Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ফ্রেশকে সব সময়ের সেরা ব্র্যান্ডে পরিণত করতে চাই

-আসিফ ইকবাল, নির্বাহী পরিচালক

তিনি বাংলাদেশের একজন সফল কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব। দেশের খ্যাতিমান একাধিক প্রতিষ্ঠানে বহুমাত্রিক ও নানান উদ্ভাবনী কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে তিনি একনামেই পরিচিত। গত ২৭ বছর ধরে তিনি গান লিখে চলেছেন। তার অসংখ্য গান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছে। কর্পোরেট ও সঙ্গীত জগতের এই সফল ব্যক্তিত্বের নাম আসিফ ইকবাল। বর্তমানে তিনি মেঘনা  গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি আনন্দ আলো’র সঙ্গে কথা হয় আসিফ ইকবালের। সেই কথোপকথনে উঠে আসে তার কর্পোরেট ভাবনা, সাম্প্রতিক নানা প্রসঙ্গ ও সঙ্গীতের বিভিন্ন বিষয়। নিচে তারই চুম্বক অংশ লিখেছেন জাকীর হাসান।

আনন্দ আলো: বাংলাদেশে এখন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মান কোন পর্যায়ে?

আসিফ ইকবাল: বাংলাদেশ হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে চতুর্থ দ্রুততম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। এদেশের অনেক কিছু বিশ্বে এক থেকে দশের মধ্যে অবস্থান করছে। যেমন বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সী বিচ। সুন্দরবন পৃথিবীর সেরা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। পাটশিল্পে বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। গার্মেন্ট রপ্তানিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। তৃতীয় বৃহত্তম মাছ উৎপাদনকারী দেশ, চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী দেশ। ষষ্ঠতম মানবসম্পদের দেশ, অষ্টম আলু উৎপাদনকারী দেশ। নবম বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী দেশ। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের প্রায় বিশটা দেশের মানবসম্পদের চাইতে বাংলাদেশে বেশি মানবসম্পদ রয়েছে। এদেশের শক্তি ও সম্পদ কিন্তু অমিত। কর্পোরেটে এই ভাবনাটা বেশ শক্তভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমরা যারা কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করি তারা মনে করি বাংলাদেশ পৃথিবীর ছোট দরিদ্রতম তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশ নয়। আমরা আসলে বিশ্বের যে কোনো দেশের অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রাখি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং বিশ্বায়নের সঙ্গে চলার যে দক্ষতা ও মনোভাব দরকার সেটাও আসেৱ আসেৱ বাংলাদেশ অর্জন করছে। এখন দরকার হচ্ছে এই অর্জন গুলো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোর দেয়া।

আনন্দ আলো: মেঘনা গ্রুপের ফ্রেস ব্র্যান্ড ২০১৪ ও ২০১৫ সালে পর পর দুই বছর শীর্ষ ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেয়েছে। এই সাফল্যের গল্পটি কেমন?

