Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

রাইজিং স্টার চলচ্চিত্র ২০১৬

আলোচিত বুবলি

গত বছর চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকার নাম বুবলি। একজন নবীণ শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানের বিপরীতে দুটি ছবি সাইন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। শুটিং, ডাবিং এবং ছবি দুটি মুক্তির আগেও চলে সেই আলোচনার ঝড়। এসময় অনেকেই টিপ্পুনি কেটে বলেন, একজন নতুন মেয়ে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছে ভালো কথা, সেই ছবি ঈদুল আজহার মতো বিশেষ দিনে মুক্তি পাবে? শেষ পর্যন্ত বুবলি শাকিব অভিনীত দুটি ছবি ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ মুক্তি পায় গত বছর কোরবানি ঈদে। শামিম আহমেদ রনি পরিচালিত বসগিরি ও রাজু চৌধুরী পরিচালিত শুটার ঈদে বেশ ভালো ব্যবসা করে। যদিও ছবির প্রযোজকদ্বয় বলেছেন, ছবির ব্যবসা যতটুকু আশা করা হয়েছিল সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কিন্তু ছবি মুক্তির পর নতুন নায়িকা বুবলি রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান।

বসগিরি ও শুটার মুক্তি পাওয়ার পর বুবলি নতুন দুটি ছবির কাজ শুরু করেছেন তার একটি কালাম কায়সার পরিচালিত ‘মা’ অন্যটি শাহাদৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘অহংকার’। দু’টি ছবির নায়ক শাকিব খান। তার কাছে প্রচুর ছবির অফার আসছে। তবে বুবলি দেখেশুনে পথ চলতে চান। বুবলি বলেন, আমি চলচ্চিত্রে এমন একসময় এসেছি যখন এই অঙ্গন নতুনদের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। বাইরে থেকে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অনেক ধরনের নেতিবাচক কথা শুনেছি। এখানে এসে বুঝলাম চলচ্চিত্র অঙ্গন আসলেই একটা ভালো কাজের জায়গা। এখানে কাজ ছাড়া বাজে কথা বলার সময় কারো নেই। ছবি মুক্তির আগে আমি ছিলাম দর্শক। এখন আমাকেই দর্শক দেখে। আমারও প্রচুর ফ্যান রয়েছে বিষয়টি খুব এনজয় করি। বুবলি এক সময় বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের নিউজ প্রেজেন্টার ছিলেন। তিনি বলেন, নিউজ প্রেজেন্টার থাকার সময় তারকাদের খবর দর্শককে জানিয়ে দিতাম, এখন আমার নিজের খবরই টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়ে দেয়। ভাবতে বেশ ভালোই লাগে।

চলচ্চিত্রই তার ধ্যানজ্ঞান

Nafisa-Tushiলাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার নাজিফা টুসি গত বছর একটি মাত্র ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন। ছবির নাম ‘আইসক্রিম’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় নাট্য পরিচালক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি। ছবির দুই নায়ক কুমার উদয় ও শরিফুল রাজ-এর সঙ্গে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন নাজিফা টুসি। ছবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উজ্জ্বল, উচ্ছল তারুণ্যদীপ্ত ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। খুবই সাবলীল ছিল তার অভিনয়। বর্তমানে আধুনিক অগ্রসরমান তারুণ্যের জীবনচরিত্র ছবিতে ছিল বলে আইসক্রিম তরুণদের আকর্ষণ করেছে।

টুসি কথা প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর আমার একটি মাত্র ছবি আইসক্রিম মুক্তি পেয়েছে। যদিও প্রচুর ছবির অফার ছিল। আমি নাটকে, টেলিফিল্মে কাজ করিনি। ভাবছি চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে কাজ করবো না। চলচ্চিত্রই আমার এখন সকল ধ্যানজ্ঞান। আইসক্রিম মুক্তি পাওয়ার পর অনেক নির্মাতা আমাকে সিনেমায় অভিনয় করার অফার দিয়েছিলেন কিন্তু গল্প চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় সেসব ছবি সাইন করিনি। বর্তমানে কিছু ভালো গল্পের ছবির অফার এসেছে, ভাবছি এখান থেকে বেছে বেছে সাইন করবো।

