Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার  ২০১৫

এবার পেলেন মাসুদ পারভেজ ও শহিদুল হক খান

জাকীর হাসান: প্রতি বছর ২৬ অক্টোবর আসার আগেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশেষ করে চলচ্চিত্রাঙ্গন ও সাংবাদিকতা মহলে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে যায় কে পাচ্ছেন এবার ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার।  আক্ষরিক অর্থেই এই স্মৃতি পুরস্কার ঘোষনার অপেক্ষায় থাকেন সবাই।  পুরস্কারটি পাওয়ার আকাংখা পোষন করেন প্রায় প্রতিটি সৃজনশীল চলচ্চিত্র পরিচালক ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক।  এবারও ২৬ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে ১২ তম ফজলুল হক স্মৃতি পুরষ্কার প্রদান উপলক্ষে সংস্কৃতি কর্মী ও সংবাদকর্মীদের মিলন মেলা বসেছিল।  দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যে মানুষটির ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই ফজলুল হকের স্মরনে পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছেন তাঁরই সহধর্মীনি বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন।

ফজলুল হক পঞ্চাশের দশকে এদেশে সিনেমা শুরুর আগেই চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ করেন।  যা ছিল রীতিমতো দুঃসাহসিক কাজ।  আর তাই ফজলুল হককে এদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার জনক বলে সবাই শ্রদ্ধার চোখে মূল্যায়ন করেন।  ষাটের দশকের শুরুতে ফজলুল হক প্রেসিডেন্ট, নামে একটি শিশুতোষ সিনেমা তৈরি করেছিলেন যা তদানিন্তন পাকিস্তান আমলে পুরস্কৃত হয়েছিল।  অনেকেই হয়তো জানেনা প্রেসিডেন্ট ছবিতে শিশুনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ও স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর।

1102_212প্রেসিডেন্ট ছবি যখন নির্মিত হয় তখন ঢাকায় প্রযোজিত সিনেমার সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েকটি।  পরে তিনি উত্তরণ নামে একটি ছবি পরিচালনা করেন।  পত্রিকা সম্পাদনা ও চলচ্চিত্র পরিচালনা কোনোটাতেই তিনি থেমে থাকেননি।  পরে অন্যান্য ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

এদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের একেবারে সূচনা পর্বে ফজলুল হকের অবদান স্মরণীয়।  তার এই অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি প্রতিবছর অর্থাৎ ২০০৪ সাল থেকে একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সেরা চলচ্চিত্র পরিচালককে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়।  এই পুরস্কারের প্রবর্তক ফজলুল হকের সহধর্মিনী, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন।  ইতিমধ্যে আমাদের দেশের অনেক গুণী চলচ্চিত্র পরিচালক ও সাংবাদিক এ পুরস্কার পেয়েছেন।  এবার পেলেন দুই গুণী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।  তাদের একজন জনপ্রিয় নায়ক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে এবং সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক শহিদুল হক খান।

২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ পুরস্কার এবার ১২ বছর অর্থাৎ এক যুগে পদার্পন কবল।  এ কারণে এবারের ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আরো তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।

ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, নগদ অর্থ মূল্য ও একটি সনদপত্র তুলে দেন।  সেই সঙ্গে পরিয়ে দেন উত্তরীয়।  পুরস্কার পাওয়ার পর নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন মাসুদ পারভেজ ও শহিদুল হক খান।

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার কমিটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদানের আগে শহিদুল আলম সাচ্চু পরিচালিত ফজলুল হক স্মরণে নির্মিত প্রামান্যচিত্র ‘সম্মুখযাত্রী ফজলুল হক’- এর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।  এরপর জনপ্রিয় উপস্হাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়া এবারের পুরস্কার প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও এ যাবৎ কালে যারা ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন তাদের নাম পড়ে শোনান।  এরপর ফজলুল হকের বর্নাঢ্য কর্মজীবন এবং তার স্বপ্ন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, জনপ্রিয় অভিনেতা নির্মাতা ও ফজলুল হক স্মৃতি সম্মাননা স্মারকের ডিজাইনার আফজাল হোসেন, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাহ উদ্দিন জাকী, মোরশেদুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক চিম্ময় মুৎসুদ্দী, এম ডি নূরুল আলম বাবু চাচা, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান, আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান, ফজলুল হকের কন্যা বিশিষ্ট রন্ধন তারকা কেকা ফেরদৌসী।

