Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার হৃদয় ছুঁয়েছে সবার!

সুবর্ণ হক
ছেলের পাশে এসে দাঁড়ালেন দেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক বাবার কথা বলতে শুরু করলেন, “বাবা তখন হাসপাতালে। আমি একটা লেখা শেষ করেছি। জীবনে প্রথম কিছু লিখছি বই আকারে ছাপবো বলে। প্রতিদিন একটু একটু করে লিখি আর বাবাকে তা পড়ে শোনাই অথবা লেখার অগ্রগতি তুলে ধরি । একদিন কেন যেন নিজের প্রতি প্রচÐ একটা বিশ্বাস জন্ম নিল। অসুস্থ বাবাকে বললামÑ বাবা মনে হচ্ছে আমার এই লেখাটা বই আকারে বের হলে পুরস্কার পাবে। আমার অসুস্থ বাবা বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখক সৈয়দ শামসুল হক অসুস্থ শরীরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় আকাশের দিকে হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন। সেদিন আমি কান্না থামাতে পারিনি”।
ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হকের কথা শেষ হতেই মা আনোয়ারা সৈয়দ হক বক্তব্যের শুরুতেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। কাঁদছেন তিনি। বললেনÑ আমার ছেলে তার বাবার গুণ পেয়েছে। ও সারাজীবন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করেছে। অথচ বাংলার প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা। ওর প্রথম বই পড়ে আমি মুগ্ধ। আপনারা ওর জন্য দোয়া করবেন। বলেই ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন মমতাময়ী মা আনোয়ারা সৈয়দ হক।
প্রিয় পাঠক, এটি ছিল এবার সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের এক আবেগঘন মুহূর্ত। নবম সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হলো ৮ মার্চ চ্যানেল আই ভবনে। এবার সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন মোট ১০ জন গুণী লেখক। তাঁরা হলেন, অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পূর্ব বঙ্গে ব্রাহ্ম আন্দোলন’ গ্রন্থের জন্য মুনতাসীর মামুন, অবিষ্কার থেকে প্রকাশিত ‘জো’ গ্রন্থের জন্য হাবীবুল্লাহ সিরাজী, জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘সাত দেশের কবিতা’ গ্রন্থের জন্য মুহাম্মদ সামাদ, চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশিত হাশেম খানের ‘ছবির গল্প মধুবক’ গ্রন্থের জন্য হাশেম খান, ‘লাল জেব্রার ম্যাজিক’ গ্রন্থের জন্য লুৎফর রহমান রিটন, প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘প্রিয় এই পৃথিবী ছেড়ে’ গ্রন্থের জন্য আনিসুল হক, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ডুগডুগির আসর’ গ্রন্থের জন্য প্রশান্ত মৃধা এবং জীবনের প্রথম বই শাখায় সময় থেকে প্রকাশিত ‘প্রকাশক নামা ও হুমায়ূন আহমেদ’ গ্রন্থের জন্য ফরিদ আহমেদ, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘মেঘ ও বাবার কিছু কথা’ গ্রন্থের জন্য দ্বিতীয় সৈয়দ হক এবং অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘নীলফড়িং কাব্য’ গ্রন্থের জন্য শানারেই দেবী শানু।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, পুরস্কার প্রদান কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আনন্দ আলোর সম্পাদকমÐলীর সভাপতি ফরিদুর রেজা সাগর, সিটি ব্যাংক এন-এর কান্ট্রি ট্রেজারার ও মার্কেটস প্রধান সাজেদুল ইসলাম, পুরস্কার প্রাপ্ত গুণী কবি লেখকদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ মূল্য তুলে দেন। আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত কবি লেখকদের পাশাপাশি প্রকাশক পাঠকসহ দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সবার হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতিতে চ্যানেল আইতে সেদিন কবি সাহিতিকদের এক মিলনমেলা বসেছিল। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রবীণ আর নবীন কবি লেখকদের আন্তরিক উপস্থিতি। মুনতাসীর মামুন, হাশেম খান, আনিসুল হক, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন ও প্রশান্ত মৃধার সঙ্গে একই মঞ্চে পুরস্কার নিতে পেরে তরুণ লেখকেরা বেশ খুশি। বিশেষ করে দ্বিতীয় সৈয়দ হকের লেখক জীবনে অনুষ্ঠানটি হয়তো বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে। বাবাকে নিয়ে জীবনের প্রথম বই লিখেছেন। বাবা বেঁচে নেই। মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করলেন। একই অনুভ‚তি ব্যক্ত করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কবি শানারেই দেবী শানু। তার বাবাও একজন কবি ছিলেন। নাম এ কে শেরাম। শানু তার বইয়ের উৎসর্গপত্রে লিখেছেন, ‘পাবঙু, কবি একে শেরাম। যার অদৃশ্য অনুপ্রেরণা বটবৃক্ষের ছায়ার মতো থাকে সব সময়।’ দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও তার প্রথম বই বাবাকেই উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গপত্রে তিনি লিখেছেনÑ “বাবা, সৈয়দ শামসুল হক, যার হাতে আমার লেখার হাতে খড়ি।”
