Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এক সঙ্গে বই পড়লো

ভাবা যায় এক সঙ্গে প্রায় ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী খোলা মাঠে টেবিলের উপর বই রেখে পড়ছে। বইপড়া যে কত আনন্দের তা বুঝিয়ে দিল তারা। একই সঙ্গে প্রমাণ করলো ইচ্ছের সঙ্গে আন্তরিকাতাকে যুক্ত করলে যে কোনো কঠিন কাজ সহজ হয়। খোলা মাঠে কেন এত ছাত্র-ছাত্রীর বইপড়ার উদ্যোগ? এতে লাভই বা কী? অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসনের অভিনব এক উদ্যোগের খবর। ইন্টারনেট ও ফেসবুকের এই আধুনিক যুগে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বইপড়াকে আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে বাজিতপুর উপজেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাজিতপুরের ভাগলপুর নাজিম ভুঁইয়া বাড়ির ঈদগাহ মাঠে এই বই পড়া কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গোটা মাঠ জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টেবিল চেয়ারের ব্যবস্থা করা ছিল আগে থেকেই। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাসের একটি করে বই সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে খোলা মাঠে চেয়ার টেবিল দখল করে বসে যায় বিভিন্ন স্কুলের পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা এক সঙ্গে তারা সবাই বই পড়ে। অনিন্দ্য সুন্দর এই দৃশ্য দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। সকলে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
বই পড়া শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আজিমউদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে। বাজিতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তসলিমা নূর হোসেন ও যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল কাদির ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ, বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছারওয়ার আলম, ইউএনও ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি, পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ প্রমুখ।
মাঠজুড়ে থাকা বিলবোর্ড-ব্যানারে শোভা পায় ‘বই পড়ি, আনন্দ খুঁজি’, ‘গ্রন্থাগার বিলাসিতা নয়, জীবনের প্রয়োজনীয় বস্তু’, ‘বই পড়ি, দেশ গড়ি’ এসব সেøাগান। উৎসব উপলক্ষে ওই দিনই সন্ধ্যায় আফতাবউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে পরিবেশিত হয় গীতিনাট্য আলেখ্য ‘ইতিহাস কথা কয়’। মানস কর নির্দেশিত এ আলেখ্য শিক্ষার্থী ও অতিথিরা উপভোগ করেন।