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্হিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, বাংলাদেশ এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, মাত্রার ম্যানেজিং পার্টনার সানাউল আরেফিন, পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী মাহবুবা রেজানুর, রোকেয়া প্রাচী, অভিনেতা ওমর সানিসহ অনেকে।

আমার প্রস্তাব ফজলুল হককে যেন স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়

Samsul-Hoqueসৈয়দ শামসুল হক

আমার কাছে আজ মনে হয় ফজলুল হক সময়ের আগে জন্মদিন গ্রহণ করেছিলেন।  যদি ২০/২৫ বছর পর জন্ম গ্রহণ করতেন তাহলে তার যত স্বপ্ন ছিল সবটাই পূরণ করতে পারতেন।  তিনি কত যে স্বপ্ন দেখেছেন, কত যে পরিকল্পনা করেছেন তার হিসেব নেই।  কিছু পরিকল্পনা বাস্তবেও রূপ দিয়েছেন।  তিনি একটি প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনল্যান্ড নামে।  সেখানে দেশের বিশিষ্ট লেখকদের বই ছাপা হতো।  পরবর্তীতে প্রেসটি তিনি চালাতে পারেননি।  নাটক সিনেমার জন্য প্রফস ভাড়া দেয়ার প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন।  তার নাম ছিল আলপিন টু এলিফ্যান্ট।  ওই সময় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কথা কেউ চিন্তাও করেনি।  তাকে আমি বলতাম ছন্নছাড়া এক মহাপ্রাণ।  কোনো কিছুতেই তিনি স্হির থাকতে পারেননি।  স্বপ্নবাজ মানুষের বৈশিষ্ট্যই বুঝি এমন।  তিনি একটি ফিল্ম সিটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন।  তার নামও ঠিক করেছিলেন গ্রীনউড।  এটি তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের মাঝে কোনো এক সবুজে ঘেরা জায়গায়।  ওই সময় এমন একটি পরিকল্পনার কথা আর কেউ বোধ হয় ভাবেননি।

সরকারের কাছে একটি অনুরোধ করতে চাই আমি, তাহলো এই স্বাপ্নিক মানুষ যিনি প্রথম এদেশে শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার গোড়া পত্তন করেছেন তাকে যেন আগামী বছর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

আমি গর্বিত ও আনন্দিত

8মাসুদ পারভেজ

একজন চলচ্চিত্র অন্তপ্রাণ মানুষ ছিলেন ফজলুল হক।  তাকে সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি তবে তার ব্যক্তি ও কর্মজীবনের কথা শুনে আমি মুগ্ধ।  এ ধরনের একজন পথিকৃত মানুষের এখন আমাদের জন্য প্রয়োজন।  যার সৃষ্টিশীল পকিল্পনায় আমাদের চলচ্চিত্র অনেকদূর এগিয়েছে।  তিনি এখন জীবিত থাকলে আমরা আরো অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারতাম।  সেই গুণী মানুষটির নামে প্রবর্তিত পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত।

আমি নায়ক সোহেল রানা হিসেবে এ পর্যন্ত অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু পরিচালক মাসুদ পারভেজ হিসেবে এবারই অনেক বড় একটি স্বীকৃতি পেলাম এটা আমার কাছে অনেক বড় একটি ব্যাপার।  এজন্য আমি ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  এ পুরস্কার আমার স্ত্রী ডা: জীনাতকে উৎসর্গ করছি।

তার কাছেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি

9শহিদুল হক খান

আমার সাংবাদিকতার সকল অনুপ্রেরণা পেয়েছি সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক ফজলুল হক-এর মতো সৃজণশীল মানুষের কাছ থেকে।  তিনি অসাধারণ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন।  কিন্তু তার সেই প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ছিল না।  আমিও ব্যক্ত জীবনে অনেক পরিকল্পনা করেছি কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ পাইনি।

এ প্রজন্মের তরুণ নির্মাতা ও সাংবাদিকদের অনেকই ফজলুল হক সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না তিনি কতবড় একজন মানুষ ছিলেন।  আমি অনুরোধ করব বিশেষ করে ফরিদুর রেজা সাগরের কাছে এই মহান ব্যক্তির জন্ম ও প্রয়ান দিবসে পত্র পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে যেন ব্যাপকভাবে তার কর্মজীবন নিয়ে প্রচার প্রসার চালানো হয়।  যাতে করে এ প্রজন্মের তরুণ চলচ্চিত্র ও সংবাদ কর্মীরা উপকৃত হতে পারে।

সেটা ভেবে অবাক হই

Afzal-Hossin-(2)আফজাল হোসেন

প্রতিবছর এই দিনে ফজলুল হককে নিয়ে আমরা স্মৃতিচারণ করি।  তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করি এটা তার প্রাপ্য।  তিনি যে স্তরের মানুষ ছিলেন তার যে ভিশন ছিল সেটা ভেবে একেক সময় অবাক হয়ে যাই।  তার নামে প্রবর্তিত পুরস্কার এবার যারা পেলেন তাদের দু’জনকেই আমি অত্যন্ত কাছের মানুষ বলে মনে করি।  সোহেল রানা আমাদের চলচ্চিত্রের এক বলিষ্ট অভিনেতা।  তিনি অভিনয়ে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন তেমনিভাবে শহিদুল হক খান চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার সৃজনশীলতার ছাপ রেখেছেন।

আধুনিক ও দুরদর্শি ছিলেন

Salauddin-Jakiসৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী

আমার মাথায় আসেনা যে সময় ফজলুল হকের জন্ম ওই সময় কী করে তিনি এতো আধুনিক ছিলেন।  ১৯৭৩ সালের কথা বলছি তখন আমি পুনা ফিল্ম ইন্সটিটিউটে।  একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফজলুল হক ভাই এসে হাজির।  তাকে দেখে কি করব, কি করা উচিৎ ভেবে পাচ্ছি না।  চা নাস্তা শেষে বিভিন্ন আলোচনার এক পর‌্যায়ে জানালেন তিনি একটি ফিল্ম ইন্সটিটিউট করতে চান।  সেই পরিকল্পনা অবশ্য বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।  কিন্তু তার সুযোগ্য সন্তান ফরিদুর রেজা সাগর ঠিকই বাবার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফজলুল ফিল্ম ইন্সটিটিউট গড়ে তুলেছেন।  এটা ভেবে আমি অনেক আনন্দ পাই।

স্বপ্ন অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে

Morshedমোরশেদুল ইসলাম

প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই বিশিষ্ট কথা শিল্পী রাবেয়া খাতুনকে এ ধরনের একটি গুরুত্বপুর্ণ পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য।  আমি মনে করি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ফজলুল হকের অনেক স্বপ্নকে ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন তার সুযোগ্য সন্তান ফরিদুর রেজা সাগর।  তার বাবার স্বপ্ন ছিল নিয়মিত মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের।  ইমপ্রেস টেলিফিল্মের মাধ্যমে সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে।  ফজলুল হক চলচ্চিত্র অর্থাৎ বিনোদন সাংবাদিকতার পথিকৃত।  এটা নিয়েও তার বিরাট স্বপ্ন ছিল।  সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে ইমপ্রেসের ব্যানারে প্রকাশিত জনপ্রিয়, পত্রিকা আনন্দ আলো প্রকাশের মধ্য দিয়ে।  মোট কথা ফজলুল হক যে স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন তার বাস্তবায়ন অনেকটাই করেছেন তার সন্তানেরা।  আগামীতে আরো হবে এই প্রত্যাশা করছি।

এখনো অনেক সুযোগ আছে

13মতিউর রহমান চৌধুরী

অনেকেই ফজলুল হক সম্পর্কে বলেছেন তিনি যদি জীবদ্দশায় ইমপ্রেসের মতো প্রতিষ্ঠান পেতেন তাহলে অনেক কিছুই করতে পারতেন।  দুর্ভাগ্য তার ওই সময় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাননি।  তবে একদিকে তিনি ভাগ্যবান যে উত্তরাধিকারী হিসেবে ফরিদুর রেজা সাগরের মতো সন্তান রেখে গেছেন।  তার হাত ধরে বাবার স্বপ্নগুলো একে একে পূরণ হবে।  তার নামে চলচ্চিত্র ইন্সটিটিউট হয়েছে।  ভবিষ্যতে আরো প্রতিষ্ঠান হবে।  মোট কথা ফজলুল হক সাহেবের স্বপ্ন বাস্তবায়নের এখনো অনেক সুযোগ আছে।

তিনি যদি ইমপ্রেসের মতো একটি প্রতিষ্ঠান পেতেন…

10এম.ডি নূরুল আলম (বাবু চাচা)

হক ভাই সম্পর্কে প্রতিবার আমাকে বলতে বলা হয়।  অনেক কিছু বলি কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয় কিছুই বলা হয়নি।  তার সঙ্গে আমার কত যে স্মৃতি রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।  হক ভাইয়ের কাছে প্রায়ই আসতেন খান আতা, কাজী জহির, এহতেশামের মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা।  হক ভাইকে তারা ডাকতেন বস বলে।  বঙ্গবন্ধু তাকে ডাকতেন ডাক্তার বলে।  কারণ রাজধানীর বুকে ছবিতে তিনি ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সেই থেকে বঙ্গবন্ধুসহ অনেকেই তাকে ডাক্তার বলতেন।

হক ভাই কখনো বসে থাকতেন না।  সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।  তবে সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না তার ।  তিনি যদি ইমপ্রেসের মতো প্রতিষ্ঠান পেতেন তাহলে যে কী করতে পারতেন তা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই পর্যন্ত যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন

২০০৪-এ সাইদুল আনাম টুটুল চলচ্চিত্র পরিচালক, ফজল শাহাবুদ্দিন চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০০৫-এ চাষী নজরুল ইসলাম চলচ্চিত্র পরিচালক, আহমদ জামান চৌধুরী চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০০৬-এ হুমায়ূন অহমেদ চলচ্চিত্র পরিচালক, রফিকুজ্জামান চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০০৭-এ সুভাষ দত্ত চলচ্চিত্র পরিচালক, হীরেন দে  চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০০৮-এ গোলাম রব্বানী বিপ্লব চলচ্চিত্র পরিচালক, আবদুর রহমান চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০০৯-এ আমজাদ হোসেন চলচ্চিত্র পরিচালক, সৈয়দ শামসুল হক চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১০-এ মোরশেদুল ইসলাম চলচ্চিত্র পরিচালক, চিন্ময় মুৎসুদ্দী চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১১-এ ই আর খান চলচ্চিত্র পরিচালক, অনুপম হায়াৎ চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১২-এ নাসিরউদ্দিন ইউসুফ চলচ্চিত্র পরিচালক, গোলাম সারোয়ার চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১৩-এ রাজ্জাক চলচ্চিত্র পরিচালক, রেজানুর রহমান চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১৪-এ সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী চলচ্চিত্র পরিচালক, আরেফিন বাদল চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা

২০১৫-এ মাসুদ পারভেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, শহীদুল হক খান চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা।