Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

প্রতিমুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা করেছি : জ্যোতিকা জ্যোতি

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদ-এর গল্প অবলম্বনে ‘অনিল বাগচীর একদিন’-এ অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সৈয়দ ইকবাল।

আনন্দ আলো: অনিল বাগচীর একদিন ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা বলবেন-

জ্যোতিকা জ্যোতি: এই অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে কাজ করা। পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম খুব নিখুঁতভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন। এই ছবিতে আমি অনিল বাগচীর বড় বোন অতসীর চরিত্রে অভিনয় করি। অনিল বাগচী খুব ভীতু প্রকৃতির ছেলে। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকি। ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়। অবরুদ্ধ ঢাকা নগরী। একদিন খুব ভোরে অনিল একটা চিঠি পায়। রুপেশ্বর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চিঠিতে  জানান যে অনিলের বাবাকে মিলিটারিরা মেরে ফেলেছে। বোন অতসী আছে হেডমাস্টারের বাসায়। হেডমাস্টার অনিলকে আসতে বারণ করেন, কারণ গ্রামটি এখন যুবকদের জন্য নিরাপদ নয়। কিন্তু অনিল সিদ্ধান্ত নেয় সে যাবে। যাত্রাপথ খুবই বিপদের, তারপরও অনিল অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসে করে  রওয়ানা দেয় রুপেশ্বর গ্রামের দিকে। চরম অনিশ্চিত যাত্রা। যাত্রা পথে অনিল অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়।

আনন্দ আলো: ছবিটিতে অভিনয় করতে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে কিভাবে অনুভব করেছেন?

জ্যোতিকা জ্যোতি: অনিল বাগচীর একদিন বইটি আমি পড়েছি। গল্পে কী যে উত্তেজনা! প্রতিমুহূর্তে মনে হয়েছে এই বুঝি এলো বিপদ। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ছবির গল্পে মুক্তিযুদ্ধ এবং তখনকার পরিবেশ-প্রকৃতি খুব সুন্দরভাবে পেয়েছি। তাই তো অভিনয় করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বারবার বোঝার চেষ্টা করেছি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ শেষে দেশটাই যে আমাদের এই কথাই বারবার মনে হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও আমি তাই। ধর্ম দিয়ে জাতিকে বিভক্তে আমি বিশ্বাস করি না কখনো। প্রগতিশীল মানসিকতা আমার। তাই জাতীয়তাবোধ এবং দেশাত্মবোধ আমাকে সবসময় আন্দোলিত করে।

আনন্দ আলো: প্রত্যাশার জায়গাটা বলবেন-

জ্যোতিকা জ্যোতি: গত ১১ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পায়। এর আগে স্যারের জন্মদিনে ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছিল। যারাই ছবিটি দেখেছেন সবার কাছে থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি। এরইমধ্যে কয়েকজন বেশ প্রশংসা করেছে। ছবিতে আমি কিন্তু একটি গানে কণ্ঠও দিয়েছি। সেটারও দারুণ প্রশংসা পেয়েছি। সবমিলিয়ে টেনশন কমেছে প্রত্যাশা বেড়েছে। পাশাপাশি আরেকটি কথা বলতে চাই, অনিল বাগচীর উপন্যাসটি যারা পড়েছেন তারা ছবিটি দেখে বেশ আনন্দ পাবেন। কারণ বইতে পড়া কল্পনার চরিত্রগুলো এবার তারা পর্দায় দেখবেন। আশা করছি দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখলে নিরাশ হবেন না।