Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে মুহম্মদ জাফর ইকবাল

অমর একুশে বইমেলায় গত ১৫ ফেব্র“য়ারি বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুনের তোলা বরেণ্য কথা সাহিত্য হুমায়ূন আহমেদের ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ হয়। সেই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদ সর্ম্পকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমার বাবা একজন শিল্পী মনা মানুষ ছিলেন। তার তিনটি শখ ছিল। তার একটি ছবি তোলা। দ্বিতীয়ণ্ড গান শোনা, তৃতীয় বইপড়া এবং লেখা। আমাদের বড় সংসার ছিল। বাবার আয় ছিল সীমিত। তবুও বাবা তিনটি শখ পালন করতেন। বাবার একটা ক্যামেরা ছিল সেটা দিয়ে আমাদের সবার ছবি তুলতেন এবং নিজেই প্রিন্ট করতেন। আমার মনে আছে হুমায়ূন আহমেদের বয়স যখন আট বছর। তার সেই জন্মদিনে বাবা দেয়ালের এক জায়গায় হুমায়ূন আহমেদের একটি ছবি লাগিয়ে নিচে একটি দীর্ঘ কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবিতাটি প্রথম লাইনটি এখনো মনে আছে ‘সাতটি বছর গেল পরপর আজকে পড়ল আটে।’ এরপর কবিতার আর কোনো লাইন মনে নেই। যদি কবিতাটি মনে থাকত বা কবিতাটি সংগ্রহ করে রাখতে পারতাম তাহলে অনেক মূল্যবান হতো সেটি। বাবার তোলা হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর ছবি আছে। যেহেতু বড় ছেলে, আদরের সন্তান, তার প্রতি বাবার ভালোবাসাটা ছিল খুবই গভীর। তাই আমাদের ভাই বোনদের মধ্যে-তার ছবি বেশি ছিল। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী বাবাকে মেরে ফেলে এবং বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র ও দুর্লভ ছবি লুট করে নিয়ে যায়। পুরনো অ্যালবাম খুঁজে আমরা হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু পুরনো দিনের ছবি পেয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি ছবিগুলো বিভিন্ন জায়গায় দিতে।  এক সময় হুমায়ূন আহমেদকে ‘সীল’ মেরে দেয়া হয়েছিল তিনি জনপ্রিয় লেখক। এটা করা ঠিক হয়নি। তাকে তার যোগ্যসম্মান টুকু দেয়া হয়নি।