টুসি আরো বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আইসক্রিম মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বছরের শেষে এসে অমিতাভ রেজার আয়নাবাজি বাজিমাত করে। আমার মনে হয় চলচ্চিত্রে আগামীতে ভালো দিন আসছে। অনেকেই চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবছে। আমরা নতুন প্রজন্মের যারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছি তারা চলচ্চিত্র নিয়েই বেশি ভাবছি। ভিন্ন মেজাজের ভিন্ন প্যাটার্নের ছবি হচ্ছে। সেখানে তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়াও আছে, সব মিলিয়ে আশা করছি চলচ্চিত্রের সুসময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

আয়নাবাজির নাবিলা

মাসুমা রহমান নাবিলা মিডিয়ায় পরিচিতি পান উপস্থাপিকা হিসেবে। সাবলীল ও দক্ষ উপস্থাপন শৈলীর কারণে দর্শকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় তিনি। সম্প্রতি অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। উপস্থাপিকা নাবিলা থেকে ছবিটির প্রধান নায়িকা চরিত্র হৃদি হয়ে উঠেছেন। আর বড় ক্যানভাসেরও প্রথম কোনো কাজ তার।

Nabilaনাবিলা বললেন, আমি আসলে যতটুকু করেছি সব কৃতিত্বের ভাগীদার আমার পরিচালক এবং আমার সহশিল্পীরা। তারা আমার সঙ্গে এর আগে কখনো কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। তাই পরিচালক আর সহশিল্পীর উপর নির্ভর করেই আয়নাবাজি ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। আর তাই পুরোকাজের কৃতিত্বটুকু পরিচালককে দিতে চাই। প্রথম ছবিতেই একটি চুম্বন  দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না নাবিলা। ছবিটির পরিচালক অমিতাভ রেজা তাকে গল্পটি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর জানিয়েছিলেন একটি দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরীকে চুম্বন করতে হবে। যদি নাবিলা রাজি হন তাহলেই তাকে এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাখা হবে। আর নাবিলা তখন হ্যাঁ বা না কিছু বলেননি। তবে বেশ ভয় পেয়েছিলেন। পরে অবশ্য রাজি হন। তার ভাষ্য, ‘এ দৃশ্যেই পারফর্ম করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি’।

নাটক, চলচ্চিত্রে অভিনয় করার আগে অবশ্য মঞ্চ কিংবা কোনো অভিনয় স্কুল থেকে অভিনয় শিখে আসার বিষয়টি খুব জরুরি বলে মনে করেন নাবিলা। যারা হুট করেই অভিনয় করেন তাদের অভিনয়ের মজবুত ভীতটা তৈরি হয় না। আর একটা বিষয়, আমি যে কাজটিই করব সেটি অবশ্যই আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। সেটাকে আমার মধ্যে ধারণ করতে হবে। আমি মনে করি যাদের জীবনবোধ যত বেশি, জীবনে যে যত বেশি প্রেম, বিরহ দেখেছে, বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অভিনয় করাটা অনেক সহজ।

অন্যরকম এক অভিনেত্রী

Sanjida-Tonmoyভিট চ্যানেল আই তারকা সানজিদা তন্ময় গত বছর চলচ্চিত্রে আলোচিত ছিলেন তার প্রথম ছবি ‘বাপজানের বায়োস্কোপ, ছবির মাধ্যমে। এ ছবির মাধ্যমে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং নিজের অভিনয় গুণের প্রমাণও দিয়েছেন। রিয়াজুল রিয়াজ পরিচালিত বাপজানের বায়োস্কোপ ছবিতে বায়োস্কোপওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। সানজিদা তন্ময় বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্য বায়োস্কোপ। এই ঐতিহ্য নিয়ে ছবির গল্প। আমার কাছে গল্পটি চমৎকার লেগেছে। এজন্য ছবিটিতে কাজ করতে রাজি হয়েছি। ছবিটির গল্প ও চিত্রনাট্য চমৎকারভাবে তুলে এনেছেন বিশিষ্ট নাট্যকার মাসুম রেজা। আমি আরো একটি ব্যতিক্রমী গল্পের ছবি ‘শেষ চুম্বন’ এ এবছর কাজ করেছি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মুসৱাহিদুল লিটন। ছবির নামকরণ সম্পর্কে সানজিদা তন্ময় বলেন, অনেকেই ছবির এই নামকে এডাল্ট কোনো বিষয় ভাবতে পারেন। আসলে তা নয়। ছবিতে একজন অপরাধী বাবা নিজের কর্মকাণ্ডের প্রায়শ্চিত্ত করতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শেষ সময়ে তিনি নিজের সন্তানের কাছে একটি চুম্বন প্রত্যাশা করেন। তাই ছবির নাম শেষ চুম্বন। এটি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। আমার কাছে ছবির গল্পটি দারুণ লেগেছে। যে কারণে কাজ করার আগ্রহ জন্ম নেয়। আমি আসলে এমন ব্যতিক্রমধর্মী গল্পের ছবিতে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী। শুধু নাচ, গান, মারামারি ধাঁচের কমার্শিয়াল ছবিতে কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায় না। এসব ছবিতে অভিনয় করার স্কোপও তেমন থাকে না। বক্তব্যধর্মী গল্পের ছবিতে ভালো অভিনয় করার প্রচুর সুযোগ থাকে। সেটা বাপজানের বায়োস্কোপ ও শেষ চুম্বনে ছিল।

নতুন এক আইরিন

Ireenজনপ্রিয় নাট্যকার, পরিচালক ও সিনেমা নির্মাতা এস এ হক অলীকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’ অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। দুইবার তারিখ পিছিয়ে অবশেষে মুক্তি পেল অনবদ্য গল্পের এই ছবিটি। ছবির প্রধান দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইরিন ও আসিফ।

ছবির পরিচালক এস এ হক অলীক বলেন, আমি আইরিনের অভিনয় দেখে তাকে ছবিতে নিয়েছি। এক পৃথিবী প্রেম ছবিতে সে যে মানের অভিনয় করেছে তাতে দর্শকরা নতুন এক আইরিনকে খুঁজে পাবে।

আইরিন অভিনীত ৪টি ছবি ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে ভালোবাসা জিন্দাবাদ, ছেলেটি আবুল তাবুল মেয়েটি পাগল পাগল, ইউটার্ন ও এক পৃথিবী প্রেম। হাতে আছে তার চারটি ছবি। শেষ কথা, টার্গেট, মায়াবিনী ও গন্তব্য।

আইরিন বলেন, আমি এক সময় র‌্যাম্প মডেলিং করতাম, ফটোশ্যুট, বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি। শুধু সিনেমাতেই সময় দিচ্ছি। ভবিষ্যতে সিনেমাতেই ক্যারিয়ার গড়তে চাই। কারণ সিনেমা আমি অনেক ভালোবাসি, আই লাভ ফিল্ম। আমি এ পর্যন্ত যতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি তার সবগুলো ছবির গল্প, মেকিং মান সম্পন্ন। ভবিষ্যতে আমি এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। আগামীতে তাই পথ চলতে চাই দেখে শুনে। একটা সময় মৌসুমী আপু, শাবনুর আপু, পপি আপুর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি-তাদের অভিনয় দেখে। আমিও সেই পথে এগিয়ে যেতে চাই। বর্তমান চলচ্চিত্রে যে সুবাতাস বইছে সেখানে আমি অবদান রাখতে চাই।