আসিফ ইকবাল: আসলে এই সফলতার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে। শীর্ষস্থান ধরে রাখার এই জরিপ যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে বোঝা যাবে। যারা এই জরিপ পরিচালনা করেছেন তাদের কাছে বেশকিছু বিষয় উঠে এসেছে। তার মধ্যে একটি হলো পপুলেশন বা জনসংখ্যা। অন্যটি পেরিট্রেশন আরেকটি হচ্ছে ফ্রিকুয়েন্সি। টোটাল পপুলেশনের মধ্যে কতজন লোক ফ্রেস প্রোডাক্ট ব্যবহার করে সেটা হবে পেরিট্রেশন। একশ জন লোকের মধ্যে যদি ৪০ জন ফ্রেশের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তাহলে কতবার ব্যবহার করেন। দেখা গেছে তিনবার ব্যবহার করেছেন। এই সুচকগুলো ২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যনৱ। এটা পরিস্কার বলে দেয় ব্র্যান্ড হিসেবে ফ্রেশ ক্রমান্বয়ে উন্নতি করছে। ফ্রেস কিন্তু গত ৮/১০ বছরে মার্কেটে অত্যনৱ শক্তভাবে অবস্থান করছে। মানুষের মনের মধ্যে এই প্রোডাক্ট দাগ কাটার যে চেষ্টা সেটা শুরুর পর থেকে অনেক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গেছে। ফ্রেশের এই যে নাম্বার ওয়ান হওয়া কিন্তু কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নয়। এটা অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার ও নিবেদিত চেষ্টার ফসল। এর জন্য একটা গল্প থাকতে হয়, একটা ভিশন থাকতে হয়। এজন্য একটা ড্রিম বা স্বপ্ন থাকতে হয়। আসলে মাল্টিন্যাশনালের যুগে একটি লোকাল কোম্পানীর আনৱর্জাতিক মানের কাজ করে সফলতা পাওয়া সত্যিই বেশ অভিনব ও নতুন। এই অভিনব ও নতুন চেষ্টা আমরা করেছি। আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ভোক্তারা যা চায় সেই মানের প্রোডাক্ট তৈরি করা। এজন্য আমরা নিরনৱর চেষ্টা করেছি। আমাদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। আমরা প্রতিটি সেকেন্ড প্রোডাক্টের কোয়ালিটির কথা চিনৱা করি। আমরা মনে করি কোয়ালিটি হচ্ছে এক ধরনের বিপ্লব। তারপর চিনৱা করি এই কোয়ালিটির বিষয় মানুষের কাছে প্রেজেন্ট করবো কিভাবে। সেখানে আসছে প্যাকেজিং, সেখানে আসছে মার্কেটিং বিষয়। মানুষ যাতে দোকানে গিয়ে ফ্রেশের পণ্য পায়, অর্ডার করলে যাতে মানুষ সহজে ফ্রেশ প্রোডাক্ট পায় এই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। তারপর আমাদের বিজ্ঞাপনগুলোকে আমরা অনেক বেশি আধুনিক করেছি। মানুষের প্রয়োজনের সাথে, মানুষের চিনৱা ভাবনার সাথে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা বড় বড় ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এশিয়া কাপ ক্রিকেট, ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের নানা ইভেন্টে থেকেছি। আমাদের ভোক্তারা যা চায় তার সঙ্গে সব সময় থাকার চেষ্টা করেছি। গানবাজনা থেকে শুরু করে সিনেমার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। চ্যানেল আই-এর প্রকৃতি মেলার সঙ্গে থেকেছি। এ ধরনের অনেক উদ্যোগের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি আমরা। যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না।

আনন্দ আলো: আপনি স্বপ্নের কথা বললেন ভিশনের কথা বললেন। এর পেছনে সেই স্বপ্নদ্রষ্টা কে?

Asif-Iqbal-2আসিফ ইকবাল: এই স্বপ্নদ্রষ্টা আমাদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোসৱফা কামাল। তাঁর নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্নগুলো বাসৱবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁর মতো একজন মানুষ অসাধারণ কিছু স্বপ্ন দেখেছেন। সেই স্বপ্নগুলোই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং করছে।

আনন্দ আলো: কর্পোরেট এরিনায় তরুণদের কাজের সুযোগ কেমন?

আসিফ ইকবাল: আমাদের যে জনসংখ্যা এবং আমাদের যে উদ্যোগ এই দুইয়ে মিলে অমিত সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি সুযোগের অভাবও আছে। ১০/১৫ বছর আগে যে সুযোগ ছিল না এখন কিন্তু সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে মূলত ডিজিটাইলাইজ যুগের কারনে। একজন তরুণ স্বাবলম্বিও হয়ে যেতে পারে উদ্যোক্তাও হতে পারে এই সময়ে। আবার একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতে পারে। গত দুবছরে দেশে প্রায় ৩ কোটির মতো কর্মস্থান হয়েছে। হতদরিদ্র অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটা হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এই যে একটা পরিবর্তন এটা কন্টিনিউ করলে নতুন কর্মস্থান আরো বেশি হবে। এক্ষেত্রে তরুণদের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। এবং তাদের তৈরি হতে হবে। সময় নষ্ট করার যে অভ্যাস সেটা পরিত্যাগ করতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের নামতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক, পারিবারিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এখন তরুণদের মূল্যবোধের শিক্ষাটা ভালোভাবে দিতে হবে এবং তাদের সামনে বিশ্বটা খুলে দিতে হবে। আমরা ধর্মভীরু জাতি, আমাদের ধর্মের যেমন প্রাকটিস করতে হবে তেমনি আমাদের সরল পথে থেকে দেশকে ভালোবেসে তৈরি হতে হবে। মনে রাখতে হবে আমি জিতলে জিতে যায় মা ঠিক তেমনিভাবে আমার দেশকে জেতালে আমি জিততে পারব। এই ধরনের একটা মনোভাব থাকতে হবে। স্মরনে রাখতে হবে আমাদের ভাষা, আমাদের মহান স্বাধীনতা তারুণ্যই এনে দিয়েছে।

আনন্দ আলো: আপনিতো একজন সফল কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব। আপনার সফলতার মূল মন্ত্র কি?

