Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ছোটকাকুর সজল ও মিলা

আব্দুন নূর সজল। গত ঈদে টেলিভিশনের পর্দায় তাকে দেখা গিয়েছে ভিন্ন সব চরিত্রে অভিনয় করতে। রোমান্টিক হিরোর বাইরেও তাকে কিছু ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। চ্যানেল আইতে প্রচার হওয়া বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর এর ‘ছোটকাকু’ ধারাবাহিকের ‘কাকু যখন কুমিল্লায়’ সিরিজে সজলকে একেবারেই ভিন্ন একটি চরিত্রে দেখা গেছে। ছোটকাকুতে টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে সজল বেশ উচ্ছ¡সিত। অন্যদিকে নাটকটিতে দেশের একজন জনপ্রিয় উপস্থাপকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মিলা হোসেন। মিলার চরিত্রটির নাম ছিলো আফরিন আক্তার। এই আফরিন আক্তার দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আলোচিত মানুষদেরকে তার টিভি অনুষ্ঠান ‘পর্দা ফাঁস’ এর মাধ্যমে হাজির করেন এবং তাদের মুখ দিয়ে গোপন অনেক কথা বের করে আনেন। সেজন্য দেশের মানুষের কাছে আফরিন বেশ জনপ্রিয় একজন টিভি উপস্থাপক। সেই অনুষ্ঠানের ক্যামেরাম্যান সজল। ভিন্নধর্মী দুটি চরিত্রে অভিনয় করা এই দুই গুণী অভিনয়শিল্পী সম্প্রতি আনন্দ আলোয় এসেছিলেন। আনন্দ আলোর প্রচ্ছদমুখে হাজির হয়েছেন তারা। তাদের ভাবনার পক্তিমালাই সাজিয়েছেন সৈয়দ ইকবাল।

ছোটকাকু অসাধারন এক অভিজ্ঞতা দিয়েছে-সজল

আনন্দ আলো: ঈদে ছোটকাকুর এবারের গল্পে কাজ করে কেমন লেগেছে?
সজল: অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আফজাল হোসেনের মতো গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে পারা অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার। আফজাল হোসেন- এই একটি নাম বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক অঙ্গনের জন্য কতোটা সম্মানের এবং কতোটা দামী তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। সম্পর্কে উনি আমার মামা হোন। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তার অনেক অবদানের রয়েছে। তাই তিনি যখন আমাকে ফোন করে বললেন- ‘তোর ছোটকাকুতে অভিনয় করতে হবে’। আমি রাজি হয়ে গেলাম। এবং বুঝে নিলাম এবার ঈদে ভিন্ন কিছু করতে যাচ্ছি… আর কাজ করার সময় আমি তো রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম গল্পের বাঁক আর আমার নিজের চরিত্রটি নিয়ে। এরকম চরিত্রে আমি এর আগে কখনোই অভিনয় করিনি। একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ক্যামেরা ম্যান। যদিও গল্পের শেষে এসে বোঝা যায় আমি আসলে একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি। একারনেই আসলে মজাটা আরো বেশি করে ফুটে ওঠেছে। কারন দর্শক আমাকে সবসময় একজন হিরোর জায়গায় চিন্তা করে এসেছে। একজন দর্শক যখন তার চিন্তার বাইরে গিয়ে কোনো চরিত্র এবং গল্প দেখে তখন সেটা নি:সন্দেহে ভালো লাগে। এবারের ছোটকাকু সিরিজের কাকু যখন কুমিল্লার বেলায়ও তাই হয়েছে। সবকিছুর আগে আমি বলবো- মামার অসাধারন (আফজাল হোসেন) নির্দেশনা। এতো রহস্য আর টান টান উত্তেজনার আবহে গল্পটা উনি বলেছেন- এককথায় দূর্দান্ত।
আনন্দ আলো: মিলার সাথে কাজ করে কেমন লেগেছে?