সময় এখন আসিফের

Asifএক সময় একেবারে বহিমিয়ান ছিলেন আসিফ। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, লংড্রাইভে যাওয়া আর ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটিয়েছেন আসিফ। ১০ বছর ইংল্যন্ডে ছিলেন। পড়াশোনা শেষে সেখানেও বহিমিয়ান জীবন যাপন করেছেন। ইংল্যান্ডে একদিন পরিচয় হয় জনপ্রিয় নায়ক আমীন খানের সঙ্গে। তিনি আসিফের ছবি দেখে বলেন, অভিনয় করতে। একটি নাটকে অভিনয় করার পর বিশিষ্ট অভিনেত্রী মৌসুমী তাকে নিয়ে একটি ছবি নির্মাণ করেন শূন্য হৃদয় নামে। ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। এই ছবির পর এস এ হক অলীকের এক পৃথিবী প্রেম সিনেমায় প্রধান নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছবির মুক্তির আগে আরো চারটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আসিফ। তার মধ্যে আছে শাহিন সুমনের পাগলের মতো ভালোবাসি, শামীমুল ইসলাম শামীমের গোলাপ তুলির কাজল, জাকির হোসেন রাজুর জ্বালা এবং মোসৱাফিজুর রহমান বাবুর একটি ছবি যার নাম এখনো ঠিক হয়নি।

আসিফ বলেন, আমি একসময় বহিমিয়ান জীবন যাপন করতাম। নায়ক আমীন খান আমাকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন। এজন্য আমি তাকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করি। তার অণুপ্রেরণা না পেলে আমি হয়তো চলচ্চিত্র অঙ্গনে আসতাম না। চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর আমার জীবনকে উপলব্ধি করতে পারছি। মন প্রাণ উজার করে অভিনয় করার চেষ্টা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি সফল হবোই। অলীক ভাই পরিচালিত এক পৃথিবী প্রেম দেখে অনেক নির্মাতা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও প্রশংসা করেছেন। এই প্রশংসা ও শুভেচ্ছা আগামী দিনে আমার পথ চলতে সাহায্য করবে।

অরিনের নতুন স্বপ্ন

Orinলাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার অরিন নাটক বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। একসময় নতুন স্বপ্ন দেখেন অরিন। তার এই নতুন স্বপ্ন হচ্ছে চলচ্চিত্রে অভিনয়। এবছর অরিন অভিনীত ‘ছিন্নমূল’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে অরিনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ ছবির পরিচালক কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ। এছাড়া প্রথমবারের মতো নায়ক বাপ্পি অভিনয় করছেন এস এম জাহিদ পরিচালিত স্বপ্ন জুড়ে তুমি। এছাড়া কাজ করছেন ফিফটি ফিফটি লাভ ও বিধ্বস্ত নামের আরো দুটি ছবিতে।

অরিন একসময় নাটকের ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন। এখন চলচ্চিত্রে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অরিন বলেন, আমি যে সব সিনেমার কাজ করছি তার মধ্যে বেশির ভাগই রোমান্টিক ধাঁচের ছবি। গত বছর ছিল আমার উল্লেখযোগ্য একটি বছর। এ বছর আমার একটি বহুল আলোচিত ছবি ছিন্নমূল মুক্তি পেয়েছে। বিশিষ্ট পরিচালক কাজী হায়াত এ ছবিটি নির্মাণ করায় বেশি আলোচিত হয়েছে। আমি ভাগ্যবান তার মতো একজন গুণী পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। অরিন আরো বলেন, আমি আসলে চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রেই আমার আসল লক্ষ্য ও স্বপ্ন। তবে কাজ করতে চাই দেখেশুনে। ভালো নির্মাতার ভালো গল্পের ছবিতে নিয়মিত কাজ করে যেতে চাই। যাতে দর্শকরা আমার অভিনয় দেখে আনন্দ পায়। মুগ্ধ হয়। এছাড়া আমি বিজ্ঞাপন চিত্রে নিয়মিত কাজ করে যেতে চাই। আমি মনে করি আমাদের বর্তমান চলচ্চিত্রের অবস্থা খুবই ভালো। অনেক নতুন নির্মাতা, আমরা নতুন অনেক শিল্পী কাজ করছি। নতুন নির্মাতাদের নতুন আইডিয়ায় আগামীতে অনেক ভালো সিনেমা নির্মিত হবে বলে আশা করছি এবং এভাবে আমরা বাংলার সোনালী দিনের চলচ্চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারব।

জলির ভাগ্য!

অভিনেত্রী জলি সত্যিই ভাগ্যবান। একজন নতুন অভিনেত্রী হিসেবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার মতো বড় প্রতিষ্ঠানের পর পর দুটি ছবিতে প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন ২০১৬ সালে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। জনপ্রিয় নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত নিয়তিতে জলি অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভর বিপরীতে। এ ছবিতে তার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয় দত্ত। রোমান্টিক গল্পের এই ছবির কাহিনি লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত অঙ্গার ছবিতে জলি অভিনয় করেছেন কলকাতার নবাগত নায়ক ওম-এর বিপরীতে। এই দুই ছবির মধ্যে অঙ্গার ছবিটির কাজ প্রথম শুরু হয়, মুক্তিও পায় আগে।

Jolyজলি অভিনীত দুটি ছবিই যৌথ প্রযোজনার। বাংলাদেশের পর ভারতে ছবি দুটি একমাস ব্যবধানে মুক্তি পায়। আশানুরূপ ব্যবসা না করলেও দুটি ছবিতে জলির অভিনয় প্রশংসা পায় দর্শকদের কাছে। তার সাবলীল অভিনয়, নাচ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভালোবাসা অর্জন করে। অভিনেত্রী জলি বলেন, সত্যিই আমি ভাগ্যবান একজন অভিনেত্রী জীবনে প্রথম অভিনয়ে এসে জাজের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের দুটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। শুধু তাই নয়, ছবি দুটি যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়ার কারণে ভারতের বেশ কজন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ছবি দুটি মুক্তি পাওয়ার পর অসংখ্য মানুষ আমাকে উইশ করেছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ- তরুণী। চলচ্চিত্রের অনেক নির্মাতা ও প্রযোজক ছবি দুটি দেখে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এরই মধ্যে আমার কাছে বেশ কজন নির্মাতা অভিনয়ের অফার দিয়েছেন, কেউ কেউ ছবির গল্প শুনিয়েছেন। আমি ভেবে চিনেৱ এই ছবিগুলোতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেব ইনশাল্লাহ।

স্বপ্নজালের ইয়াশ রোহান

Yeash-Rohanটিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকের এক উজ্জ্বল মুখ ইয়াশ রোহান। গত বছর কোকাকোলার একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেছেন। তরুণ নাট্যকর্মী ইয়াশ রোহান। এই জনপ্রিয়তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছোটবেলা থেকে চলচ্চিত্রে কাজ করার স্বপ্ন পূরণ-এই বিজ্ঞাপনচিত্রের মধ্যদিয়েই হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের স্বপ্নজাল ছবিতে ইয়াশ প্রধান নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন। ইতোধ্যে ছবিটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শুটিং হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়। ছবিতে ইয়াশের বিপরীতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমনি।

গিয়াসউদ্দিন সেলিমের এই ছবি নিয়ে ইয়াশ খুবই আশাবাদী। কারণ সেলিমের ব্লকব্লাস্টার ছবি মনপুরা মুক্তির প্রায় একযুগ পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে তিনি কোনো ছবি নির্মাণ করেননি। দীর্ঘদিন ধরে গল্প নির্বাচন, সমস্ত কাজ পরিপাটি করে গুছিয়ে তবেই স্বপ্নজাল শুরু করেছেন। এমন একটি গোছানো ছবি দর্শকনন্দিত হওয়ারই কথা। এছবির নায়িকা পরীমনি তো বলেই ফেলেছেন, মনপুরা ছবিটি আমি ৯ বার দেখেছি। স্বপ্নজাল মুক্তি পাওয়ার পর তারও বেশি দেখবে বলে আমার বিশ্বাস। ইয়াশ রোহান স্বপ্নজাল ছবির কাজ করার মুহূর্তে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নজর কেড়েছেন। তাকে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনাও করছেন কেউ কেউ। অভিনয়ে তার সুন্দর সাবলীল পরিমিতিবোধ আছে। এই বৈশিষ্ট্যই একসময় তাকে বড় তারকা হওয়ার পথে নিয়ে যাবে। ইয়াশ বেড়ে উঠেছেন বড় একটি সাংস্কৃতিক পরিবারে। বাবা বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নাট্য পরিচালক নরেশ ভুঁইয়া, মা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপুর ছোট ছেলে ইয়াশ রোহান।