Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

অনেকে ধরতেই পারেন না এটা আমার কণ্ঠ-কনা

এ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। অডিওর পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক বিকেলে তার সঙ্গে কথা হয় বর্তমান ব্যস্ততা ও সংগীত জীবন নিয়ে-

আনন্দ আলো: আপনার গাওয়া ‘দিল দিল দিল, ও ডিজে ও ডিজে এবং রেশমি চুড়ি তিনটি গান ইউটিউবে ভিউয়ার সংখ্যায় কোটির ঘরে পৌঁছার রেকর্ড করেছে। অনুভূতি কেমন?

কনা: অনুভূতি বেশ ভালো। কারণ খুব অল্প সময়ে তিনটি গান কোটিরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। এটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখন মনে হচ্ছে দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেল। কারণ শ্রোতাদের প্রত্যাশা আরো বেশি এখন আমার কাছে। এ কারণে বেশ বুঝে শুনে পথ চলছি। আরও ভালো গান করার চেষ্টা করছি।

আনন্দ আলো: তাহলে গান নিয়ে পরিকল্পনা কী সামনে?

কনা: আসলে পরিকল্পনা একটু ভালো গান করার। সামনে আমার বেশ কয়েকটি নতুন গান আসবে। নিজ উদ্যোগে কয়েকটি করে রেখেছি। তবে সেগুলো এক সঙ্গে প্রকাশ করব না। একটি একটি করে ভিডিও করে নির্দিষ্ট সময়ে পরপর প্রকাশ করবো।

আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রের গানের কী খবর?

কনা: প্লেব্যাক চলছে ভালোই। এরই মধ্যে বেশ কিছু নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানগুলো ভালো হয়েছে। সম্প্রতি ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবির ‘মন জানে’ গানটি বেশ পছন্দ করছেন শ্রোতারা। এখানে আমার সঙ্গে গানটি গেয়েছে ইমরান।

আনন্দ আলো: বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল ও ভয়েসওভারের কাজের খবর কী?

কনা: বাংলাদেশে এখনকার ৮৫ শতাংশ বিজ্ঞাপনের ভয়েসওভার আমার। টিভি ছাড়লে যখন নিজের কণ্ঠ শুনতে পাই তখন ভালোই লাগে। মজার বিষয় হচ্ছে আমি এমনভাবে ভয়েসওভারগুলো দেই অনেকে ধরতে পারেন না এটা আমার কণ্ঠ। ভয়েসওভারের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও নিয়মিত কণ্ঠ দিচ্ছি। বিভিন্ন চ্যানেলে আমার গাওয়া জিঙ্গেলে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে।

লালনের স্বপ্ন জুড়ে আছে গান

Dewan-Lalonঠাকুরগাঁও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ প্রাতিষ্ঠানিক গুরু দায়িত্ব পালন করার পাশাপশি নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা করেন। গান লিখছেন নিয়মিতই। ‘তোমার একটু ছায়া খুঁজি, যখনি এ দু চোখ বুজি, ভাবনা জুড়ে ঝড় তোলো মাগো’ সম্প্রতি তার লেখা ‘মা’ শিরোনামের এমনই একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফিডব্যাক ব্যান্ডের ভোকাল লুমিন। গানটির সুর করেছেন সাজেদ ফাতেমী। সঙ্গীত আয়োজন করেছেন জে আর সুমন। ম্যাক্সটিউন স্টুডিও তে গানটি ধারন করা হয়। ইতিমধ্যে লালনের লেখা আরও দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন লুমিন। ওই গান দুটিরও সুর করেন সাজেদ ফাতেমী ও সঙ্গীত আয়োজন করেন জে আর সুমন। ওই গান দুটির একটি ছিলো  ১৫ আগস্টের শোক গাথা নিয়ে লেখা কাঁদো বাঙালি আজ কাঁদো সবাই’ ও মহান একাত্তরের পঁচিশে মার্চের কালো রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রথম প্রতিরোধ নিয়ে গান পচিশে মার্চ’। লালন জানান- ২০১৩ সালে প্রথম গান লিখেন- বাবা কে নিয়ে। গানটির সুরকার ছিলেন রাজীব। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন শীষ।

লালন আহমেদ বলেন, যে কাজটির প্রতি ভালোবাসা থাকে সেটা হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে করা যায়। আমি তাই করছি। গানকে অনেক ভালোবাসি। ভবিষ্যতে আরও ভালো গান লিখতে চাই।’ দেওয়ান লালন আরও বলেন, মা, বাবা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু’ অন্তর ছোঁয়া এই বিষয়গুলো আমার গানের মূল প্রেরণা। মন-মননে আমি মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতাকে ধারণ করি। তাই মুক্তি যুদ্ধের সময়ে পুলিশের সাহসী ভূমিকা সংগীতের রাজ্যেও জুড়ে থাকুক সে স্বপ্ন দেখেছি। তরুণ প্রজন্মকে গানের মাধ্যমেই দেশপ্রেমে আরও উদ্ধুদ্ধ করতে চাই।’

লেখক হিসেবেও লালনের পরিচিতি ব্যাপক। চলতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হয় পুলিশের খেরোখাতা’। ২০১৬ সালে বের হয় ‘বাবার চোখে মুক্তিযুদ্ধ’। বই দুটি পাঠকমহলে সাড়া ফেলেছে।