দ্বিতীয় সৈয়দ হক তার বইয়ের শুরুটা করেছেন এভাবেÑ “সেটি ছিল ২০১৬ সাল, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। ঢাকার বারডেম হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছি বাবাকে দেখে। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এতদিন আমরা সবাই ঠিক এমন একটি খবর পাবারই আশঙ্কায় ছিলাম, বিশেষ করে বাবা নিজে, যদিও আমরা কেউ সেটি একে অপরকে মুখ ফুটে বলার সাহস পাই নাই। কিন্তু খবরটি পেয়ে যেভাবে ভেবেছিলাম আমরা সকলে ভেঙে পড়ব, তা কিন্তু হলো না। এমনকি, আমার পাঁচ বছর বয়সের ছেলে, যার কাছে তার দাদাভাই পৃথিবীতে সবচাইতে প্রিয়জনদের মধ্যে সর্বোত্তম একজন, সেও পর্যন্ত সেভাবে কান্নাকাটি করল না যখন শুনতে পেল তার দাদার এই অবস্থা। আরেকদিকে মা, যার কষ্ট এখনো নিশ্চয়ই আমাদের বোঝার বাইরে, তিনি পর্যন্ত ঠাÐা-মাথায় তাঁর ডাক্তারি মুখোশটি একটি মুহূর্তের জন্যও খুললেন না, অন্ততপক্ষে মানুষজনদের সামনে। অথচ, সেই মুহূর্তে, তাঁর মনের ভেতরে কেমন করছিল, সেটি আমি ছেলে হিসেবে ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম। একবার মনে হলো, ‘বিপদে আমি না যেন করি ভয়’, রবি ঠাকুরের সেই লাইনটি যেন আমার মায়ের মতো মানুষের উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছিল। ভেতরে কেমন জানি খালি খালি লাগছিল আমার। আমার বাবার তাহলে এই অসুখ হয়েছে। ঠিক যেটিকে আমরা ভয় করছিলাম। কিন্তু আমিও তো আমার মায়েরই সন্তান, তাই আমিও আমার মুখোশটি খুলি নাই। বাড়ির একমাত্র ছেলে হয়ে জিনিসটি শোভাও পায় না যদি আমাকে এখানে দুর্বল হতে দেখা যায়। সামনে অনেক কাজ করেছে, বিশাল বড় কাজ এবং এখানে টিকে থাকবার একটিমাত্র উপায় হলো আমাদেরকে শক্ত থাকা। মাথা ঠাÐা রাখা। ভেবেচিন্তে কাজ করা। ঠিক যেভাবে বাবা নিজে করতেন অন্য কারও ক্ষেত্রে।”
আরেক তরুণ লেখক ফরিদ আহমেদ তার বইখানি উৎসর্গ করেছেন তার প্রকাশনা সংস্থা সময় প্রকাশন-এর সকল পাঠকের উদ্দেশে। বইখানির শুরুর অধ্যায়ে এক জায়গায় তিনি লিখেছেনÑ “আমি লেখক নই। সাহিত্যের ছাত্রও নই। ভাষাজ্ঞান নেই। বানান জ্ঞান সীমিত। তাই লেখালেখি আমার কর্ম নয়। কিন্তু আবেগের বশে আবারও কয়েকটি লেখা লিখে ফেলেছিলাম। শ্রদ্ধেয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ যেদিন বিদায় নিলেন, তার পর দিন তাঁর কন্যা নোভা-শিলাদের সঙ্গে দেখা করে বাসায় ফিরছি। লেখক, সাংবাদিক আনিসুল হকের ফোন। বললেন, ‘ফরিদ ভাই, আপনি তো নোভা-শিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওদের নিয়ে একটি লেখা তৈরি করে আমাদের দেন। প্রথম আলোতে আমরা ছাপব।’ ওদের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, তা দিয়ে লেখা তৈরি করা যাচ্ছিল না। তাই আর লেখা হলো না। কিন্তু হুমায়ূন ভাইয়ের কফিন ঢাকায় আনার পর থেকে দাফন পর্যন্ত এমন কিছু আবেগপ্রবণ মুহূর্তের জন্ম হলো যে, আমার মতো অলেখকও দুটো লেখা লিখে ফেললাম। প্রথম আলো’য় ছাপা হলো। এরই রেশ ধরে সেবার হুমায়ূন ভাইয়ের জন্মদিন এবং পরের বছর তাঁর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে বিভিন্ন পত্রিকার অনুরোধে আরও দুয়েকটি লেখা লিখলাম। ওখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল আপাতত”।
সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৯ বছর পার করল। বাংলাদেশে এখন সাহিত্যের ক্ষেত্রে এটিই একমাত্র নিয়মিত পুরস্কার যা এক নাগাড়ে ৯ বছর হাঁটতে পেরেছে। এজন্য ধন্যবাদ সিটি ব্যাংক এন এ কে আনন্দ আলোর সঙ্গে থাকার জন্য। সেই সঙ্গে অশেষ কৃতজ্ঞতা দেশের সকল কবি, লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের প্রতি। বিগত ৯ বছরে যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের সবার প্রতি সিটি ব্যাংক এন এ ও আনন্দ আলো পরিবারের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো বই পড়–ন, ভালো বই প্রিয়জনকে উপহার দিন। একটি অনুরোধ বইকে আলমারিতে বন্ধ করে রাখবেন না। আমরা মনে করি বইয়েরও জীবনে আছে। কাজেই তারও শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার খোলামেলা পরিবেশ দরকার।

