Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মানুষের ভালোবাসাই সেরা উপহার!

-তৌকীর আহমেদ

৫ মার্চ জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যনির্মাতা তৌকীর আহমেদের জন্মদিন। কথা হলো জনপ্রিয় এই অভিনেতার সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ৫ মার্চ আপনার জন্মদিন। এই দিনটা কীভাবে পালন করেন?

তৌকীর আহমেদ: আমার জন্মদিন কোনো উৎসব করে পালন করা হয় না। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-বোনদের নিয়ে একদম পারিবারিকভাবে আমার জন্মদিনটা পালন করে থাকি। এই দিনটাতে আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে চেষ্টা করি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নাটকের বন্ধু আর ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

তৌকীর আহমেদ: পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন ছিল খুবই আনন্দের ও মজার। জন্মদিনের জন্য এক্সসাইটেড থাকতাম। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা বাসায় চলে আসত। কেক কাটা হতো। ভাই-বোনেরা সবাই মিলে খুব মজা করতাম। প্রচুর গিফট পেতাম। গিফট পাওয়ার আনন্দই ছিল অন্যরকম। তখন কিন্তু জন্মদিনের ব্যাপারটা পারিবারিক মÐলেই হতো। মা-বাবা তারাই আমার জন্মদিনটা জাঁকজমকভাবে উদযাপন করতেন। আর এখন জন্মদিনে যেটা হয়Ñ আমার মেয়ের বয়স যখন ৪ বছর তখন থেকেই সে বাবার জন্মদিনে নিজে কার্ড বানিয়ে উপহার দেয়। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। এখন মেয়ের বয়স দশ। এখন সে আরো সুন্দর করে জন্মদিনের কার্ড বানাতে পারে। ছেলেও আমার পছন্দের জিনিস উপহার দেয়।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

তৌকীর আহমেদ: মেয়ে-ছেলে, বিপাশা, সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। আমার মা, ভাই-বোনেরা উইশ করে। তারপর আমার খুব কাছের যারা আছেÑ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, নাটকের কলিগ এবং ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা উইশ করে শুভেচ্ছা জানায়। আগের দিন রাত ১২টা বাজলে অনেকেই ফোন করে শুভেচ্ছা জানায়। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে।

তৌকীর আহমেদ: যেকোনো সুন্দর উপহারই মানুষকে আনন্দ দেয়। জন্মদিনটাকে মনে রেখে সবাই যখন উইশ করে তখন খুবই ভালো লাগে। এরচয়ে ভালো উপহার কী হতে পারে। মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে বড় উপহার।