Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

বই আর ফুল পেলে বেশী ভালো লাগে -সৈয়দ আব্দুল হাদী

আনন্দ আলো: ১ জুলাই আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

সৈয়দ আব্দুল হাদী: সত্যি কথা বলতে কী আমার জন্মদিনটা মেয়েরাই পালন করে থাকে। শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে। মজার ব্যাপার হচ্ছে জন্মদিনের কথা আমি ভুলে যাই। কারণ জন্মদিন নিয়ে আমার ভেতরে খুব বেশি তাড়না আসে না। আমি অন্যসব দিনের মতোই একটি দিন মনে করি। কোনো শুভানুধ্যায়ী ফোন করে উইশ করলে মনে পরে আজ আমার জন্মদিন।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের কী পার্থক্য খুঁজে পান?

সৈয়দ আব্দুল হাদী: ছোটবেলায় খুব একটা ঘটা করে জন্মদিন পালন করা হতো না। আমাদের সময়ে জন্মদিন পালন তেমন একটা প্রচলিত ছিল না। বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বাসায় জন্মদিন পালন করতাম। এখন মেয়েরাই আমার জন্মদিন ঘটা করে পালন করে। বন্ধু-বান্ধবের বাইরে শুভানুধ্যায়ীরা শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিন বিষয়ক স্মৃতিময় কোনো ঘটনার কথা বলবেন?

সৈয়দ আব্দুল হাদী: ১৯৮৪ সালের জন্মদিনের কথা বলি। আমি তখন পড়াশোনা করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। হোস্টেলে থাকতাম। সেই সময় আমার জন্মদিনে বন্ধু-বান্ধবরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে হোস্টেলের রুমে চলে আসত। সবাই মিলে অনেক হইচই করতাম, গানবাজনা হতো। উপহার হিসেবে কেউ বই নিয়ে আসত, আবার কেউ কেউ ছোটখাটো জিনিস নিয়ে আসতো। খুবই আনন্দে কেটে যেত দিনটি। এরকম অনেক টুকরো ঘটনা আছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে আমার কাছে স্মরণীয়।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনকে উইশ করে?

সৈয়দ আব্দুল হাদী: মেয়েরা সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। তারপর ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা যারা জানে তারা উইশ করে। কেউ হয়তো ফুল নিয়ে আসে। শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

সৈয়দ আব্দুল হাদী: উপহারতো উপহারই। উপহারের ধরণ ছোটবড়, নামীদামি নির্ভর করে হয় না। যে কোনো উপহার পেতে ভালো লাগে। তবে জন্মদিনে উপহার হিসেবে ফুল, বই পেতে ভালো লাগে। ছোটবেলায় জন্মদিনে নতুন জামাকাপড়, জুতা পেতে খুব ভালো লাগত।