এটি এক অর্থে আমাদের বইমেলাকেও উজ্জ্বল করছে
Ñশামসুজ্জামান খান
মহাপরিচালক বাংলা একাডেমি
একুশে বইমেলা আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। একুশে বইমেলায় প্রচুর নতুন বই প্রকাশ হয়। সেই বই থেকে শ্রেষ্ঠ বইকে পুরস্কার দেয়ার উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে সিটি ব্যাংক ও আনন্দ আলো। এটি এক অর্থে আমাদের সাহিত্য ও বইমেলাকেও উজ্জ্বল করছে। বইমেলার একটি অংশ হয়ে উঠেছে এই পুরস্কার প্রদান কার্যক্রম। এবার যারা পুরস্কার পেয়েছেন সকলেই আমার প্রিয় গুণী কবি সাহিত্যিক। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

সবার জন্য শুভ কামনা

ফরিদুর রেজা সাগর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই
আজ যারা পুরস্কার পেলেন তাদেরকে চ্যানেল আই, আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন এ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার নয় বছর অতিক্রম করল ভাবতে বেশ ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আমরা দেশের গুণী কবি, সাহিত্যিকদের সম্মান জানাতে পারছি। সবার জন্য রইল শুভ কামনা।

এই প্রত্যাশা আমাদের

সাজেদুল ইসলাম
সিটি ব্যাংক এন এ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ট্রেজারার ও মার্কেটস প্রধান
নয় বছর পার করল সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার। ৯ বছর ধরে দেশের গুণী কবি, সাহিত্যিকদেরকে আমরা সম্মান জানাতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমার বিশ্বাস সাহিত্য অঙ্গনে এই পুরস্কারটি অনেক প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। সাহিত্য অঙ্গনে সম্ভাবনার আলো ছড়িয়ে চলেছে। এই আলো আরও উজ্জ্বল ও বেগবান হোক এই প্রত্যাশা আমাদের।

দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল

মুনতাসীর মামুন
প্রাবন্ধিক
যে কোনো পুরস্কারই আনন্দের। আর লেখকদের জন্য আনন্দের পাশাপাশি উৎসাহেরও বটে। এর আগেও আমি সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি। আবারও পুরস্কারটি পেলাম। লেখক হিসেবে দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল। পুরস্কারের আয়োজক আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কৃতজ্ঞতা আয়োজকদের প্রতি

হাশেম খান
চিত্রশিল্পী লেখক
চিত্রশিল্পী হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু লেখক হিসেবে সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কারটি পাওয়া আমার জন্য অনেক আনন্দের ঘটনা। এখন মনে হচ্ছে লেখালেখির প্রতিও আমাকে একটু সময় দিতে হবে। এই অনুপ্রেরণা সৃষ্টির জন্য আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনেক ধন্যবাদ
Ñহাবীবুল্লাহ সিরাজী
কবি
জীবনে রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ বহু পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার আমাকে নতুন প্রেরণা দিয়েছে। যে বইটির জন্য আমি এই পুরস্কার পেলাম তা আমার অনেক কষ্টের ফসল। আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন এ কে এজন্য অনেক ধন্যবাদ।

অশেষ কৃতজ্ঞতা

মুহাম্মদ সামাদ
কবি
পুরস্কার অবশ্যই আনন্দের। তবে যে কোনো পুরস্কারই দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেয়। ‘সাত দেশের কবিতা’ গ্রন্থের জন্য আমাকে সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এটি একটি অনুবাদগ্রন্থ। পুরস্কার পাওয়ায় আমি আনন্দিত। অশেষ কৃতজ্ঞতা চ্যানেল আই, আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন-এর প্রতি।

আরও আলো ছড়াক এই প্রত্যাশা

আনিসুল হক
কথাসাহিত্যিক
এর আগেও আমি সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি। আবারও পেলাম। আমার ধারণা এই পুরস্কারটি গুণে মানে সবার আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরস্কারটি বাংলা সাহিত্যে আরও বেশি আলো ছড়াক এই প্রত্যাশা আমার।

অনেক কৃতজ্ঞতা

প্রশান্ত মৃধা
কথাসাহিত্যিক

পুরস্কার পেতে সবারই ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছে। তবে যে কোনো পুরস্কার একটা দায়বদ্ধতার সৃষ্টি করে। আমার মাঝে তেমনই একটা অনুভ‚তি কাজ করছে। আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে গুণীদের সম্মান জানাচ্ছে আনন্দ আলো ও সিটি ব্যাংক এন এ। এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এ পুরস্কার অনেক আনন্দের

লুৎফর রহমান রিটন
শিশুসাহিত্যিক
লেখার মাঝেই আমার আনন্দ। সে কারণে আমার লেখা যখন পুরস্কৃত হয় তখন আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আমাকে সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।