি এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই, সারাবিশ্বে যে দেশগুলো উন্নত তাদের পরিবেশও অনেক উন্নত। যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল এবং সবুজে ঘেরা জায়গায় নানান প্রজেক্ট নির্মিত হয়ে থাকে। সেখানে দেখলাম পরিবেশের চিত্রটাও অনেক সুন্দর। তাই বলে পরিবেশের কিছুটা ক্ষতি যে হয় না আমি তা বলবো না। তবে একই সঙ্গে পরিবেশটা যতœও পেয়ে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবেশটা অনেক সুন্দরও দেখায়। তাই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরিবেশটা কীভাবে রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন করা যায় সেই কাজটি আমরা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের এই কাজটি বেশ সাড়া ফেলেছে। এই কনভেনশন এবং এক্সপো-এর ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রীন টেকনোলজির মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানকে সাজাতে চায় তাদের অংশগ্রহণ এবং যারা আবার এই গ্রীন টেকনোলজির সাপোর্ট দিয়ে থাকে তাদেরও অংশগ্রহণ ছিল। জাপান, চায়নাসহ বিশ্বের নানান দেশ থেকে এই আয়োজনে অনেকে সম্পৃক্ত হয়েছে। যারা এসব গ্রীন টেকনোলজিক্যাল প্রতিষ্ঠানে ফাইন্যান্স করতে আগ্রহী সেই ধরনের। বিভিন্ন ব্যাংকও অংশ নিয়েছে এতে। কাকে গ্রীন বলা যাবে, কোন প্রতিষ্ঠান গ্রীন, কেন গ্রীন এবং কী হলে গ্রীন বা কী না হলে গ্রীন এধরনের স্পেশালিস্ট প্রতিষ্ঠানও এতে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রীন কনভেনশন এন্ড এক্সপো একটা তথ্যের আদান-প্রদানের মাধ্যম হয়ে ওঠেছিল। কারণ উন্নয়নটা করতে হলে, দেশে অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হলে পরিবেশকে রক্ষা করেই করতে হবে। আমরা যেহেতু অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যেমন রাস্তা ঘাট, পাওয়ার প্ল্যান্টসহ দেশের নানান ধরনের প্রজেক্টে ফাইন্যান্স করে থাকি তাই পরিবেশ রক্ষা করাটাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্ববোধ এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই কাজটি করছি। এখানে আমি বলতে চাইÑ ইটভাটায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে আমরা বিআইএফএফএল গ্রীন ব্রিক কনভেনশন করার সাড়ার ফলেই এই আয়োজনটি করি। এবারের আয়োজনের মধ্যে ছিল পরিবেশবান্ধব ইট কারখানা, নবায়নযোগ্য শক্তি, পরিবেশবান্ধব ভবন। শিল্প নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপুরি দক্ষ এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার প্রদর্শনী মেলা। এই আয়োজনের ফলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও পরামশগুলো নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেবার সুযোগ পায়। যা বাংলাদেশের সামগ্রিকভাবে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সহায়ক।

আনন্দ আলো: বিআইএফএফএল-এর মূল লক্ষ্য কী?

এস এম ফরমানুল ইসলাম: বিআইএফএফএল-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বন্ড ও ঋণ সুবিধা এবং মূলধনী (ইক্যুইটি) অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের পিপিপি, অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন করা। এ লক্ষ্যে বিআইএফএফএল দেশি-বিদেশি পর্যায়ে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে দেশের ভৌত অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে অর্থায়ন করছে।

আনন্দ আলো: আগামীবছর এই আয়োজনে কেমন ব্যতিক্রমী বিষয় থাকতে পারে?

এস এম ফরমানুল ইসলাম: আমরা এবছর এত সাড়া এবং সাজেশনস পেয়েছি যে তা হয়তো ভাবিও নাই। তাই এ বছর আমরা যেমন বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে সাজেশন্স পেয়েছি যেন আগামীতে শুধু এই কনভেনশন এবং এক্সপোটা ঢাকা কেন্দ্রিক না হয়। অনেকের মতে, চিটাগাং, রাজশাহীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে এই আয়োজন হলে আরো ভালো হবে বলে উল্লেখ করেন। কারণ এই আয়োজনটা একে অন্যের সঙ্গে এত তথ্যের আদা প্রদান করা যায় যে, যা অনেকের জন্যই উপকার হয়। তাই আমরাও চিন্তা করেছি আগামীতে বেশ কয়েকটি শহরে এই আয়োজনটি করার। এব্যাপারে আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি।

আনন্দ আলো: এবার বিআইএফএফএল-এর নতুন সংযোজন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের বিষয়ে বলবেনÑ

এসএম ফরমানুল ইসলাম: দেখুন আমরা যদি পুরো দেশের উন্নয়নের কথা বলি তাহলে আজকে নারীদের বাদ দিয়ে কিন্তু এটা চিন্তাও করা যাবে না। আমরা অনুধাবন করলাম একজন নারী একটু সহায়তা পেলেই দেশের উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতে পারে। অলরেডি তারা রাখছেন তাই যেসব নারীদের মধ্যে কিছু করার ইচ্ছা এবং চেষ্টাটা আছে তাদেরকে আর্থিকভাবে অনেক কম ইন্টারেস্টে লোনের ব্যবস্থা করছি। এটা আমরা একদম মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এসব নারীদের খোঁজে লোনটা দেয়া হচ্ছে। যাদের আসলে দরকার এবং যারা একটু সুযোগ-সুবিধা পেলে সত্যিকার অর্থেই কিছু করতে পারবেন কেবল তাদেরকেই এই ঋণটা দেয়া হচ্ছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় আমরা কিন্তু কেউ চাইলেই যে ঋণ দিয়ে দিচ্ছি বিষয়টা তা নয়। তার আসলেই কতটুকু প্রয়োজন এবং পরিবারের কর্তা অর্থাৎ স্বামী, বাবা কিংবা বড় ভাই টাকাটা কোনোভাবে নিয়ে খরচ করে ফেলবে নাকি সেই বিষয়েও খেয়াল রাখি। মোটকথা সমাজে একজন নারী দ্বারা যখন দেখা যাবে সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং সে কিছু সহায়তা পেলে কিছু একটা করতে পারবেন তাকেই আমরা এই সুযোগটা দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা এই ঋণের বাজেটের একটা অংশ বিতরণ করেছি। খুব অল্প পরিমাণের টাকা থেকে শুরু করে বড় অ্যামাডন্টও এই ঋণে দেয়া হয়। তবে সেটা সেই নারীর উদ্যোক্তার ধরন দেখে নির্ধারণ করা হবে। আমরা আমাদের এই কার্যক্রমটির ব্যাপারেও বেশ সাড়া পাচ্ছি। আজকের নারীদের একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করানোর জন্য এই কাজটি করছি। উন্নয়নের কথা বললে নারীদের বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। দেশের জনগণের অর্ধেক হচ্ছে নারী।

আনন্দ আলো: এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। বিআইএফএফএল-এর এ পর্যন্ত কাজের কিছু কথা জানাবেনÑ

Formanul-Islam-1এসএম ফরমানুল ইসলাম: ২০১১ সালে এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের অনেক উন্নয়নমূলক অবকাঠামোতে সহায়তা করেছে। আমরা প্রতি পাঁচ বছরের একটা টেকসই প্ল্যান করে থাকি। সেই মোতাবেক অর্থ বিনিয়োগ এবং যোগানের বিষয়টি মাথায় রাখি। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৭ সালে আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় তিনশত তেতাল্লিশ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিতরণ হয়েছে তিনশ তিন কোটি টাকা। যোগাযোগ খাতে আমরা প্রায় আটশ ষাট কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছি। এরমধ্যে পাঁচশত চল্লিশ কোটি টাকা বিতরণ হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে পাঁচশত ষাট কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছি। তার মধ্যে দুইশত বিরান্ননব্বই কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রায় চারশ পনের কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে একশত উনচল্লিশ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এমনিভাবে স্বাস্থ্য খাত, ডেভেলপমেন্টসহ নানান খাতে প্রায় ২৭ শ ৮৩ কোটি টাকার অনুমোদনের মধ্যে ষোলশ পঞ্চাশ কোটি টাকা অলরেডি বিতরণ করা হয়েছে। যা শুধু দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। আমাদের সামনে প্রায় চার হাজার পাঁচশত কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আছে। যা আমরা সামনে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সহায়তা করবো। আমরা ২০২১ সাল নাগাদ আরো প্রায় ১৩ হাজার পাঁচশত তেতত্রিশ কোটি টাকা বা প্রায় চৌদ্দ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে। যেগুলোর মধ্যে পাওয়ার অব এনার্জি থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট এবং পরিবেশ উন্নয়নের প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে নারী উদ্যোক্তাদেরও বিনিয়োগ সহায়তা দেয়া হবে। ২০২১ সাল নাগাদ শুধু নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায় দুইশত বাষোট্টি কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে।

আনন্দ আলো: বিআইএফএফএল কর্তৃক বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতসমূহ বলবেনÑ

এস এম ফরমানুল ইসলাম: জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও বিতরণ। তেল শোধনাগার, এলপিজি ও সার উৎপাদন প্রকল্প। পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি দক্ষ ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প এবং গ্রীন বিল্ডিং। বিমানবন্দর, টার্মিনাল ও বিমান চলাচল সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণ। পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ও তরল বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র নির্মাণ। সেতু, টানেল, মাস্ র‌্যাপিড ট্রানজিট, ইন্টারচেঞ্জার, বাস টার্মিনাল, গাড়ি পার্কিংসহ সড়ক ও জনপথ নির্মাণ প্রকল্প। অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল ও ডিপো এবং বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। তথ্য ও যোগাযোগখাত ( টেলিযোগাযোগ, সেলুলার, ব্রডব্যান্ড, স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক) ও সেবা সমূহ। পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্ট মৌলিক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। শিল্প ও কঠিন বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থাপনা ও পুনঃ প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প। রেলপথ, রোলিং স্টক, যন্ত্র ও স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্প। অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প নগরী ও পার্ক ও নগর উন্নয়ন। সামাজিক অবকাঠামো যেমনঃ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। নারী উদ্যোক্তা অর্থায়ন প্রকল্প। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাÐে সরকার কর্তৃক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্প।

আনন্দ আলো: বিআইএফএফএল-এর ভিশন সম্পর্কে বলবেন

এসএম ফরমানুল ইসলাম: ২০২১ সাল নাগাদ সরকারের যে ভিশন রয়েছে সেই মোতাবেক দেশের অবকাঠামোতে অবদান রাখাই আমাদের কাজ। যেমন ২০২১ সাল  নাগাদ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামোতে যে উন্নয়ন লাগবে সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে কাজ করছে। কারণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমনÑ বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তা-ঘাট, গাড়িসহ পরিবেশবান্ধব সব প্রকল্প লাগবে। এগুলোর উন্নয়ন বাদ দিয়ে কোনোভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেই অবকাঠামোগত সহায়তা দেয়াই বিআইএফএফএল-এর ভিশন। আর প্রকল্পগুলো যেন দেশের উন্নয়ন তথা পরিবেশকে ত্বরান্বিত করে সেইদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হচ্ছে। আর এই জন্যই আমরা গ্রীন, নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রকল্পে কাজ করছি এবং সেইসব প্রকল্পেও সহায়তা করছি।