আসিফ ইকবাল: আমি নিজেকে সফল এখনো বলতে পারব না। আমার এখনো অনেক কিছু অর্জন করার বাকী, দেশকে দেয়ার বাকী। যতটুকু সাফল্য এসেছে সেই দৃষ্টি থেকে বলছি আমি কখনো অর্জন করতে চাইনি, দিতে চেয়েছি। এটা কিন্তু সব সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমাকে এটা দেন এটা না বলে আপনার জন্য কি করতে পারি এই মনোভাবে আমি বিশ্বাসী। আরেকটি বিষয় হচ্ছে জীবন থেকে একটা শব্দকে ফেলে দিয়েছি সেটা হলো প্রতিশোধ। আমি কখনো প্রতিশোধ পরায়ন হইনি। কিন্তু ইচ্ছা শক্তিতে প্রবল হয়েছি। আমি বিনয়ে নত হয়েছি। অহংকারী হইনি কখনো।

আনন্দ আলো: আপনার জীবনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন কে? কাকে অনুসরণ বা অনুকরণ করেছেন?

আসিফ ইকবাল: আমার সকল কাজের মূল অনুপ্রেরণা আমার পিতামাতা। বিশেষ করে আমার মা। যদিও আমার বাবা মা বেঁচে নেই। এরপর আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন সঙ্গীত জগতের প্রিয় মানুষেরা। আমি এই জগতের মানুষদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি ভালো গান লেখায়। আমি সব সময় চাই সঙ্গীত জগতের মানুষদের জীবনযাত্রা যেন উন্নত হয়।

আনন্দ আলো: বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্গীত জগতের অবস্থা কেমন?

আসিফ ইকবাল: সঙ্গীত জগতের অবস্থা বর্তমানে ক্রমশও ভালো হচ্ছে। তবে বিটিআরসির একটি সিদ্ধানেৱর কারনে সঙ্গীতাঙ্গনে বিরুপ ছায়া পড়েছে। সঙ্গীত এখন পুরোপুরিভাবে ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। বিশেষ করে ডাবল কনফারমেশন এর মতো একটি বিষয় চালু করে দেয়ার ফলে সঙ্গীত জগতের মানুষের প্রয়োজনীয় যে অর্থ আয় হতো সেটা এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। পাইরেসি আমাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল সেখান থেকে একটু একটু করে যখন আমরা দাঁড়াবার চেষ্টা করছি তখন এই সিদ্ধানৱ আমাদের পঙ্গু করে দিচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা সেই গানের ইন্ডাস্ট্রির কথা বলছি যে ইন্ডাস্ট্রি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। সঙ্গীত এমন একটা শক্তি সারাবিশ্বে যেমন, বাংলাদেশে তার চেয়ে বেশি। আমাদের উৎসব, আমাদের হাসি আনন্দ বেদনা দুঃখ সবকিছুতে গানকে আমরা আলিঙ্গন করি। গান আমাদের সিনেমা, নাটক ও মঞ্চকে সমৃদ্ধ করেছে।

আনন্দ আলো: আপনার লেখা অনেক গান জনপ্রিয়তার পেয়েছে। তার মধ্যে থেকে আপনার প্রিয় গানগুলোর কথা বলবেন কী?

আসিফ ইকবাল: গত ২৭ বছর ধরে আমি গান লিখছি। নিজের কাছে আমার সব গানই প্রিয়। আমার প্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, ঐ আকাশের তারায় তারায়, হৃদয় ঝড়ে, ঘুম হয়ে থাকতে যদি সাথে, তুই আমার মন ভাঙ্গলে, আমি ছুঁয়ে দিলে তুমি বরুনা হলে,

আনন্দ আলো: বাংলাদেশের বিশেষ করে তরুণ শ্রোতারা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা গান ও বলিউড সিনেমার হিন্দি গানের প্রতি আকৃষ্ট। আমাদের গান শ্রোতা আকৃষ্ট করতে পারছে না কেন?