Sajolসজল: অসম্ভব ভালো লেগেছে। আমি আর মিলা এমনিতেই অনেক ভালো বন্ধু। আমাদের পারিবারিকভাবে একটা সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি আমি আমেরিকায় গেলে মিলার সাথে রোজ দেখা হয়। একটা সময় তো মিলা দেশে প্রচুর কাজ করতো। তখন আমরা এক সাথে অনেক কাজ করেছিলাম। এখন যেহেতু ও দেশের বাইরে থাকে এবং সেখানে একটা ব্যস্ততা রয়েছে তাই আগের মতো আর এখানে কাজ করতে পারে না। তবে দেশে এলে যে কাজটা করে সেটা অনেক ভালো কাজই হয়। মিলা চরিত্রের গভীরতাটা খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে। এই নাটকে আমার আর মিলার ক্যামেস্ট্রিটা অন্যরকম। প্রেম, বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসাটা সময়ের পরিক্রমায় যে একটা জায়গায় চলে যায় সেটাই বোঝানো হয়েছে। একটা মনস্তাত্বিক দ্ব›দ্ব রয়েছে।
আনন্দ আলো: এবার ঈদে অন্য কাজের কেমন রেসপন্স পেলেন?
সজল: দেখুন, সব কাজের যে একই রকম রেসপন্স পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। আর এখন নাটক প্রচারের অনেক পরে এসে মানুষের রেসপন্স পাওয়া যায়। এটার একটা কারন হচ্ছে- কাজটা যখন প্রচার হয় তখন দেখা গেছে কেউ দেখেনি। ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রচারের কয়েকদিন পর থেকে রেসপন্সটা পাওয়া শুরু হয়। সেই হিসেবে আমার প্রায় প্রত্যেকটি নাটকের বেশ ভালো রেসপন্স পেয়েছি। ছোটকাকু তো আছেই। এরমধ্যে রয়েছে দেশের বাইরের কিছু কাজ। ঈদের আগে ইন্দোনেশিয়া, বালি ও নেপালে চিত্রায়িত বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেছি, সেগুলো প্রচার হয়েছে। অনেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। আর এখন কিন্তু যেকোনো একটি কাজের ফিডব্যাক সহজেই পাওয়া যায়। সেটা হোক ভালো কিংবা খারাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমলোতে সহজেই দর্শক-ভক্তরা তাদের মতামত শেয়ার করতে পারেন।
আনন্দ আলো: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই। আপনার অভিনীত অনেক আলোচিত সিনেমা ‘রানআউট’। এই ছবিটির ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আপনার জীবনে কী কী পরিবর্তন এনেছে?
সজল: আমি মনে করি, জীবনে প্রতিটি নতুন কাজ মানুষের মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়। ছোটপর্দার নিয়মিত অভিনেতা বড়পর্দায় কাজ করলে কিছু পরিবর্তন তো আসবেই। ‘রানআউট’-এর জন্য প্রশংসা আমাকে নতুন একটি ছবি এনে দিয়েছে। এখানে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা (মাহিয়া মাহি), জনপ্রিয় পরিচালক (বদিউল আলম খোকন) আছেন। সব মিলিয়ে অবশ্যই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এই ছবিটির পর আমি অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। আর আমি নিজেকেও অনেকখানি যাচাই করতে পেরেছি। আমি কি পারবো আর কি পারবো না- সেটাও বুঝতে পেরেছি।
আনন্দ আলো: ‘হারজিৎ’ ছবিটি সম্পর্কে জানতে চাই-
সজল: এই ছবিটির পুরো শুটিং শেষ। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এই ছবিটিতে নাচ, গান, মারামারি সবই আছে। এগুলোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে নাচ ও মারপিটের দৃশ্যের জন্য মহড়া করতে হয়েছে। আগের ছবিতে (রানআউট) এসব দরকার হয়নি। তাছাড়া ‘হারজিৎ’ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে আমার লুকে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। যেটা আসলে দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবেন। এই ছবিতে একেবারেই অন্য এক সজলকে দেখবেন তারা। ছবিতে আমার চরিত্রটি একরোখা ধরনের। সে যা করতে চায়, তা-ই করে। মূলত এটি রোমান্টিক ও মারকুটে ধরনের ছবি। মাহি আর আমি এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে কাজটা।
আনন্দ আলো: কাজ না থাকলে সময় কাটে কীভাবে?
