Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মানুষের ভালোবাসাই বড় উপহার!-আজিজুল হাকিম

১৫ মে জনপ্রিয় অভিনেতা আজিজুল হাকিমের জন্মদিন। কথা হলো জনপ্রিয় এই অভিনেতার সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ১৫ মে আপনার জন্মদিন। এই দিনটা কীভাবে পালন করেন?

আজিজুল হাকিম: আমার জন্মদিন কোনো উৎসব করে পালন করা হয় না। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী সবাই মিলে একদম পারিবারিক ভাবে আমার জন্মদিনটা পালন করে থাকে। এই দিনটিতে আমি কোনো শুটিং রাখি না। পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চেষ্টা করি। আত্মীয়-স্বজন, কাছের মানুষ এবং বন্ধুদের ভালোবাসা পেতে পেতে আনন্দ উল্লাসে কেটে যায় আমার জন্মদিনটা। জন্মদিনে আমার মেয়ে-ছেলে, স্ত্রী এবং অন্যরা আমাকে উইশ করে, শুভেচ্ছা জানায়, ফুল দেয়, গিফট দেয়। সবার কাছ থেকে এখনো এত ভালোবাসা পাই যে, জন্মদিন পালন করতে হয় না।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

আজিজুল হাকিম: ছোটবেলায় আমার জন্মদিন পালন করা হতো না। এমন কি ভাই-বোন কারোর জন্মদিন উৎসব করে পালন করা হবে সেটা পারিবারিক ভাবে মাথায় ছিল না। এখনকার জন্মদিনে সময় কাটাই স্ত্রী, পরিবার এবং আমার সন্তানদের সঙ্গে। জন্মদিনে সবার আগে মেয়ে ১২টা ১ মিনিটে আমাকে উইশ করে সারপ্রাইজ দেয়। মোমবাতি, কেক ও ফুল নিয়ে এসে হাজির হয়। জন্মদিনের বিষয়টা তখন আর নিজের মধ্যে থাকে না। পরিবারের সদস্যরা মিলেই আমার জন্মদিনটা আনন্দ উল্লাসে উদযাপন করে। আমার ভীষণ ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: সবার আগে আপনাকে জন্মদিনে কে উইশ করে?

আজিজুল হাকিম: মেয়ে-ছেলে, স্ত্রী সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর কাছের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নাটকের কলিগ এবং ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা উইশ করে শুভেচ্ছা জানায়। আগের দিন রাত ১২টা বাজলে অনেকেই ফোন করে শুভেচ্ছা জানায়। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কি উপহার পেতে ভালো লাগে?

আজিজুল হাকিম: যে কোনো সুন্দর উপহারই মানুষকে আনন্দ দেয়। অনেক সময় আমার শাশুড়ি আমার জন্য চমৎকার একটা পাঞ্জাবি নিয়ে আসে- এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া। জন্মদিনটাকে মনে রেখে সবাই যখন উইশ করে তখন খুবই ভালো লাগে। এর চেয়ে ভালো উপহার কী হতে পারে। মানুষের ভালোবাসাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার।