Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ফুলই আমার পছন্দ!-আলী ইমাম

৩১ ডিসেম্বর বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমামের জন্মদিন। কথা হলো এই গুণী মানুষের সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ৩১ ডিসেম্বর আপনার জন্মদিন। জন্মদিনটা কীভাবে পালন করেন?

আলী ইমাম: আমি জন্মদিন পালন করি না। পারিবারিক ভাবেও আমার জন্মদিন পালন করা হয় না। কেক কাটা, খাওয়া-দাওয়া কিছুই না। জন্মদিনে ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করি না। এই দিনটাকে আমি আলাদা ভাবে দেখি না।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

আলী ইমাম: ছোটবেলায় আমাদের পরিবারের কারোরই জন্মদিন পালন করা হতো না। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মদিন বলতে কিছু ছিল না। এখনকার জন্মদিনে যেটা হতো মাকের্ট থেকে শীতের কাপড় কিনে প্যাকেট করে আমার মুন্সীগঞ্জের এক গ্রামের শিশুদের মাঝে বিতরণ করতাম। আমি মনে প্রাণে চাইতাম শীতের দিনে বাচ্চাগুলো উষ্ণতা পাক। অসহায় দুস্থ শিশুদের মাঝে তিন চার বছর শীতের বস্ত্র বিতরণ করেছি। মেহেদী হাসান বাবু আমার এ কাজগুলো করেছে। আবার এটাও করেছি বাসায় জন্মদিনের পার্টি না করে ওই বাজেট দিয়ে দোকান থেকে ৫০ টাকার বিরিয়ানির প্যাকেট কিনে বস্তিতে গিয়ে তিন-চারশ ছেলে-মেয়েকে দিয়েছি। ওরা আমার জন্মদিনে ভালো কিছু খাক। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। রাস্তার ধারে যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা শুয়ে থাকে দুস্ত, পথ শিশু, টোকাই সেই সমস্ত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে আমি দশ বছর জন্মদিনের আনন্দ শেয়ার করেছি। ওদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি শীতবস্ত্র আর খাবার। আমার ফ্যামেলী এ ব্যাপারে জানে বলে বাসায় কিছু করতে চায় না।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করেন?

আলী ইমাম: সবার আগে সন্তানেরা আমাকে উইশ করে। তারা আগের দিন রাত ১২.০১ মিনিটে উইশ করে। তারপর আমার স্ত্রী উইশ করে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা উইশ করে। অসংখ্য মানুষের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ত। আর যাই হোক সাহিত্যের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব আমি। অনেকেই আমার জন্মদিনে উইশ করে থাকে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

আলী ইমাম: সত্যিকথা বলতে কী জন্মদিনে অনেকেই অনেক কিছু দেয়। কেউ বই দেয়, কেউ ফুল দেয়, আবার কেউ কেউ শার্ট, পারফিউমও দিয়ে থাকে। তবে জন্মদিনে উপহার হিসেবে ফুল পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এরচেয়ে সুন্দর উপহার মনে হয় আর কিছু হতে পারে না।