আসিফ ইকবাল: প্রযুক্তির পরিবর্তনের ফলে গানের বাজার ওলট পালট হয়ে গেছে। আমাদের গানের কথা ও সুর ঠিক আছে এবং শ্রোতাও আকৃষ্ট করতে পারছে। আসলে বর্তমানের গান হয়ে পড়েছে ডিজিটালাইজড। যারা নিয়মিত ইউটিউব, মোবাইল ফোনে গান শুনছেন তাদের কাছে আমাদের গান সঠিক পথেই আছে। তারা আমাদের গানের সঙ্গে কানেক্টেড। কিন্তু যারা ডিজিটালাইজড কানেক্টেড না তারা ধারনা করছে আমাদের গান বলতে কিছু হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের গানের মানুষদের সবচেয়ে দুঃখ কি জানেন একটি সিনেমায় বা নাটকে অভিনয় করলে শিল্পীরা টাকা পায় কিন্তু টিভি বা রেডিওতে গান বিনে পয়সায় বাজানো হয়। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার কোনো সম্মানী পায় না। তাছাড়া গানকে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়। যেন তেন মানুষ দিয়ে গান করানো হয়। টাকা খরচ হবে বলে যোগ্য লোক দিয়ে গান করানো হয় না। যে কারনে টিভি ও রেডিওতে গান অনেক ক্ষেত্রে শ্রোতা আকৃষ্ট করতে পারছে না। ফলে পশ্চিমবঙ্গের গানের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে আমাদের গানকে দুর্বল মনে করছে। লাইফ অনুষ্ঠানগুলোতে এই ঘটনা বেশি ঘটছে। ইউটিউবে গান শোনেন দেখেন বাংলা গানগুলো কী চমৎকার। একেকটা গানে ভিউয়ার বিশ লাখ, ত্রিশ লাখ।

আনন্দ আলো: আপনার নিজের প্রতিষ্ঠানের কথা বলুন?

Asif-Iqbalআসিফ ইকবাল: আমি গানচিল প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডার। আমার স্ত্রী, আমার ছেলে ও আরো দুজন গানচিল নামের এই অডিও প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। আমি শুধু গান লিখি। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মূলত শিল্পী, সুরকার, গীতিকার যাতে তাদের প্রাপ্য রয়্যালিটি পায় এজন্য। এখনকার প্রতিটি গানের ৩০ ভাগ টাকা শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারকে ভাগ করে দেয়া হয়। গত জানুয়ারি থেকে এটা প্রত্যেকে পাচ্ছে। কিন্তু বিটিআরসির ডবল কনফারমেশন রোলটা আমাদের খুব ভোগাচ্ছে।

আনন্দ আলো: নিজের পরিবারের কথা বলুন?

আসিফ ইকবাল: আমার স্ত্রীর নাম আফসানা আসিফ তিনি হোম টেক্সটাইল এক্সপোর্ট করেন। তার একটি বুটিক ফ্যাশন হাউজ আছে। আমার বড় ছেলে আরাফ বিন আসিফ বিজনেজ ম্যানেজমেন্টে গ্র্যাজুয়েশন করেছে। বড় মেয়ে আরিফা বিনতে আসিফ ও লেভেল দিয়েছে। ছোট মেয়ে আলিনা মারিয়াম আসিফ ওর বয়স ৬ বছর। এই নিয়ে আমার সংসার।

আনন্দ আলো: ফ্রেশ নিয়ে আপনার আগামী পরিকল্পনা কী?

আসিফ ইকবাল: ফ্রেশকে আমাদের দেশের সব মানুষের জন্য সব সময়ের সেরা ব্র্যান্ডে পরিণত করতে হবে। ফ্রেশের যে বিজনেস মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে ভোক্তাদের নতুন নতুন প্রয়োজনকে ভাবনায় আনতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডে এমন এমন সলিউশনে নিয়ে আসতে হবে যাতে করে কনজ্যুমারদের ভালোবাসার ভেতরে থাকতে পারি। তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারি।