সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
সৈয়দ ইকবাল
আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য এটা অবশ্যই আনন্দের সংবাদ। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর পর এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্রের কল্যাণে ইতিবাচক দিক বয়ে নিয়ে আসবে। আর তাই বর্নাঢ্য নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রম নিয়ে এবার সবাই বেশ খুশি। কয়েকদিন আগে বর্নাঢ্য এই আয়োজনের উদ্বোধন হয়ে গেল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে অর্থমন্ত্রী প্রতীকীভাবে নিজের নাম নিবন্ধন করে নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি নতুন শিল্পী খোঁজার এই আয়োজনকে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ কার্যক্রম বলে অভিহিত করেছেন। এ সময় মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রনায়িকা চম্পা, জয়া আহসান, এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এবারের ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র আয়োজক পরিচালক সমিতি।
প্রতিযোগী যখন
অর্থমন্ত্রী
নতুন মুখের সন্ধানে অনুষ্ঠানে ছিলো নানা হাস্যরসাত্মক পুর্ন ঘটনাও। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রথম নিবন্ধন করে এ আয়োজন উদ্বোধন করেন। জুরিবোর্ডের মুখোমুখিও হয়েছিলন অর্থমন্ত্রী। প্রতিযোগীর চেয়ারে ছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তাঁর সামনে বসা ছিলেন ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার জুরি বোর্ডের সদস্য চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, নায়ক আলমগীর, অভিনেত্রী চম্পা, নির্মাতা ও অভিনেতা আফজাল হোসেন, চিত্রনায়িকা জয়া আহসান। এই সময় মজার ছলেই জয়া আহসান অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কোনো প্রশ্ন করব না। তবে আমাদের এই প্রতিযোগী অভিনয়ের জন্য যোগ্য কি না সে জন্য তার স্কিন টেস্ট করতে হবে।’ অর্থমন্ত্রীসহ জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরাও হেসে ওঠেন। এভাবেই শুরু হয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রতিযোগীদের সারাদেশ থেকে বাছাই করা হবে। পরে অডিশনের মাধ্যমে মূল প্রতিযোগিতায় লড়াই করার জন্য বেছে নেয়া হবে প্রতিযোগীদের। পর্যায়ক্রমে নানান ধাপ পেরিয়ে পাওয়া যাবে আগামীর চলচ্চিত্র তারকা।
জুরি বোর্ডের সদস্য যারা
প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিল্পী নির্বাচন করবে জুরি বোর্ড। জুরি বোর্ডের সদস্যরা হলেন চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন, নায়ক আলমগীর, অভিনেত্রী চম্পা, নির্মাতা ও অভিনেতা আফজাল হোসেন, চিত্রনায়িকা জয়া আহসান। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ে সেরাদের বেছে বেছে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই গুণী নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা। এভাবেই খুঁজে নেওয়া হবে আগামীর তারকাদের।
ফিরে দেখা নতুন
মুখের সন্ধানে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) উদ্যোগে ১৯৮৪, ১৯৮৮ এবং ১৯৯০ সালে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। দেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা মান্না, দিতি, সোহেল চৌধুরী, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, আমিন খানসহ অনেকেই নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে এসেছেন। দেশের চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট দূর করতে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আবার শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রয়াত গুণী অভিনয়শিল্পী মান্না, দিতি ও সোহেল চৌধুরীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে তাদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।