Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ভুল বানানের বই প্রতিরোধে দায়িত্ব কার?

সুজন হায়দার
খবরটা সত্যি। বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলায় অংশ গ্রহনকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রকাশনীর ক্ষেত্রে বইয়ের বানান সংশোধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নাই। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনা পরিষদও নাই অনেকের। নামকরা প্রথম সারীর কিছু প্রকাশনীর নিজস্ব সম্পাদনা পরিষদ আছে। বেতন ভুক্ত প্রæফ রিডার দিয়ে বইয়ের বানান সংশোধন করেন তারা। অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কবি অথবা লেখকই হয়ে ওঠেন বানান সংশোধনকারী। তিনিই বইয়ের লেখা কম্পিউটারে কম্পোজ করে প্রকাশকের ই-মেইল নম্বরে অথবা পেন ড্রাইভে ভরে তা পাঠিয়ে দেন প্রকাশকের কাছে। প্রকাশক বইটি ছাপেন। তারপর বিক্রির ব্যবস্থা নেন। এর ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল বানানের বই প্রকাশ হচ্ছে। বিশেষ করে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত অধিকাংশ বইয়ের ক্ষেত্রে ঘটছে বানান বিভ্রাট সহ নানান বিশৃঙ্খলা। এক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক বই প্রকাশের তোড়জোড়কে দায়ী করছেন অনেকে। একজন প্রকাশক বললেন বার-বার তাগাদা দেয়ার পরও অনেক কবি লেখকের নতুন বইয়ের পাÐুলিপি সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। এমন সময় পাওয়া যায় যখন এক সঙ্গে অনেক পাÐুলিপি জমা হয়। তখনই প্রকাশনার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিস্থিতি দেখা দেয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভুল বানানের ছড়াছড়িও থাকে। তবে তিনি বললেন সব বইই শুদ্ধ বানানে প্রকাশ হওয়া উচিৎ।
বইমেলা অনেক বড় এখন। হাজার হাজার নতুন বই প্রকাশ হয় প্রতি বছর। বোধকরি এখন প্রয়োজন বইয়ের কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দেওয়া। সে ক্ষেত্রে বইয়ের বানান শুদ্ধ হওয়া জরুরি।