সজল: ঘুমিয়ে দিন কাটে। আর কিছু করতে ইচ্ছে হয় না। আমি ভীষণ ঘুমপ্রিয়। এমনও হয়েছে একবার টানা ৭২ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। তখন শুধু খাওয়ার জন্য উঠেছি, খেয়ে আবার ঘুম!
আনন্দ আলো: সজলের কোন কোন ব্যাপারগুলো মানুষ জানে না?
সজল: একজন মানুষের সম্পর্কে সবকিছু জানা কি সম্ভব? অনেক সময় মানুষ নিজেকে নিয়েও মনে হয় সবকিছু জানে না। আমি খুব অগোছালো মানুষ এটা অনেকে জানে না। ঘরে মা না থাকলে বোঝা যায় আমি কতোটা এলোমেলো। আরেকটা ভালো দিকও আছে। ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকি করতে ভালো লাগে আমার। স্কেচিং শিখেছিও ছোটবেলায়। এখনও মাঝে মধ্যে আঁকি। আমার এসবস্কেচ মা যতœ করে রেখে দেন।

মিলা হোসেন, ২০০০ সালে লাক্স-আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক হয়েছিলেন। এরপর মডেলিং ও অভিনয় করে দ্রæত জনপ্রিয়তা পান তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এই মডেল তারকা। মাঝেমধ্যে ঢাকায় এলে নাটকে অভিনয় করা হয় তাঁর। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন মিলা। ঢাকায় এসেই বেশকিছু নাটক ও টেলফিল্মে তিনি অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে ছোটকাকু সিরিজের ‘কাকু যখন কুমিল্লায়’ অন্যতম।

ছোটকাকুতে অভিনয় করবো বলেই দেশে এসেছি-মিলা হোসেন

আনন্দ আলো: ছোটকাকুর ‘কাকু যখন কুমিল্লায়’- এ অভিনয় করতে কেমন লেগেছে?
মিলা হোসেন: এক কথায় অসাধারণ। এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করতেই হবে। প্রথমত দেশের এতো জনপ্রিয় এবং বিশিষ্ট একজন সাহিত্যিকের গল্পে কাজ করা, মানে ফরিদুর রেজা সাগরের মতো এতো জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিকের গল্প এবং দেশের আরেক বিশিষ্ট অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় কাজ করা- সব মিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা এবং ভালোলাগা অন্যরকম…। পুরো শুটিংয়ের সময়টা আমার জীবনে একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। এরপর তো আছেই গল্পের বাঁক, আমার চরিত্র এবং নির্মাণশৈলি। আফজাল হোসেন নির্দেশনা দিবেন- আর সেটা ভিন্নকিছু হবে না তা তো নয়। সত্যি খুব ভালো লেগেছে এমন একটি কাজ করতে পেরে। বলা যায় ছোটকাকুতে অভিনয় করবো বলেই এবার দেশে এসেছি।
আনন্দ আলো: আপনার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বলবেন-
Milaমিলা হোসেন: আমার চরিত্রটির নাম আফরিন আক্তার। আমি দেশের একজন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি টেলিভিশনে জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান ‘পর্দা ফাঁস’ এর উপস্থাপনা করি। যেখানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের নামকরা মানুষেরা এসে বিভিন্ন গোপন কথা ফাঁস করে দেন। তেমনিভবে একটি অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি আসেন এবং লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে লোকটি খুন হোন। এ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনা এগুতে থাকে সামনের দিকে। খুব রহস্য আর দূর্দান্তভাবে নাটকের গল্পটি এগুতে থাকে।
আনন্দ আলো: কেমন রেসপন্স পেলেন?
মিলা হোসেন: অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি। আমি তো এমনিতে অনেক কম কাজ করি। যেহেতু দেশের বাইরে থাকি এবং মাঝেমধ্যে আসা হয়- তাই কাজের প্রস্তাব এলেও স্ক্রিপ্ট এবং গল্প ভালো না পেলে কাজ করি না। তাছাড়া আমি যাদের সাথে কাজ করে কমফোর্ট ফিল করি-তাদের সাথেই কাজ করি। এখন আসলে কাজের পরিবেশ এবং সবকিছু কেমন জানি বদলে গেছে। কয়েক বছরে ইন্ডাস্ট্রির অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
আনন্দ আলো: আর অন্য কি কি কাজ করলেন?
মিলা হোসেন: এবার বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। নাটকেও কাজ করেছি। সুমন আনোয়ারের সাথে একটি নাটকে কাজ করেছি। দুটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। এর পাশাপাশি কিছু ফটোশ্যুটও করেছি।
আনন্দ আলো: দেশে এসে কমন লাগছে?
মিলা হোসেন: সবসময়ই দেশে এলে এক অনাবিল আনন্দ মনের মধ্যে কাজ করে। কারণ দেশে এলেই প্রিয় প্রিয় মুখগুলোর সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়, জমে উঠে আড্ডা। এবার শুটিংয়ের ফাঁকে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়েছে।
আনন্দ আলো: দেশে ফিরে শুটিং করতে কোনো সমস্যা হয় কি?
মিলা হোসেন: একটু তো হয়ই। কারণ, বেশি কস্টিউম আনতে পারি না। আসলে নিজের বাসা থেকে শুটিং অনেক আরাম করে করা যায়। যেখানে সবসময় থাকা হয় সেখানে হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়া যায়। তারপরও দেশে এলে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। এটা বিদেশে তো সম্ভব নয়। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক।
আনন্দ আলো: এবার দেশে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রে আপনি একটা নাটকের শুটিং করেছেন…
মিলা হোসেন : হ্যাঁ। নাটকের নাম ‘অনাহত’। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন টনি ডায়েস। নাটকটি পরিচালনা করেছেন সৈয়দ জামিম। নাটকের গল্প অনেক মজার। শুটিংও দুর্দান্ত হয়েছে। বিদেশে শুটিং হয়েছে বলে যে নাটকের গল্পে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে, বিষয়টা এ রকম নয়। এর আগে নিউইয়র্কে কিছু শুটিং হয়েছে, আমার সেগুলো তেমন ভালো লাগেনি। যাই হোক, ‘অনাহত’ নাটকটি দেশের একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
আনন্দ আলো: যুক্তরাষ্ট্রে আপনার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
মিলা হোসেন: আমি ওখানে একটি স্কুলে শিক্ষকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়াও নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। আমি ‘কালারস’ ম্যাগাজিনেরও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
আনন্দ আলো: নিয়মিত কী কাজ করবেন না?
মিলা হোসেন: মনে হয় না এটা আর হবে। কারন এখন আমেরিকায় নিয়মিত থাকা হয়, ফলে সবকিছু ওখানকার কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেশে আসা হলে কাজ করবো। আর আমেরিকায় কোনো কাজ হলে আমার ভালো লাগলে অবশ্যই করবো।
আনন্দ আলো: ছোটবেলার কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
মিলা হোসেন: শিশুশিল্পী হিসেবে আমি প্রথম পারিশ্রমিক পাওয়ার কথাটি আমার সবসময় মনে পড়ে। আমি প্রথম পারিশ্রমিক হিসেবে টাকা নয়, তিনটি পোশাক উপহার পেয়েছিলাম। একটি বিজ্ঞাপনের জন্য আমার তিনটা পোশাক বদলাতে হয়েছিল। ওই তিন পোশাকেই আমাকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া হয়েছিল। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। পোশাকগুলো পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। সেই সময় আরো একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে ৮০০ টাকা পেয়েছিলাম। তবে পোশাক পাওয়ার আনন্দ এখনো ভুলতে পারিনি।